আল-আরবাইন মসজিদ
আল-আরবাইন মসজিদ ইরাকের তিকরিত শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এখানে আমর ইবনে জুনদাব আল-গাফারি এবং নাফিসাহ এর মাজার রয়েছে।[১]
আল-আরবাইন মসজিদ | |
---|---|
(আরবি: جامع الأربعين شهيداً) | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
পৃষ্ঠপোষক | আমর ইবনে জুনদাব আল-গাফারি |
অবস্থা | পুনর্গঠনের কাজ চলছে |
অবস্থান | |
অবস্থান | তিকরিত, ইরাক |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°৩৫′৫৬″ উত্তর ৪৩°৪০′৩৪″ পূর্ব / ৩৪.৫৯৮৮৯° উত্তর ৪৩.৬৭৬১১° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | ইসলামি স্থাপত্য |
ভাঙন | ২০১৪ |
বিনির্দেশ | |
মিনার | ০ |
মঠ | ২ |
ইতিহাস
সম্পাদনামসজিদটি হিজরি ৫ম শতাব্দী সময়ের।[১] মসজিদটির নাম, "আল-আরবাইন" অর্থাৎ (চল্লিশ)। জানা গেছে যে, তিকরিত ইসলামিক বিজয়ের সময় নিহত চল্লিশজন শহীদকে এ মসজিদের নীচে দাফন করা হয়েছিল,[২] তাই মসজিদটির নাম আল-আরবাইন মসজিদ নামে নামকরণ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে চল্লিশটি কবরের প্রতিবেদন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই দাবিটি বিতর্কিত হয়।[১]
মসজিদটি ১২৬২ খ্রিস্টাব্দে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৩]
নির্মাণ
সম্পাদনামসজিদটি ছিল বর্গাকার আকৃতির, পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। মসজিদের প্রতিটি পাশে ছিল প্রায় সাতচল্লিশ মিটার লম্বা।[১] এর মাত্রা ৩৬.৫ x ৩৫.৫ মিটার। ভবনটি নির্মাণের জন্য বেশিরভাগ নুড়ি (ছোট টুকরা পাথর) এবং প্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছিল[১] এবং দুটি সম্মানিত কক্ষ ছিল, যেটি দশ মিটার লম্বা ছিল।[১]
এই সম্মানিত কক্ষগুলির মধ্যে একটি ছিল মাজার, যেখানে খুলাফায়ে রাশেদীন খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের সহচর আমর ইবনে জুনদাব আল-গাফারির সমাধি ছিল।[২] মসজিদের ভবনটিতে নাফিসাহ এর বিশ্রামের জায়গা ছিল, যা স্থানীয়রা বিশ্বাস করে থাকেন।
ধ্বংস
সম্পাদনা২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট বিস্ফোরক দিয়ে মসজিদটি ধ্বংস করে দেয়।[৩] বিস্ফোরণে মাজারগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও মসজিদের বাকি অংশ গুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। শুধু আশপাশের কবরস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ আল-আহমাদী, মোস্তফা। "আবদুল্লাহ বিন আল-মু'তাম এবং আমর ইবনে জুনদুব আল-গাফারি হলেন সর্বাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। তিকরিতের চল্লিশ জন সাহাবীর মাজারের কাহিনী কি?"। www.aljazeera.net (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৭।
- ↑ ক খ "ছবিতে: একটি ইসলামিক মাস্টারপিস তিকরিতে উপেক্ষার শিকার একটি সহচর মাজার রয়েছে"। قناه السومرية العراقية (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৭।
- ↑ ক খ "মার্কিন হামলায় ইরাকে মন্দির ধ্বংস করেছে আইএসআইএস"। Al Arabiya English (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৯-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৭।