মুহম্মদ আল-মাহদী
মুহ়ম্মদ ʾইবনে হ়াসান আল-মাহদী (আরবি: مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن ٱلْمَهْدِي, প্রতিবর্ণীকৃত: Muḥammad ibn al-Ḥasan al-Mahdiy; জন্ম আনু. ২৯ জুলাই ৮৬৯), যিনি হুজ্জতুল্লাহ (حُجَّة ٱللَّٰه), আল-ইমাম আল-মাহদী (ٱلْإِمَام ٱلْمَهْدِي), ইমাম আজ়-জ়মান (إِمَام ٱلزَّمَان), হুজ্জত ʾইবনে আল-হ়াসান (حُجَّة ٱبْن ٱلْحَسَن), মুহ়ম্মদ ʾইবনে আল-হ়াসান (مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن) নামেও পরিচিত, হলেন দ্বাদশী শিয়া মুসলমানদের মতে তাদের সর্বশেষ ইমাম এবং প্রতীক্ষিত মাহদী, ইসলামি পরকালবিদ্যা অনুসারে যিনি ঈসা মসীহের সঙ্গে শেষ জমানায় আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীতে ন্যায়বিচার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। দ্বাদশি শিয়ারা বিশ্বাস করে যে মুহ়ম্মদ আল-মাহদী ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই (১৫ শাবান ২৫৫ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর পিতা হাসান আল-আসকারীর হত্যাকাণ্ডের পর মাত্র ৫ বছর বয়সে ইমামত গ্রহণ করেন। তাঁর ইমামতের শুরুর দিকে তিনি তাঁর চারজন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন বলে ধারণা করা হয়। এই সময়কাল গৌণ অন্তর্ধান (ٱلْغَيْبَة ٱلصُّغْرَىٰ) হিসেবে পরিচিত যা ৮৭৩ থেকে ৯৪১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।[১১][১২] ৯৪১ সালে তাঁর চতুর্থ প্রতিনিধি আবুল হাসান আলী ইবনে মুহম্মদ আল-সামাররীর মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে তিনি তাঁর অনুসারীদের একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। আল-সামাররী মারফত পাঠানো সেই চিঠিতে তিনি তাঁর মুখ্য অন্তর্ধানের (ٱلْغَيْبَة ٱلْكُبْرَىٰ) আরম্ভ ঘোষণা করেন যে সময়টিতে মাহদী তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযো গ করবেন না, তবে তিনি তাদের বিশেষ কিছু গুণাবলি সম্পন্ন ধার্মিক যাজকদের অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
মুহ়ম্মদ আল-মাহদী مُحَمَّد ٱلْمَهْدِيّ | |||||
---|---|---|---|---|---|
আল-ʾইমাম[১] আল-মাহদী আল-ক়াʾইম আল-গ়াʾইব আল-মুন্তজ়র দিলাওর ʾইমাম আল-ʿআসর স়াহিব আজ়-জ়মান স়াহিব আল-ʾআমর আল-হ়ুজ্জত ʾআল মুহ়ম্মদ[২] | |||||
১২শ ইমাম (শিয়া ইসলাম) | |||||
ইমামত | ৮৭৪ খ্রি. – বর্তমান | ||||
পূর্বসূরি | হাসান আল-আসকারী | ||||
জন্ম | মুহ়ম্মদ ʾইবনে হ়াসান আনু. ২৯ জুলাই ৮৬৯ (১৫ শাবান ২৫৫ হিজরি)[৩] সামাররা, আব্বাসীয় খিলাফত | ||||
ভাইবোন | |||||
| |||||
স্থানীয় নাম | مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن ٱلْمَهْدِيّ | ||||
বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | হাসান আল-আসকারী | ||||
মাতা | নার্জিস[৮][৯] | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
অন্তর্ধান | গৌণ অন্তর্ধান আনু. ৫ জানুয়ারি ৮৭৪ (৪ বছর) মুখ্য অন্তর্ধান আনু. ৯৪১ সামাররা, ইরাক | ||||
অবস্থা | ইসনা আশারিয়া বিশ্বাসমতে অন্তর্হিত থাকার ফলে অদৃশ্য | ||||
স্মৃতিস্তম্ভ | আস-সাহলা মসজিদ, ইরাক মকাম-এ-গয়বত, ইরাক জমকরান মসজিদ, ইরান | ||||
অন্যান্য নাম | হ়ুজ্জতুল্লাহ আল-মাহদী حُجَّة ٱللَّٰه ٱلْمَهْدِيّ | ||||
প্রতিনিধি | চার প্রতিনিধি
| ||||
পরিচিতির কারণ | দ্বাদশ ইমাম | ||||
আন্দোলন | দ্বাদশী শিয়া ইসলাম | ||||
প্রতিদ্বন্দ্বী | শয়তান, সুফিয়ানি, দজ্জাল, খ্রীষ্টারি | ||||
অধিকাংশ সুন্নি মুসলমানেরা তাঁকে মাহদী হিসেবে অস্বীকার করে এবং বিশ্বাস করে যে মাহদী এখনও জন্মগ্রহণ করেননি। তারা বিশ্বাস করে যে মাহদী নবী মুহাম্মদের একজন বংশধর হবেন, তবে তাঁর প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে কেবল আল্লাহই ওয়াকিবহাল আছেন। মাহদীর সুস্পষ্ট বংশপরম্পরা ছাড়া সুন্নিরা মাহদীর উত্থান, কর্মকাণ্ড ও সর্বজনীন খিলাফত সংক্রান্ত অসংখ্য হাদিস গ্রহণ করে থাকে যা শিয়াদের নিকটও গ্রহণযোগ্য।
সুন্নিদের মাহদী বিষয়ক বহু হাদীস কুতুব আল-সিত্তাহতে সংকলিত রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাজন্ম ও বংশপরিচয়
সম্পাদনাঅন্তর্ধান
সম্পাদনাগৌণ অন্তর্ধান
সম্পাদনামুখ্য অন্তর্ধান
সম্পাদনাপরিণতি
সম্পাদনাপুনরাবির্ভাব
সম্পাদনাপরিদর্শন
সম্পাদনাআল-আসকারীর মৃত্যু-পরবর্তী পরিস্থিতি
সম্পাদনাঐতিহাসিকতা
সম্পাদনাপাণ্ডিত্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ
সম্পাদনাঅ-দ্বাদশী দৃষ্টিভঙ্গি
সম্পাদনাসুন্নি ও সুফি
সম্পাদনাবাহাই
সম্পাদনাঐতিহাসিক সামাজিক প্রভাব
সম্পাদনাসমসাময়িক প্রভাব
সম্পাদনারাজনৈতিক বিতর্ক
সম্পাদনাজন্মদিন উদ্যাপন
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাআরোপ করা
সম্পাদনাশিয়া অনুসারে, মাহদীটি মুহাম্মদের আহল আল-বাইত ( নবীর পরিবার ) -এর অন্তর্ভুক্ত, তিনি আলী, ফাতিমাহ এবং আলী ইবনে হুসেন যয়ন আল- আবিদীনের বংশধর এবং আশারিয়া সম্প্রদায় তাকে আল-আসকারির পুত্র হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন এবং ফলস্বরূপ দ্বাদশতম বাইতের দ্বাদশ ইমামের ইমাম । এটি বিবেচনা করা হয় যে তাঁর জীবন এবং প্রলম্বন দীর্ঘায়িত হবে এবং তারপরে তিনি তার চেহারাটি সহ পৃথিবীকে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতায় পূর্ণ করবেন এবং ইসলামকে এটি শাসন করার অনুমতি দেবে। [১৩]
আব্দুলাজিজ সাচেদিনা তাকে "শিয়া বিজয়ী ইমাম" হিসাবে বর্ণনা করেছেন যে "মাহাদী ইমানের বিশুদ্ধতা ফিরিয়ে আনবে" এবং "সমস্ত মানবজাতির জন্য সত্য ও নিরবচ্ছিন্ন নির্দেশিকা নিয়ে আসে, পর্যাপ্ত ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা এবং অত্যাচার ও দুষ্টতা থেকে মুক্ত একটি বিশ্ব তৈরি করে।" [১৪]
টোয়েলভার শিয়া তার জীবনের বিবরণ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
শিয়া কাজগুলি বাদ দিয়ে প্রায় এই ইমামের জীবন সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। [১৫] শিয়ারা নিজেরাই রচিত মাহদীর জীবনীগুলিতে হ্যাজিগ্রাফিকাল এবং ঐতিহাসিক রচনাগুলির মধ্যে একটি লাইন আঁকানো শক্ত। শিয়া সূত্রে, এমনকি ইবনে বাবুয়ার ঐতিহাসিক রচনাগুলিতেও ইমামের জন্ম অলৌকিক ছিল যা হ্যাজিগ্রাফি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। [১৬] ইয়ান রিচার্ডের মতে, কেউ কেউ তার আসল অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহও পোষণ করেছেন।
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনাশিয়া মতে, আলীর বংশধর থেকে প্রত্যাশিত মশীহের ভয়ে আব্বাসীয়রা 'আলিডে বিদ্রোহ করায়, আল-আসকারি ২৫৫/৮৬৮ এ সন্তানের জন্ম গোপন রেখেছিল এবং কেবল তার উত্তরসূরির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিকটতম সঙ্গীদের অবহিত করেছিল। [১৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 137।
- ↑ A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 160।
- ↑ A Brief History of The Fourteen Infallibles। Qum: Ansariyan Publications। ২০০৪। পৃষ্ঠা 159।
- ↑ Ibn Abi l-Thalj (d.322 hijrah) Majmuat nafisa fi tarikh al-a'imma, pages 21-22
- ↑ Ali Al Arbali (d.693 h.) Siraj al-Ansab, page 222
- ↑ Shajara-e-nasab lineages of descendants of Imam Hasan al-Askari r.a.
- ↑ page 41 "النجف الأشرف) السيد محمد مهدي ابن السيد محمد اصفهاني الموسوي الكاظمي "دوائر المعارف في الأسماء الحسنى)
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Sach
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Annemarie Schimmel (1976). Pain and Grace: A Study of Two Mystical Writers of Eighteenth-Century Muslim India Brill, p. 32 [আইএসবিএন অনুপস্থিত]
- ↑ Badruddīn, Amir al-Hussein bin (১৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।
- ↑ "The great Shia scholar, Abu Ja'far Mohammad ibn Uthman al-Amri – Imam Reza (A.S.) Network"। www.imamreza.net। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ The Return of al-Mahdi. P11
- ↑ Sobhani 2001
- ↑ Sachedina, Abduzlaziz Abdulhussein (১৯৮১)। Islamic Messianism: The Idea of Mahdi in Twelver Shi'ism (ইংরেজি ভাষায়)। SUNY Press। পৃষ্ঠা 182। আইএসবিএন 9780873954426।
- ↑ Richard, Yaan (১৯৯৫)। Shi'ite Islam। Blackwell।
- ↑ (Sachedina 1981)
- ↑ Sachedina 1981