প্রবেশদ্বার:দেওবন্দি
দেওবন্দি প্রবেশদ্বারে স্বাগতম
|
দেওবন্দি
দেওবন্দি হল সুন্নি ইসলাম কেন্দ্রিক একটি পুনর্জাগরণবাদী আন্দোলন। এর কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এর বিস্তার ঘটেছে। নামটি ভারতের দেওবন্দ নামক স্থান থেকে এসেছে। এখানে দারুল উলুম দেওবন্দ নামক মাদ্রাসা অবস্থিত। এই আন্দোলন পণ্ডিত শাহ ওয়ালিউল্লাহ (১৭০৩-১৭৬২) দ্বারা অনুপ্রাণিত। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সিপাহী বিদ্রোহের এক দশক পর ১৮৬৬ সালের ৩০ মে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই আন্দোলনের সূচনা হয়।
নির্বাচিত নিবন্ধ
দারুল উলুম দেওবন্দ (আরবি: دارالعلوم دیوبند) হলো ভারতের একটি মাদ্রাসা। এখান থেকে দেওবন্দি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে এই মাদ্রাসার অবস্থান। ১৮৬৬ সালে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলামি আলেমগণ এটির প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি তাদের প্রধান ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা রশীদ আহমেদ গাঙ্গুহী ও সৈয়দ আবিদ হুসাইন। ইসলামি শিক্ষার প্রসারে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি ভারতের মুসলিম সমাজের নানা অসংগতি, কুপ্রথা ও স্থানীয় আচরণকে সংস্কার করে শরিয়তের নৈতিকতা ও আদবকে প্রতিস্থাপন করতে পেরেছিল এবং মুসলিম সমাজের ইসলামায়ন প্রক্রিয়াকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। ঔপনিবেশিক ও অমুসলিম অধ্যুষিত ভারতে মুসলমানদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার পথ দেখিয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত জীবনী
হুসাইন আহমদ মাদানি (উর্দু: حسین احمد مدنی; ৬ অক্টোবর ১৮৭৯ — ৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ; ১৯ শাওয়াল ১২৯৬ — ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৩৭৭ হিজরি) ছিলেন উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর ভারতের অন্যতম জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, সুফি, লেখক ও ইসলামি পণ্ডিত। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, খিলাফত আন্দোলন এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ১৯২০ সালে কংগ্রেস-খিলাফত জোট তৈরিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারতীয় উলামা ও কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের পথটি তিনি তৈরী করে দিয়েছিলেন ১৯২০ – ১৯৩০ সাল জুড়ে তার বক্তৃতা ও পুস্তক প্রকাশের মাধ্যমে। তিনি ভারত ভাগ, দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপক্ষে ছিলেন এবং সংযুক্ত ভারতের অভ্যন্তরে সম্মিলিত জাতীয়তাবাদের পক্ষে ছিলেন। রাষ্ট্র গঠনের জন্য আঞ্চলিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কে পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি এবং দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিস ছিলেন। তার সময়কালে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। তিনি দেওবন্দ আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সমাদৃত। ইসলামি শাস্ত্রে তার পাণ্ডিত্য ও অবদানের জন্য তাকে শায়খুল ইসলাম উপাধি দ্বারা সম্বোধন করা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৫৪ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করে। ভারতের এই তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননায় যাদেরকে প্রথম ভূষিত করা হয়েছিল তিনি তাদের অন্যতম। ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় ডাক বিভাগ তার সম্মানে একটি স্মারক ডাকটিকিট বের করেছে।
তিনি ১৮৭৯ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর ১৮৯২ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। মাহমুদ হাসান দেওবন্দির তত্ত্বাবধানে তিনি ইসলামি শিক্ষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। দেওবন্দে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করে ১৮৯৯ সালে তিনি মদিনা চলে যান এবং মসজিদে নববীতে অবৈতনিক শিক্ষকতা শুরু করেন। মসজিদে নববীতে তিনি ১৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন যার কারণে তাকে ‘শায়খুল হারাম’ বলা হয়। ১৯১৫ সালে মাহমুদ হাসান দেওবন্দি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মদিনায় আগমন করলে তিনিও তার সাথে যোগ দেন। ১৯১৬ সালে মক্কার শরিফ হুসাইন বিন আলির বিদ্রোহের কারণে হেজাজের নিয়ন্ত্রণ ব্রিটিশদের হাতে চলে গেলে দেওবন্দি গ্রেফতার হয়ে মাল্টায় নির্বাসিত হন। দেওবন্দির বার্ধক্যের কথা চিন্তা করে মাদানি তার সাথে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করেন। প্রথমবারের বন্দি জীবনে তিনি দেওবন্দির সান্নিধ্যে থেকে তার চিন্তাধারা ও রাজনীতি গভীরভাবে আত্মস্থ করেন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় উন্নতি করেন। ১৯২০ সালে মুক্তি লাভের পর তিনি দেওবন্দির সাথে ভারতে চলে আসেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ও খিলাফত আন্দোলনে যোগ দেন। এর ছয় মাস পর দেওবন্দি মৃত্যুবরণ করলে তিনি দেওবন্দির উত্তরসূরির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, এ কারণে তাকে ‘জানাশীনে শায়খুল হিন্দ’ বলা হয়। ১৯২০ সালে কলকাতায় আবুল কালাম আজাদ নতুন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করলে দেওবন্দির নির্দেশে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং এখান থেকেই তার পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ১৯২১ সালের জুলাই মাসে করাচিতে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় খেলাফত সম্মেলনে তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করা হারাম ঘোষণা করেন। ফতোয়াটি একইসাথে মুদ্রিত হয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলে তিনি দ্বিতীয়বারের মত গ্রেফতার হন এবং দুই বছর পর ১৯২৩ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি সিলেটে চলে এসে শিক্ষাদীক্ষায় নিয়োজিত হন। তিন বছর পর ১৯২৭ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান এবং সদরুল মুদাররিসের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে পূর্ণ স্বরাজের দাবি উত্থাপিত হলে তিনি এতে সমর্থন করেন। দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৩২ সালে পুনরায় আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হলে কংগ্রেস ও জমিয়ত বেআইনি ঘোষিত হয়। তাই জমিয়ত কার্যনির্বাহী পরিষদ বাতিল করে একটি ‘অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করে যেখানে তিনি তৃতীয় সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন। একারণে ১৯৩২ সালে তিনি তৃতীয়বারের মত গ্রেফতার হন। ১৯৩৬ সালের নির্বাচন উপলক্ষে তার সাথে মুসলিম লীগের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার সাথে বৈঠকের পর মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জমিয়তের ২০ জন সহ মোট ৫৮ জন নিয়ে মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে মুসলিম লীগ ভালো ফলাফল করলেও সারাদেশে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে উভয় দলের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে চলে যায়। মুসলিম লীগও জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তান আন্দোলনের দিকে ধাবিত হতে থাকে। এ কারণে তার সাথে মুসলিম লীগের দূরত্ব সৃষ্টি হলে তিনি পার্লামেন্টারি বোর্ড থেকে ইস্তফা দেন এবং অখণ্ড ভারতের পক্ষে জোরালো সমর্থন জ্ঞাপন করেন। তিনি ভারত বিভাজনকে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র মনে করতেন। এরূপ পরিস্থিতিতে মুসলিম লীগ সমর্থিত পত্রিকাগুলোর বিরূপ প্রচারণার কারণে তাকে কাফের ফতোয়াও দেওয়া হয়। এসময় আল্লামা ইকবাল তাকে বিদ্রূপ করে কবিতা প্রকাশ করলে একটি বিতর্কের সূত্রপাত হয়, ইতিহাসে যা মাদানি–ইকবাল বিতর্ক নামে পরিচিত। নানামুখী সমালোচনার জবাবে ১৯৩৮ সালে তিনি তার ঐতিহাসিক গ্রন্থ সম্মিলিত জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম প্রকাশ করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের তৃতীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ব্রিটিশদের সাহায্য করা হারাম ঘোষণা করে তিনি চতুর্থবারের মত গ্রেফতার হন এবং ২ বছর ২ মাস পর ১৯৪৪ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৫ সালের নির্বাচনে মুসলিম জাতীয়তাবাদী দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে তাকে সভাপতি করে ‘মুসলিম পার্লামেন্টারি বোর্ড’ গঠন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচন-উত্তর ব্রিটিশ মন্ত্রী মিশনের সাথে স্বাধীনতার রূপরেখা ও পদ্ধতি আলােচনায় জমিয়তের পক্ষ থেকে ‘মাদানি ফর্মুলা’ পেশ করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনের পর তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির কাছ থেকে চার তরিকার খেলাফত পেয়েছিলেন। তার লক্ষাধিক মুরিদ ছিল, তন্মধ্যে ১৬৭ জনকে তিনি নিজের খলিফা বা উত্তরসূরি মনোনীত করেছিলেন। তিনি নকশে হায়াত, হামারা হিন্দুস্তান আওর উসকে ফাজায়েল, আশ শিহাবুস সাকিব সহ বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মাজারে কাসেমিতে দাফন করা হয়। ২০১৯ সালে সিলেটে তার স্মৃতি বিজড়িত স্থানে মাদানি চত্বর নির্মিত হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান
আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম সংক্ষেপে হাটহাজারী মাদ্রাসা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন কওমি মাদ্রাসা। আব্দুল ওয়াহেদ বাঙ্গালী, হাবিবুল্লাহ কুরাইশি, সুফি আজিজুর রহমান ও আব্দুল হামিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং আশরাফ আলী থানভীর অনুমতিতে ১৯০১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশে দারুল উলুম দেওবন্দের আদলে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মাদ্রাসা, যা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শ ও চিন্তাধারা মোতাবেক পরিচালিত হয়। তাই এটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় দারুল উলুম দেওবন্দ নামেও খ্যাত। এটি বাংলাদেশের প্রথম দাওরায়ে হাদিস মাদ্রাসা এবং এখনও বাংলাদেশে হাদিস শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। এই মাদ্রাসার অনুকরণে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ মাদ্রাসাকে উম্মুল মাদারিস বা মাদ্রাসার জননীরূপে আখ্যায়িত করা হয়। এটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধিভুক্ত। মাসিক মুঈনুল ইসলাম এই মাদ্রাসার মুখপত্র।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘসময় আশরাফ আলী থানভী ও জমিরুদ্দিন আহমদ মাদ্রাসাটির পৃষ্ঠপোষকতা করেন। হাবিবুল্লাহ কুরাইশি এই মাদ্রাসার প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন। মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন খলিল আহমদ কাসেমী। ১৯০৮ সালে এই মাদ্রাসার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপির মাধ্যমে এ মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস চালু করা হয়। মাদ্রাসার বর্তমান শায়খুল হাদিস হিসেবে আছেন শেখ আহমদ। ১৯৪৫ সালে মুফতি ফয়জুল্লাহর মাধ্যমে এই মাদ্রাসায় ফতোয়া বিভাগ চালু হয়। ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টার ফলে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়, যা মাদ্রাসার দ্বিতীয় মহাপরিচালক শাহ আবদুল ওয়াহহাবের প্রচেষ্টার ফলে পুনরায় চালু হয়। তাই শাহ আবদুল ওয়াহহাবকে এই মাদ্রাসার দ্বিতীয় স্থপতি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। ১৯৯৫ সালে মাদ্রাসাটিতে শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। ২০১০ সালে এই মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গঠিত হয়। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ মজলিসে শুরার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত সংগঠন
জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ (অনু. ভারতীয় আলেমদের পরিষদ) ভারতের দেওবন্দি আলেমদের অন্যতম প্রধান সংগঠন। একইসাথে এটি ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরনো সংগঠন। আব্দুল বারি ফিরিঙ্গি মহল্লী, কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি, আহমদ সাইদ দেহলভিসহ প্রমুখ আলেম ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
এটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। সংগঠনটি ভারত বিভাজনের বিরোধিতাসহ মুসলিম এবং অমুসলিমদের একই জাতি স্বীকৃত দিয়ে সম্মিলিত জাতীয়তাবাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলস্বরূপ ১৯৪৫ সালে এই সংগঠন থেকে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম নামে একটি ছোট উপদল বের হয়ে পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত ঘটনা
দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, যা ১৮৬৬ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ সালের ২১, ২২ ও ২৩ মার্চ এই মাদ্রাসার শতবার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের বাদশাহর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুহসিন আত তুর্কির সভাপতিত্ব, মিশরের কারী আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদের কুরআন তেলওয়াত, মাদ্রাসার মুহতামিম কারী মুহাম্মদ তৈয়বের উদ্ভোদনী ভাষণ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তৃতার মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং কারী মুহাম্মদ তৈয়বের মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। আকাশবাণীতে এটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ১০ লক্ষ বর্গমিটারের বিস্তীর্ণ জায়গা প্রস্তুত করা হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ থেকে ২০ লাখ। এর মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ১৮,০০০। বিখ্যাত আরবি সাহিত্যিক আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর তার আত্মজীবনী কারওয়ানে যিন্দেগীতে এই সমাবেশকে আরাফাত ময়দানের সাথে তুলনা করেছেন। এই সমাবেশে মাদ্রাসার দশ সহস্রাধিক শিক্ষা সমাপনকারীর দাস্তারবন্দীও করা হয়। সম্মেলনে মিন্নাতুল্লাহ রহমানির প্রচেষ্টায় আফগানিস্তানে রাশিয়ার আক্রমণের বিপক্ষে এবং আফগান মুজাহিদদের জন্য সহযোগিতামূলক সহ কয়েকটি কর্মসূচীও গৃহীত হয়। মূল সম্মেলনের পাশাপাশি দারুল হাদিসে মাদ্রাসা, এর দায়িত্ব ও সিলেবাস নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা মজলিসেরও ব্যবস্থা করা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত বই
আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ (আরবি: المهند على المفند ; আকায়েদে উলামায়ে আহলে সুন্নাত দেওবন্দ নামেও পরিচিত) দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত খলিল আহমদ সাহারানপুরি রচিত আকীদা বিষয়ক একটি বই। ১৯০৭ সালে আরবি ভাষায় এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এটি গতানুগতিক ধারায় লিখিত কোনো বই নয়। দেওবন্দিদের দাবি অনুসারে, ভারতবর্ষ থেকে এক লোক হিজাজ গিয়ে দেওবন্দি আলেমদের আকীদা নিয়ে মিথ্যাচার করে এবং সেখানকার আলেমদের থেকে শর্তসাপেক্ষে কাফের ফতোয়া নিয়ে আসে। পরবর্তীতে হুসাইন আহমদ মাদানি এ ঘটনা অবগত হলে তিনি হিজাজের আলেমদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। হিজাজের আলেমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে দেওবন্দিদের মূল আকীদা জানতে চেয়ে তাদের নিকট ২৬টি প্রশ্ন লিখে পাঠান। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সমূহ নিয়েই এই বই। এই বইটি মক্কা-মদিনার আলেমরা সত্যায়িত করেছেন। এটি সংক্ষিপ্ত হলেও এখানে দেওবন্দি আকীদার মৌলিক বিষয়গুলো খুবই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বস্তরের দেওবন্দি আলেমদের সত্যায়ন থাকায় পুস্তকটি দেওবন্দি আকীদা বর্ণনার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক সনদ অর্জন করেছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত চিত্র
দারুল উলুম দেওবন্দ, এটি ১৮৬৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। |
- ... সামরাতুত তারবিয়াত দেওবন্দ আন্দোলনের প্রথম রাজনৈতিক দল?
- ...মাহমুদ হাসান দেওবন্দি ভারতে ব্রিটিশদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য তুরস্কের সমর্থনে রেশমি রুমাল আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন?
- ... মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী বাংলাদেশের প্রথম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন?
- ... ১৯৬৪ সালে কায়রোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব উলামা সম্মেলনে তাজুল ইসলাম নতুন মাজহাব গঠনের প্রস্তাব নাকচ করেছিলেন?
- ...কাজী মুতাসিম বিল্লাহ কওমি মাদ্রাসায় সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় পাঠদান পদ্ধতি চালু করেন?
নির্বাচিত তালিকা
নির্বাচিত উক্তি
“ | তিন বস্তুর নাম দেওবন্দিয়ত:
১. ইহয়ায়ে সুন্নাত। তথা সুন্নাত জীবন্তকরণ। ২. ইমহাউল বিদআ। যাবতীয় বিদআতের মূলোৎপটন। ৩. তালাক্কি আনিস সালাফ। সালাফে সালেহিন থেকে (দীনের বিষয়) গ্রহণ করা। |
” |
বিষয়শ্রেণীসমূহ
টেমপ্লেট
উইকিপিডিয়া স্বীকৃত ভুক্তি
ভাল নিবন্ধ
আজাকি নিবন্ধ
- রেশমি রুমাল আন্দোলন
- সামরাতুত তারবিয়াত
- শামস নাভেদ উসমানি
- জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ
- মাহমুদ হাসান দেওবন্দি
- মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী
- ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
- আজিজুল হক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
- মুহাম্মদ আলি মুঙ্গেরি
- কাজী মুতাসিম বিল্লাহ
- দারুল উলুম নিউক্যাসল
- তাজুল ইসলাম (পণ্ডিত)
- আস্কইমাম.অর্গ
- মুফতি ফয়জুল ওয়াহেদ
- হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী
উইকিপ্রকল্প
প্রকল্পে যোগ দিন, উইকিপিডিয়ায় দেওবন্দি সংক্রান্ত নিবন্ধ লিখুন, সমৃদ্ধ করুন। |
আপনি কি করতে পারেন
- দেওবন্দি সম্পর্কিত নিবন্ধের তালিকা দেওবন্দি বিষয়ক টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নতুন নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
- অন্যান্য ভাষায় উইকিপ্রকল্প হতে দেওবন্দি বিষয়ক নিবন্ধ অনুবাদ করতে পারেন।
- বর্তমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
- নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
- দেওবন্দি সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
- নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
- সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|দেওবন্দি}}
যুক্ত করতে পারেন।
উইকিমিডিয়া
প্রবেশদ্বার