বাংলাদেশের সংবিধান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গঠনকাঠামো নির্ধারণকারী সর্বোচ্চ আইন। ১৯৭২ সালে গঠিত কার্যত আওয়ামী লীগের "এক দলীয়"[১] ও 'বিতর্কিত'[২][৩][৪] সংবিধান সভা এই গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে এবং তা একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। মুজিববাদের চার নীতি, যথা জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা, সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান | |
---|---|
সাধারণ | |
এখতিয়ার | বাংলাদেশ |
অনুমোদন | ৪ নভেম্বর ১৯৭২ |
কার্যকরের তারিখ | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ |
পদ্ধতি | একক সংসদীয় সাংবিধানিক গণতন্ত্র |
সরকারি কাঠামো | |
শাখা | তিন (শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ) |
কক্ষ | এক |
নির্বাহী | বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যের নিকট প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ দায়বদ্ধ। |
বিচারব্যবস্থা | সুপ্রিম কোর্ট |
মৈত্রীতন্ত্র | না |
নির্বাচনী কলেজ | না |
ইতিহাস | |
সংশোধনী | ১৭ |
সর্বশেষ সংশোধনী | ৮ জুলাই ২০১৮ |
উদ্ধৃতি | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, ২০২১-০৬-১৩ |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
লেখক | কামাল হোসেন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান এবং গণপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ |
স্বাক্ষরকারী | গণপরিষদের ৪০৩ এর মধ্যে ৩৯৯ জন সদস্য |
স্থানান্তর | বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র |
সম্পূর্ণ পাঠ্য | |
উইকিসংকলনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান |
"ফ্যাসিবাদী"[৫][৬] বলে আখ্যায়িত ও স্বৈরতন্ত্রসৃষ্টিকারী[৭][৮] এই গাঠনিক আইনে মৌলিক অধিকারের চেয়ে রাজনৈতিক ভাবাদর্শ প্রাধান্য পেয়েছে। সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণীত রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতিগুলো আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়, বিধায় সলিমুল্লাহ খানসহ অনেকে এগুলোকে শূন্যগর্ভ প্রতিশ্রুতি বলেছেন।[৯]
সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণীত মৌলিক অধিকারগুলো নানাবিধ শর্তযুক্ত হওয়ায়, এগুলোর ফাঁকফোকর গলে নাগরিকের মৌলিক অধিকার সরকার অহরহ লঙ্ঘন করেছে। অধিকারবিষয়ক বিধানগুলোর ফাঁকফোকর গলে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি এবং ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির মতো দমনমূলক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইনগুলোর নিবর্তনমূলক ধারাগুলো বহাল থেকে গেছে। এবং পরবর্তীতে প্রণীত ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো জনবিরোধী আইনগুলোর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার সরকার আরো বেশি সংকুচিত করেছে।
সংবিধানের চতুর্থ ভাগ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করেছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের কোন বিধান সংবিধানে না থাকায় ও ৭০নং অনুচ্ছেদ দ্বারা সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা খর্ব করার কারণে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নির্বাহী ক্ষমতা নিরঙ্কুশভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে।[১০][১১] যার ফলে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থাকে নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্র বলা হয়ে থাকে।[১০] জনগণের সীমিত নাগরিক অধিকার ও প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতার পরিধি বিবেচনা করে বদরুদ্দীন উমর এই সংবিধানকে "চিরস্থায়ী জরুরি অবস্থার সংবিধান" বলে অভিহিত করেছেন।[১২][১৩][১৪][১৫]
নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখতে সংবিধানের ব্যর্থতার দরুন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শাসনামলে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন। এ সময়ে গুম হন ৬৭৭ জন, কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৪৮ জন।[১৬] বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তালিকাসহ ২০২৪ সালের ঘটনা যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীসহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলোর উদ্দেশ্যই ছিল শুধু সরকারের ক্ষমতা বাড়ানো। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ৭খ অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগসহ আরো কিছু অনুচ্ছেদকে সংশোধন-অযোগ্য বা চিরকালীন বলে ঘোষণা করেছে।[১৭][১৮]
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার তাই সংবিধান সংস্কার কিংবা সংবিধান সভা নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রিয়াজ।[১৯]
সংবিধান প্রণয়ন ও মুদ্রণের ইতিহাস
সম্পাদনাসংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা হলেন ড. কামাল হোসেন (ঢাকা-৯, জাতীয় পরিষদ), মো. লুৎফর রহমান (রংপুর-৪, জাতীয় পরিষদ),অধ্যাপক আবু সাইয়িদ(সর্বকনিষ্ঠ সদস্য)(পাবনা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম আবদুর রহিম (দিনাজপুর-৭, প্রাদেশিক পরিষদ), এম আমীর-উল ইসলাম (কুষ্টিয়া-১, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর (বাকেরগঞ্জ-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মুনতাকীম চৌধুরী (সিলেট-৫, জাতীয় পরিষদ), ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র (বাকেরগঞ্জ-১৫, প্রাদেশিক পরিষদ), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (সিলেট-২, প্রাদেশিক পরিষদ), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ময়মনসিংহ-১৭, জাতীয় পরিষদ), তাজউদ্দীন আহমদ (ঢাকা-৫, জাতীয় পরিষদ), খন্দকার মোশতাক আহমেদ (কুমিল্লা-৮, জাতীয় পরিষদ), এ এইচ এম কামারুজ্জামান (রাজশাহী-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন তালুকদার (পাবনা-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রউফ (রংপুর-১, ডোমার, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ (রাজশাহী-৩, জাতীয় পরিষদ), বাদল রশীদ, বার অ্যাট ল, খন্দকার আবদুল হাফিজ (যশোর-৭, জাতীয় পরিষদ), শওকত আলী খান (টাঙ্গাইল-২, জাতীয় পরিষদ), মো. হুমায়ুন খালিদ, আছাদুজ্জামান খান (যশোর-১০, প্রাদেশিক পরিষদ), এ কে মোশাররফ হোসেন আখন্দ (ময়মনসিংহ-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন, শামসুদ্দিন মোল্লা (ফরিদপুর-৪, জাতীয় পরিষদ), শেখ আবদুর রহমান (খুলনা-২, প্রাদেশিক পরিষদ), ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক খোরশেদ আলম (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম. মোজাফ্ফর আলী (জাতীয় পরিষদ হোমনা - দাউদকান্দি), অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (কুমিল্লা-৪, জাতীয় পরিষদ), দেওয়ান আবু আব্বাছ (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), হাফেজ হাবিবুর রহমান (কুমিল্লা-১২, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রশিদ (নোয়াখালী-১, জাতীয় পরিষদ) , নুরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ খালেদ (চট্টগ্রাম-৫, জাতীয় পরিষদ) ও বেগম রাজিয়া বানু (নারী আসন, জাতীয় পরিষদ)। [২০]
একই বছরের ১৭ই এপ্রিল থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহবান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। সংবিধান দিবস পালন করা হয় ৪ঠা নভেম্বর। গণপরিষদে সংবিধানের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন,
এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।[২১]
সংবিধান লেখার পর এর বাংলা ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার ভার দেয়া হয়।
গণপরিষদ ভবন, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন-প্রণেতা আই গাথরি।
সংবিধান ছাপাতে ১৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিলো। সংবিধান অলংকরণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল যার প্রধান ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পী জনাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আবুল বারক আলভী ও হাশেম খান। শিল্পী হাশেম খান অলংকরণ করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে তৈরি ক্র্যাবটি ব্রান্ডের দুটি অফসেট মেশিনে সংবিধানটি ছাপা হয়। একটি মেশিন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বহিরাঙ্গনে ২০১৫ সালে সংস্থাপন করা হয়েছে।
মূল সংবিধান
সম্পাদনাপ্রস্তাবনার মতো মূল সংবিধানও সাধু ভাষায় লিখিত এবং এতে এগারো ভাগে মোট ১৫৩ টি অনুচ্ছেদ ও সাতটি তফসিল রয়েছে। মূল সংবিধানের কপিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।[২২] সংবিধান বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।[২৩]
সংবিধান
সম্পাদনাপ্রস্তাবনা
সম্পাদনাবাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা সাধু ভাষায় লিখিত। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর পর থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা ইসলামি বাক্যাংশ বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম দিয়ে শুরু হয়, যার অর্থ "পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"। এরপর শপথ আকারে (আমরা, বাংলাদেশের জনগণ,...) স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর পুনরায় শপথ আকারে (আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে,...) সংবিধানের মূলনীতি উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর শপথ আকারে (আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে,...) রাষ্ট্রের "অন্যতম মূল লক্ষ্য" হিসেবে গণতান্ত্রিক উপায়ে "শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা"-র ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই সমাজের স্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। পরের অংশে শপথ আকারে (আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে,...) জাতীয় সমৃদ্ধি এবং প্রগতিশীলতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার স্বার্থে সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা, সংরক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধানকে "পবিত্র কর্তব্য" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শেষাংশে বাংলা ও ইংরেজি তারিখে গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[২৪]
প্রস্তাবনায় বিবৃত হয়েছে:[২৫]
[২৬][বিস্মিল্লাহির-রহ্মানির রহিম
(দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)/
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে।]
প্রস্তাবনা
আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া [২৭][জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের] মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;
[২৮][আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল -জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে ;]
আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;
আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্খার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য;
এতদ্বারা আমাদের এই গণপরিষদে, অদ্য তের শত ঊনআশী বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের আঠারো তারিখ, মোতাবেক উনিশ শত বাহাত্তর খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের চার তারিখে, আমরা এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করিয়া সমবেতভাবে গ্রহণ করিলাম।
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ১-৭নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১৷ প্রজাতন্ত্র
বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত হইবে৷
- ২৷ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত হইবে
(ক) ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা-ঘোষণার অব্যবহিত পূর্বে যে সকল এলাকা লইয়া পূর্ব পাকিস্তান গঠিত ছিল [২৯][এবং সংবিধান (তৃতীয় সংশোধন) আইন, ১৯৭৪-এ অন্তর্ভুক্ত এলাকা বলিয়া উল্লিখিত এলাকা, কিন্তু উক্ত আইনে বহির্ভূত এলাকা বলিয়া উল্লিখিত এলাকা তদ্বহির্ভূত; এবং]
(খ) যে সকল এলাকা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত হইতে পারে৷
- ২ক৷ রাষ্ট্রধর্ম
[৩০][প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন]
- ৩৷ রাষ্ট্রভাষা
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা৷
- ৪৷ জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
(১) প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা”র প্রথম দশ চরণ৷
(২) প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা হইতেছে সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত৷
(৩) প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক হইতেছে উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা, তাহার শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পরসংযুক্ত পত্র, তাহার উভয় পার্শ্বে দুইটি করিয়া তারকা৷
(৪) উপরি-উক্ত দফাসমূহ-সাপেক্ষে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত বিধানাবলী আইনের দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
- ৪ক। জাতির পিতার প্রতিকৃতি
[৩১][জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারী ও আধা-সরকারী অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।]
- ৫৷ রাজধানী
(১) প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা৷
(২) রাজধানীর সীমানা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
- ৬৷ নাগরিকত্ব
[৩২][(১) বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হইবে।
(২) বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।]
- ৭৷ সংবিধানের প্রাধান্য
(১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে৷
(২) জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে৷
- ৭ক। সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ
[৩৩][৭ক। (১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় -
(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে ; কিংবা
(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে-
তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।
(২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-
(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা
(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে-
তাহার এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
- ৭খ। সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য
সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমুহের বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।]
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ৮-২৫ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ৮৷ মূলনীতিসমূহ
[৩৪][(১) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।]
(২) এই ভাগে বর্ণিত নীতিসমূহ বাংলাদেশ-পরিচালনার মূলসূত্র হইবে, আইন-প্রণয়নকালে রাষ্ট্র তাহা প্রয়োগ করিবেন, এই সংবিধান ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নির্দেশক হইবে এবং তাহা রাষ্ট্র ও নাগরিকদের কার্যের ভিত্তি হইবে, তবে এই সকল নীতি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য হইবে না৷
- ৯। জাতীয়তাবাদ
[৩৫][ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালী জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।]
- ১০। সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
[৩৬][মানুষের উপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হইবে।]
- ১১৷ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে [৩৭][* * *] [৩৮][এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে]৷
- ১২। ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
[৩৯][১২। ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,
বিলোপ করা হইবে।]
- ১৩৷ মালিকানার নীতি
উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদনব্যবস্থা ও বন্টনপ্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হইবেন জনগণ এবং এই উদ্দেশ্যে মালিকানা-ব্যবস্থা নিম্নরূপ হইবে:
(ক) রাষ্ট্রীয় মালিকানা, অর্থাৎ অর্থনৈতিক জীবনের প্রধান প্রধান ক্ষেত্র লইয়া সুষ্ঠু ও গতিশীল রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারী খাত সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের মালিকানা;
(খ) সমবায়ী মালিকানা, অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে সমবায়সমূহের সদস্যদের পক্ষে সমবায়সমূহের মালিকানা; এবং
(গ) ব্যক্তিগত মালিকানা, অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে ব্যক্তির মালিকানা৷
- ১৪৷ কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতী মানুষকে-কৃষক ও শ্রমিককে-এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা৷
- ১৫৷ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায়:
(ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা;
(খ) কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার;
(গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং
(ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার৷
- ১৬৷ গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তরসাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
- ১৭৷ অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
রাষ্ট্র
(ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য;
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য;
(গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য
কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
- ১৮৷ জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
(১) জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষতঃ আরোগ্যের প্রয়োজন কিংবা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট অন্যবিধ প্রয়োজন ব্যতীত মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
(২) গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
- ১৮ক। পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন
[৪০][রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।]
- ১৯৷ সুযোগের সমতা
(১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন৷
(২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
[৪১][(৩) জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন।]
- ২০৷ অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম
(১) কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয়, এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী”-এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন৷
(২) রাষ্ট্র এমন অবস্থাসৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোন ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না এবং যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক-সকল প্রকার শ্র্রম সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসের ও মানবিক ব্যক্তিত্বের পূর্ণতর অভিব্যক্তিতে পরিণত হইবে৷
- ২১৷ নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
(১) সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিকদায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য৷
(২) সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য৷
- ২২৷ নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ হইতে বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন৷
- ২৩৷ জাতীয় সংস্কৃতি
রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় ভাষা, সাহিত্য ও শিল্পকলাসমূহের এমন পরিপোষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, যাহাতে সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখিবার ও অংশগ্রহণ করিবার সুযোগ লাভ করিতে পারেন৷
- ২৩ক। উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি
[৪২][রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।]
- ২৪৷ জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি
বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমন্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থান-সমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
- ২৫৷ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
[৪৩][***] জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের ও জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা-এই সকল নীতি হইবে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি এবং এই সকল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র
(ক) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিপ্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের জন্য চেষ্টা করিবেন;
(খ) প্রত্যেক জাতির স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী পথ ও পন্থার মাধ্যমে অবাধে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার সমর্থন করিবেন; এবং
(গ) সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন৷
[৪৩][***]
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ২৬-৪৭ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ২৬। মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল ২৭। আইনের দৃষ্টিতে সমতা ২৮। ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য ২৯। সরকারী নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা ৩০। বিদেশী, খেতাব, প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ ৩১। আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার ৩২। জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ ৩৩। গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ ৩৪। জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ ৩৫। বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ ৩৬। চলাফেরার স্বাধীনতা ৩৭। সমাবেশের স্বাধীনতা ৩৮। সংগঠনের স্বাধীনতা ৩৯। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা ৪০। পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা ৪১। ধর্মীয় স্বাধীনতা ৪২। সম্পত্তির অধিকার ৪৩। গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ ৪৪। মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ ৪৫। শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন ৪৬। দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা ৪৭। কতিপয় আইনের হেফাজত ৪৭ক। সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা
মৌলিক অধিকারের সীমাবদ্ধতা
সম্পাদনাপ্রতিরোধমূলক আটক এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন
সম্পাদনাসংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রতিরোধমূলক আটককে অনুমোদন করে। যদিও এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য হলো জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, এটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে বিচার ছাড়াই ব্যক্তিদের আটকের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য। ১৯৭৪ সালে প্রণীত বিশেষ ক্ষমতা আইন, ৩৩ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রদত্ত বিস্তৃত ক্ষমতার ভিত্তিতে কার্যকর করা হয়, যা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সরকার রাজনৈতিক বিরোধীতা ও ভিন্নমত দমনে ব্যবহার করেছে। এই আইন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের যথাযথ আইনি প্রতিকার ছাড়াই আটক করার সুযোগ দেয়, যার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে।
৩৩(২) অনুচ্ছেদ জরুরি অবস্থার সময় হেবিয়াস কর্পাসের অধিকার স্থগিত করার অনুমতি দেয়, যা নির্বিচার আটক থেকে সুরক্ষাকে দুর্বল করে।
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ৪৮-৬৪ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: রাষ্ট্রপতি
৪৮। রাষ্ট্রপতি ৪৯। ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার ৫০। রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ ৫১। রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি ৫২। রাষ্ট্রপতির অভিশংসন ৫৩। অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ৫৪। অনুপস্থিতি প্রভৃতির-কালে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পীকার
- ২য় পরিচ্ছেদ: প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা
৫৫। মন্ত্রিসভা ৫৬। মন্ত্রিগণ ৫৭। প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ ৫৮। অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ ৫৮ক [বিলুপ্ত] ২ক পরিচ্ছেদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার [সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ২১ ধারাবলে পরিচ্ছেদটি বিলুপ্ত।] [বিলুপ্ত]
- ৩য় পরিচ্ছেদ: স্থানীয় শাসন
৫৯। স্থানীয় শাসন ৬০। স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা
- ৪র্থ পরিচ্ছেদ: প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ
৬১। সর্বাধিনায়কতা ৬২। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি ৬৩। যুদ্ধ
- ৫ম পরিচ্ছেদ: অ্যাটর্নি-জেনারেল
৬৪। অ্যাটর্নি-জেনারেল
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ৬৫-৯৩ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: সংসদ
৬৫। সংসদ-প্রতিষ্ঠা ৬৬। সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা ৬৭। সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া ৬৮। সংসদ-সদস্যদের [পারিশ্রমিক] প্রভৃতি ৬৯। শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড ৭০। রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া ৭১। দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা ৭২। সংসদের অধিবেশন ৭৩। সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী ৭৩ক। সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার ৭৪। স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার ৭৫। কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি ৭৬। সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ ৭৭। ন্যায়পাল ৭৮। সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি ৭৯। সংসদ-সচিবালয়
- ২য় পরিচ্ছেদ: আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি
৮০। আইন প্রণয়ন পদ্ধতি ৮১। অর্থবিল ৮২। আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ ৮৩। সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা ৮৪। সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাব ৮৫। সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রণ ৮৬। প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাবে প্রদেয় অর্থ ৮৭। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি ৮৮। সংযুক্ত তহবিলের উপর দায় ৮৯। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি ৯০। নির্দিষ্টকরণ আইন ৯১। সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী ৯২। হিসাব, ঋণ প্রভৃতির উপর ভোট ৯২ক। [বিলুপ্ত]
- ৩য় পরিচ্ছেদ: অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা
৯৩। অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা
ষষ্ঠ ভাগ: বিচারবিভাগ
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ৯৪-১১৭ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: সুপ্রীম কোর্ট
৯৪। সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা ৯৫। বিচারক-নিয়োগ ৯৬। বিচারকের পদের মেয়াদ ৯৭। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ৯৮। সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ ৯৯। অবসর গ্রহণের পর বিচারগণের অক্ষমতা ১০০। সুপ্রীম কোর্টের আসন ১০১। হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার ১০২। কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ১০৩। আপীল বিভাগের এখতিয়ার ১০৪। আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারী ও নির্বাহ ১০৫। আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা ১০৬। সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার ১০৭। সুপ্রীম কোর্টের বিধি-প্রণয়ন-ক্ষমতা ১০৮। "কোর্ট অব রেকর্ড" রূপে সুপ্রীম কোর্ট ১০৯। আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ১১০। অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর ১১১। সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা ১১২। সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা ১১৩। সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ
- ২য় পরিচ্ছেদ: অধস্তন আদালত
১১৪। অধস্তন আদালত-সমূহ প্রতিষ্ঠা ১১৫। অধস্তন আদালতে নিয়োগ ১১৬। অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ১১৬ক। বিচারবিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন
- ৩য় পরিচ্ছেদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল
১১৭। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমূহ ষষ্ঠ ক ভাগ-জাতীয়দল [সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৪১ ধারাবলে বিলুপ্ত।] [বিলুপ্ত]
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ১১৮-১২৬ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১১৮। নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা ১১৯। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ১২০। নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীগণ ১২১। প্রতি এলাকার জন্য একটিমাত্র ভোটার তালিকা ১২২। ভোটার-তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা ১২৩। নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময় ১২৪। নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা ১২৫। নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা ১২৬। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ১২৭-১৩২- নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১২৭। মহা হিসাব-নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা ১২৮। মহা-হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব ১২৯। মহা হিসাব-নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ ১৩০। অস্থায়ী মহা হিসাব-নিরীক্ষক ১৩১। প্রজাতন্ত্রের হিসাব-রক্ষার আকার ও পদ্ধতি ১৩২। সংসদে মহা হিসাব-নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ১৩৩-১৪১ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: কর্মবিভাগ
১৩৩। নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী ১৩৪। কর্মের মেয়াদ ১৩৫। অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি ১৩৬। কর্মবিভাগ-পুনর্গঠন
- ২য় পরিচ্ছেদ: সরকারী কর্ম কমিশন
১৩৭। কমিশন-প্রতিষ্ঠা ১৩৮। সদস্য-নিয়োগ ১৩৯। পদের মেয়াদ ১৪০। কমিশনের দায়িত্ব ১৪১। বার্ষিক রিপোর্ট ৫ নবম-ক ভাগ জরুরী বিধানাবলী(১৪১ক-১৪১গ) ১৪১ক। জরুরী-অবস্থা ঘোষণা ১৪১খ। জরুরী-অবস্থার সময় সংবিধানের কতিপয় অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ ১৪১গ। জরুরী-অবস্থার সময় মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিতকরণ
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের কেবল ১৪২ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১৪২। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা
একাদশ ভাগ: বিবিধ
সম্পাদনাএই অংশে সংবিধানের ১৪৩-১৫৩ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১৪৩। প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ১৪৪। সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি-প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব ১৪৫। চুক্তি ও দলিল ১৪৫ক। আন্তর্জাতিক চুক্তি ১৪৬। বাংলাদেশের নামে মামলা ১৪৭। কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি ১৪৮। পদের শপথ ১৪৯। প্রচলিত আইনের হেফাজত ১৫০। ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী ১৫১। রহিতকরণ ১৫২। ব্যাখ্যা ১৫৩। প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ
তফসিল
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Huq, Abul Fazl (১৯৭৩)। "Constitution-Making in Bangladesh"। Pacific Affairs। 46 (1): 59–76। আইএসএসএন 0030-851X। ডিওআই:10.2307/2756227 – JSTOR-এর মাধ্যমে।
[T]he Constituent Assembly was virtually a one-party house. Only three MCA's [out of 404 members] played the role of the opposition. Though the assembly was not allowed to act as a parliament, the party-whip was rigidly exercised. The members of the Awami League were allowed to move only amendments approved in the parliamentary party meetings. Moreover, the Constituent Assembly Order (cessation of membership) was a very effective device in maintaining party discipline. All members of the party spoke strongly in favour of the bill, each endorsing the thesis of the party.
- ↑ আহমেদ, ফিরোজ (মে ২০১৫)। মুহাম্মদ, আনু, সম্পাদক। "বাংলাদেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রের গতিমুখ: সূচনাকাল" (পিডিএফ)। সর্বজনকথা। ঢাকা: ৮৬–৯৮। ২০ মে ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৮। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=, |year= / |date= mismatch
(সাহায্য) - ↑ মজহার, ফরহাদ (আগস্ট ২০২৩)। "গঠন ও গঠনতন্ত্র"। গণঅভ্যুত্থান ও গঠন: বাংলাদেশে গণরাজনৈতিক ধারার বিকাশ প্রসঙ্গে। ঢাকা: রাষ্ট্রচিন্তা। পৃষ্ঠা ১৪৮–১৮০। আইএসবিএন 978-984-97818-0-6।
- ↑ উমর, বদরুদ্দীন (সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারা"। আহমদ, আহরার। সমাজ রাষ্ট্র বিবর্তন: জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক গুণিজন বক্তৃতামালা (২০১৭-২০১৮)। ঢাকা: বেঙ্গল পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১৫৬–১৮২। আইএসবিএন 978-984-93718-7-8।
- ↑ "Interview: Situation In Bangladesh Challenging, But Happy That A Fascist Rule Has Ended, Cultural Icon Farhad Mazhar To ETV Bharat"। ETV Bharat News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৭।
- ↑ "আ.লীগের নেতৃত্বে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে: আম্বিয়া"। সমকাল। জানুয়ারী ৩১, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪।
- ↑ "Constitution needs rewriting to bar autocracy"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৭।
- ↑ Zahid, Selim (২০২১-০৩-২৪)। "JaPa emerges as opposition party"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৮।
- ↑ Khan, Salimullah (২০২৪-১০-১৪)। Talk Show Front Line | ফ্রন্টলাইন | Matiur Rahman Chowdhury | Salimullah Khan | Nurul Kabir। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৩ – YouTube-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Haque, Amdadul। "Powers of the Prime Minister in Bangladesh: A Critical Study" (পিডিএফ)। আইএসএসএন 1997-938X। জুন ১৭, ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ RAHAMAN MM. Parliament and Good Governance: A Bangladeshi Perspective. Japanese Journal of Political Science. 2008;9(1):39-62. doi:10.1017/S1468109907002812
- ↑ Badruddin Umar: Politics and Society in Bangladesh, Subarna, Dhaka, 1987
- ↑ আহমেদ, ফিরোজ (মে ২০১৫)। মুহাম্মদ, আনু মুহাম্মদ, সম্পাদক। "বাংলাদেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রের গতিমুখ: সূচনাকাল" (পিডিএফ)। সর্বজনকথা: 86–98। মে ২০, ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Mahfuz, Ali (ডিসেম্বর ১৩, ২০১২)। "বাহাত্তরের সংবিধান অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, জাতিবিদ্বেষী, একনায়কতান্ত্রিক : প্রয়োজন জনগণের গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা" [The 1972 Constitution is undemocratic, communal, racist, and autocratic: What we need is the establishment of a democratic constitution for the people]। Bangarashtra: Voice of the Secularist Bengal and Bengali Nation। ২০২৪-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৩।
- ↑ Jahan, Rounaq (১৯৭৩)। "Bangladesh in 1972: Nation Building in a New State"। Asian Survey। 13 (2): 199–210। আইএসএসএন 0004-4687। ডিওআই:10.2307/2642736।
- ↑ BonikBarta। "দেড় দশকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২,৬৯৯ ও গুম হন ৬৭৭ জন"। দেড় দশকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২,৬৯৯ ও গুম হন ৬৭৭ জন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৫।
- ↑ "নতুন সংবিধান প্রণয়নে গণভোটসহ তিন প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "সংবিধান পুনর্লিখনের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ"। সংবিধান পুনর্লিখনের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৯-১৮)। "সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৫।
- ↑ [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (নবম-দশম শ্রেণী) (২০১৫)। "স্বাধীন বাংলাদেশ"। ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন ও পটভূমি। পৃষ্ঠা ২৮।
- ↑ "প্রথম আলো ৪ঠা নভেম্বর ২০১০"। ২০১৭-০৩-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১২।
- ↑ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফা।
- ↑ "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। Bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৫।
- ↑ "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৪।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ২ ধারাবলে ‘‘বিস্মিল্লাহির-রহ্মানির রহিম (দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)’’ শব্দগুলি, কমাগুলি, চিহ্নগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৩ ধারাবলে ‘‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৩ ধারাবলে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ ‘‘সংবিধান (তৃতীয় সংশোধন) আইন, ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের ৭৪ নং আইন)-এর ৩ ধারাবলে ‘‘; এবং’’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত। তবে, উহার কার্যকারিতা উক্ত আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারী সাপেক্ষ।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৪ ধারাবলে ২ক অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫ ধারাবলে ৪ক অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ৬ ধারাবলে ৬ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ৭ ধারাবলে ৭ক এবং ৭খ অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ৮ ধারাবলে (১) ও (১ক) দফার পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ৯ ধারাবলে ৯ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ১০ ধারাবলে ১০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (চতুর্থ সংশোধন) আইন, ১৯৭৫ (১৯৭৫ সনের ২নং আইন)-এর ২ ধারা বলে বিলুপ্ত।
- ↑ সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৮ নং আইন)-এর ২ ধারাবলে ‘‘এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে’’ শব্দগুলি সন্নিবেশিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ১১ ধারাবলে ১২ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ১২ ধারাবলে ১৮ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ১৩ ধারাবলে (৩) দফা সংযোজিত।
- ↑ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ১৪ ধারাবলে ২৩ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত।
- ↑ ক খ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন)-এর ১৫(ক) ও (খ) ধারাবলে (১) সংখ্যা ও বন্ধনী বিলুপ্ত এবং (২) দফা বিলুপ্ত।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |