প্রবেশদ্বার:কলকাতা
কলকাতা প্রবেশদ্বারকলকাতা প্রবেশদ্বারে স্বাগত। ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে কথিত শহর কলকাতা বাঙালির কৃষ্টি ও সভ্যতার এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। এই শহরে একদা জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়, স্বামী বিবেকানন্দ, জ্যোতি বসু প্রমুখ জগদ্বিখ্যাত বাঙালিরা। আজ এই শহরের বাসিন্দা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মৃণাল সেন, মহাশ্বেতা দেবী, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো কৃতী ব্যক্তিত্ব। ঐতিহাসিক কালবিচারের নিরিখে এই শহর খুব একটা প্রাচীন নয়। তবে নানা জাতি নানা ভাষার মিলনভূমি আজকের কলকাতা শহর শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীই নয়, একটি যথার্থ বিশ্বনগরী এবং বিশ্বভাতৃত্ববোধের প্রতীক। কলকাতাকলকাতা বা কোলকাতা ([kolkata] (), পূর্বনাম কলিকাতা, হল )পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ায় কলকাতা তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক)$২৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নয়াদিল্লির ঠিক পর তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতার ব্যক্তিমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫) পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সভানেত্রী। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, ভূমি ও ভূমিসংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্বতাঞ্চল বিষয়ক, কৃষি, বিদ্যুৎ, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার, সংখ্যালঘু কল্যাণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ও মুসলিম জনগোষ্ঠী পালন বিভাগেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাগ্মী রাজনীতিবিদ। তাকে প্রায়শই দিদি বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এছাড়াও তাকে অগ্নিকন্যা বলা হয়। ২০১১ সালে তার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল। এই সরকার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ছিল। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তিনি দুই বার রেল, এক বার কয়লা মন্ত্রকের এবং এক বার মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব, ক্রীড়া, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের জমি বলপূর্বক অধিগ্রহণ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলেন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে অভিহিত করেছিল। ব্লুমবার্গ মার্কেটস তাকে ২০১২ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাবশালী ৫০ ব্যক্তির তালিকায় রেখেছিল। ২০১৮ সালে স্কচ বর্ষসেরা মুখ্যমন্ত্রী সম্মাননা লাভ করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) নির্বাচিত চিত্রবিদ্যাসাগর সেতু ও প্রিন্সেপ ঘাট। হাওড়া ও কলকাতা শহরের সেতুবন্ধনকারী কলকাতার এই নব্য আইকন এবং সুপ্রাচীন ঐতিহ্যসম্পন্ন ঘাটের নামকরণ করা হয়েছে বাংলার নবজাগরণের দুই পুরোধা-ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও জেমস প্রিন্সেপের নামানুসারে। উল্লিখিত তথ্যগুলি উইকিপিডিয়া:আপনি জানেন কি প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান পাতায় প্রদর্শিত হয়েছে।
বিষয়শ্রেণীআপনি কি কি করতে পারেন
স্বীকৃত ভুক্তিনির্বাচিত নিবন্ধভাল নিবন্ধআজাকি নিবন্ধ
আলোচ্য বিষয়সম্পর্কিত প্রবেশদ্বারসম্পর্কিত উইকিমিডিয়া |