প্রবীর মিত্র

বাংলাদেশী অভিনেতা

প্রবীর মিত্র (১৮ আগস্ট ১৯৪৩ – ৫ জানুয়ারি ২০২৫)[][] ছিলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা।[] পাঁচ দশকের কর্মজীবনে তিনি চার শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।[] ১৯৬৯ সালে জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে এবং চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে মুক্তি পায়। তিনি তিতাস একটি নদীর নাম, চাবুকসহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। সর্বশেষ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা চলচ্চিত্রে। পরবর্তী সময় তিনি চরিত্রাভিনেতার দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। ১৯৮২ সালে তিনি বড় ভাল লোক ছিল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[] এছাড়া তিনি দুইবার পার্শ্ব চরিত্রে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।[]

প্রবীর মিত্র
জন্ম
প্রবীর কুমার মিত্র

(১৯৪৩-০৮-১৮)১৮ আগস্ট ১৯৪৩
মৃত্যু৫ জানুয়ারি ২০২৫(2025-01-05) (বয়স ৮১)
জাতীয়তাবাংলাদেশ
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৬৯-২০২৩[]
দাম্পত্য সঙ্গীঅজন্তা মিত্র
সন্তান
পুরস্কারপূর্ণ তালিকা

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ই আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুমিল্লার চান্দিনায়[][] এক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র।[] তার পিতা গোপেন্দ্র নাথ মিত্র এবং মাতা অমিয়বালা মিত্র। বংশপরম্পরায় পুরনো ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রবীর মিত্র। তিনি ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠেন৷[১০] তিনি প্রথম জীবনে সেন্ট গ্রেগরি থেকে পোগজ স্কুলে পড়াশোনা করেন। বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় জীবনে প্রথমবারের মত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর নাটকে প্রহরী চরিত্রে অভিনয় করেন।[] এরপর তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[]

ক্রীড়া জীবন

সম্পাদনা

প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলেছেন। একই সময় তিনি ফায়ার সার্ভিসের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন। এছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলও খেলেছেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

প্রবীর লালকুটি থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন৷[১১] এরপর পুরনো ঢাকার লালকুঠিতে শুরু হয় তার নাট্যচর্চা। ১৯৬৯ সালে পরিচালক এইচ আকবরের জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্রটির গল্প ও সংলাপ লিখেছিলেন তারই স্কুল জীবনের বন্ধু এটিএম শামসুজ্জামান[] চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি মুক্তি পায়।[] এরপর তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাস অবলম্বনে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত একই নামের চলচ্চিত্রে কিশোর চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৮২ সালে তিনি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ভাল লোক ছিল চলচ্চিত্রে ট্রাক চালক লোকমান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[১২] পরের বছর তিনি সীমার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগ বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।[১৩] তিনি বুলবুল আহমেদের রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।[১৪]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

প্রবীর মিত্র তার প্রেমিকা সেলিনা হোসেন অজন্তাকে বিয়ে করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, বিয়ে করার সময় তিনি হিন্দুধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং এই ধর্মেই আছেন।[১৫] তখন তার নাম রাখা হয় হাসান ইমাম।[১৬][১৭] অজন্তা ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে, তারা হলেন - মিঠুন মিত্র, ফেরদৌস পারভীন, সিফাত ইসলাম ও সামিউল ইসলাম।[] ছোট ছেলে সামিউল ২০১২ সালে ৭ মে মৃত্যুবরণ করেন।[১৮]

মৃত্যু

সম্পাদনা

প্রবীর মিত্রকে বেশ কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[] ৬ জানুয়ারি বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।[১৯]

চলচ্চিত্রের তালিকা

সম্পাদনা

চলচ্চিত্র

সম্পাদনা
বছর শিরোনাম চরিত্র পরিচালক টীকা
২০২১ সৌভাগ্য এফ আই মানিক
২০১৭ আপন মানুষ শাহ আলম মন্ডল
২০১৬ এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এইবার উত্তম আকাশ
শঙ্খচিল গৌতম ঘোষ
সুইটহার্ট ম্যানেজার ওয়াজেদ আলী সুমন
২০১৫ বোঝেনা সে বোঝেনা মনতাজুর রহমান আকবর
গ্যাংস্টার রিটার্নস বাবা আশিকুর রহমান
রাজা বাবু বদিউল আলম খোকন
বিগ ব্রাদার সাফি উদ্দিন সাফি
আয়না সুন্দরী মকবুল হোসেন
বিষ সরদার
২০১৪ আগে যদি জানতাম তুই হবি পর মনতাজুর রহমান আকবর
তোমার কাছে ঋণী শাহাদাত হোসেন লিটন
ডেয়ারিং লাভার রাজার বাবা বদিউল আলম খোকন
সেরা নায়ক ওয়াকিল আহমেদ
রাজত্ব ইফতেখার চৌধুরী
স্বপ্নছোঁয়া শফিক হাসান
অনেক সাধনার পরে আবুল কালাম আজাদ
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ফাতেমার বাবা মাসুদ পথিক
২০১৩ জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার এফ আই মানিক
এইতো ভালোবাসা রাণীর বাবা শাহীন কবির টুটুল
দেহরক্ষী ইফতেখার চৌধুরী
আত্মঘাতক পলাশ পারভেজ
মাই নেম ইজ খান বদিউল আলম খোকন
তোমার আছি তোমারই থাকবো আশরাফ কালাম কায়সার
২০১২ বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না বদিউল আলম খোকন
রক্তে ভেজা বাংলাদেশ নাদিম মাহমুদ
ডন নাম্বার ওয়ান বদিউল আলম খোকন
জিদ্দি বউ আবুল কালাম আজাদ
মাই নেম ইজ সুলতান এফ আই মানিক
আমার চ্যালেঞ্জ বদিউল আলম খোকন
২০১১ ভালো হতে চাই শাহেদ চৌধুরী
কুসুম কুসুম প্রেম কাশেম মুশফিকুর রহমান গুলজার
চম্পা রাণীর আখড়া স্বপন চৌধুরী
ছোট্ট সংসার মনতাজুর রহমান আকবর
বস নাম্বার ওয়ান রাহাত খান বদিউল আলম খোকন
গার্মেন্টস কন্যা জি সরকার
২০১০ বলোনা তুমি আমার জাফর খান এম বি মানিক
গোলাপি এখন বিলেতে মধু আমজাদ হোসেন
টপ হিরো স্যার মনতাজুর রহমান আকবর
রিকসাওয়ালার ছেলে মনতাজুর রহমান আকবর
ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না লতিফ জাকির হোসেন রাজু
নিঃশ্বাস আমার তুমি বদিউল আলম খোকন
নাম্বার ওয়ান শাকিব খান বদিউল আলম খোকন
তুমি আমার মনের মানুষ আজাদী হাসনাত ফিরোজ
সেই তুফান হাফিজ উদ্দিন
চেহারা মোতালেব শহীদুল ইসলাম খোকন
২০০৯ তুমি আমার স্বামী পুলিশ অফিসার মনতাজুর রহমান আকবর
আমার প্রাণের প্রিয়া আশরাফ চৌধুরী জাকির হোসেন রাজু
আইনের হাতে গ্রেফতার রাশেদ আলম রানা
শুভ বিবাহ আবির দেবাশীষ বিশ্বাস
এবাদত এটিএম শামসুজ্জামান
মন বসে না পড়ার টেবিলে আব্দুল মান্নান
পৃথিবী টাকার গোলাম জয়নাল আবেদীন
প্রেম কয়েদী এম বি মানিক
মন ছুঁয়েছে মন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
মনে বড় কষ্ট শাহীন এবং ওয়াজেদ আলী সুমন
কে আমি হায়দার ওয়াকিল আহমেদ
২০০৮ স্বামী নিয়ে যুদ্ধ আজাদী হাসনাত ফিরোজ
টিপ টিপ বৃষ্টি মহম্মদ হান্‌নান
আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা এস এ হক অলিক
বাবা আমার বাবা ইলিয়াস কাঞ্চন
প্রিয়া আমার প্রিয়া রহমত আলী (হৃদয়ের বাবা) বদিউল আলম খোকন
আগুনের ফুলকী রায়হান মুজিব
২০০৭ মুসা ভাই এম বি মানিক
অস্ত্রধারী রানা নীলু ও শিমুল
নির্দেশ বদিউল আলম খোকন
১০ নাম্বার মহাবিপদ সংকেত রাশেদ আলম রানা
মায়ের বদলা কাজী আলমগীর
তুই যদি আমার হইতিরে উত্তম আকাশ
ক্ষমতার গরম পি এ কাজল
দুর্ধর্ষ দুর্জয় এ জে রানা
তুফান আমার নাম এম বি মানিক
জজের রায়ে ফাঁসি আবু সুফিয়ান
দুঃখিনী জোহরা আজিজুর রহমান
ঝন্টু মন্টু দুই ভাই আজমল হুদা মিঠু
বিয়ের লগন জি সরকার
বৃষ্টি ভেজা আকাশ সোহানুর রহমান সোহান
২০০৬ সোনার ময়না পাখি আনোয়ার সিরাজী
হিংস্র মানব বদিউল আলম খোকন
রাঙ্গা বাইদানী তোজাম্মেল হক বকুল
নষ্ট ছাত্র শাহদাৎ হোসেন লিটন
নিষ্পাপ কয়েদী বদিউল আলম খোকন
ন্যাংড়া মাসুদ বদিউল আলম খোকন
বকুল ফুলের মালা স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
টোকাইয়ের হাতে অস্ত্র কেন মহারাজ তালুকদার
মাটি আমার মা এফ. রহমান
পরম প্রিয় নূর উল আলম
ঠান্ডা মাথার খুনী শাহাদাত হোসেন লিটন
রসের বাইদানী আজাদী হাসনাত ফিরোজ
হাই রিস্ক শাহেদ চৌধুরী
হিরা আমার নাম শরীফ উদ্দিন খান দিপু
সিস্টেম জিল্লুর রহমান
মায়ের মর্যাদা দিলীপ বিশ্বাস
২০০৫ হীরা আমার নাম শরিফউদ্দিন খান দিপু
দুই নয়নের আলো মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
মাতৃত্ব স্কুল শিক্ষক জাহিদ হোসেন
মিলন জি সরকার
মেহের নেগার মৌসুমীমুশফিকুর রহমান গুলজার
ছোট্ট একটু ভালোবাসা জি সরকার
ড্যাম কেয়ার সামসুল আলম
এ্যাকশন লেডি মনতাজুর রহমান আকবর
লাল সবুজ লাল ও সবুজের বাবা শহীদুল ইসলাম খোকন
মহব্বত জিন্দাবাদ মতির রহমান
জাল এম এ রহিম
দুর্ধর্ষ এম বি মানিক
জিদ্দী ড্রাইভার উত্তম আকাশ
মমতাজ উত্তম আকাশ
ঘর জামাই শাহ আলম কিরণ
অবৈধ অস্ত্র রাজু চৌধুরী
২০০৪ ভাইয়ের শত্রু ভাই মনতাজুর রহমান আকবর
নষ্ট শাহীন, ওয়াজেদ আলী সুমন
বাঁচাও দেশ পি এ কাজল
জীবনের গ্যারান্টি নাই মনতাজুর রহমান আকবর
ফুলের মতো বউ শাহেদ আজাদী হাসনাত ফিরোজ
তোমার জন্য পাগল শিল্পী চক্রবর্তী
প্রেম কেন কাঁদায় রানা নাসের
তেজী পুরুষ পি এ কাজল
ভাড়াটে খুনী শাহাদাৎ হোসেন লিটন
রাজধানী মোহাম্মদ হোসেন জেমী
মেঘের পর মেঘ
২০০৩ বউ শাশুরির যুদ্ধ রাকিব চৌধুরী
ওরা দালাল উত্তম আকাশ
কারাগার কালাম কায়সার
বিরোধী দল রাজু চৌধুরী
রক্ত গরম আহম্মেদ আলী মন্ডল
২০০২ ভয়ংকর পরিণাম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু
ওপেন চ্যালেঞ্জ বাবুল রেজা
নিশি রাইতে আইসো বন্ধু নান্নু মিয়া ও আব্দুস ছাত্তার খান
আলী বাবা আবিদ হাসান বাদল
বোবা খুনী বাদশা ভাই
ক্ষত বিক্ষত মনোয়ার খোকন
ভন্ড ওঝা পি এ কাজল
ভাইয়া এফ আই মানিক
জুয়াড়ি আশরাফ চৌধুরী
লাল দরিয়া মজিদ
২০০১ শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ রাজিব খন্দকার দেবাশীষ বিশ্বাস
মেঘলা আকাশ ডঃ মিত্র নারগিস আক্তার
২০০০ লণ্ড ভণ্ড বাদশা ভাই
এই মন চায় যে...! মতিন রহমান
ভয়াবহ মোস্তাফিজুর রহমান বাবু
১৯৯৯ তোমার জন্য পাগল মান্নান
বাবার বাবা সালাহউদ্দিন
ভাই কেন আসামী সৈয়দ শামসুল আলম
শিবা গুন্ডা আজিজ আহমেদ বুলবুল
বিয়ের ফুল মতিন রহমান
১৯৯৮ আলিফ লায়লা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
১৯৯৭ কে অপরাধী উত্তম আকাশ
দরদী সন্তান শওকত জামিল
রঙ্গিন রংবাজ উত্তম আকাশ
আত্মসাৎ আবিদ হাসান বাদল
সুপারম্যান ইফতেখার জাহান
১৯৯৬ প্রিয়জন আনোয়ার মিয়া রানা নাসের
চাওয়া থেকে পাওয়া এম এম সরকার
রঙ্গীন প্রাণ সজনী গায়েন আজিজুর রহমান বুলি
নারী আন্দোলন এনায়েত করিম
খলনায়ক আকবর মনতাজুর রহমান আকবর
রুটি নাদিম মাহমুদ
বাঁশীওয়ালা তোজাম্মেল হক বকুল
আজকের ফয়সালা মোঃ মতিউর রহমান বাদল
বিদ্রোহী প্রেমিক আবিদ হাসান বাদল
১৯৯৫ মহামিলন দিলীপ সোম
আশা ভালোবাসা ওস্তাদ রইসুদ্দিন তমিজ উদ্দিন রিজভী
স্বপ্নের ঠিকানা হাকিম আলী এম এ খালেক
১৯৯৪ হৃদয় থেকে হৃদয় বাকের চৌধুরী
প্রেমযুদ্ধ জীবন রহমান
তুমি আমার আকাশের বাবা জহিরুল হক

তমিজউদ্দিন রিজভী

ডন এ জে রানা
বালিকা হলো বধূ মাঝি তোজাম্মেল হক বকুল
ডিস্কো ড্যান্সার আগুনের বাবা মনতাজুর রহমান আকবর
১৯৯৩ ত্যাগ রহমান শিবলি সাদিক
১৯৯২ অন্ধ বিশ্বাস সাথীর ভাই মতিন রহমান
১৯৮৯ বেদের মেয়ে জোস্‌না কাজী সাহেব (বিচারক) তোজাম্মেল হক বকুল
সোনার সংসার মালেক আফসারী
১৯৮৮ যোগাযোগ রফিক
১৯৮৭ রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত গহর বুলবুল আহমেদ
অপেক্ষা দিলীপ বিশ্বাস
হারানো সুর হাসান
১৯৮৬ পরিণীতা আলমগীর কবির
১৯৮৫ রামের সুমতি শ্যামলাল শহিদুল আমিন
মা ও ছেলে আরিফ কামাল আহমেদ
দহন জাফরী শেখ নিয়ামত আলী
মিস লোলিতা জিল্লুর রহমান
তিন কন্যা শিবলি সাদিক
১৯৮৪ নয়নের আলো ড্রাইভার মন্টু বেলাল আহমেদ
প্রিন্সেস টিনা খান আব্বাস
১৯৮৩ নাজমা রাব্বানি সুভাষ দত্ত
১৯৮২ বড় ভালো লোক ছিল লোকমান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
দুই পয়সার আলতা গুনাই আমজাদ হোসেন
১৯৮১ জন্ম থেকে জ্বলছি আমজাদ হোসেন
১৯৭৮ অলংকার হাফিজ নারায়ণ ঘোষ মিতা
অঙ্গার মন্টু
১৯৭৭ দাতা হাতেম তাই কামাল আহমেদ
অবসান এম. এ. কাসেম
ফরিয়াদ এইচ আকবর
১৯৭৬ জয় পরাজয় মুস্তাফা মেহমুদ
রক্তের ডাক এইচ আকবর
জালিয়াত এইচ আকবর
সেয়ানা ফখরুল হাসান বৈরাগী
১৯৭৫ তীর ভাঙ্গা ঢেউ সফদার আলী ভূঁইয়া
কেন এমন হয় অমল বোস
ভাড়াটে বাড়ি এজাজ খান
আজও ভুলিনি নিয়াজ ইকবাল
চরিত্রহীন বেবী ইসলাম
চাষীর মেয়ে মুরাদ চৌধুরী বাবুল চৌধুরী
অভাগী
১৯৭৪ চাবুক শেখ নজরুল ইসলাম
১৯৭৩ জীবন তৃষ্ণা এইচ আকবর
তিতাস একটি নদীর নাম কিশোর ঋত্বিক ঘটক
১৯৭১ জলছবি এইচ আকবর প্রবীর মিত্র অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা
বছর পুরস্কার বিভাগ মনোনীত কর্ম ফলাফল
১৯৮৩ ৭ম বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার[২০] শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বড় ভাল লোক ছিল বিজয়ী
১৯৮৪ ১১তম বাচসাস পুরস্কার[১৩] শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা সীমার বিজয়ী
১৯৮৮ ১৫তম বাচসাস পুরস্কার[১৪] শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত বিজয়ী
২০০৬ চলচ্চিত্র দর্শক পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা দুই নয়নের আলো বিজয়ী
২০১৫ আর্টিস্ট জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (এজেএফবি) পুরস্কার[২১] আজীবন সম্মাননা বিজয়ী
২০১৯ ৪৩তম বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার[২২] আজীবন সম্মাননা বিজয়ী
২০১৯ মিডিয়া জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (মিজাফ) তারকা পুরস্কার[২৩] আজীবন সম্মাননা বিজয়ী

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন"যমুনা টিভি। ৫ জানুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২৫ 
  2. "৭৩-এ প্রবীর মিত্র"দৈনিক সংবাদ। আগস্ট ১৮, ২০১৩। ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০১৫ 
  3. "অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০২৫-০১-০৫। ২০২৫-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-০৫ 
  4. "যে কারণে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র"আরটিভি। ৬ জানুয়ারি ২০২৫। ৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২৫ 
  5. Shazu, Shah Alam (২০১৯-১১-২২)। "A walk down the memory lane: Prabir Mitra gets nostalgic"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১ 
  6. "আজীবন সম্মাননা পেলেন এটিএম-সুজাতা-আলমগীর-প্রবীর মিত্র"বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ নভেম্বর ২০১৯। ৩১ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 
  7. "অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 
  8. "অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 
  9. "অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই"ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২৫ 
  10. "৭৩-এ প্রবীর মিত্র"দৈনিক সংবাদ। ২০১৫-১২-১১। ২০১৫-১২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১ 
  11. "Grandfather Prabir Mitra"দ্য ডেইলি নিউ নেশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১ 
  12. শাওন, রাশেদ। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  13. জোয়াদ ২০১০, পৃ. ৪৭৬।
  14. জোয়াদ ২০১০, পৃ. ৪৭৮।
  15. "প্রেমিকাকে বিয়ে করতেই মুসলমান হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র"দৈনিক সমকাল। ৫ জানুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 
  16. "ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন প্রবীর মিত্র, নাম রাখা হয় ইমাম হাসান"banglanews24.com। ৬ জানুয়ারি ২০২৫। ৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২৫ 
  17. "বিয়ের জন্য প্রবীর মিত্র হয়েছিলেন হাসান ইমাম"দৈনিক জনকণ্ঠ। ৬ জানুয়ারি ২০২৫। 
  18. "চলে গেলেন প্রবীর মিত্রও"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৫ জানুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 
  19. "প্রবীর মিত্রের দাফন সম্পন্ন"। ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২৪ 
  20. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)" (পিডিএফ)এফডিসিবাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  21. "আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন প্রবীর মিত্র"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৪ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 
  22. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭-২০১৮" (পিডিএফ)তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ। ৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২১ 
  23. সরকার, অজয়। "প্রবীর মিত্র পেলেন আজীবন সম্মাননা ।" নিউজ ৭১। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ 

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা
  • জোয়াদ, আবদুল্লাহ (২০১০)। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: পাঁচ দশকের ইতিহাস। ঢাকা: জ্যোতিপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৯১৫। আইএসবিএন 984-70194-0045-9 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা