সীতাভোগ
সীতাভোগ বাংলার এক সুপ্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন। এটা অনেকটা বাসমতী চালের ভাতের মত দেখতে হয়। বর্ধমানের সীতাভোগ অতি বিখ্যাত।[১]
সীতাভোগ | |
---|---|
ভৌগোলিক নির্দেশক | |
ধরন | পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টান্ন |
অঞ্চল | বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ |
দেশ | ভারত |
প্রস্তুতকারী | ভৈরবচন্দ্র নাগ |
উদ্ভাবনকাল | ১৯০৪ |
নথিবদ্ধ | ২৯ এপ্রিল, ২০১৭ |
উপাদান | চাল, ছানা, দুধ, চিনি |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | http://ipindiaservices.gov.in |
উৎপত্তি
সম্পাদনা১৯০৪ সালে বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন বর্ধমানের জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাবকে মহারাজা খেতাব দিতে বর্ধমান ভ্রমণ করেন।[২] কার্জনের বর্ধমান আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়চাঁদ মহতাব বর্ধমানের জনৈক মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগকে একটি বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করতে বলেন।[৩] ভৈরবচন্দ্র নাগ সীতাভোগ ও বর্ধমানের অপর বিখ্যাত মিষ্টান্ন মিহিদানা তৈরী করেন। কথিত আছে যে কার্জন সীতাভোগ খেয়ে এতটাই প্রীত হয়েছিলেন যে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি সীতাভোগ পরিবেশন করা বাধ্যতামূলক করেন।[৩]
প্রণালী
সম্পাদনাসীতাভোগের প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। কথিত আছে যে সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়।[৩] উক্ত সীতাসের বর্ধমান জেলার এক বিশেষ অঞ্চলেই উৎপাদিত হয়। এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখা হয়।[৩] তারপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে উক্ত মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতে লম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সাথে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনো কখনো কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
জনপ্রিয়তা
সম্পাদনাবিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা নবদ্বীপ হালদারের কৌতুকগীতি শরীরটা আজ বেজায় খারাপ-এ তিনি গেয়েছেন
“ | বাগবাজারের রসগোল্লা, ভীম নাগের সন্দেশ বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানা দরবেশ |
” |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলার খাদ্য[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ সরকার, ইন্দ্রনীল (২৮ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Sweets of Burdwan set for global plate"। দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরাজি ভাষায়)। কলকাতা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ মজুমদার, জয়দীপ (১৫ জানুয়ারি ২০০৭)। "Sita's Sweet Tooth"। আউটলুক (ইংরাজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ দাস, অশোক। "ফ্যাণ্ডা ফ্যাচাং তরকারি"। গণশক্তি। কলকাতা। ১৭ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৪।