বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদ
বার্মিংহাম সেন্ট্রাল মসজিদ ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের হাইগেট এলাকার একটি মসজিদ। এটি বার্মিংহাম মসজিদ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত হয়। সংস্থাটি বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদটিকে দেওবন্দি হিসেবে শ্রেণিবিভাগ করে।[১] মহিলাসহ মসজিদটির ধারণক্ষমতা ৪,৫০০।[২] মসজিদটিতে একটি শরিয়াহ কাউন্সিল রয়েছে যা ২০১৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ৪০০ টি অনুরোধ পরিচালনা করেছে।[৩]
বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম (দেওবন্দি) |
অবস্থান | |
অবস্থান | হাইগেট, বার্মিংহাম, ইংল্যান্ড |
স্থানাঙ্ক | ৫২°২৭′৫৩.২″ উত্তর ১°৫৩′২৬.২″ পশ্চিম / ৫২.৪৬৪৭৭৮° উত্তর ১.৮৯০৬১১° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯৭৫ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৪,৫০০ |
গম্বুজসমূহ | ১ |
মিনার | ২ |
ওয়েবসাইট | |
www |
মসজিদটিতে ২১ টি তালিকাভুক্ত তহবিল রয়েছে।[৪] এর চেয়ারম্যান হলেন মুহাম্মদ আফজাল[৫] এবং ভাইস চেয়ারম্যান হলেন মোহাম্মদ সরোয়ার।[৬]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৮১ সালে মিনারের শীর্ষে একটি সোনার গম্বুজ যুক্ত করা হয়।[৭] ১৯৮৬ সালে মসজিদে সীমাবদ্ধতার মধ্যে প্রার্থনা করার জন্য অনুমতি চাইলে অনুমতি দেওয়া হয়।[৮] ১৯৮৮ ও ১৯৯০ সালের মধ্যে, আল-হিজরাহ স্কুল স্মল হিথের মিডল্যান্ড হাউজে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে মসজিদের ভিতরে তিনটি ভাড়া নেওয়া কক্ষে শিশুদের পড়াশোনা করিয়েছিল।[৯]
২০০৬ সালে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস ফায়ার সার্ভিস মসজিদ ভবনের একটি অফিসের আগুন নিভায়। এটি খুব বেশি ছড়িয়ে না পড়লেও ইলেকট্রনিক্সের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং কাগজপত্র ধ্বংস হয়ে যায়।[১০]
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকে একজন লোক মসজিদে বোমা হামলার হুমকি দিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।[১১]
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) প্রতিবাদের পর, বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদ সেই বিক্ষোভগুলো মোকাবিলার এবং আস্থাযোগ্য সংলাপ প্রচারের লক্ষ্যে একটি চা পার্টি করে।[১২]
চিত্রশালা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Birmingham Central Mosque"। mosques.muslimsinbritain.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১১।
- ↑ "About Birmingham Central Mosque"। Birmingham Central Mosque (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১১।
- ↑ "Inside Britain's sharia councils: hardline and anti-women – or a dignified way to divorce?"। the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩।
- ↑ "THE BIRMINGHAM MOSQUE TRUST LIMITED - Charity 259545"। register-of-charities.charitycommission.gov.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩।
- ↑ Oldham, Jeanette (২০১৬-০১-২৮)। "Muhammad Afzal row after claiming more men domestic violence victims"। BirminghamLive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩।
- ↑ Oldham, Jeanette (২০১৬-০২-০৩)। "Birmingham Central Mosque DID hear forced marriage case says women's group - days after its denial"। BirminghamLive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩।
- ↑ Panikos Panayi (১৯৯৯)। The Impact of Immigration in Post-war Britain: A Documentary History of the Effects and Experiences of Immigrants in Britain since 1945। Manchester University Press। পৃষ্ঠা ১০৩। আইএসবিএন 0-7190-4685-8।
- ↑ W. A. R. Shadid (১৯৯৫)। Religious Freedom and the Position of Islam in Western Europe। Peters Publishers। পৃষ্ঠা ৩৫। আইএসবিএন 90-390-0065-4।
- ↑ "History of Al-Hijrah"। Al-Hijrah। ১৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২০।
- ↑ "Arsonists set fire to city mosque" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
- ↑ Mirror.co.uk (২০১১-১২-১২)। "Man arrested after Facebook threat to bomb Birmingham mosque"। mirror (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
- ↑ "EDL Birmingham Demo Countered By Mosque Tea Party"। consent.yahoo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদ ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- বিবিসিতে বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদ (ইংরেজি)
- "জনসাধারণ শহরের মসজিদটি ভ্রমণ করতে চায়" (ইংরেজি)