ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ
ফেনী-বিলোনিয়া লাইন বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি মিটারগেজ রেলপথ। এই রেলপথটি ১৯৯৭ সাল থেকে অব্যবহৃত রয়েছে।[১]
ফেনী-বিলোনিয়া লাইন | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | নিস্ক্রিয় |
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
অঞ্চল | বাংলাদেশ |
বিরতিস্থল | |
স্টেশন | ৯ |
পরিষেবা | |
ধরন | বাংলাদেশের রেললাইন |
পরিচালক | পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯২৯ |
বন্ধ | ১৭ আগস্ট ১৯৯৭ |
কারিগরি তথ্য | |
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ২৭ কিলোমিটার |
ট্র্যাক গেজ | মিটারগেজ ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
ইতিহাস
সম্পাদনাফেনী জেলার পিছিয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলের জনগোষ্ঠির জেলা সদরের সাথে যাতায়াতের পাশাপাশি ত্রিপুরার বিলোনিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিলোনিয়া দিয়ে ফেনী থেকে আসামের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ১৯২৯ সালে এ রেলপথ চালু করে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে এ রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়। প্রথমদিকে এ লাইনে মালবাহী ট্রেন চলাচল করলেও ১৯৪৭ সালে ভারত বাংলাদেশ বিভাগের পর দুটি লাইন আলাদা হয়ে যায়। ভারতের অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ অংশে বিলোনিয়া থেকে ফেনী মহকুমা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি ট্রেন চালু করা হয়। সে সময় ফেনীর উত্তরাঞ্চলের মানুষের জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ রেলপথ। সকাল ৭টায় ফেনী থেকে বিলোনিয়া আবার ৮টায় বিলোনিয়া হতে ফেনী রুটে চলাচল করতো ট্রেন। আবার বিকাল ৪ টায় ফেনী থেকে রওনা হয়ে ৫টায় ফেনী ফিরে আসতো বিলোনিয়ার ট্রেন।[২] ১৯৭১ সালের পর রেল যোগাযোগের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগের উন্নতি হওয়ায় কদর কমে যায় এ রেলপথের। ব্যাপক লোকসানের কারণে ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট কর্তৃপক্ষ ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।[৩]
স্টেশন তালিকা
সম্পাদনাফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনে থাকা রেলওয়ে স্টেশন গুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ ২২ বছর বন্ধ ট্রেন বেদখল জমি"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ থেকে, মো: ওমর ফারুক, ফেনী। "ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ ২৩ বছর পর চালু হচ্ছে"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮।
- ↑ "২২ বছর পর চালু হচ্ছে ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮।