মসজিদ আল-কুফা
ইরাকের মসজিদ
মসজিদ আল-কুফা (আরবি: مسجد الكوفة المعظم), বা মসজিদ আল-আজম ইরাকের কুফায় অবস্থিত বিশ্বের পুরাতন মসজিদগুলোর অন্যতম। ৭ম শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদতে হুসাইন ইবনে আলির চাচাতো ভাই মুসলিম ইবনে আকিল, বোন হানি ইবনে উরওয়া এবং সাহসী যোদ্ধা মুখতার আল-সাকাফি এর সমাধি রয়েছে।[১]
মসজিদ আল-কুফা | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | শিয়া ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | কুফা, ইরাক |
পৌরসভা | নাজাফ প্রদেশ |
স্থানাঙ্ক | ৩২°০১′৪৩″ উত্তর ৪৪°২৪′০৩″ পূর্ব / ৩২.০২৮৬১° উত্তর ৪৪.৪০০৮৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
সম্পূর্ণ হয় | ৬৭০ খ্রিস্টাব্দ |
গম্বুজসমূহ | 1 |
ওয়েবসাইট | |
আল কুফা মসজিদ |
আয়তন
সম্পাদনাবর্তমানে ভবনটির আয়তন প্রায় ১১,০০০ মিটার ২.[২]
মসজিদটিতে নয় কক্ষবিশিষ্ট। এটির চারটি মিনার এবং পাঁচটি গেইট রয়েছে।[২]
পুনসংস্কার
সম্পাদনাদাউদি বোহরার ৪২ তম দা’য়ি আল মুতলাক সৈয়্যেদেনা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মসজিদটির পুনসংস্কারের কাজ হাতে নেন, যা ২০১০ সালের শুরুরদিকেই সংস্কারের কাজ শেষ হয়। মসজিদটির অনেক বিশেষত্ব রয়েছে:
- মসজিদটি সোনা এবং রৌপ্য এবং বহুমূল্যবান পাথর যেমন হীরা, রুবী দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং মসজিদটির প্রতিটিই কোনায় যেকোন ব্যক্তি ইয়া আলি লেখা খোঁজে পাবে।
- কিবলা, যেটির উপর আলি ইবনে আবি তালিব শহীদ হয়েছিলেন তা সোনার জারি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। জারিটি সোন, রৌপ্য, রুবী এবং হীরার সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে।
- মসজিদটি অভ্যন্তরীণ অংশে কোরাআনের আয়াত দ্বারা পরিবেষ্টিত করা হয়েছে যাতে সোনার অক্ষরে আরবি চারুলিপি রয়েছে।
- কিবলার অংশে মাবেলে উপর অশ্রুর গড়নে খোদাই করা হয়েছে।
- পুরো মসজিদে ব্যবহৃত মাবেল এবং টাইলস গ্রিস থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই টাইলসগুলো মক্কার কাবাতুল্লাহতেও ব্যবহার করতে দেখা যায়।এই টাইলসগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে, টাইলসগুলো উজ্জল সূযরশ্মি এবং গ্রীষ্মের সময়েও ঠান্ডা থাকে।
- বিশেষ ধরনের গালিচা ইরান থেকে আমদানি করা হয় যা মসজিদের ভিতরে ব্যবহৃত হয়।
মসজিদটির গুরুত্ব
সম্পাদনামসজিদটি অনেক কারণেই পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে:
- এটি সে জায়গা যেখানে আলি মারাত্বকভাবে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন যখন তিনি সেজদারত অবস্থায় ছিলেন।
- হুসেইন ইবনে আলীর বড় চাচাতো ভাই মুসলিম ইবনে আকেল তার সাথী হানি ইবনে উরওয়া এবং সাহসী যুদ্ধা মুখতার আল সাকাফির পবিত্র মাজার শরীফ এখানে অবস্থিত।
- মসজিদটিতে কিছু নিদেশিকা রয়েছে যেগুলো নিদেশ করে কোথায় মওলা আলি সভা পরিচালনা, অলৌকিক কাজ করতেন এবং কোথায় জয়নুল আবেদিন এবং জাফর আল সাদিক সালাত আদায় করতেন।
- ইসলামিক ঐতিহ্য অনুযায়ী মসজিদটি সেই জায়গা যেখানে হযরত নূহ বাস করতেন এবং যেখানে দিনি তার কিস্তি (বড় নৌকা) বানিয়েছিলেন।[৩]
- শিয়া বিশ্বাস অনুসারে, এটি ছিল সে জায়গা যা নূহের আমলে সমগ্র পৃথিবী ডুবতে শুরু করেছিল এবং সাথে সাথে এই জায়গা থেকেই পানি পুনারায় আত্মীভূত হতে শুরু হয়েছিল। [৪]
- ইমাম জাফর আল সাদিক বলেছেন যে, মসজিদটির চারদিক থেকে ১২ কিলোমিটার পযন্ত এলাকা মসজিদটির পবিত্র দয়ার চাদরে থাকবে।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Hundreds of thousands' Friday assemblage in Masjid-e-Uzma Kufa"। Jafariyanews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ ক খ "General Facts and Numbers"। The Official Website of Secretariat of Al-Kufa Mosque and it Shrines। ২০১০-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০১।
- ↑ ক খ "The Establishment of the Mosque"। The Official Website of Secretariat of Al-Kufa Mosque and it Shrines। ২০১০-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০১।
- ↑ al-Qummi, Ja'far ibn Qūlawayh (২০০৮)। Kāmil al-Ziyārāt। trans. Sayyid Mohsen al-Husaini al-Mīlāni। Shiabooks.ca Press। পৃষ্ঠা 66–67।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে মসজিদ আল-কুফা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।