শ্রীলঙ্কা জাতীয় ফুটবল দল

শ্রীলঙ্কা জাতীয় ফুটবল দল (সিংহলি: ශ්‍රී ලංකා පාපන්දු කණ්ඩායම, তামিল: இலங்கை தேசிய கால்பந்து அணி) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম শ্রীলঙ্কার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা শ্রীলঙ্কা ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৭২ সালের পূর্ব পর্যন্ত সিলন জাতীয় ফুটবল দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।[] এই দলটি ১৯৫২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[] ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে, শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সিলনের কলম্বোয় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ভারতের কাছে ২ –০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা
দলের লোগো
ডাকনামসোনালি সিংহ
অ্যাসোসিয়েশনশ্রীলঙ্কা ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচআমির আলাগিচ
অধিনায়কমুহাম্মদু ফাসাল
সর্বাধিক ম্যাচচান্না এদিরি বাঙ্গানাগে (৬২)
শীর্ষ গোলদাতাকাসুন জয়সুরিয়া (২৭)[]
মাঠসুগাথাদাসা স্টেডিয়াম
ফিফা কোডSRI
ওয়েবসাইটfootball.lk
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
তৃতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২০৪ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ১২২ (আগস্ট ১৯৯৮)
সর্বনিম্ন২০৬ (ফেব্রুয়ারি ২০২০)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২২২ বৃদ্ধি ২ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ১০৫ (মার্চ ১৯৫২)
সর্বনিম্ন২২৫ (সেপ্টেম্বর ২০১৯)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 সিলন ০–২ ভারত 
(কলম্বো, সিলন; ১ জানুয়ারি ১৯৫২)
বৃহত্তম জয়
 শ্রীলঙ্কা ৭–১ পাকিস্তান 
(তাইপে, তাইওয়ান; ৪ এপ্রিল ২০০৮)
 শ্রীলঙ্কা ৬–০ ভুটান 
(ঢাকা, বাংলাদেশ; ৬ ডিসেম্বর ২০০৯)
বৃহত্তম পরাজয়
 সিলন ১–১২ পূর্ব জার্মানি 
(কলম্বো, সিলন; ১২ জানুয়ারি ১৯৬৪)[]
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ১২ (১৯৯৩-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৯৫)
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ
অংশগ্রহণ৩ (২০০৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (২০০৬)

২৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামে সোনালি সিংহ নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন আমির আলাগিচ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন কলম্বোর আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মুহাম্মদু ফাসাল

শ্রীলঙ্কা এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও শ্রীলঙ্কা এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কা অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (১৯৯৫) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে শ্রীলঙ্কা এপর্যন্ত ৩ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৬ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা তাজিকিস্তানের কাছে ৪–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

চান্না এদিরি বাঙ্গানাগে, কাসুন নাদিকা, চাথুরা মাদুরাঙ্ঘা, কাসুন জয়সুরিয়া এবং মুহাম্মদ ইজাদিনের মতো খেলোয়াড়গণ শ্রীলঙ্কার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

সম্পাদনা

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১২২তম) অর্জন করে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০৬তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১০৫তম (যা তারা ১৯৫২ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২২৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২০২     বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ৮৩৫.৮১
২০৩     লিশটেনস্টাইন ৮৩৩.০১
২০৪     শ্রীলঙ্কা ৮২২.০৩
২০৫     গুয়াম ৮২১.৯১
২০৬     টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ ৮১৮.৫৭
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২২০     ভ্যাটিকান সিটি ৬৯২
২২১     কুক দ্বীপপুঞ্জ ৬৮৭
২২২     শ্রীলঙ্কা ৬৮৪
২২৩     সাঁ পিয়ের ও মিক‌লোঁ ৬৭৭
২২৪     সাবা ৬৭১

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ

সম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
  ১৯৩০ ফিফার সদস্য ছিল না ফিফার সদস্য ছিল না
  ১৯৩৪
  ১৯৩৮
  ১৯৫০
  ১৯৫৪ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
  ১৯৫৮
  ১৯৬২
  ১৯৬৬
  ১৯৭০
  ১৯৭৪
  ১৯৭৮
  ১৯৮২
  ১৯৮৬
  ১৯৯০
  ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ২৬
  ১৯৯৮
    ২০০২ ২০
  ২০০৬ ১১
  ২০১০
  ২০১৪
  ২০১৮
  ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৩১ ২২ ২১ ৭৫

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. László Földesi। "Kasun Nadika Jayasuriya Weerarathne – Goals in International Matches"। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  3. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  4. "Head to head stats Sri Lanka – GDR"WildStat। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৮ 
  5. "Sri Lanka's first international win at football"sundaytimes.lk। The Sundaytimes Sri Lanka। ২৩ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  6. "Asian soccer championship next year"The Straits Times। ২৭ মে ১৯৫৪। "ASIAN SOCCER FINALS IN SINGAPORE May be used as Olympic series"The Singapore Free Press। ৫ অক্টোবর ১৯৫৪। "Singapore to Meet Indonesia in Asian Soccer Tourney"The Straits Times। ১৪ জুন ১৯৫৫। ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা