যুক্তরাজ্যে ইসলাম
ইসলাম যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬.৩% ইসলাম বিশ্বাসী বলে ধারণা করা হয়। [৫][৬] যুক্তরাজ্যের মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইংল্যান্ডে বসবাস করে; ২৬৬০১১ (৫.০%) জন। এছাড়া ৭৬৭৩৭ জন মুসলিম স্কটল্যান্ডে (১.৪৫%) ও ৪৫৯৫০ জন ওয়েলসে (১.৫০%) বাস করেন। লন্ডনে মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।[৭][৮][৯] যুক্তরাজ্যের মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা সুন্নি ইসলাম মেনে চলেন এবং একটি ক্ষু্দ্র অংশ শিয়া ইসলামের সাথে যুক্ত।[১০]
৯০–১০০% | |
৭০–৮০% | কাজাখস্তান |
৫০–৭০% | |
৩০–৫০% | উত্তর মেসেডোনিয়া |
১০–২০% | |
৫–১০% | |
৪–৫% | |
২–৪% | |
১–২% | |
< ১% |
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৪১,৩০,০০০ (২০২২) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
লন্ডন | ১০১২৮২৩ |
West midlands | ৩৭৬১৫২ |
North west England | ৩৫৬৪৫৮ |
ইয়র্কশায়ার ও হাম্বার | ৩২৬০৫০ |
ধর্ম | |
সংখ্যাগরিষ্ঠ :সুন্নি, সাথে কিছু শিয়া ইসলাম | |
ভাষা | |
ব্রিটিশ ইংরেজি, পাঞ্জাবি ভাষা, সিন্ধি, উর্দু, বাংলা, গুজরাটি ভাষা, আরবি, তুর্কী ভাষা,ফার্সি[৪] |
মধ্যযুগে খ্রিস্টান ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে কিছু সাধারণ সাংস্কৃতিক বিনিময় থাকলেও ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে তখন কোন মুসলিম ছিল না। পরবর্তীতে রাণী এলিজাবেথর যুগে যোগাযোগ আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর কারণ হল টিউডাররা ক্যাথলিক হ্যাব্সবার্গ স্পেনের বিরুদ্ধে মরোক্কো এবং অটোমান সাম্রাজ্যের সাথে জোট করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশেষ করে যখন ইংরেজরা ভারত দখল করে তখন ব্রিটেন অনেক মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল শাসন করেছিল। ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে সেসব অঞ্চল থেকে কিছু মুসলিম ব্রিটেনে বসতি স্থাপন করেছিল বলে জানা যায়। ১৯ শতকে ইউরোপে প্রাচ্যবাদের ব্যাপক চর্চা ইসলামের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলে এবংকয়েকজন অভিজাত ব্যক্তিসহ বেশ কিছ ব্রিটিশ লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়। মারমাডুক পিকথাল এমন একজন ইংরেজ লেখক ও ঔপন্যাসিক ছিলেন যিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে একজন ব্রিটিশ মুসলিম প্রথম কোরআনের সম্পূর্ণ ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান যুক্তরাজ্যের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন (যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ সম্মান ভিক্টোরিয়া ক্রস দেওয়া হয়েছিল)। পরবর্তীতে ১৯৪ সালে ভারত বিভক্তির পরের দশকগুলিতে অনেক মুসলমান ব্রিটেনেই বসতি স্থাপন করে। আজ অবধি ব্রিটিশ এশিয়ানরা জাতিগততার দিক থেকে ব্রিটেনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম।[১১][১২] যদিও উল্লেখযোগ্য তুর্কি, আরব এবং সোমালি সম্প্রদায়ের পাশাপাশি একাধিক জাতিগত পটভূমিতে ১০০০০ পর্যন্ত ব্রিটিশ ধর্মান্তরিত রয়েছে।[১৩] ইসলাম হল যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম।[১৪] ২০০১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা অমুসলিম জনসংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।[১৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রাথমিক ইতিহাস
সম্পাদনাযদিও সাধারণ অর্থে ইসলামকে যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিক আগমন বলে মনে করা হয়, কিন্তু মুসলিম ও ব্রিটিশরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একে অপরের সাথে ব্যবসা- বাণিজ্য ও ধ্যান- ধারণা বিনিময় করে আসছে।
ইংল্যান্ডে ইসলামি প্রভাবের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ৮ম শতাব্দীতে, যখন মার্সিয়ার অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা ওফা একটি আরবি শিলালিপিসহ একটি বিশেষ মুদ্রা তৈরি করেন, যা মূলত সমসাময়িক আব্বাসীয় শাসক খলিফা আল-মনসুর কর্তৃক জারি করা মুদ্রার হুবহু অনুলিপি ছিল।[১৬] এরপর ১৬ শতকে উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ার মুসলমানরা লন্ডনে উপস্থিত হয়ে কূটনীতিক এবং অনুবাদক থেকে শুরু করে বণিক ও সঙ্গীতজ্ঞ পর্যন্ত বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করেছেন।[১৭] তখন থেকেই উভয় সম্প্রদায়ের মাঝে ধ্যান-ধারণা বিনিময়ের প্রথাগত পদ্ধতি চালু হয়েছিল।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে মিথস্ক্রিয়া
সম্পাদনা১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার আধা-স্বাধীন নবাবদের কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়।[১৮][১৯] এরপর ১৮৫৭ সালে ভারতে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য একটি বিশাল মুসলিম জনসংখ্যার উপর শাসন করতে আসে।[২০] ইউরোপ ভ্রমণ এবং সেখানে বসবাসকারী প্রথম শিক্ষিত দক্ষিণ এশীয় ব্যক্তি ইতিসাম-উদ-দীন ছিলেন একজন বাঙালি মুসলিম ধর্মগুরু, মুনশি এবং মুঘল সাম্রাজ্যের কূটনীতিক, যিনি ১৭৬৫ সালে রাজা জর্জ তৃতীয়ের শাসনামলে তার ভৃত্য মুহাম্মদ মুকিমের সাথে ব্রিটেন এসেছিলেন।[২১] তিনি তার লিখিত ফারসি বই Shigurf-nama-i-Wilayat (বা 'ইউরোপের আশ্চর্য বই')-তে তার ইউরোপে ভ্রমণে তার অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিত লিখেছেন।[২২]
এরপর ১৮ শতকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় গ্রেট ব্রিটেনে আসা মুসলমানদের প্রথম দলটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে। তারা মূলত বাংলা অঞ্চল থেকে এসেছিল। ব্রিটিশ জাহাজে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজ করার জন্য লাস্কার (নাবিক) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাদের কেউ কেউ ব্রিটেনে বসতি স্থাপন এবং স্থানীয় স্ত্রী গ্রহণ করে সংসার শুরু করে।[২৩] তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ লাস্কার হওয়ার কারণে প্রথম দিকের মুসলিম সম্প্রদায়গুলিকে কেবল বন্দর শহরে পাওয়া যেত। তারপর নৌ বাবুর্চিরা আসে। তাদের অনেকেই তৎকালীন ব্রিটিশ বাংলার সিলেট জেলা থেকে এসেছিলেন। ইংল্যান্ডে প্রথম দিকের এশীয় অভিবাসীদের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত বাঙালি মুসলিম উদ্যোক্তা শেখ দীন মোহাম্মদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ১৮১০ সালে লন্ডনের প্রথম ভারতীয় রেস্টুরেন্ট হিন্দুস্তানী কফি হাউস প্রতিষ্ঠা করেন।[২৪]
১৮০৩ থেকে ১৮১৩ সালের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ১০০০০ জনেরও বেশি লাস্কার ব্রিটিশ বন্দর শহর এবং ব্রিটেন পরিদর্শন করেছিল।[২৫] ১৮৪২ সাল নাগাদ বার্ষিক প্রায় ৩০০০ জন লাস্কার ব্রিটেন পরিদর্শন করত এবং ১৮৫৫ সাল নাগাদ বার্ষিক ১২০০০ লাস্কার ব্রিটিশ বন্দরগুলিতে এসেছিল। ১৮৭৩ সালে ৩২৭১ জ লাস্কার ব্রিটেনে এসেছিল।[২৬] ১৮ শতকের গোড়ার দিকে লাস্কাররা প্রতিবছর প্রায় ১০০০ জন হারে ব্রিটেন সফর করেছিল[২৫] যা 19 শতকের শেষের দিকে প্রতি বছর ১০০০০ থেকে ১২০০০ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল।[২৭][২৮]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে ব্রিটিশ জাহাজে ৫১৬১৬ জন দক্ষিণ এশীয় লাস্কার কাজ করত, যাদের অধিকাংশই ছিল বাঙালি বংশোদ্ভূত।[২৯] ১৯৩২ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জরিপে অনুমান করা হয়েছিল যে, যুক্তরাজ্যে ৭১২৮ জন ভারতীয় বাস করে। ১৯১১ সাল নাগাদ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯৪ মিলিয়ন যা সাম্রাজ্যের ৫৮ মিলিয়ন খ্রিস্টান জনসংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ১৯২০ সালের মধ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪০০,০০০ জনেরও বেশি মুসলিম সৈন্য ব্রিটেনের হয়ে যুদ্ধ করেছিল। যাদের ৬২০৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।[৩০]
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুসলিম সৈন্যরা পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধেও ব্রিটেনের হয়ে যুদ্ধ করে।[৩১] তখন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকুরিরত ২.৫ মিলিয়ন সৈন্যের মধ্যে ৪০% পর্যন্ত মুসলিম সৈন্য ছিল।[৩২][৩৩] ১৯১৬ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ বলেছিলেন, "আমরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মোহাম্মাদী (মুসলিম) শক্তি এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মোহাম্মাদী।[২০] ১৯৪২ সালে নোবেলজয়ী ব্রিটিশ সাহিত্যিক উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন যে, "আমাদের এমন মুসলমানদের সাথে কোন প্রকারের বিচ্ছেদ করা উচিত নয়, যারা একশ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এবং যারা আমাদের প্রধান সেনা উপাদান, যাদের উপর অবিলম্বে আমাদের যুদ্ধের জন্য নির্ভর করতে হবে।[৩২] এসব উক্তি থেকেই তৎকালীন ব্রিটিশ সমাজে মুসলিমদের প্রভাব কতটা ছিল তা স্পষ্ট বোঝা যায়।
ওয়াকিং-এ অবস্থিত শাহজাহান মসজিদটি ছিল ব্রিটেনে নির্মিত প্রথম মসজিদ। এটি ১৮৮প সালে নির্মিত হয়েছিল। একই বছরে, আবদুল্লাহ কুইলিয়াম লিভারপুলের একটি বারান্দায় একটি মসজিদ স্থাপন করেন যা পরবর্তীতে লিভারপুল মুসলিম ইনস্টিটিউটে পরিণত হয়।[৩৪][৩৫] লন্ডনে নির্মিত প্রথম মসজিদটি ছিল ফজল মসজিদ। এটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটিকে সাধারণত লন্ডন মসজিদ বলা হয়। কোরান অনুবাদক ইউসুফ আলী এবং মারমাডিউক পিকথাল উভয়ই ওকিং-এর শাহজাহান মসজিদ এবং পূর্ব লন্ডন মসজিদের দাতা ছিলেন।[৩৬][৩৭]
এভাবে ব্রিটিশ সমাজ মুসলিম ধর্মান্তরিতদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। অভিজাত ব্রিটিশ ধর্মান্তরিতদের মধ্যে ছিলেন স্যার আর্চিবল্ড হ্যামিল্টন, ৫ম ব্যারোনেট, রোল্যান্ড অ্যালানসন উইন, 5ম ব্যারন হেডলি, সেন্ট জন ফিলবি এবং জয়নাব কোবোল্ড (মক্কায় হজকারীণি প্রথম ব্রিটিশ নারী)।
অভিবাসন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী :
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট ধ্বংস এবং শ্রমের ঘাটতির ফলে বৃটেনে মুসলমানদের বড় আকারের অভিবাসন শুরু হয়।[৩৮][৩৯] প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশ (প্রধানত ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) থেকে মুসলিম অভিবাসীরা ব্রিটেনে এসে ব্রিটেন পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।[৩৮][৪০] ১৯৬০ এর দশকের শুরু দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এনোক পাওয়েল কর্তৃক ব্রিটেনে ভারত ও পাকিস্তান থেকে বিপুল সংখ্যক ডাক্তার নিয়োগ করা হয়, যা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে।[৪১]
ব্রিটেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্থাপিত বেশিরভাগ মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্নি ইসলামের প্রধান দুই ধারা, যথা দেওবন্দী ও বেরেলভীদের প্রতিফলন। আবুল আ'লা মওদুদী এবং তার প্রতিষ্ঠিত জামাতে ইসলামী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি মসজিদও আছে। তাছাড়া আরব ও তুর্কি সহায়তায় বেশ কিছু মসজিদ ও ইনিস্টিউট সেখানে চালু আছে। এসব ছাড়াও রয়েছে কয়েকটি শিয়া মসজিদ। মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার ফলে ২০০৭ সালের মধ্যে গোটা ব্রিটেন জুড়ে ১৫০০ টিরও বেশি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার কাছাকাছি বলে ধারণা করা হয়।[৪২]
জনসংখ্যা
সম্পাদনাবছর | জন. | ±% |
---|---|---|
1961 | ৫০,০০০[৪৩] | — |
1971 | ২,২৬,০০০[৪৩] | +৩৫২% |
1981 | ৫,৫৩,০০০[৪৩] | +১৪৪.৭% |
1991 | ৯,৫০,০০০[৪৩] | +৭১.৮% |
2001 | ১৬,০০,০০০[৪৩] | +৬৮.৪% |
2011 | ২৭,০৬,০৬৬[৪৪] | +৬৯.১% |
2017 | ৩৩,৭২,৯৯৬[৪৫] | +২৪.৬% |
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মুসলিম জনসংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সোফি গিলিয়েট-রে সাম্প্রতিক এই বৃদ্ধির জন্য অভিবাসন, গড় জন্মহার বৃদ্ধি এবং কিছু মানুষের ইসলামে ধর্মান্তর হওয়াকে দায়ী করেন।[৪৬]
সাম্প্রতিক অনুমান অনুসারে ২০৫০ সালে যুক্তরাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৩ মিলিয়ন হতে পারে।[৪৭]
২০১১ সালের[৪৮] ইংল্যান্ড ও ওয়েলস কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে শতকরাসহ মুসলিম অধ্যুষিত ২০ এলাকা:
- লন্ডন বরো অফ টাওয়ার হ্যামলেটস : ৩৪.৫% (৮৭,৬৯৬8)
- লন্ডন বরো অফ নিউহ্যাম : ৩২.০% (৯৮,৪৫৫)
- ডারওয়েনের সাথে ব্ল্যাকবার্ন : ২৭.৪% (৩৮,৮১৭)
- ব্র্যাডফোর্ড শহর : ২৪.৭% (১,২৯,০৪১)
- লুটন : ২৪.৬% (৪৯,৯৯১)
- লন্ডন বরো অফ রেডব্রিজ : ২৩.৩% (৬৪,৯৯৯)
- স্লাফ : ২৩.৩% (৩২,৬৫৫)
- লন্ডন বরো অফ ওয়ালথাম ফরেস্ট : ২১.৯% (৫৬,৫৪১)
- বার্মিংহাম : ২১.৮% (২৩,৪৪১১)
- লেস্টার : ১৮.৬% (৬১,৪৪০)
- লন্ডন বরো অফ ব্রেন্ট : ১৮.৬.% (৫৮,০৩৬)
- ওয়েস্টমিনস্টার শহর : ১৮.৩% (৪০,০৭৩)
- ওল্ডহামের মেট্রোপলিটন বরো : ১৭.৭% (৩৯,৮৭৯)
- পেন্ডেল : ১৮.৪% (১৫,৫৭৯)
- লন্ডন বরো অফ এনফিল্ড : ১৬.৭% (৫২,১৪১)
- ম্যানচেস্টার : ১৫.৮% (৭৯৪৯৬)
- লন্ডন বরো অফ ইলিং : ১৫.৭% (৫৩,১৯৮)
- কির্কলিস : ১৪.৫% (৬১,২৮০)
- লন্ডন বরো অফ হ্যারিঙ্গি : ১৪.২% (৩৬,১৩০)
- লন্ডন বরো অফ হ্যাকনি : ১৪.১% (৩৪,৭২৭)
১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত কাউন্সিল ফ্ল্যাটের ছোট কক্ষগুলিতে নামাজ আদায় করা হত। এরপর ধীরে ধীরে আরো বৃহত্তর সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। কিছু সিনাগগ ও কমিউনিটি বিল্ডিং ক্রয় করে মসজিদে পরিণত করা হয় এবং বিদ্যমান মসজিদগুলোর ভবন সম্প্রসারণ করা হতে থাকে। এভাবে গোটা ব্রিটেনে মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম
সম্পাদনা২০০১ সালের আদমশুমারি রেকর্ড করে যে, ব্রিটেনে ১৭৯৭৩৩ জন মুসলমান আছেন, যারা নিজেদেরকে 'শ্বেতাঙ্গ' বলে বর্ণনা করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৫% শ্বেতাঙ্গ মুসলমান নিজেদেরকে "অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ"(ইউরোপীয় নয় এমন) হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং তারা সম্ভবত বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কসোভো, আদিগিয়া, চেচনিয়া, আলবেনিয়া, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, পূর্ব মেসিডোনিয়া এবং থ্রেসের মতো স্থান থেকে উদ্ভূত হয়েছেন। বাকি শ্বেতাঙ্গ মুসলমানরা ধর্মান্তরিত এবং বেশিরভাগই নিজেদেরকে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ এবং শ্বেত আইরিশ হিসেবে পরিচয় দেয়।[৬]
দক্ষিণ এশীয় মুসলিম
সম্পাদনাভারতীয়
সম্পাদনাযুক্তরাজ্যের ৮% মুসলমান ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং তারা প্রধানত গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা এবং কেরালা থেকে এসেছিল। ১৯৪০ এর দশক থেকে সুরাট এবং ভারুচ জেলা থেকে গুজরাটি মুসলমানরা ব্রিটেনে আসতে শুরু করে, যখন ভারত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল। তারা ইয়র্কশায়ারের ডিউসবারি ও ব্যাটলি শহর এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের কিছু অংশে বসতি স্থাপন করেছিল।[৪৯]
পাকিস্তানি
সম্পাদনাযুক্তরাজ্যে মুসলমানদের একক বৃহত্তম দল পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। পাকিস্তানিরা ছিল প্রথম দক্ষিণ এশীয় মুসলিম সম্প্রদায়, যারা যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছিল।[৬] ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে তারা ইংল্যান্ডে প্রথম আগমন করেছিল। পাকিস্তানের মিরপুর থেকে ব্রিটেনে অভিবাসন ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পাকিস্তানের অন্যান্য অংশ থেকে, বিশেষ করে পাঞ্জাব, ফয়সালাবাদ, সাহিওয়াল, শিয়ালকোট, ঝিলাম, গুজার খান এবং গুজরাটের পার্শ্ববর্তী পাঞ্জাব গ্রাম থেকে অভিবাসন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়।
বর্তমান ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার, লন্ডন, ল্যাঙ্কাশায়ার, গ্রেটার ম্যানচেস্টার এবং হোম কাউন্টিতে লুটন, স্লফ এবং হাইওয়াইকম্বের মতো বেশ কয়েকটি শিল্প শহরে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিমদের উল্লেখযোগ্য হারে পাওয়া যায়। তবে বৃহত্তর লন্ডনে সিন্ধিদের সংখ্যা কম। পাকিস্তানিরা ঐতিহ্যগতভাবে শ্রমিক শ্রেণী ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা একটি মেট্রোপলিটন মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে।[৪৯]
বাংলাদেশী
সম্পাদনাযুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লোকেরা দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সম্প্রদায় (পাকিস্তানিদের পরে)। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মুসলমানদের ১৫% বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। যুক্তরাজ্যের জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ইসলাম ধর্মের অনুসারী বাঙালি মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বাঙালিদের প্রায় ৯২% মুসলিম।[৪৯] এই মুসলমানদের অধিকাংশই বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ থেকে এসেছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের দ্বারা খোলা অনেক মসজিদ শাহ জালাল এবং অন্যান্য সুফি সাধকদের নামে নামকরণ করা হয়, যারা ১৩০৩ সালে সিলেটের ইসলামী বিজয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ বাংলাদেশী মুসলমানরা মূলত লন্ডন (টাওয়ার হ্যামলেটস এবং নিউহ্যাম), লুটন, বার্মিংহাম এবং ওল্ডহামে কেন্দ্রীভূত। লন্ডনে বাংলাদেশী মুসলিম সম্প্রদায় সেখানে বসবাসকারী মুসলিম জনসংখ্যার ২৪%, যা অন্য যেকোন জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে বেশিড।[৫০] কিছু ছোট বাংলাদেশী মুসলিম সম্প্রদায় নিউক্যাসল আপন টাইন, ব্র্যাডফোর্ড, ম্যানচেস্টার, সান্ডারল্যান্ড, পোর্টসমাউথ এবং রচডেলে বাস করে।[৫১][৫২][৫৩][৫৪][৫৫]
যুক্তরাজ্যে বাঙালি সমাজে বেশ কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এই সমস্ত গোষ্ঠী স্থানীয় বাঙালি বা মুসলমানদের মধ্যে ইসলামিক পরিচয় উদ্দীপিত করার লক্ষ্যে কাজ করে এবং বিশেষ করে সম্প্রদায়ের তরুণ সদস্যদের ওপর বিশেষ ফোকাস করে।[৫৬][৫৭][৫৮] ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায় ইসলামে একটি শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদ এবং ব্রিক লেন মসজিদের মতো বড় বড় মসজিদ খোলার পাশাপাশি মাদরাসা ও ইসলামিক টিভি চ্যানেলও চালু করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য
সম্পাদনাতুর্কি মুসলিম
সম্পাদনাযুক্তরাজ্যের তুর্কিরা দেশের একটি অনন্য সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে কারণ তারা কেবল তুরস্ক প্রজাতন্ত্র থেকে নয়, বরং অন্যান্য প্রাক্তন অটোমান অঞ্চল থেকেও দেশত্যাগ করে ব্রিটেনে এসেছিল। প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ তুর্কিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ তুর্কি সাইপ্রিয়ট, যারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে সাইপ্রাস দ্বীপ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বৃহত্তম তুর্কি সম্প্রদায় তুরস্ক থেকে এসেছে। আরবি-ভাষী দেশ, (যেমন ইরাক[৫৯] এবং সিরিয়া) পাশাপাশি বলকান (বুলগেরিয়া, গ্রিস, এবং রোমানিয়া সহ) থেকেও জাতিগত তুর্কি অভিবাসন হয়েছে।[৬০][৬১]
তুর্কি সাইপ্রিয়টরা প্রথম ১৯১৭ সালে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন শুরু করে। সেই সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ইতিমধ্যে সাইপ্রাসকে নিজদের দখলে নিয়েছিল এবং সাইপ্রাসের বাসিন্দারা ক্রাউনের প্রজা হয়ে উঠেছিল।[৬২][৬৩] ১৯৫০ এর দশকে সাইপ্রাস সংঘাতের সময় অনেক তুর্কি সাইপ্রিয়ট রাজনৈতিক কারণে দ্বীপ ত্যাগ করতে শুরু করে।[৬৪] ১৯৬৩ সালের শেষের দিকে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরে অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৪ সালে দ্বীপটি বিভাজিত হলে গ্রীক নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র কর্তৃক তুর্কি সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে আরো ১৩০,০০০ তুর্কি সাইপ্রিয়ট যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে দ্বীপ ছেড়ে চলে যায়।[৬৫][৬৬] ১৯৭০ এর দশকে তুরস্ক থেকে প্রচুর শ্রমিক অভিবাসী যুক্তরাজ্যে আসতে শুরু করে।[৬৭]
তুর্কি সম্প্রদায় দেশটিতে বেশ কয়েকটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রথমটি ছিল ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্যাকলওয়েল লেন মসজিদ, যা তুর্কি সাইপ্রিয়ট সম্প্রদায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৬৮] আজিজিয়ে মসজিদ[৬৯] ও সুলেমানিয়ে মসজিদসহ লন্ডনে প্রধানত হ্যাকনিতে আরো অসংখ্য তুর্কি মসজিদ রয়েছে।[৭০] লন্ডনের বাইরে উল্লেখযোগ্য তুর্কি মসজিদের মধ্যে রয়েছে ম্যানচেস্টারের সেলিমিয়ে মসজিদ, লেস্টারের হামিদিয়ে মসজিদ এবং স্টোক-অন-ট্রেন্টের ওসমানিয়ে মসজিদ।
একই জন্মস্থান থেকে আসা তুর্কিরা যুক্তরাজ্যে একই কোয়ার্টারে জমায়েত হওয়ার প্রবণতা রাখে।[৭১] বেশিরভাগই রাজধানী লন্ডনে বাস করে। বিশেষ করে হ্যাকনি, হ্যারিঙ্গি, এনফিল্ড, লুইশাম, ল্যাম্বেথ, সাউথওয়ার্ক, ক্রয়েডন, আইলিংটন, কেনসিংটন, ওয়ালথাম ফরেস্ট এবং উডগ্রিনে।[৭২][৭৩] লন্ডনের বাইরে বার্মিংহাম, হার্টফোর্ডশায়ার, লুটন, ম্যানচেস্টার, শেফিল্ড এবং ইস্ট মিডল্যান্ডে ছোট তুর্কি সম্প্রদায় রয়েছে।
কুর্দি
সম্পাদনাযুক্তরাজ্যে উল্লেখযোগ্য ইরাকি কুর্দি জনসংখ্যা রয়েছে। একটি একাডেমিক সূত্র ইঙ্গিত দেয় যে, ইরাক থেকে যুক্তরাজ্যে আসা ৬৫-৭০% মানুষ ইরাকি কুর্দি।[৭৪] প্রায় সব ইরাকি কুর্দিই মুসলমান।[৭৫][৭৬] কমিউনিটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মতে, ইরাকি কুর্দিরা তুরস্ক এবং ইরানের কুর্দি সংখ্যাকে ছাড়িয়ে দেশের বৃহত্তম কুর্দি গোষ্ঠী তৈরি করে।[৭৭]
আরব
সম্পাদনাব্রিটেনে আরব বংশোদ্ভূত লোকেরা সাধারণত ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, জর্ডান, মিশর ও ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনে আগমনকারী আরব অভিবাসীদের বংশধর। যুক্তরাজ্যের প্রধান আরব মুসলিম সম্প্রদায়গুলি বৃহত্তর লন্ডন অঞ্চলে বাস করে। ম্যানচেস্টার, লিভারপুল এবং বার্মিংহামে অল্প সংখ্যক বসবাস করে। এছাড়াও কার্ডিফ এবং নিউক্যাসলের কাছে সাউথ শিল্ডস এলাকায় যুক্তরাজ্যের মুসলিম ইয়েমেনিদের বিশাল এবং খুব দীর্ঘ-স্থায়ী একটি সম্প্রদায় রয়েছে।
২০০১ সালে ইউকে আদমশুমারি ৩২,২৩৬ ইরাকি বংশোদ্ভূত বাসিন্দা রেকর্ড করেছিল[৭৮] এবং অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অনুমান করেছিল যে, ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রায় ৬৫,০০০-এ পৌঁছেছিল।[৭৯] ইরাকি দূতাবাসের অনুমান অনুসারে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ইরাকি জনসংখ্যা প্রায় ৩৫০,০০০-৪৫০,০০০।[৮০]
আফ্রিকান
সম্পাদনামাগরেবি
সম্পাদনাযদিও তথ্য ও অনুসন্ধানগুলি ইঙ্গিত করে যে, মরো মাগরেবিরা (পশ্চিম আফ্রিকান) ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায় তৈরি করে এবং ব্রিটেনের সাথে মাগরেবিদের দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, তা সত্ত্বেও ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেনের তুলনায় ব্রিটেনে মাগরেবিদের সংখ্যা অনেক কম।[৮১]
নাইজেরিয়ান
সম্পাদনা২০০৯ সালের একটি সরকারী কাগজে যুক্তরাজ্যে নাইজেরিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা ১২,০০০ থেকে ১৪,০০০ জন অনুমান করা হয়েছিল।[৮২] সম্প্রদায়টি লন্ডনে কেন্দ্রীভূত।
যুক্তরাজ্যে নাইজেরিয়ান মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে নাইজেরিয়া মুসলিম ফোরাম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সংগঠন।[৮৩]
সোমালি
সম্পাদনা২০০১ সালে যুক্তরাজ্য ৪৩,৫৩২ জন সোমালি,[৮৪] এবং ২০০৮ সালে আনুমানিক ১০১,০০ জন[৮৫] সোমালির আবাস্থল হিসেবে এটিইউরোপে তাদের বৃহত্তম আবাস্থল।[৮৬] প্রথম সোমালি অভিবাসীরা ছিল নাবিক ও ব্যবসায়ী, যারা ১৯ শতকের শেষের দিকে বন্দর শহরগুলিতে অল্প সংখ্যায় আগমন করেছিল।[৮৬] বর্তমান প্রতিষ্ঠিত সোমালি সম্প্রদায়গুলি ব্রিস্টল, কার্ডিফ, লিভারপুল এবং লন্ডনে পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক আগমনকারী সম্প্রদায়গুলি লিসেস্টার, ম্যানচেস্টার এবং শেফিল্ডে বসবাস করে।[৮৭][৮৮][৮৯][৯০]
শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়
সম্পাদনাটমাস কিথ ছিলেন একজন স্কটিশ সৈনিক যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদিনার গভর্নর হন।[৯১] আবদুল্লাহ কুইলিয়াম ছিলেন ১৯ শতকের একজন প্রভাবশালী ইংরেজ, যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং লিভারপুলে দেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তিনি স্থানীয়ভাবে ট্রেড ইউনিয়নবাদ এবং বিবাহবিচ্ছেদ আইন সংস্কারের পক্ষে তার কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন এবং সেই সুবাদে লিভারপুলের আরো বেশি লোককে তিনি ইসলাম গ্রহণে রাজি করেছিলেন।[৯২]
শাখা- প্রশাখা
সম্পাদনা২০১৭ সালে বার্টেলসম্যান স্টিফটাং ফাউন্ডেশনের একটি জরিপে দেখা গেছে যে, ব্রিটিশ মুসলমানদের মধ্যে ৭৫% সুন্নি এবং ৪% শিয়া ইসলামের অনুসারী।[৯৪] ইন্সটিটিউট ফর ইহুদি পলিসি রিসার্চ (জেপিআর) এর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে একটি জরিপে দেখা গেছে যে ব্রিটিশ মুসলমানদের মধ্যে ৭৭% সুন্নি, ৫% শিয়া, ১% আহমদিয়া এবং ৪% অন্যান্য সম্প্রদায়ের সদস্য। ১৪% ব্রিটিশ মুসলমান বলেছেন যে, তারা সমীক্ষার উত্তর জানেন না বা তারা এতে অংশ নিতে অস্বীকার করেছেন।[৯৫]
২০১৭ সালের জরিপে যুক্তরাজ্যের মসজিদ এবং নামাজঘরসমূহ ৪১.২% দেওবন্দী, ২৩.৭% ব্রেলভী, ৯.৪% সালাফি, ৫.৯% শিয়া (ইসনা আশারিয়া, বোহরা, ইসমাইলি) প্রভাবাধীন এবং ৭.৪% অ-সাম্প্রদায়িক।[৯৬]
সুন্নি
সম্পাদনা২০১৫ সালে দ্য ইকোনমিস্ট জানিয়েছিল যে, যুক্তরাজ্যে ২.৩ মিলিয়ন সুন্নি মুসলিম আছে।[৯৭] ২০১৭ সালে ব্রিটিশ সুন্নিদের মধ্যে ৬৬.৭% ছিল অ-সাম্প্রদায়িক সুন্নি, ৫.৯% ব্রেলভী, ৫.০% সালাফি, ৪.১% দেওবন্দী এবং ১৮.৩% সুন্নি ইসলামের অন্যান্য শাখার অনুসারী।[৯৮] দেওবন্দী বেরেলভি এবং সালাফীসহ বেশিরভাগ ব্রিটিশ মসজিদ সুন্নি। ২০১০ সালে মসজিদগুলির অধিভুক্তি ছিল: ৪৫.৬% দেওবন্দী, ২৯.২% বেরেলভী এবং অন্যান্য সুফি, ৫.১৬% সালাফী এবং সেখানে ৪.২% শিয়া (৪%)। মসজিদ কর্তৃপক্ষের অধিকাংশই পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তবে কিছু গুজরাটি, আরব, তুর্কি এবং সোমালি বংশোদ্ভূতও আছেন।[৯৯]
শিয়া
সম্পাদনা২০১৫ সালে দ্য ইকোনমিস্ট জানিয়েছে যে যুক্তরাজ্যে ৪০০,০০০শিয়া ছিল।[৯৭] শিয়া মসজিদগুলি সাধারণত ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের হয়। তবে কিছু জায়েদি ও ইসমাইলি সম্প্রদায়ের হয়েও কাজ করে[১০০]। প্রসিদ্ধ শিয়া মসজিদের মধ্যে রয়েছে: স্ট্যানমোরে হুসেইনি ইসলামিক সেন্টার, লুটনের মসজিদ-ই-আলি, ইলিং-এর মসজিদে হুসেইনি এবং ব্রেন্টের কুইন্স পার্কের ইমাম খোই ইসলামিক সেন্টার। সারাদেশের মধ্যে ম্যানচেস্টার, বার্মিংহাম এবং লন্ডনে সবচেয়ে বেশি শিয়া বাসিন্দা রয়েছে।
সমাজব্যবস্থা
সম্পাদনাঅর্থনীতি
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারির উপর ভিত্তি করে একটি বিশ্লেষণ অনুসারে যুক্তরাজ্যের মুসলমানরা নিম্নমানের আবাসন, শিক্ষায় নিম্নমানের সম্মুখীন এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে [১০১] এবং যুক্তরাজ্যে মুসলমানদের বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে তারা সবচেয়ে দূর্বল স্বাস্থ্য, অক্ষমতা এবং সবচেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী।[১০২] এই পরিসংখ্যান কিছু পরিমাণে সত্য হলে, তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল যে, আদমশুমারিতে অংশ নেওয়া মুসলমানরা সবচেয়ে কম বয়সের এবং সবচেয়ে কম সুপ্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠী ছিল। [১০২] ব্রিটিশ মুসলিম কাউন্সিলের ২০১৩ সালের মূল্যায়ন অনুসারে এটি অনুমান করা হয়েছিল যে, লন্ডনে ১০,০০০ জনেরও বেশি মুসলিম মিলিয়নেয়ার এবং ১৩,৪০০ টি মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসা রয়েছে। যা ৭০ হাজারেরও বেশি চাকরি তৈরি করেছে। [১০৩]
শিক্ষা
সম্পাদনা২০১৮ সালে ৩৪% ব্রিটিশ মুসলমানের ডিগ্রি স্তরের যোগ্যতা ছিল। ১৩ শতাংশ মুসলমানের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না, যা অন্য সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর চেয়ে বেশি। [১০৪] ২০০৬ সালে একটি রিপোর্টে পাওয়া যায় যে, প্রায় ৫৩% ব্রিটিশ মুসলিম যুবক ভর্তি হওয়ার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছে। [১০৫] এটি খ্রিস্টানদের (৪৫%) এবং অ-ধর্মীয়দের (৩২%) তুলনায় বেশি হলেও হিন্দু (৭৭%) এবং শিখদের (৬৩%) তুলনায় কম। [১০৫]
যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৮৪টি মুসলিম স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে ২৮টি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। [১০৬] ২০০৮ সালে রোমান ক্যাথলিক স্কুলের ৭২.৮% এবং ধর্মনিরপেক্ষ স্কুলগুলির ৬৪.৫% এর পরিসংখ্যানের বিপরীতে ৮৬.৫% মুসলিম স্কুলে পড়া ছাত্র GCSE অর্জন করেছিল। [১০৭] ২০১৯ সালে চারটি ইসলামিক স্কুল ইংল্যান্ডের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির মধ্যে শীর্ষ দশে ছিল, যার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাইস্কুল । [১০৮] তবে কিছু ইসলামিক স্কুলের বিরুদ্ধে ইসলামের চরমপন্থী সংস্করণ প্রচারের অভিযোগও আনা হয়েছে। [১০৯]
রাজনীতি
সম্পাদনামুসলিমরা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক জীবনে ক্রমবর্ধমানভাবে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। [১১০] ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ১৯ জন মুসলিম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন [১১১] এবং পার্লামেন্টে ১৯ জন মুসলিম সহকর্মী রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রিটিশ মুসলমানরা সাধারণত লেবার পার্টিকে ভোট দেয়। [১১২][১১৩]
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে ১৫ জন মুসলিম এমপি (১২ জন লেবারপার্টি এবং ৩ কনজারভেটিভ থেকে) নির্বাচিত হয়েছিলেন যা ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ১৩ জন মুসলিম এমপি থেকে বেশি। [১১৪] ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১৯ জন মুসলিম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন (১৫ জন লেবারপার্টি এবং ৪ জন কনজারভেটিভ থেকে)। [১১৫][১১৬]
যদিও শরিয়া আইন ব্রিটিশ আইনী ব্যবস্থার অংশ নয়, তবে বেশ কিছু ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের পারস্পরিক বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে শরিয়া আইনের ব্যবহারকে সমর্থন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ রোয়ান উইলিয়ামস ( ইংল্যান্ডের চার্চের প্রধান) ইসলাম এবং ইংরেজি আইনের উপর রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসে বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতায় তিনি কিছু পরিস্থিতিতে শরিয়া আইন ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন।
এর বেশ কয়েক মাস পরে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি লর্ড ফিলিপস এই ধারণাটিকে সমর্থন করেছিলেন যে, শরিয়াকে যুক্তিসঙ্গতভাবে "মধ্যস্থতা বা বিরোধ নিষ্পত্তির বিকল্প ভিত্তি হিসাবে নিযুক্ত করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পারিবারিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে শরিয়া আইন গ্রহণ করা এবং আমাদের সিস্টেম ইতিমধ্যেই আর্চবিশপের পরামর্শকে মানিয়ে নেওয়ার দিকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।" [১১৭] ২০১৪ সালের মার্চে আইন সমিতি মুসলিম পরিবারের মধ্যে বিবাদ মোকাবেলা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত শরিয়া আদালতের নেটওয়ার্কের জন্য কীভাবে শরিয়া-সম্মত উইলের খসড়া তৈরি করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে। [১১৮] পরবর্তীতে বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিচার সচিব ক্রিস গ্রেলিং -এর সমালোচনার পর নির্দেশিকাটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। [১১৯]
মিডিয়া
সম্পাদনাব্রিটিশ মুসলিম টিভি, মুসলিম টেলিভিশন আহমদিয়া ইন্টারন্যাশনাল (এমটিএ ইন্টারন্যাশনাল),[১২০][১২১] উম্মাহ চ্যানেল,[১২২] আহলেবাইত টিভি ও ফাদাকসহ যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি ইসলামিক টেলিভিশন চ্যানেল কাজ করছে।
ব্রিটিশ মুসলমানরা বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থায় বিশেষ অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে। উল্লেখযোগ্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছেন মেহেদি হাসান, তিনিদ্য হাফিংটন পোস্টের যুক্তরাজ্য সংস্করণের রাজনৈতিক সম্পাদক [১২৩] এবং আল জাজিরা ইংরেজির বিশেষ অনুষ্ঠান "দ্য ক্যাফে" এবং "হেড টু হেড" এর উপস্থাপক ; [১২৪] মিশাল হোসেন, তিনি বর্তমানে বিবিসির একজন ব্রিটিশ সংবাদ উপস্থাপক; রাগেহ ওমার, তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং বিবিসি উইকেন্ড নিউজ, আইটিভি এবং আল জাজিরা ইংলিশের একজন প্রতিবেদক/উপস্থাপক;[১২৫] ফয়সাল ইসলাম, তিনি চ্যানলে 4 নিউজের সংবাদদাতা ও অর্থনীতি সম্পাদক। [১২৬]
- অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিটিশ মুসলিম। এটি ব্রিটিশ মুসলমানদের প্রাচীনতম সংগঠন। ১৮৮৯ সালে আবদুল্লাহ কুইলিয়াম কর্তৃক প্রথমে ইংলিশ ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন নামে তৈরি করা হয়েছিল। [৩৪][১২৭]
- মুসলিম আইনজীবীদের সংগঠন
- ব্রিটিশ মুসলিম ফোরাম
- সিভিল সার্ভিস ইসলামিক সোসাইটি
- দারু-আল-মোমেনীন
- ইউরোপের ইসলামিক ফোরাম
- ব্রিটেনের ইসলামিক পার্টি
- ব্রিটেনের ইসলামিক সোসাইটি
- মিনহাজ-উল-কুরআন ইউ.কে
- মসজিদ ও ইমাম জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ড
- ব্রিটেনের মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন
- ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল
- মুসলিম এডুকেশনাল ট্রাস্ট
- গ্রেট ব্রিটেনের মুসলিম পার্লামেন্ট
- মুসলিম পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি ইউকে
- মুসলিম সেফটি ফোরাম
- সুফি মুসলিম কাউন্সিল
- দ্য ইয়াং মুসলিম ইউকে
- ইউকে ইসলামিক মিশন
- বিশ্ব ইসলামিক মিশন
- তরুণ মুসলিম সংগঠন
- আহমদিয়া মুসলিম সমিতি[৬]
ধর্ম অনুশীলন
সম্পাদনাধর্মান্তরকরণ
সম্পাদনাঅনুমান করা হয় যে, বছরে প্রায় ৫৫২০ জন মানুষ ব্রিটেন ইসলাম গ্রহণ করে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০০,০০০ জন ব্রিটিশ নাগরিক ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ পুরুষদের জন্য কারাগার ধর্মান্তরের একটি উর্বর ভূমি প্রমাণিত হয়েছে। কারাগারের জনসংখ্যার প্রায় ১৩% বা ১১,০০০ জনেরও বেশি বন্দী মুসলমান, যা সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় অসামঞ্জস্যপূর্ণরূপে বেশি। [১২৮] যুক্তরাজ্যের কারাগারবন্দী জনসংখ্যায় মুসলমানদের অনুপাত ২০০২ সালে ৮% থেকে ২০১৬ সালে তা বেড়ে ১৩% হয়েছে। [১২৯] ২০১০ সালে কারাগারের প্রধান পরিদর্শকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, সাক্ষাৎকার নেওয়া মুসলিম বন্দীদের মধ্যে ৩০% কারাগারে থাকাকালীন ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে কিছু "সুবিধাজনক মুসলিমও" ছিলেন যারা শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য উপলব্ধ সুবিধা পাওয়ার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। [১৩০] দেশের মসজিদগুলিকে সাধারণত জাতিগত জমায়েত হিসাবে দেখা হয়, যা নতুন ধর্মান্তরিতদের স্বাগত জানায় না। তবে সাম্প্রতিক ধর্মান্তকরণে মসজিদগুলিরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। [১২৮]
চরমপন্থী মতাদর্শ
সম্পাদনা২০১৭ সালের জুনে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছিলেন যে, সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলির সাথে কঠিন কথোপকথন শুরু করা প্রয়োজন, যারা চরমপন্থী মতাদর্শকে অর্থায়ন করেছে এবং ইন্ধন দিয়েছে৷[১৩১][১৩২] পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র টম ব্রেক বলেন যে, সৌদি আরব ইসলামের ওয়াহহাবিয়া ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে যুক্তরাজ্যের শত শত মসজিদকে অর্থায়ন করে। [১৩৩]
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অলিভিয়ার রয় যুক্তি দেন যে, অধিকাংশ ইসলামী জিহাদিরা মৌলবাদী হয় এবং এর ফলে তারা মৌলবাদী ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হয়। [১৩৪] তার সহকর্মী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গিলস কেপেল যুক্তি দেন যে, জিহাদিরা সহিংসতা বেছে নেওয়ার আগে সালাফি মতাদর্শের দ্বারা উগ্রবাদী হয়। [৬] লন্ডনের কয়েকটি মসজিদের কিছু ধর্মপ্রচারক এমন মুসলিম ছেলেদের সন্ধান করেন, যাদের কাছে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই এবং তাদের উগ্রপন্থা ও জিহাদবাদের পথে পরিচালিত করেন বলে অভিযোগ করা হয়। [১৩৫]
বৃহত্তর সমাজের সাথে সম্পর্ক
সম্পাদনামনোভাব
সম্পাদনা২০১৯ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ব্রিটেনের ৭৮% মুসলমানদের প্রতি সমাজের অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি এবং ১৮% মুসলমানদের প্রতি প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এটি ইউরোপে মুসলিমদের প্রতি সবচেয়ে অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। [১৩৬] তাছাড়া ব্রিটিশ মিডিয়া মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে ইসলামোফোবিক কুসংস্কারে ইন্ধন দেওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে। [১৩৭] ২০০৯ সালে গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে যে, মুসলিম সম্প্রদায় সমগ্র ব্রিটিশ জনগণের তুলনায় ব্রিটেন সম্পর্কে নিজেদের বেশি দেশপ্রেমিক বোধ করে বলে দাবি করেছে।[১৩৮][১৩৯] অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, মুসলমানরা দাবি করে যে, তারা ব্রিটিশ খ্রিস্টানদের চেয়েও বেশি ব্রিটিশদের মাঝে খ্রিস্টান ধর্মের ভূমিকাকে সমর্থন করে। [১৪০] ২০১০ সালে "ব্রিটিশ সামাজিক মনোভাব" সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, "সাধারণ জনগণ অন্য যেকোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি"। তাদের চারজনের মধ্যে মাত্র একজন ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক অনুভূতি পোষণ করে এবং তাদের এলাকায় একটি মসজিদ নির্মিত হলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ উদ্বিগ্ন হবে বলে মত দেয়। যেখানে ব্রিটেনের মাত্র ১৫% লোক একটি গির্জা খোলার বিষয়ে অনুরূপ দ্বিধা প্রকাশ করেছে। [১৪১]
২০১৭ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষা যুক্তরাজ্য জুড়ে মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধিতা প্রকাশ করেছে। চ্যাথাম হাউস কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে ৪৭% লোক মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে। উপরন্তু ৫৫% ব্রিটিশ বিশ্বাস করে যে, ইসলাম ও ব্রিটিশ সমাজের মূল্যবোধের মধ্যে একটি মৌলিক সংঘর্ষ রয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন জরিপেও দেখা গেছে যে, ইউরোপের প্রায় অধিকাংশ নাগরিকের মধ্যেই এমন মনোভাব রয়েছে। [১৪২] ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায় ইঙ্গিত করা হয় যে, মুসলিম দেশগুলির অভিবাসীরা অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের তুলনায় ব্রিটিশ সমাজে কম একীভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। [১৪৩] অন্য একটি জরিপে প্রকাশ করা হয়েছে যে, ২৮% ব্রিটিশ মুসলমান আশা করেছিল যে, ব্রিটেন একদিন একটি ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং ৫২% তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছিল। ২০% কোনো মতামত দেয়নি। [১৪৪]
২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে প্রায় ৮১% মুসলমান নিজেদেরকে প্রথমে মুসলিম বলে মনে করেন। এটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিতে বসবাসকারী মুসলমানদের মতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যারা জাতিরাষ্ট্রের সাথে পরিচয় না করে নিজেদেরকে প্রথমে মুসলিম বলে মনে করে। উদাহরণস্বরূপ ৮৭% পাকিস্তানি নিজেদেরকে পাকিস্তানির পরিবর্তে মুসলিম হিসাবে প্রথমে পরিচয় দেয়। [১৪৫] যাহোক, প্রায় ৮৩% মুসলমান ব্রিটিশ নাগরিক হিসাবে গর্বিত। ২০০৬ সালে ইউরোপ জুড়ে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায় যে, ইউরোপের মুসলমানদের মধ্যে ব্রিটেনের মুসলমানরা পশ্চিমাদের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, যেখানে প্রায় ৬৩% ব্রিটিশ মুসলমানদের প্রতি অনুকূল দৃষ্টি রাখে যা ইউরোপে সর্বোচ্চ[১৪৬]
ধর্মীয় ইস্যুতে ২০০৭ সালের একটি জরিপ রিপোর্ট করেছে যে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৬% বিশ্বাস করে যে, একজন মুসলিম অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। অপর একটি জরিপ রিপোর্ট করেছে যে, ৫৯% মুসলমান ব্রিটিশ আইনের অধীনে থাকতে পছন্দ করবে এবং ২৮% শরিয়া আইনের অধীনে থাকতে পছন্দ করবে। উত্তরদাতাদের ৬১% এই কথার সাথে একমত যে, সমকামিতা ভুল এবং এটি অবৈধ হওয়া উচিত। [১৪৭][১৪৮][১৪৯] ২০০৯ সালে ৫০০ জন ব্রিটিশ মুসলমানের একটি সমষ্টি কর্তৃক প্রকাশ করা হয় যে, তাদের কেউই সমকামিতাকে নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলে বিশ্বাস করে না। [১৫০] এই ধরনের জরিপগুলি সুপারিশ করে যে, ব্রিটিশ মুসলমানরা তাদের সমকক্ষীয় অন্যান্য ইউরোপীয় মুসলিমদের তুলনায় বিবাহবহির্ভূত যৌন কার্যকলাপ বা সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত বিষয়ে দৃঢ়ভাবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।[১৫০]
২০১৩ সালের ১৮ মে সমকামী বিবাহকে বৈধ করার বিলটি যখন আইনে পাস করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তখন সারাদেশের প্রধান প্রধান শিক্ষক এবং মসজিদের সিনিয়র প্রতিনিধিসহ ৪০০ জনেরও বেশি নেতৃস্থানীয় মুসলমান এই বিলের বিরোধিতা করে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছিলেন। এতে বলা হয় যে,"এই বিল পাস হলে মুসলিম বাবা-মায়েদের নিজেদের বিশ্বাস ও রীতি অনুযায়ী সন্তানদের বড় করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। কারণ সমকামী সম্পর্ককে তাদের প্রাথমিক বয়সী শিশুদের কাছে স্বাভাবিক কিছু হিসাবে শেখানো হবে"। [১৫১]
সংস্কৃতি
সম্পাদনা২০১৩ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ৪০ জন মুসলিম খেলোয়াড় ছিল, যখন ১৯৯২ সালে মাত্র একজন ছিল। তখন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরষ্কারপ্রাপ্তদের শ্যাম্পেনের বোতল দেওয়া হয়েছিল, (যা ইসলামে নিষিদ্ধ) তাই মুসলিম খেলোয়াড় ইয়ায়া তোরে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে শ্যাম্পেন বাদ দেওয়া হয়েছিল। অনুরূপ আচরণ দেখা যায় ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের দুইজন বিখ্যাত মুসলিম খেলোয়াড় মঈন আলী ও আদিল রশিদের ক্ষেত্রে। ফুটবল খেলতে থাকা মুসলিম শিশুদের দেখা গেছে যে, গোল করার পর তারা হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করছে, যা মুসলিম ক্রিকেটার ও ফুটবলারদের একটি সাধারণ অভ্যাস। [১৫২]
ইসলামফোবিয়া
সম্পাদনা২০১০ সালের জানুয়ারিতে 'ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের' ইউরোপীয় মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ইউরোপে মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষমূলক অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে "মৃত্যুর হুমকি" এবং হত্যা থেকে শুরু ক্রমাগত নিম্ন স্তরের হামলাও, যেমন: থুতু নিক্ষেপ করা ও বিকৃত নামে আহ্বান করা। [১৫৩][১৫৪][১৫৫] পুলিশের পরিসংখ্যানে ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মুসলিম বিরোধী অপরাধ ৮.৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল বলে জানানো হয়। তবে ২০১৩ সালে লি রিগবি হত্যার কারণে তা বৃদ্ধি পায়। [১৫৬]
ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (EDL) উত্থানের ফলে বিশাল মুসলিম জনসংখ্যা বসবাসকারী শহরগুলিতে বিক্ষোভ হয়েছিল। [১৫৭][১৫৮][১৫৯][১৬০][১৬১] EDL হল একটি ডানপন্থী ইসলাম বিরোধী দল। [১৫৮][১৫৯][১৬২][১৬৩][১৬৪] যারা যুক্তরাজ্যে ইসলামবাদ,শরিয়া আইন এবং ইসলামি চরমপন্থার প্রসারের বিরোধিতা করে আন্দোলন করে। [১৬৫][১৬৬][১৬৭][১৬৮][১৬৯] গ্রুপটি ইউনাইট এগেইনস্ট ফ্যাসিজম (ইউএএফ) এবং অ্যানিনিমাস সমর্থকসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং পরবর্তীতে এটি মুসলমানদেরও হয়রানি করেছে। [১৭০][১৭১][১৭২]
উল্লেখযোগ্য মুসলিম ব্যক্তিবর্গ
সম্পাদনারাজনীতি
সম্পাদনা- ওয়াকার আজমি (আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপে ইইউ রাষ্ট্রদূত)।
- সাদিক খান (লন্ডনের মেয়র)।
ধর্মীয়
সম্পাদনা- ইয়াসির আল-হাবিব, দ্য লেডি অফ হেভেন চলচ্চিত্রের লেখক।
- আল্লামা কামারুজ্জামান আজমী, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক মিশনের নেতা।
- হাজী খালিদ আত্তারী, দাওয়াত-ই-ইসলামী যুক্তরাজ্যের নেতা।
- আল-মুস্তফা সেন্টারের শায়খ মুহাম্মদ আল-ইয়াকুবি।
- ম্যানচেস্টার সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ আরশাদ মিসবাহী।
- শেখ আবদুল কাইয়ুম, ইস্ট লন্ডন মসজিদের প্রধান ইমাম।
- আবু ইউসুফ রিয়াদ উল হক, বার্মিংহাম সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব।
- ফয়েজ-উল-আকতাব সিদ্দিকী, হিজাজ কলেজের অধ্যক্ষ।
- আজমল মসরুর, ইমাম ও রাজনীতিবিদ।
- টিমোথি উইন্টার, কেমব্রিজ মুসলিম কলেজের ডিন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডিজ পরিচালক
মানবপ্রীতি
সম্পাদনা- মুসলিম চ্যারিটি ও জামিয়া আল-কারমের পীরজাদা মুহাম্মদ ইমদাদ হোসেন।
- মুহাম্মদ আব্দুল বারী, মুসলিম এইডের সেক্রেটারি।
ক্রীড়া
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য মসজিদ
সম্পাদনা- শাহজাহান মসজিদ, ওয়াকিং। এটি ব্রিটেনের প্রথম মসজিদ।
- ফজল মসজিদ। এটি লন্ডনের প্রথম মসজিদ।
- বায়তুল ফুতুহ মসজিদ, লন্ডন। এটি ব্রিটেনের বৃহত্তম মসজিদ।
- কেমব্রিজ সেন্ট্রাল মসজিদ, কেমব্রিজ। এটি ইউরোপের প্রথম পরিবেশ-বান্ধব মসজিদ এবং কেমব্রিজ শহরে নির্মিত প্রথম মসজিদ।
- মোবারক মসজিদ, টিলফোর্ড। এটি আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর।
- ঘামকোল শরীফ মসজিদ, বার্মিংহাম।
- ম্যানচেস্টার সেন্ট্রাল মসজিদ, ম্যানচেস্টার।
- মদিনা মসজিদ, শেফিল্ড।
- গ্রীন লেন মসজিদ, বার্মিংহাম।
- মারকাজি মসজিদ, ডিউসবুরি। এটি তাবলিগী জামাতের সদর দফতর [১৭৩]
- আল-রাহমা মসজিদ, লিভারপুল।
- জামিয়া মসজিদ, রোদারহাম।
- জামে মসজিদ, প্রেস্টন।
- বার্মিংহাম সেন্ট্রাল মসজিদ, বার্মিংহাম।
- ইস্ট লন্ডন মসজিদ, লন্ডন।
- লিডস গ্র্যান্ড মসজিদ, লিডস।
- ফিন্সবেরি পার্ক মসজিদ, লন্ডন।
- অ্যাবে মিলস মসজিদ, লন্ডন
- গ্লাসগো কেন্দ্রীয় মসজিদ, গ্লাসগো।
- হুসাইনি ইসলামিক সেন্টার,স্ট্যানমোর,লন্ডন।
দেওবন্দি ইসলামি স্কুল
সম্পাদনাযুক্তরাজ্যে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জেনারেল শিক্ষার সাথে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যীয় মুসলমানগণ কয়েকটি ইসলামি স্কুল প্রতিষ্ঠান করেছে। এসব স্কুল ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যীয় শিক্ষা সিলেবাসের সকল বই পড়ানো হয় এবং শিক্ষার্থীরা বাধ্যতামূলক সব কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। যুক্তরাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে এসব ইসলামি স্কুল বেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে এসব স্কুল দেওবন্দি ধারাকে অনুসরণ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫০০ এর অধিক ছাত্র লেখাপড়া করে। কিছু প্রসিদ্ধ দেওবন্দি স্কুল হল:
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Religious Composition by Country, 2010-2050"। পিউ রিসার্চ সেন্টার। ১২ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ CT0341_2011 Census - Religion by ethnic group by main language - England and Wales ONS.
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;estimation
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "2011 Census: Quick Statistics"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৪।
- ↑ Hackett, Conrad। "5 facts about the Muslim population in Europe"। Pew Research Center (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Muslim population in the UK - Office for National Statistics"। www.ons.gov.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "2011 Census: KS209EW Religion, local authorities in England and Wales (Excel sheet 270Kb)"। Office for National Statistics। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল (xls) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Scotland's Census 2011 – National Records of Scotland Table KS209SCa – Religion (UK harmonised)" (পিডিএফ)। National Records of Scotland। ১০ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Religion – Full Detail: QS218NI"। Northern Ireland Statistics and Research Agency। ১০ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (xls) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ UK Masjid Statistics ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে Muslims In Britain (18 August 2010)
- ↑ Shaw, Alison (৪ এপ্রিল ২০১১)। "Review of Crime and Muslim Britain: Culture and the Politics of Criminology among British Pakistanis by Marta Bolognani"। Oxford Journals: 288–291। ডিওআই:10.1093/jis/etr020।
- ↑ Muslims in Britain: an Introduction, Cambridge: Cambridge University Press, pp.xvii + 318, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৮৩০০৬-৫
- ↑ Nye, Catrin (৪ জানুয়ারি ২০১১)। "The white Britons converting to Islam"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ 'UK Census: religion by age, ethnicity and country of birth' উইকিউইক্সে আর্কাইভকৃত ৬ মে ২০১৬ তারিখে 16 May 2013, Ami Sedghi, The Guardian
- ↑ Muslim population 'rising 10 times faster than rest of society' 30 January 2009, Richard Kerbaj, The Sunday Times
- ↑ "Offa Dinar"। British Museum। ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Brotton, Jerry (২১ মার্চ ২০১৬)। "The First Muslims in England"। BBC News। ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ Junie T. Tong (২০১৬)। Finance and Society in 21st Century China: Chinese Culture Versus Western Markets। CRC Press। পৃষ্ঠা 151। আইএসবিএন 978-1-317-13522-7।
- ↑ Indrajit Ray (২০১১)। Bengal Industries and the British Industrial Revolution (1757-1857)। Routledge। পৃষ্ঠা 7–10। আইএসবিএন 978-1-136-82552-1।
- ↑ ক খ David Motadel (2014), Islam and the European Empires, page 267, Oxford University Press
- ↑ C.E. Buckland, Dictionary of Indian Biography, Haskell House Publishers Ltd, 1968, p.217
- ↑ Alam, Shahid (১২ মে ২০১২)। "For casual reader and connoisseur alike"। দ্য ডেইলি স্টার।
- ↑ Fisher, Michael Herbert (২০০৬)। Counterflows to Colonialism। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 111–9, 129–30, 140, 154–6, 160–8, 181। আইএসবিএন 81-7824-154-4।
- ↑ "Curry house founder is honoured"। BBC। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৫। ১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ ক খ Fisher, Michael H. (২০০৪)। Counterflows to Colonialism: Indian Travellers and Settlers in Britain, 1600-1857। Permanent Black। পৃষ্ঠা 140, 154–6, 160–8, 172। আইএসবিএন 978-81-7824-154-8।
- ↑ Ansari, Humayun (২০০৪)। The Infidel Within: The History of Muslims in Britain, 1800 to the Present। C. Hurst & Co. Publishers। পৃষ্ঠা 35। আইএসবিএন 1-85065-685-1।
- ↑ Robinson-Dunn, Diane (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Lascar Sailors and English Converts: The Imperial Port and Islam in late 19th-Century England"। Seascapes, Littoral Cultures, and Trans-Oceanic Exchanges। ২ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Coolies, Capital and Colonialism: Studies in Indian Labour History। Cambridge University Press। ২০০৬। পৃষ্ঠা 114। আইএসবিএন 978-0-521-69974-7।
- ↑ Ansari, Humayun (২০০৪)। The Infidel Within: The History of Muslims in Britain, 1800 to the Present। C. Hurst & Co. Publishers। পৃষ্ঠা 37। আইএসবিএন 1-85065-685-1।
- ↑ The 'forgotten' army of 400,000 Muslim soldiers who fought for British freedom in World War I ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে, Daily Mirror, 9 January 2017
- ↑ Ziauddin Sardar (2012), Critical Muslim 2: The Idea of Islam, page 131, Oxford University Press
- ↑ ক খ Ibrahim, Dr Azeem; Policy, ContributorSenior Fellow at the Center for Global (২৪ এপ্রিল ২০১৪)। "How Muslims Won the Second World War"। HuffPost।
- ↑ Leonard, Thomas M. (৮ আগস্ট ২০০৫)। Encyclopedia of the Developing World। Psychology Press। আইএসবিএন 9781579583880 – Google Books-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Sardais, Louise (আগস্ট ২০০৩)। "The 'little mosque'"। BBC। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Liverpool Mosque and Muslim Institute"। Open University। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ Khizar Humayun Ansari, 'Ali, Abdullah Yusuf (1872–1953)', Oxford Dictionary of National Biography, Oxford University Press, Oct 2012; online edn, Jan 2013 accessed 6 February 2020
- ↑ "East London Mosque - London Muslim Centre"। East London Mosque। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ MariaCaterina La Barbera (2014), Identity and Migration in Europe: Multidisciplinary Perspectives, page 230, Springer Science+Business Media
- ↑ Richard D. Hecht, Vincent F. Biondo (2010), Religion and Everyday Life and Culture, page 859, ABC-CLIO
- ↑ Muslim Migration to Europe ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুলাই ২০১৭ তারিখে, University of Minnesota, 17 June 2015
- ↑ How migrants helped make the NHS ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মে ২০১৪ তারিখে, The Guardian, 18 June 2008
- ↑ "The battle over mosque reform" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;BRIN
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;2011census
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Muslim population in the UK - Office for National Statistics"।
- ↑ Gilliat-Ray, Sophie (২০১০)। Muslims in Britain। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 117। আইএসবিএন 9780521536882।
- ↑ Rudgard, Olivia (২৯ নভেম্বর ২০১৭)। "Muslim population of the UK could triple to 13m following 'record' influx"। The Telegraph। আইএসএসএন 0307-1235। ১২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "2011 Census: Religion, local authorities in England and Wales"। United Kingdom Census 2011। Office for National Statistics। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল (xls) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ ক খ গ "Office for National Statistics (ONS) – ONS"। statistics.gov.uk। ১৮ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "2001 Census Profiles: Bangladeshis in London" (পিডিএফ)। Greater London Authority। ৭ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৪।
- ↑ Ahmed, Abdul-Azim; Ali, Mansur (২০১৯)। "In Search of Sylhet—The Fultoli Tradition in Britain": 572। ডিওআই:10.3390/rel10100572 ।
- ↑ M. Jawed Iqbal; Mufti Ebrahim Desai (৯ জুন ২০০৭)। "Inviting to Islam"। Ask Imam। ১৫ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "Draft Constitution by Hizb ut-Tahrir"। The Media office of Hizb-ut-Tahrir। ৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "Compendium of Muslim texts – Volume 3, Book 48, Number 819"। University of Southern California। ১ মে ১৯৯৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "Bangladeshi Diaspora in the UK: Some observations on socio-culturaldynamics, religious trends and transnational politics" (পিডিএফ)। University of Surrey। ১১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০০৮।
- ↑ "bdirectory: Islamist politics among Bangladeshis in the UK"। David Garbin – Cronem, University of Surrey। ১২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "East London Mosque and London Muslim Centre"। East London Mosque। ২৬ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "Bangladeshis in east London: from secular politics to Islam"। Delwar Hussain – openDemocracy: free thinking for the world। ৩০ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০০৮।
- ↑ International Organization for Migration (২০০৭)। "Iraq: Mapping exercise" (পিডিএফ)। International Organization for Migration। পৃষ্ঠা 5। ১৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১০।
- ↑ Travis, Alan (১ আগস্ট ২০১১)। "UK immigration analysis needed on Turkish legal migration, say MPs"। The Guardian। London। ২ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১১।
- ↑ Essex County Council। "An Electronic Toolkit for Teachers: Turkish and Turkish Cypriot Pupils" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১১।
- ↑ Yilmaz, Ihsan (২০০৫)। Muslim Laws, Politics and Society in Modern Nation States: Dynamic Legal Pluralisms in England, Turkey and Pakistan। Ashgate Publishing। পৃষ্ঠা 153। আইএসবিএন 0-7546-4389-1।
- ↑ Ansari, Humayun (২০০৪)। The Infidel Within: Muslims in Britain since 1800। C. Hurst & Co. Publishers। পৃষ্ঠা 151। আইএসবিএন 978-1-85065-685-2।
- ↑ Sonyel 2000
- ↑ BBC। "Turkish today by Viv Edwardss"। ২৫ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ Cassia 2007
- ↑ Issa, Tözün (২০০৫)। Talking Turkey: the language, culture and identity of Turkish speaking children in Britain। Trentham Books। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 978-1-85856-318-3।
- ↑ Geaves, Ron (২০০১)। "The Haqqani Naqshbandi: A Study of Apocalyptic Millennnialism within Islam"। Faith in the Millennium। Sheffield Academic Press। পৃষ্ঠা 218। আইএসবিএন 1-84127-092-X।
- ↑ London Borough of Hackney। "UK Turkish Islamic Association - Aziziye Mosque"। ৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০০৮।
- ↑ London Borough of Hackney। "UK Turkish Islamic Cultural Centre / Suleymaniye Mosque"। ৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০০৮।
- ↑ Yilmaz 2005.
- ↑ Communities and Local Government 2009A
- ↑ "Turkish London"। BBC London। আগস্ট ২০০৮। ২৭ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ Begikhani, Nazand; Gill, Aisha (নভেম্বর ২০১০)। "Final Report: Honour-based Violence (HBV) and Honour-based Killings in Iraqi Kurdistan and in the Kurdish Diaspora in the UK" (পিডিএফ)। Centre for Gender and Violence Research, University of Bristol and Roehampton University। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৬।
- ↑ "Who are the Iraqi Kurds?"।
- ↑ Stephen, Mansfield (১৮ জুন ২০১২)। "Religious Neutrality In Iraqi Kurdistan"। HuffPost।
- ↑ Communities and Local Government (২০০৯)। "The Iraqi Muslim Community in England: Understanding Muslim Ethnic Communities"। Communities and Local Government। পৃষ্ঠা 35। আইএসবিএন 978-1-4098-1263-0। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Country-of-birth database"। Organisation for Economic Co-operation and Development। ১৭ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Estimated population resident in the United Kingdom, by foreign country of birth (Table 1.3)"। Office for National Statistics। সেপ্টেম্বর ২০০৯। ১৪ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Iraq: Mapping exercise" (পিডিএফ)। International Organization for Migration। মার্চ ২০০৭। ১৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১০।
- ↑ Inbar, Efraim; Frisch, Hillel (জানুয়ারি ২০০৮)। Radical Islam and International Security: Challenges and Responses। আইএসবিএন 9780415444606।
- ↑ Change Institute (এপ্রিল ২০০৯)। "The Nigerian Muslim Community in England: Understanding Muslim Ethnic Communities" (পিডিএফ)। Communities and Local Government। পৃষ্ঠা 23–24। ৩১ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Nigeria Muslim Forum – Nigeria Muslim Forum"। nmfuk.org। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Country-of-birth database"। Organisation for Economic Co-operation and Development। ১৭ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Table 1.3: Estimated population resident in the United Kingdom, by foreign country of birth, 60 most common countries of birth, January 2008 to December 2008"। Office for National Statistics। ৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ ক খ Dissanayake, Samanthi (৪ ডিসেম্বর ২০০৮)। "British Somalis play politics from afar"। BBC News। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Casciani, Dominic (৩০ মে ২০০৬)। "Somalis' struggle in the UK"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Born abroad: Somalia"। BBC News। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৫। ৩০ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Archived copy"। ৬ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০০৯।
- ↑ "Integration of the Somali Community into Europe"। Federation of Adult Education Associations। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ Burckhardt, John Lewis.
- ↑ "The British Victorians who became Muslims"। BBC। ১৯ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২২।
- ↑ Staetsky, L. Daniel (সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Antisemitism in contemporary Great Britain: A study of attitudes towards Jews and Israel" (পিডিএফ)। Institute for Jewish Policy Research। পৃষ্ঠা 47 & 59। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Muslims in Europe: Integrated but not accepted?" (পিডিএফ)। Bertelsmann Stiftung। আগস্ট ২০১৭। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Staetsky, L. Daniel (সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Antisemitism in contemporary Great Britain: A study of attitudes towards Jews and Israel" (পিডিএফ)। Institute for Jewish Policy Research। পৃষ্ঠা 47। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ https://www.muslimsinbritain.org/resources/masjid_report.pdf [অনাবৃত ইউআরএল পিডিএফ]
- ↑ ক খ "Ramadan ding-dong: Foreign conflicts stoke sectarian squabbles among British Muslims"। The Economist। ২৭ জুন ২০১৫। ২৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৫।
- ↑ Staetsky, L. Daniel (সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Antisemitism in contemporary Great Britain: A study of attitudes towards Jews and Israel" (পিডিএফ)। Institute for Jewish Policy Research। পৃষ্ঠা 59। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ UK Masjid Statistics ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে Muslims In Britain (18 August 2010).
- ↑ "Bagehot: Multicultural and aggrieved"। The Economist। ২৪ জানুয়ারি ২০১৫। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "British Muslims in Numbers" (পিডিএফ)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ John Carvel (১২ অক্টোবর ২০০৪)। "Census shows Muslims' plight"। The Guardian। London। ২৮ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০।
- ↑ "London's Mecca rich: the rise of the Muslim multi-millionaires"। standard.co.uk। ৩০ অক্টোবর ২০১৩। ২৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ "Religion, education and work in England and Wales - Office for National Statistics"। www.ons.gov.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ক খ Collins, Nick (১৪ মে ২০০৬)। "Christian and atheist children least likely to go to university"। Telegraph। London। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১১।
- ↑ "Faith schools in the UK"। Religion Media Centre (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Research briefings" (পিডিএফ)। UK Parliament। ২৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Muslim faith schools lead the pack in UK top schools list"।
- ↑ "Exposed: UK School Promoting Extreme Islam"। sky.com। ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ "Muslims and Political Participation in Britain: Conference 2012"। ed.ac.uk। ২৪ জুলাই ২০১২। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Zatat, Narjas। "A record number of British-Muslim MPs were elected to parliament in 2019. Here they are..."। alaraby (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ David Sapsted (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Most UK Muslims will vote Labour"। thenational.ae। ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Montgomerie, Tim (৪ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Junior Ministerial reshuffle rolling blog"। ConservativeHome। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "Record number of Muslim MPs elected"। The Muslim News। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Fears of Islamophobia in the UK even as record number of Muslim MPs elected"। Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "General Election 2019: new intake of Conservative MPs shifts the balance of the party in favour of youth"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sharia law 'could have UK role'"। BBC News। ৪ জুলাই ২০০৮। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০০৮।
- ↑ "Islamic law is adopted by British legal chiefs"। Telegraph.co.uk। ২২ মার্চ ২০১৪। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Bowcott, Owen (২৪ নভেম্বর ২০১৪)। "Law Society withdraws guidance on sharia wills"। The Guardian। ২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "MTA International"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "About Islam Channel"। Islam Channel website। ২৯ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ Baddhan, Lakhvinder, সম্পাদক (১২ আগস্ট ২০০৯)। "Ummah Channel replaces 9X on Sky EPG"। BizAsia.co.uk। Biz Asia। ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "Mehdi Hasan"। Huffington Post। ২ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Mehdi Hasan – Profile"। Al Jazeera। ৭ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Rageh Omaar"। itv.com। ১৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Faisal Islam"। Channel4.com। ২৯ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ Rosser-Owen, David (৩০ এপ্রিল ২০১০)। "History"। Association of British Muslims। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ ক খ "A British strand of Islam is emerging as more people become converts"। The Economist। ১৮ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ Allen & Watson (২০ এপ্রিল ২০১৭)। "Briefing Paper Number SN/SG/04334UK - Prison Population Statistics" (পিডিএফ)। House of Commons Library। পৃষ্ঠা 14। ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Whitehead, Tom (৮ জুন ২০১০)। "Prisoners converting to Islam for 'perks'"। Daily Telegraph। London। ১২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৮।
- ↑ "London Bridge attack: Jeremy Corbyn says Britain needs to have 'difficult' talks with Saudi Arabia"। ৫ জুন ২০১৭। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Jeremy Corbyn calls for 'difficult conversations' with Saudi Arabia and Gulf states over extremism funding"। ৫ জুন ২০১৭। ২৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "'Sensitive' UK terror funding inquiry may never be published"। ১ জুন ২০১৭। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Lerner, Davide (২০ আগস্ট ২০১৭)। "It's Not Islam That Drives Young Europeans to Jihad, France's Top Terrorism Expert Explains"। Haaretz। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৮।
- ↑ Malik, Nesrine (৩০ জুলাই ২০১৮)। "Behind the Isis 'Beatle' Elsheikh is a story of breakdown and despair | Nesrine Malik" – www.theguardian.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ Wike, Richard; Poushter, Jacob (১৪ অক্টোবর ২০১৯)। "EUROPEAN PUBLIC OPINION THREE DECADES AFTER THE FALL OF COMMUNISM - 6. Minority groups"। Pew Research Center। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Richardson, John E. (২০০৪)। (Mis)representing Islam: the racism and rhetoric of British broadsheet newspapers। John Benjamins Publishing Company। আইএসবিএন 90-272-2699-7।
- ↑ Ian Dunt (৭ মে ২০০৯)। "Muslims more patriotic than Brits"। Politics। ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Poll: European Muslims more patriotic than average populace"। Haaretz। Deutsche Presse-Agentur। ৭ মে ২০০৯। ২৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Nick Allen (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "79 per cent of Muslims say Christianity should have strong role in Britain"। The Daily Telegraph। ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Britain divided by Islam, survey finds"। The Daily Telegraph। ১১ জানুয়ারি ২০১০। ১৪ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "What Do Europeans Think About Muslim Immigration?"। chathamhouse.org। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ১০ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ Rogers, Joel (৪ জুন ২০১৩)। "British attitudes to integration"। YouGov। London। ১৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Attitudes to Living in Britain" (পিডিএফ)। GfK NOP Social Research। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Muslims in Europe: Economic Worries Top Concerns About Religious and Cultural Identity" (পিডিএফ)। pewglobal.org। ৬ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ Julian Borger (২৩ জুন ২০০৬)। "Poll shows Muslims in Britain are the most anti-western in Europe"। The Guardian। ২৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "radical islam" (পিডিএফ)। ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ Wilson, Graeme (২৯ জানুয়ারি ২০০৭)। "Young, British Muslims 'getting more radical'"। Telegraph। London। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ Stephen Bates and agencies (২৯ জানুয়ারি ২০০৭)। "More young Muslims back sharia, says poll; UK news"। The Guardian। London। ২৩ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ ক খ Butt, Riazat (৭ মে ২০০৯)। "Muslims in Britain have zero tolerance of homosexuality, says poll"। The Guardian। London। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Muslim leaders stand against gay marriage"। The Daily Telegraph। London। ১৮ মে ২০১৩। ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Premier League: How Muslims are changing English football culture"। BBC। ৫ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ Vikram Dood (২৮ জানুয়ারি ২০১০)। "Media and politicians 'fuel rise in hate crimes against Muslims'"। The Guardian। London। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Jonathan Githens-Mazer; Robert Lambert (২৮ জানুয়ারি ২০১০)। "Muslims in the UK: beyond the hype"। The Guardian। London। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Jonathan Githens-Mazer; Robert Lambert। "Islamophobia and Anti-Muslim Hate Crime: a London Case Study" (পিডিএফ)। University of Exeter। ২৮ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Gilligan, Andrew (৯ জুন ২০১৩)। "Muslim hate monitor to lose backing"। The Daily Telegraph। London। ২৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ {{cite book|url=https://books.google.com/books?id=XUdbVsADpfgC&q=%22English+Defence+League&pg=PA94 |title=Preventing violent extremism: sixth report of session 2009–10 |date= 30 March 2010|access-date=17 September 2011|isbn=9780215545466}
- ↑ ক খ Allen, Chris (২০১০)। "Fear and Loathing: the Political Discourse in Relation to Muslims and Islam in the British Contemporary Setting" (পিডিএফ): 221–236। ডিওআই:10.54561/prj0402221a। ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১১।
- ↑ ক খ Garland, Jon; Treadwell, James (২০১০)। "'No Surrender to the Taliban': Football Hooliganism, Islamophobia and the Rise of the English Defence League" (পিডিএফ): 19–35। ২২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১১।
- ↑ "Telegraph.co.uk"। London: Telegraph.co.uk। ১৪ ডিসেম্বর ২০১০। ২৮ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ Helen Carter (২১ অক্টোবর ২০১০)। "Guardian.co.uk"। London। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ Preventing violent extremism: sixth report of session 2009–10। ৩০ মার্চ ২০১০। আইএসবিএন 9780215545466। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ "English Defence League says Pastor Terry Jones will not speak at rally"। The Daily Telegraph। London। ১৪ ডিসেম্বর ২০১০। ১২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Helen Carter (২১ অক্টোবর ২০১০)। "Inquiry: Police, anti-fascist protester"। The Guardian। UK। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ O'Brien, Paraic (১২ অক্টোবর ২০০৯)। "Under the skin of English Defence League"। BBC Newsnight। ১৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ Maryam Namazie (৫ জুলাই ২০১০)। "Sharia, Law, religious courts"। The Guardian। UK। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ "English Defence League's Bradford march banned by Theresa May"। Metro। ৬ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১১।
The right-wing campaign group, which claims to be taking a stand against what it sees as the rise of radical Islam in England, had planned to march through the streets of Bradford on 28 August.
- ↑ "Violence erupts at far-right march in Birmingham"। Reuters। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ২৬ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১১।
A little-known nationalist group calling itself the English Defence League met in the town centre to protest against what they see as Islamic militancy in Britain
- ↑ Britain's fascists in a right state ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে.
- ↑ Gunning (2010): p 151–152
- ↑ Morey, Peter; Yaqin, Amina. (2011).
- ↑ Anonymous-linked groups publish EDL supporters' personal information ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জুন ২০১৭ তারিখে.
- ↑ Timol, Riyaz (১৪ অক্টোবর ২০১৯)। "Structures of Organisation and Loci of Authority in a Glocal Islamic Movement: The Tablighi Jama'at in Britain": 573। ডিওআই:10.3390/rel10100573 ।
- ↑ "বিষয়শ্রেণী:যুক্তরাজ্যের দেওবন্দি মাদ্রাসা"। উইকিপিডিয়া। ২০২২-০৩-২২।