বংশী চন্দ্রগুপ্ত (৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ – ২৭ জুন ১৯৮১) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় শিল্প নির্দেশক এবং প্রোডাকশন ডিজাইনার। সে সময়ে তিনি ভারতীয় সিনেমার সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক ছিলেন। তিনি ফিল্মফেয়ারের শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশকের পুরস্কার পান তিন বার -  ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত "সীমা" -র জন্য ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে,  মুক্তিপ্রাপ্ত "দো ঝুট"-র জন্য ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে, এবং  ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত "চক্র" -এর জন্য ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে। এছাড়া ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে  তিনি মরণোত্তর  ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড ব্রিটিশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান শ্রেষ্ঠ কারিগরি ও শৈল্পিক দক্ষতা অর্জনের জন্য।

বংশী চন্দ্রগুপ্ত
জন্ম(১৯২৪-০২-০৬)৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪
মৃত্যু২৭ জুন ১৯৮১(1981-06-27) (বয়স ৫৭)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাশিল্প নির্দেশক, প্রোডাকশন ডিজাইনার

তিনি জন্ম গ্ৰহণ করেন ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতে পাঞ্জাবের অন্তর্গত বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত  শিয়ালকোটে। পরিবারের সাথে ছোটবেলায় চলে আসেন কাশ্মীরে। কিন্তু ছবি আঁকার স্বপ্ন নিয়ে সুভো ঠাকুরের পরামর্শে চলে আসেন কলকাতায়। চন্দ্রগুপ্ত শিল্প নির্দেশক/প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসাবে সবচেয়ে পরিচিতি পান সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে। এছাড়াও তিনি  কাজ করেন বিখ্যাত ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক জঁ রনোয়ারমৃণাল সেন, শ্যাম বেনেগাল,বাসু চ্যাটার্জী, জেমস আইভরি এবং অপর্ণা সেনের সঙ্গে।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

বংশী চন্দ্রগুপ্তের জন্ম  ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত  ব্রিটিশ ভারতে পাঞ্জাবের অন্তর্গত বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত  শিয়ালকোটে। পরিবারের সাথে ছোটবেলায় চলে আসেন কাশ্মীরে। কিন্তু ছবি আঁকার স্বপ্ন নিয়ে সুভো ঠাকুরের পরামর্শে চলে আসেন কলকাতায়। বহু বছর কলকাতায় কাজের দৌলতে  কিন্তু তাঁর শিল্পীসত্তা সার্থকতা পায় -  ক্যানভাসের বদলে সিনেমার সেটে। [][]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে বংশী চন্দ্রগুপ্ত প্রথম ফরাসি পরিচালক  জঁ রনোয়ারের ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত বাণিজ্যিক ছবি "দ্য রিভার"-এ কাজের সুযোগ পান। এখানে তিনি প্রোডাকশন ডিজাইনার  ইউজিন লরির অধীনে কাজ করে ফিল্ম ডিজাইনের কাজ শিখে নেন [] এখানে শুটিংয়ের সময় সত্যজিৎ রায়  তাঁর কর্মকুশলতা লক্ষ্য করেন এবং  তাঁকে তাদের গোষ্ঠীতে যোগ দিতে বলেন। সে গোষ্ঠীতে সেসময় সত্যজিৎ রায় ছাড়াও ছিলেন আর পি গুপ্ত,  চিদানন্দ দাশগুপ্ত, হরিসাধন দাশগুপ্ত সহ আরো অনেকে। তাঁরা কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি গঠন করেন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।

এরপর সত্যজিৎ রায়  বংশী চন্দ্রগুপ্ত কে পথের পাঁচালীর সেট ডিজাইনারের দায়িত্ব দেন এবং তিনি ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত ছায়াছবি শতরঞ্জ কে খিলাড়ী পর্যন্ত  সকল চলচ্চিত্রেই সে দায়িত্ব সুচারু ভাবে পালন করেন। সত্যজিৎ রায়ের  উল্লেখযোগ্য সে  কাজগুলি  হল- পথের পাঁচালী, জলসাঘর এবং চারুলতা

সত্যজিৎ রাতের চলচ্চিত্র ছাড়াও, বংশী চন্দ্রগুপ্তের উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত অপর্ণা সেনের ৩৬ চৌরঙ্গি লেনমোজাফফার আলী পরিচালিত হিন্দি উমরাও জান এবং রবীন্দ্র ধর্মরাজের  “চক্র” ছায়াছবিতে। [] ৩৬ চৌরঙ্গি লেন চলচ্চিত্রটা তাঁকে উৎসর্গ করা হয়।

চলচ্চিত্রের তালিকা

সম্পাদনা

প্রোডাকশন ডিজাইনার

সম্পাদনা

শিল্প পরিচালক

সম্পাদনা

সেটের অন্দরসাজ

সম্পাদনা

বিবিধ কলাকুশলী

সম্পাদনা

জর্জি এবং বনির ছবি নিয়ে হুল্লাবালু (১৯৭৮)

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Google books preview%5d, from 'Encyclopaedia of Hindi Cinema', by Gulzar, Govind Nihalani, Saibal Chatterjee, Encyclopaedia of Hindi Cinema |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। পৃষ্ঠা 539। আইএসবিএন 81-7991-066-0  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "encyclo" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. "সত্যজিতের পঞ্চরথী – যাঁদের ছাড়া 'অসম্পূর্ণ' থেকে যেত কালজয়ী সিনেমাগুলি"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৪ 

 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা