নূরুল ইসলাম মঞ্জুর
নূরুল ইসলাম মঞ্জুর (জন্ম: ২৬ মে ১৯৩৬, মৃত্যু: ২৬ মে ২০২০) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাক্তন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।[১]
নূরুল ইসলাম মঞ্জুর | |
---|---|
বিলুপ্ত বাকেরগঞ্জ-৮ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৫ | |
পূর্বসূরী | শুরু স্বাধীনতা লাভ |
উত্তরসূরী | আবদুল ওয়াদুদ সরদার |
পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | আনোয়ার হোসেন মঞ্জু |
উত্তরসূরী | তাসমিমা হোসেন |
বাকশালের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫ – ২১ জুলাই ১৯৭৫ | |
মোশতাকের রেলপথ ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আনু. ১৯৩৭ বরিশাল জেলা |
মৃত্যু | ২৫ মে ২০২০ এভার কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা |
সমাধিস্থল | বনানী কবরস্থান |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (১৯৭৫ সালে পূর্বে) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডা. সুফিয়া বেগম |
সন্তান | চার ছেলে ও তিন মেয়ে |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনানূরুল ইসলাম মঞ্জুর ২৬ মে ১৯৩৬ সালে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[২]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনামনজুর ১৯৭৩ সালে বাকেরগঞ্জ-৮ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে বাংলাদেশের প্রথম সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের চতুর্থ মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২১ জুলাই ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করেন। মার্কিন দূতাবাস ঢাকার সূত্রে খবর, তৎকালীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি উন্নয়ন মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের শ্যালক আবদুর রব সেরনিয়াবাতের সাথে বিরোধের কারণে তাকে অপসারণ করা হয়। তাদের দু'জনের জেলা বরিশাল জেলা কেন্দ্রিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি মোশতাক আহমেদ সরকারে রেলপথ ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। [৩]
তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[৪]
মনজুরকে ১৯৯৯ সালে কে এম ওবায়দুর রহমান এবং শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১০৯ সংসদ সদস্যগণ। [৫] ২০০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় থাকাকালীন আদালত তাদেকে এ অভিযোগ থেকে খালাস করে দেয়। [৬][৭]
তিনি ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে পিরোজপুর-২ থেকে পরাজিত হয়েছিলেন।[৮]
মৃত্যু
সম্পাদনানুরুল ইসলাম মনজুর ২৫ মে ২০২০ সালে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Introduce rationing in Sidr-hit areas"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ ডিসেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভা: ড. কামাল ছাড়া বেঁচে নেই কেউ | Purboposhchimbd"। Purboposchim। ২০২১-০৫-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৭।
- ↑ "Bangabandhu's men - on Aug 15 and after"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "109 BNP MPs demand judicial probe into Jail Killing case"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ জানুয়ারি ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "32 years on, jail killers still go unpunished"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "BD court sentences 3 to death in AL leaders' murder case"। dawn.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ অক্টোবর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "নুরুল ইসলাম মঞ্জুর"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৪।
- ↑ "সাবেক প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম মঞ্জুরের ইন্তেকাল"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |