বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন
বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন।[১][২]
বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
বাংলাদেশের রেলওয়ে স্টেশন | |
অবস্থান | কুলাউড়া উপজেলা, মৌলভীবাজার জেলা, সিলেট বিভাগ বাংলাদেশ |
মালিকানাধীন | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
পরিচালিত | পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে |
লাইন | |
প্ল্যাটফর্ম | ১টি |
ট্রেন পরিচালক | পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | মানক (Standard) |
পার্কিং | আছে |
সাইকেলের সুবিধা | আছে |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | আছে |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সচল |
স্টেশন কোড | BCV |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯১২ |
অবস্থান | |
ইতিহাস
সম্পাদনাসিলেট এবং কুলাউড়ার মধ্যে ১৯১২ থেকে ১৯১৫ সালে[৩] রেললাইন নির্মাণ করা হয়। এসময় কুলাউড়া-সিলেট সেকশনের সেকশনের একটি বি ক্লাস স্টেশন হিসেবে, সেকশনের ২য় স্টেশন হিসেবে ও আখাউড়া - কুলাউড়া - সিলেট সেকশনের ৪র্থ স্টেশন হিসেবে বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন তৈরী করা হয়। ব্রিটিশ আমলে বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন প্রধানত যাত্রী, চা ও বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতো। ৪টা লুপ লাইন ও ৪টি শাখা লাইন ছিলো যা বর্তমানে মাটির নিচে। বর্তমানে বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হলেও চা ও বালু পরিবহন করা হয়না। কিন্তু রেলওয়ের পাথর, স্লিপার, ব্রিজের সরঞ্জাম, ক্লিপ ইত্যাদি বরমচাল স্টেশন থেকে পরিবহন করা হয় সিলেটের ভেতর ও সিলেটের বাহিরের বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়াও রেলওয়ে গুদামঘর এখনো আছে যা স্টেশনের দক্ষিন-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে এই গুদামঘরে চা সহ বিভিন্ন মালামাল রাখা হতো। বর্তমানে এই গুদামঘরে শুধুমাত্র রেলওয়ের স্লিপার ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি রাখা হয়। তাছাড়াও স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে ব্রিটিশ রেলওয়ের স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে যা বর্তমানে পরিত্যক্ত। তাছাড়াও মালামাল পরিবহন ওয়াগন রাখা ছিলো যা ২০২১ সালে স্ক্র্যাপ করা হয়। বর্তমানে ৩নং লাইনে ৩টি ওয়াগন আছে যা শীঘ্রই স্ক্র্যাপ করা হবে।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাসংস্কারের অভাবে মৌলভীবাজারের বরমচাল রেল স্টেশন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। তবে বর্তমানে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের জালালাবাদ এক্সপ্রেস মেল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। ভ্রমণকারীরা টিকেট সঙ্কট,মাত্র ৫টি টিকিট থাকায়, সরকারী শৌচাগারের অভাব, বসার ব্যবস্থার অভাব, অস্বাস্থ্যকর প্ল্যাটফর্ম এবং প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট।
পরিষেবা
সম্পাদনাবরমচাল রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
- পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯* এর যাত্রা বিরতি আছে)
- পারাবত এক্সপ্রেস (প্রস্তাবিত)
- উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪* এর যাত্রা বিরতি আছে)
- জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (প্রস্তাবিত)
- উপবন এক্সপ্রেস (যাত্রা বিরতি আছে)
- কালনী এক্সপ্রেস
- সুরমা এক্সপ্রেস
- জালালাবাদ এক্সপ্রেস (বন্ধ)
- কুশিয়ারা এক্সপ্রেস (বন্ধ)
- সিলেট কমিউটার (বন্ধ)।
অবকাঠামো
সম্পাদনাস্টেশনটিতে ৫টি রেললাইন আছে, পুরোনো সিগন্যাল কেবিন, আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও যাত্রী বিশ্রামাগার রয়েছে।
রেল সেবা
সম্পাদনা২০২০ সালের হিসাবে মোট তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা–সিলেট রেলপথের উপবন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম–সিলেট রেলপথের উদয়ন এক্সপ্রেস ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
দূর্ঘটনা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনে থামবে চারটি আন্ত:নগর ট্রেন"। Bangladesher Khabor | Latest News, Breaking News, Sports, Entertainment, Politics, Business, Videos & Photos। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৯।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৯।
- ↑ "রেলওয়ে - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৯।