ইরাকের মসজিদের তালিকা
উইকিমিডিয়া তালিকা নিবন্ধ
এটি ইরাকের মসজিদসমূহের একটি তালিকা। ইরাকে সাত হাজার সুন্নি মসজিদ এবং সাড়ে তিন হাজার শিয়া মসজিদ রয়েছে।[১] ইরাকের ওয়াকফ ও সুন্নাহ অফিস অনুসারে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ৯১২ টি জামে মসজিদ রয়েছে যেখানে জুমার নামাজ পড়ানো হয়ে থাকে এবং ১৪৯ টি ছোট মসজিদ রয়েছে যেখানে নিয়মিত নামাজ পড়ানো হয়ে থাকে।[২] ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী ইরাকের ফালুজাহ শহরে ৯৭০টি মসজিদ রয়েছে।[৩]
নাম | চিত্র | অবস্থান | বছর | শাখা | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|---|
১৭ই রমজান মসজিদ | বাগদাদ | ২০শ শতাব্দী | ? | মসজিদটির ইতিহাস বিশ্বজুড়ে পরিচিত। | |
আল-আরবাইন মসজিদ | তিকরিত | ৫ম শতাব্দী | সুন্নি | অমর ইবনে জুনাইদা আল-গাফারিকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং নতুন করে কাজ চলছে। | |
আল আব্বাস মসজিদ | কারবালা | ৭ম শতাব্দী | শিয়া | শিয়া ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর ভাই আব্বাস ইবনে আলীকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আব্দুল কাদির জিলানী মসজিদ | বাগদাদ | ১২শ শতাব্দী | সুন্নি | মূলত এটি একটি মাজার হিসেবে নির্মিত হয়েছে। এখানে কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল কাদের জিলানীকে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আবু দুলাফ মসজিদ | সামাররা | ৮৫৯ | সুন্নি | ||
আবু হানিফা মসজিদ | বাগদাদ | ১০ম শতাব্দী | সুন্নি | আবু হানিফাকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আল-আহমাদিয়া মসজিদ-মাদ্রাসা | বাগদাদ | ১৭৯৬ | সুন্নি | ||
আনাহ মিনার | আনাহ | ৯৯৬-১০৯৬ | ? | ২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট কর্তৃক এটি ধ্বংস করা হয়েছিল। | |
আল-আসকারী মাজার | সামাররা | ৯৪৪ | ইসনা আশারিয়া | ইসনা আশারিয়া, আলী আল-হাদী এবং তাঁর পুত্র হাসান আল-আসকারী, পাশাপাশি নার্জিস এবং হাকিমা খাতুনকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আল-আসিফিয়াহ মসজিদ | বাগদাদ | ১৬০৮ | ? | ||
আমেদি বড় মসজিদ | আমেদি | ১১৭৭ | ? | ||
ইজরার সমাধি | মায়সান প্রদেশ | ১৭৬৮ | ? | ||
বড় মসজিদ (আকরা) | আকরে | ৭ম শতাব্দী | সুন্নি | ||
সবুজ মসজিদ, মসুল | মসুল | ১১৩৩ | ? | ২০১৪-২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট কর্তৃক এটি ধ্বংস করা হয়েছিল। | |
আহমদ আল-রিফাইয়ের সমাধি | আল-রিফাই জেলা | ১৩২৫ সালের আগে | সুন্নি | রিফাই তরিকার প্রতিষ্ঠাতা আহমদ আল-রেফাইকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আল-হান্নানাহ মসজিদ | কুফা-নাজাফ মহানগর | ৯৯৭-১০৪১ | শিয়া | ||
হায়দার-খানা মসজিদ | বাগদাদ | ১৮১৯ | ? | ||
ইবনে বুনিয়াহ মসজিদ | বাগদাদ | ১৯৭৩ | ? | ||
ইমাম আলী মসজিদ | নাজাফ | ৯৭৭ | শিয়া | প্রথম শিয়া ইমাম আলি ইবনে আবি তালিবকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
ইমাম আলী মসজিদ (বসরা) | বসরা | ৬৩৫ | ? | ||
ইমাম আল-বাহের মসজিদ | মসুল | ১২শ-১৩শ শতাব্দী | ? | পূর্বে ইমাম আল-বাহেরের মাজার ছিলো যা ২০২২ সালে পুনর্নির্মাণের পরে আর বিদ্যমান নেই। | |
ইমাম হাসান আল-বসরীর মাজার | বসরা | ১১৮৫ | সুন্নি | হাসান বসরিকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
ইমাম হোসেনের মসজিদ | কারবালা | ৬৮০ | শিয়া | শিয়া ইমাম হোসাইন ইবনে আলী, তাঁর পুত্র আলী আকবর ইবনে হোসাইন এবং আলি আসগর ইবনে হুসাইন, কারবালার যুদ্ধে হোসেনের সেনাবাহিনীতে নিহতরা, হাবিব ইবনে মাজোয়াহির আল-আসাদি এবং ইব্রাহিম আল-মুজাব (মুসা আল-কাজিমের পুত্র) এদেরকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আল-ইমাম মুহসিন মসজিদ | মসুল | ১২শ শতাব্দী | ? | ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট কর্তৃক এটি ভেঙে ফেলা হয়। | |
জলিল খায়াত মসজিদ | আর্বিল | ১৯৯৭ | সুন্নি | ||
আল-কাজিমিয়া মসজিদ | বাগদাদ | ৯১৫ | ইসনা আশারিয়া | দু'জন ইসনা আশারিয়াদের কবর দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন: মুসা আল-কাজিম এবং মুহাম্মদ আল-তাকি। | |
কুমায়েল ইবনে জিয়াদের মাজার | নাজাফ | ১৯৫০ | শিয়া | ||
আল-খিলানি মসজিদ | বাগদাদ | ? | শিয়া | মূলত এটি মাজার হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। এখানে আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে উসমানকে কবর দেওয়া হয়েছে, তিনি ইসনা আশারিয়ার চারজন প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। | |
আল-খুলাফা মসজিদ | বাগদাদ | ৯০২-৯০৮ | সুন্নি[৪] | এটি বাগদাদের একটি প্রাচীনতম মসজিদ, যদিও বহুবার সংস্কার করা হয়েছিল। মসজিদের মিনারটি আব্বাসীয় যুগের। | |
মসজিদ আল-কুফা | কুফা | ৬৩৯ | শিয়া | মসজিদটিতে মুসলিম ইবনে আকিল, হানী ইবনে উরওয়া এবং মুখতার আল সাকাফিকে কবর দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি মসজিদের ভিতরে ঐতিহাসিক অনেক জিনিস ও জায়গা রয়েছে। | |
শেখ জাওয়াদ আল-সাদিক মসজিদ | তাল আফার | ? | শিয়া | ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট কর্তৃক এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। | |
ইমাম সাদ বিন আকিল মাজার | তাল আফার | ১১৪২ | শিয়া | ঊর্ধ্ব মেসোপটেমিয়ার একজন গভর্নরকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
আল-মাকাম মসজিদ | বসরা | ১৭৫৪ | ? | ||
মায়থাম আল-তাম্মারের মাজার | কুফা | ? | শিয়া | ||
মসুল বড় মসজিদ | মসুল | ? | সুন্নি | মসুল শহরের সবচেয়ে বড় মসজিদ। | |
মুধাফারিয়া মিনার | আর্বিল | ১১৯০-১২৩২ | ? | ||
মুরজান মসজিদ | বাগদাদ | ১৩৫৬ | ? | ||
আল-নুকাইলাহ মসজিদ | আল কিফল | ১৩০৯ | শিয়া | এখানে নবী ইজেকিয়েলের কবর রয়েছে। | |
সাইয়্যিদাহ জয়নাব মসজিদ | সিনজার | ১২৩৯ | শিয়া | আলী ইবনে হোসাইন জয়নুল আবিদীনের কন্যাকে উৎসর্গ করা একটি মাজার। | |
আল-নুরি বড় মসজিদ | মসুল | ১১৭২-১১৭৩ | সুন্নি | ২০১৭ সালে মসুলের যুদ্ধের সময় মিনারটি ধ্বংস হয়ে যায়। | |
নবী দানিয়েল মসজিদ | কিরকুক | ৫ম শতাব্দী | শিয়া | এটি কিরকুক দুর্গের ভিতরে অবস্থিত। এখানে দানিয়েল, হানানিয়া, মিশেল এবং আজরিয়াহ এর সমাধি রয়েছে। মিশেলের সমাধিটিতে বর্তমানে আর কোনো চিহ্ন নেই। | |
আল-নবী ইউনুস মসজিদ | মসুল | ১৩৬৫ | ? | ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট দ্বারা মসজিদটি ধ্বংস করে। | |
মসুলে ইসলামিক কাঠামোর তালিকা | মসুল | ১৭৯১ | ? | ||
আল-রহমান মসজিদ | বাগদাদ | ১৯৯৯ | ? | অসমাপ্ত, নির্মাণ কাজ বন্ধ | |
আল-সাহলাহ মসজিদ | কুফা | ৬৫৬-৬৬০ | শিয়া | ভবিষ্যতে এখানে মুহম্মদ আল-মাহদীর বসবাস করবে বলে বিশ্বাস করা হয়। | |
সালমান আল-ফার্সি মসজিদ | সালমান পাক | ১৯৫০ | শিয়া | পূর্বে এটি একটি সুন্নি মসজিদ ছিলো, ২১শ শতাব্দীর দিকে শিয়া মসজিদে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫০ সালে সালমান আল-ফারসির কবরের চারপাশে মসজিদটি নির্মিত হয়। | |
সাইয়্যেদ আলী আল-জাকির সমাধি | আল-কাহলা জেলা | ২০১৭ | শিয়া | ১০ম শতাব্দীর মুসলিম পণ্ডিত সাইয়্যেদ আলী আল-জাকির সমাধি রয়েছে। | |
সুলায়মানিয়াহ বড় মসজিদ | সুলায়মানিয়াহ | ১৭৮৪ | সুন্নি | সুলায়মানিয়াহ শহরের প্রথম মসজিদ। স্থানীয় মৌলবী হাজ্বী কাকা আহমদ এবং তাঁর নাতি মাহমুদ বারজানজিকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। এটিতে একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে যেখানে অভাবীদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হয়। | |
সৈয়দ সুলতান আলী মসজিদ | বাগদাদ | ১৫৯০ | সুন্নি | ||
সামাররা বড় মসজিদ | সামাররা | ৮৫১ | সুন্নি | ||
আল-সারী মসজিদ | বাগদাদ | ১২৯৩ | সুন্নি | ||
মাশহাদ রাদ্দ আল-শামস | হিল্লাহ | ১১৯০ | শিয়া | পূর্বে এটি ব্যাবিলনীয় মন্দির ছিলো, এখন এটি মাজার যেখানে রাদ আল-শামসের অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হয়। | |
শেখ রজব মসজিদ | রাওয়া | ১৬২৫ | ? | ||
আল-সুলায়মানিয়াহ মসজিদ | বাগদাদ | ২০১০[৫] | ? | ||
উমর সোহরাওয়ার্দীর মাজার | বাগদাদ | ১২শ শতাব্দী | সুন্নি | মূলত এটি মাজার ও মসজিদ হিসেবে নির্মিত। সোহরাওয়ার্দীয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা শিহাব উদ্দিন উমর সোহরাওয়ার্দীকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। | |
উম্মে আল-তাবুল মসজিদ | বাগদাদ | ১৯৬৮ | সুন্নি | ১৯৫৯ সালের মসুল বিদ্রোহে অংশ নেওয়া অফিসারদের স্মরণে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। | |
উম্মে আল-কুরা মসজিদ | বাগদাদ | ২০০১ | সুন্নি | ||
আল-ওয়াজির মসজিদ | বাগদাদ | ১৬৬০ | সুন্নি | ||
ইয়াহিয়া আবু আল-কাসিমের মাজার | মসুল | ৭৯৯ | সুন্নি | আবুল কাসিম ইয়াহিয়া ইবনুল হাসানকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট এটি ধ্বংস করে। | |
জাহরা বড় মসজিদ | কুট | ১৯৯৭ | ? | ||
জুমুররুদ খাতুন মসজিদ ও মাজার | বাগদাদ | ১২০২ | ? | মূলত এটি মসজিদ ও মাজার হিসেবে নির্মিত হয়েছে। মসজিদের মিনারটিকে বাগদাদের সবচেয়ে পুরনো মিনার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৬] |
সুন্নি |
শিয়া |
ইসনা আশারিয়া |
আরও দেখুন
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে ইরাকের মসজিদের তালিকা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাগদাদ - কুদস প্রেস সার্ভিস - নূর আল-দীন আল-ওয়াইদি"। আল আরব নিউজ। ১ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১১, ২০১৮।
- ↑ "মসজিদ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদের নির্দেশিকা"। পৃষ্ঠা ১০-৯৬।
- ↑ "ফাল্লুজা, কঠিন দিনের দুঃখ থেকে স্থগিত উত্থানের বর্তমান পর্যন্ত সারমাদ আল-কাসিম-সভ্য সংলাপ-ইস্যু: ৩০০৮-১৮/০৫/২০১০"।
- ↑ "খুলাফা মসজিদের মিনার কেন ধসের দ্বারপ্রান্তে?"। আল মনিটর। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৮।
- ↑ "বাগদাদে সুলায়মানিয়াহ মসজিদ উদ্বোধন"। ইরাকের মসজিদ। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৩, ২০১৮।
- ↑ "ইরাকের ঐতিহ্য "। জাওয়াদ আইমেন। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১৮।