শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন

পশ্চিমবঙ্গের জংশন রেলওয়ে স্টেশন

শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন হল কলকাতা শহরের অন্যতম প্রধান রেলস্টেশন। শিয়ালদহ ভারতের ব্যস্ততম রেলস্টেশনগুলির একটি।[] এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরতলি রেল টার্মিনাল। কলকাতা মেট্রোর নির্মীয়মান দ্বিতীয় লাইনটি (ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো) শিয়ালদহ স্টেশনের পাশ দিয়ে যাবে। শুধু শহরতলির ট্রেন ও যাত্রীসংখ্যা ধরলে এটি ভারতের ব্যাস্ততম। এ ছাড়া এখান থেকে দূরপাল্লার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়, যেমন দিল্লি।


শিয়ালদহ
কেন্দ্রীয় স্টেশন
অবস্থানশিয়ালদহ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩৪′০৫″ উত্তর ৮৮°২২′১৬″ পূর্ব / ২২.৫৬৭৯৬৬১° উত্তর ৮৮.৩৭১১০৪৭° পূর্ব / 22.5679661; 88.3711047
উচ্চতা৯ মিটার (৩০ ফিট)
প্ল্যাটফর্ম২১
রেলপথ২১
সংযোগসমূহশিয়ালদহ মেন,উত্তর ও দক্ষিণ
নির্মাণ
গঠনের ধরনসমতল
পার্কিংউপলব্ধ
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারহ্যাঁ Handicapped/disabled access
অন্য তথ্য
অবস্থাচালু
স্টেশন কোডএসডিএএইচ
ভাড়ার স্থানপূর্ব রেল
ইতিহাস
চালু১৮৬২; ১৬২ বছর আগে (1862)
বৈদ্যুতীকরণ১৯৬০; ৬৪ বছর আগে (1960)
যাতায়াত
যাত্রীসমূহ১.৮ মিলিয়নের বেশি
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   কলকাতা শহরতলি রেল   পরবর্তী স্টেশন
শেষ স্টেশনপূর্ব লাইন
কর্ড লিংক লাইন
অভিমুখে ডানকুনি জংশন
অভিমুখে নামখানা
শিয়ালদহ দক্ষিণশেষ স্টেশন
অবস্থান
মানচিত্র
Sealdah Station
Sealdah Station

ইতিহাস

সম্পাদনা

শিয়ালদহ স্টেশন ১৮৬৯ খ্রীস্টাব্দে চালু হয়।[][] এখান থেকে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গীয় রেল বিভাগ এর আওতায় ছিল। দেশভাগ এর আগে দার্জিলিং মেল শিয়ালদহ হতে রাণাঘাট, গেদে-দর্শনা পথ ধরে বর্তমান বাংলাদেশ এর মধ্যে দিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছাত। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ এর সময় পূর্ব বঙ্গীয় রেল এর শিয়ালদহ বিভাগ ভারতের পূর্ব রেল এর আওতা ভুক্ত হয় এবং অবশিষ্ট অংশ তদাতিনন্তন পূর্ব পাকিস্তান এর অন্তর্গত হয়।

স্টেশন পরিচালনা

সম্পাদনা
  • শিয়ালদহে তিনটি স্টেশন টার্মিনাল রয়েছে: শিয়ালদহ উত্তর, শিয়ালদহ মেইন এবং শিয়ালদহ সাউথ
    • উত্তর অংশ শিয়ালদহ উত্তর এবং শিয়ালদহ মেইন ভবনে রয়েছে। এতে ১৩ টি প্লাটফর্ম রয়েছে, যার মধ্যে ১ থেকে ৪ এবং ৪এ (শিয়ালদহ উত্তর),
    • সিয়ালদাহ মেইন টার্মিনালে প্ল্যাটফর্ম ৫ থেকে ৯এ, ৯বি এবং ৯সি (শিয়ালদহ মেইন) রয়েছে।
    • দক্ষিণ বিভাগ ৭ টি প্ল্যাটফর্ম (১০এ, ১০-১৪, ১৪এ) সহ শিয়ালদহ সাউথ টার্মিনাল রয়েছে।

উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের ট্র্যাকগুলির পৃথক ভাবে রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ অংশটি দুটি সংযোগ দ্বারা সংযুক্ত, একটি দমদম-মাঝেরহাট সংযোগ (জনপ্রিয় চক্ররেল) এবং অন্যটি বিধাননগর-পার্ক সার্কাস সংযোগ (বৃত্তাকার রেলের সম্প্রসারণ)। এই দু'টি সংযোগ শিয়ালদহ স্টেশনকে এড়িয়ে দুটি বিভাগের মধ্যে দ্রুত ভ্রমণের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

লাউঞ্জ

সম্পাদনা

১৫ এপ্রিল ২০১৯ সালে সোমবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে শিয়ালদহ স্টেশনে উদ্বোধন হল একটি ঝাঁ চকচকে এগজিকিউটিভ লাউঞ্জের। কাচের দেওয়ালে মোড়া বাতানুকূল লাউঞ্জে আরামদায়ক সোফা, আধুনিক শৌচাগার, এলসিডি টিভি, ওয়াইফাই, মৃদু বাজনার ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে পছন্দসই খাদ্য এবং পানীয় বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

স্টেশনের প্রবেশপথ থেকে স্বচ্ছ কাচের ক্যাপসুল লিফট ধরে পৌঁছনো যাবে আইআরসিটিসি-র ফুড প্লাজার ঠিক উপরের তলায় ওই লাউঞ্জে। একসঙ্গে ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। রোজ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে লাউঞ্জটি। এখানে আসন সংরক্ষণ করতে গেলে ন্যূনতম দু’ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। ওই টাকা দিয়ে লাউঞ্জে আসন সংরক্ষণ করলে বিনামূল্যে চা-কফি এবং পানীয় জল মিলবে। দু’ঘণ্টার বেশি সময় কাটাতে চাইলে, প্রতি ঘণ্টার জন্য ৫০ টাকা করে দিতে হবে। কেউ ৫০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি মূল্যের খাবার কিনলে, তার ক্ষেত্রে প্রথম দু’ঘণ্টার জন্য ধার্য ১০০ টাকা ভাড়া মকুব করে দেওয়া হবে। জায়গাটি স্টেশনের টিকেটিং জ়োনের বাইরে হওয়ায় ওই লাউঞ্জে আসন সংরক্ষণ করার জন্য ট্রেনের টিকিট বা প্ল্যাটফর্ম টিকিট থাকা বাধ্যতামূলক নয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. The Rainbows of Kolkata। Lulu.com। পৃষ্ঠা 51–। আইএসবিএন 978-1-4092-3848-5। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১২ 
  2. "Sealdah History"। irfca.org/। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Railway gazette international। Reed Business Pub.। ১৯৫৭। পৃষ্ঠা 182। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১২ 
  4. "বাতানুকূল লাউঞ্জ খুলল শিয়ালদহে"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৬ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা