ভৌগোলিক নির্দেশক
এই নিবন্ধের উদাহরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ সম্ভবত বিষয়বস্তুটিকে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপস্থাপন করছে না। (ফেব্রুয়ারি ২০২৪) |
ভৌগোলিক নির্দেশক (GI = Geographical Indication) হচ্ছে কোনো সামগ্ৰীতে ব্যবহার করা বিশেষ নাম বা চিহ্ন। কোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা "ওয়াল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন" (WIPO) এর নিয়ম মেনে বিভিন্ন দেশ এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। ভৌগোলিক নির্দেশক নাম বা চিহ্ন নিৰ্দিষ্ট সামগ্ৰীর ভৌগোলিক উৎস (যেমন: একটি দেশ, অঞ্চল বা শহর) অনুসারে নিৰ্ধারণ করা হয়। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট গুণগত মানদণ্ড বা নিৰ্দিষ্ট প্ৰস্তুত প্ৰণালী অথবা বিশেষত্ব নিশ্চিত করে। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট অঞ্চলটিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা প্ৰদান করে।[১]
উদাহরণস্বরুপ, ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্ৰাপ্ত আসামের মুগা সূতা[১][২] চিহ্নই[৩] মুগা সূতায় নিৰ্মিত বস্ত্ৰ বা অন্যান্য সামগ্ৰীর গুণগত মানদণ্ড নিশ্চিতি প্ৰদান করে। আবার, ভৌগলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের জামদানী শাড়ি, যা এর গুনগত মান নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যসামগ্ৰী
সম্পাদনাকোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা "ওয়াল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন" (WIPO) এর নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। [৪]
বর্তমানে বাংলাদেশের নিবন্ধিত জি আই পণ্য ৫১টি এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জি আই পণ্য ৩৬টি | (০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪)
১৭ নভেম্বর, ২০১৬ সালে দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি।
১৭ আগস্ট ২০১৭ সালে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশকে বাংলাদেশী পণ্য হিসাবে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষণা করে। এর ফলে ইলিশ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে খিরসাপাত আমকে বাংলাদেশের ৩য় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (খাদ্যদ্রব্য) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকাই মসলিনকে বাংলাদেশের চতুর্থ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহী সিল্ককে ৫ম, রংপুরের ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারকবাহক রংপুরের শতরঞ্জিকে ৬ষ্ট, চিনিগুঁড়া চালকে ৭ম, দিনাজপুরের কাটারিভোগকে ৮ম এবং বিজয়পুরের সাদা মাটিকে ৯ম জিআই পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৫][৬]
২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বাগদা চিংড়িকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশের দশম জিআই পন্য।[৭]
ক্রম | আবেদন নং | আবেদনের তারিখ | ৬৫
ণ্যের নাম |
আবেদনকারী | ণ্যের শ্রেণী | রেজিস্ট
্র েশন নং |
---|---|---|---|---|---|---|
০১ | জিআই-০১ | ০১.০৯.২০১৫ | জামদানি শাড়ি | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) | ২৫ | ০১ |
০২ | জিআই-০১ | ১৩.১১.২০১৬ | বাংলাদেশ ইলিশ | মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ | ২৯, ৩১ | ০২ |
০৩ | জিআই-০৩ | ০২.০২.২০১৭ | চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম | বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট | ৩১ | ০৩ |
০৪ | জিআই-০৫ | ০৬.০২.২০১৭ | বিজয়পুরের সাদামাটি | জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেত্রকোনা | ০১ | ০৪ |
০৫ | জিআই-০৬ | ০৬.০২.২০১৭ | দিনাজপুর কাটারীভোগ | বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর | ৩০ | ০৫ |
০৬ | জিআই-০৭ | ০৭.০২.২০১৭ | বাংলাদেশ কালিজিরা | বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর | ৩০ | ০৬ |
০৭ | জিআই-৩৪ | ১১.০৭.২০১৯ | রংপুরের শতরঞ্জি | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) | ২৭ | ০৭ |
০৮ | জিআই-২৭ | ২৪.০৯.২০১৭ | রাজশাহী সিল্ক | বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী | ২৫ | ০৮ |
০৯ | জিআই-৩০ | ০২.০১.২০১৮ | ঢাকাই মসলিন | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, ঢাকা | ২৪, ২৫ | ০৯ |
১০ | জিআই-১৫ | ০৯০৩.২০১৭ | রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম | ১। ফল গবেষণা কেন্দ্র, বিনোদপুর, রাজশাহী,
২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। |
৩১ | ১০ |
১১ | জিআই-৩২ | ০৪.০৭.২০১৯ | বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি | মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ | ২৯, ৩১ | ১১ |
১২ | জিআই-৩৭ | ১৬০৩.২০২১ | বাংলাদেশের শীতল পাটি | বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) | ২৭ | ১২ |
১৩ | জিআই-২৯ | ০১.০১.২০১৮ | বগুড়ার দই | বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, বগুড়া জেলা শাখা। | ২৯ | ১৩ |
১৪ | জিআই-৩১ | ১১.০৪.২০১৮ | শেরপুরের তুলশীমালা ধান | জেলা প্রশাসক, শেরপুর | ৩০ | ১৪ |
১৫ | জিআই-১০ | ১৯.০২.২০১৭ | চাঁপাই নবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম | আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৩১ | ১৫ |
১৬ | জিআই-১১ | ১৯.০২.২০১৭ | চাঁপাই নবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম | আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ৩১ | ১৬ |
১৭ | জিআই-৪০ | ৩০.০৩.২০২৩ | নাটোরের কাঁচাগোল্লা | জেলা প্রশাসন, নাটোর | ২৯,৩০ | ১৭ |
১৮ | জিআই-২৮ | ০৯.০১.২০২৪ | বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল | প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর | ৩১ | ১৮ |
১৯ | জিআই-৪১ | ০৯.০১.২০২৪ | টাঙ্গাইলের চমচম | জেলা প্রশাসন,টাঙ্গাইল | ৩০ | ১৯ |
২০ | জিআই-৪২ | ০৯.০১.২০২৪ | কুমিল্লার রসমালাই | জেলা প্রশাসন,কুমিল্লা | ২৯,৩০ | ২০ |
২১ | জিআই-৪৩ | ১৭.০৪.২০২৩ | কুষ্টিয়ার তিলের খাজা | জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়া | ৩০ | ২১ |
২২ | জিআই-৪ | ১৫.০২.২০১৭ | রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম | আলহাজ্ব আব্দুস সালাম সরকার, হাড়িভাঙ্গা আম কৃষক স্কুল | ৩১ | ২২ |
২৩ | জিআই-১৯ | ১২.০৪.২০১৭ | মৌলভীবাজারের আগর | বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন | ৩১ | ২৩ |
২৪ | জিআই-৩৩ | ১১.০৭.২০১৯ | মৌলভীবাজারের আগর আতর | বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন | ৩ | ২৪ |
২৫ | জিআই-৪৪ | ০২.০৫.২০২৩ | মুক্তাগাছার মণ্ডা | উপজেলা প্রশাসন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ | ২৯, ৩০ | ২৫ |
২৬ | জিআই-৪৫ | ২৩.০৫.২০২৩ | যশোরের খেজুরের গুড় | উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চৌগাছা, যশোর | ৩০ | ২৬ |
২৭ | জিআই-৪৯ | ২৯.০৮.২০২৩ | নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা | জেলা প্রশাসন, নরসিংদি | ৩১ | ২৭ |
২৮ | জিআই-৫১ | ৩১.০৮.২০২৩ | রাজশাহীর মিষ্টি পান | জেলা প্রশাসন, রাজশাহী | ৩১ | ২৮ |
২৯ | জিআই-৪৭ | ২২.০৮.২০২৩ | গোপালগঞ্জের রসগোল্লা | জেলা প্রশাসন, গোপালগঞ্জ | ২৯, ৩০ | ২৯ |
৩০ | জিআই-৩৫ | ১৭.০৭.২০১৯ | জামালপুরের নকশিকাঁথা | জেলা প্রশাসন, জামালপুর | ২৪, ২৬ | ৩০ |
৩১ | জিআই-৫৭ | ০৬.০২.২০২৪ | টাঙ্গাইল শাড়ি | জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল | ২৪, ২৫ | ৩১ |
৩২ | জিআই-৫০ | ২৯.০৮.২০২৩ | নরসিংদীর লটকন | জেলা প্রশাসক, নরসিংদী | ৩১ | ৩২ |
৩৩ | জিআই-৫২ | ০৭.১১.২০২৩ | মধুপুরের আনারস | জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল | ৩১ | ৩৩ |
৩৪ | জিআই-৫৫ | ১৯.১২.২০২৩ | ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই | জেলা প্রশাসক, ভোলা | ২৯ | ৩৪ |
৩৫ | জিআই-৪৮ | ২৩.০৮.২০২৩ | মাগুরার হাজরাপুরী লিচু | জেলা প্রশাসক, মাগুরা | ৩১ | ৩৫ |
৩৬ | জিআই-৬৫ | ০৩.০৩.২০২৪ | সিরাজগঞ্জের গামছা | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২৪ | ৩৬ |
৩৭ | জিআই-৪৬ | ২১.০৬.২০২৩ | সিলেটের মনিপুরি শাড়ি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২৪,২৫ | ৩৭ |
৩৮ | জিআই-৬০ | ১৯.০২.২০২৪ | মিরপুরের কাতান শাড়ি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২৪,২৫ | ৩৮ |
৩৯ | জিআই-৩৮ | ০২.১১.২০২১ | ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২২ | ৩৯ |
৪০ | জিআই-৬১ | ১৯.০২.২০২৪ | কুমিল্লার খাদি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২৪,২৫ | ৪০ |
৪১ | জিআই-৭৫ | ০৮.০৪.২০২৪ | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি | জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ২৯,৩০ | ৪১ |
৪২ | জিআই-৬৭ | ১৪.০৩.২০২৪ | গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা | জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ | ১৪ | ৪২ |
৪৩ | জিআই-২৫ | ০৯.০৮.২০১৭ | সুন্দরবনের মধু | জেলা প্রশাসক, বাগেরহাট | ৩০ | ৪৩ |
৪৪ | জিআই-৫৬ | ১৫.০১.২০২৪ | শেরপুরের ছানার পায়েস | জেলা প্রশাসক, শেরপুর | ২৯,৩০ | ৪৪ |
৪৫ | জিআই-৬৬ | ০৬.০৩.২০২৪ | সিরাজগঞ্জের লুংগি | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২৪ | ৪৫ |
৪৬ | জিআই-৭১ | ২০.০৩.২০২৪ | গাজীপুরের কাঁঠাল | জেলা প্রশাসক, গাজীপুর | ৩১ | ৪৬ |
৪৭ | জিআই-৮৫ | ২১.০৫.২০২৪ | কিশোরগঞ্জের রাতা বোরো ধান | জেলা প্রশাসক, কিশোরগঞ্জ | ৩০ | ৪৭ |
৪৮ | জিআই-৮৬ | ২১.০৫.২০২৪ | অষ্টগ্রামের পনির | জেলা প্রশাসক, কিশোরগঞ্জ | ২৯,৩০ | ৪৮ |
৪৯ | জিআই-৬৩ | ২৫.০২.২০২৪ | বরিশালের আমড়া | জেলা প্রশাসক, বরিশাল | ৩১ | ৪৯ |
৫০ | জিআই-৮৭ | ২৩.০৫.২০২৪ | কুমারখালীর বেডশিট | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড | ২৪ | ৫০ |
৫১ | জিআই-৫৯ | ১২.০২.২০২৪ | দিনাজপুরের বেদানা লিচু | জেলা প্রশাসক, দিনাজপুর | ৩১ | ৫১ |
৫২ | মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর | |||||
৫৩ | টাঙ্গাইল মির্জাপুরের জুমর্কির সন্দেশ | |||||
৫৪ | নওগাঁর নাক ফজলি আম | |||||
৫৫ | ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ | |||||
৫৬ | ||||||
৫৭ | ||||||
৫৮ | ||||||
৫৯ |
ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যসামগ্ৰী
সম্পাদনাতালিকার বিবরণ
নিম্নবর্ণিত সমস্ত পণ্য ভারতবর্ষের "বাংলা" রাজ্যের সরকার অধিনস্ত ভৌগোলিক নির্দেশক | সমস্ত পণ্য ভারত সরকার অধিনস্ত "সর্বভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক" দ্বারা স্বীকৃত ও আন্তর্জাতিক বাজারে আইনত রক্ষিত |
২০০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র দেশের প্রথম জিআই হয়ে উঠে আসে দার্জিলিং চা, যা আজ সারা বিশ্বে "সেম্পেন অফ টি" নামে খ্যাত |
২০০৭ সালে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন থেকে উঠে আসে রাজ্যের দ্বিতীয় জিআই তথা শান্তিনিকেতনী চর্মজাত সামগ্রী |
এরপরের বছর ২০০৮ সালে আরেক জিআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লাভ করে, এটি ছিল বাংলার সু প্রাচীন নকশি কাঁথা |
২০০৯,২০১১,২০১২ এই তিনটি বছরে রাজ্য লাভ করে বাংলার তিন সুকুশলী শাড়ির জিআই, এগুলি ছিল- শান্তিপুরী শাড়ি , ধনেখালি শাড়ি , বালুচরী শাড়ি |
২০১৩ সালে রাজ্য তথা সরকার তার তিনটি আমের ওপর জিআই লাভ করে, এগুলি ছিল - লক্ষ্মণভোগ আম , ফজলি আম , হিমসাগর আম |
২০১৫ সালে বাংলার প্রথম মিষ্টান্ন হিসাবে "জয়নগরের মোয়া" উঠে আসে, জিআইপ্রাপ্ত এই মিষ্টান্ন ও তার কারিগরদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (কৃষ্ণনগর সভা, ২০১৬ সাল, বিধানসভা নির্বাচন )
২০১৭ সালে বাংলার ৫ টি পণ্যের জিআই আসে, এগুলি ছিল - তুলাইপাঞ্জি চাল , গোবিন্দভোগ চাল , সীতাভোগ , মিহিদানা ও বাংলার রসগোল্লা
এইবছরটি ইতিহাসে রসগোল্লার জন্য ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে, কারণ এই পণ্য উড়িষ্যা ও বাংলার মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে | উড়িষ্যার হার হয়, পরবর্তী কালে উড়িষ্যার সরকার নিজেদের "উড়িষ্যার রাসা গোলা" নামক এক অন্য মিষ্টান্নের জিআই লাভ করে | রসগোল্লা "বাংলার রসগোল্লা" নামে পরিচিতি লাভ করে |
২০১৮ সাল হয়ে ওঠে বাংলার কৃষ্টি - কলা - কারুকার্যের জন্য এক আদর্শ বছর,
এই বছরে বাংলার পটচিত্র , মাদুরকাঠি , ছৌ মুখোশ , বাংলার ডোকরা , কুশমন্ডির মুখোশ , মনসা চালি , বাঁকুড়ার ঘোড়া আন্তর্জাতিক জিআই লাভ করে |
কুশমন্ডির মুখোশ পরবর্তীতে লন্ডন অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রদর্শিত হয় |
বাঁকুড়ার টেরাকোটা আর্টের ঘোড়াকে সর্বভারতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী |
২০২৪ সালে রাজ্য আরও ৬ টি পণ্যের জিআই লাভ করে, এগুলি হলো - গরদ শাড়ি , সুন্দরবন মধু , টাঙ্গাইল শাড়ি, কোরিয়াল শাড়ি, বাংলার মসলিন কাপড় ও কালো নুনিয়া চাল |
সুপ্রাচীনকাল ধরে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বাংলার সনাতনী সংস্কৃতির মুখ লাল পাড়ের কোরিয়াল শাড়ি অবশেষে জিআই পরিচিতি লাভ করে |
সর্বশেষ জানুয়ারি, ২০২৪ সন অবধি বাংলা রাজ্যের কাছে ২৮ টি জিআই / ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি বর্তমান |
স্বীকৃত সকল পণ্যের তালিকা -
- ১. দার্জিলিং চা- ২০০৩ সালে দার্জিলিং চা ভারতের ভারতীয় পেটেন্ট অফিসের মাধ্যমে ভারতের প্রথম পণ্য হিসাবে ২০০৪ -২০০৫ সালে জিআই ট্যাগ লাভ করে।[৮]
- ২. শান্তিনিকেতনী চর্মজাত সামগ্রী - ২০০৭
- ৩. নকশি কাঁথা- ২০০৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নকশি কাঁথার ভৌগোলিক স্বীকৃতি পায়।[৯]
- ৪. শান্তিপুরী শাড়ি - ২০০৯
- ৫. ধনেখালি শাড়ি - ২০১১
- ৬. বালুচরী শাড়ি - ২০১২
- ৭. লক্ষ্মণভোগ আম - ২০১৩
- ৮. ফজলি আম - ২০১৩
- ৯. হিমসাগর আম - ২০১৩
- ১০. জয়নগরের মোয়া - ২০১৫
- ১১. তুলাইপাঞ্জি চাল - ২০১৭
- ১২. গোবিন্দভোগ চাল - ২০১৭
- ১৩. সীতাভোগ -২০১৭
- ১৪. মিহিদানা - ২০১৭
- ১৫. রসগোল্লা - ২০১৭
- ১৬. পটচিত্র - ২০১৮
- ১৭. মাদুরকাঠি - ২০১৮
- ১৮. ছৌ মুখোশ -২০১৮
- ১৯. ডোকরা - ২০১৮
- ২০. কুশমন্ডির মুখোশ - ২০১৮
- ২১. মনসা চালি - ২০১৮
- ২২. বাঁকুড়ার ঘোড়া - ২০১৮
- ২৩. গরদ শাড়ি -২০২৪
- ২৪. সুন্দরবন মধু -২০২৪
- ২৫. কোরিয়াল শাড়ি -২০২৪
- ২৬. কালো নুনিয়া চাল -২০২৪
- ২৭. বাংলার মসলিন -২০২৪
- ২৮. টাঙ্গাইল শাড়ি (পশ্চিমবঙ্গ) -২০২৪
আসাম
সম্পাদনাএছাড়াও জহা চাউল, সৰ্থেবারীর কাঁহ-পিতলর শিল্প, কাৰ্বি বস্ত্ৰশিল্প এবং গোয়ালপারার শীতল পাটীর জন্যে ভৌগোলিক স্বীকৃতি বিভাগে কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।[১০] -->
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "G.I. – APPLICATION NUMBER 384" (পিডিএফ)। GEOGRAPHICAL INDICATIONS JOURNAL GOVERNMENT OF INDIA। 52: 28–38। ২০১৩। ২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Samudra Gupta Kashyap (২৪ আগস্ট ২০০৭)। "Assam's muga silk gets GI registration"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Finally, muga gets GI logo"। The Telegraph। ২৮ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ "মঞ্জুরকৃত জিআই পণ্য"। পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। আগস্ট ২০, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৭, ২০২৩।
- ↑ আজাদ, আবুল কালাম মুহম্মদ। "ঢাকাই মসলিনের পুনর্জন্ম"। দৈনিক প্রথম আলো।
- ↑ "জিআই সনদ পেলো আরও ছয় পণ্য, ইত্তেফাক, ১৮ জুন ২০২১"। ১৮ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২১।
- ↑ জিআই সনদ পেল বাগদা চিংড়ি, যুগান্তর, ১৮ মে ২০২২
- ↑ "GI tag: TN trails Karnataka with 18 products"। The Times of India। আগস্ট ২৯, ২০১০। নভেম্বর ৩, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৩০, ২০১৮।
- ↑ http://www.ttg-sric.iitkgp.ernet.in/GIDrive/images/gi/registered_GI_13June2016.pdf
- ↑ "Break up & Status of GI Application Pending before the GI Registry as on March 31, 2015" (পিডিএফ)। Intellectual Property India (Govt. of India)। ২৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৫।