২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রক্রিয়াটি ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে খেলার জন্য ৩২ টি দলের মধ্যে ৩১ টির দল নির্বাচনের জন্য ছয়টি ফিফা কনফেডারেশন আয়োজিত একাধিক টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক হিসাবে কাতার সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফিফার সদস্য বাকি ২১০টি দল বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
বিবরণ | |
---|---|
তারিখ | ৬ জুন ২০১৯ – ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ |
দল | ২০৬[১] (৬টি কনফেডারেশন থেকে) |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৮৬৫ |
গোল সংখ্যা | ২৪২৪ (ম্যাচ প্রতি ২.৮টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৮৯,১২,৯৭৮ (ম্যাচ প্রতি ১০,৩০৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | আলি মাবখুত (১৪ গোল) |
বাছাইপর্ব ২০১৯ সালের জুনে শুরু হয়[২]২১ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ শেষ হবে। ৬ জুন বাছাইপর্বের প্রথম গোলটি করেন মঙ্গোলিয়ার খেলোয়াড় নর্জমোগিন সেডেনবাল। পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টের বিপরীতে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কোন সাধারণ প্রাথমিক ড্র হবে না, প্রতিটি কনফেডারেশনের ব্যবহৃত বিভিন্ন সময়রেখার কারণে বিভিন্ন ড্র আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হবে।[৩]
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রক্রিয়া কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অনেকবার স্থগিত হয়েছে।
উত্তীর্ণ দল
সম্পাদনাদল | অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যম |
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তারিখ |
মোট চূড়ান্ত পর্বে উপস্থিতি |
সর্বশেষ উপস্থিতি |
ধারাবাহিক চূড়ান্ত পর্বে উপস্থিতি |
পূর্ববর্তী সেরা সাফল্য |
---|---|---|---|---|---|---|
কাতার | স্বাগতিক | ২ ডিসেম্বর ২০১০ | ১ | – | ১ | – |
জার্মানি | উয়েফা গ্রুপ জে বিজয়ী | ১১ অক্টোবর ২০২১ | ২০[ক] | ২০১৮ | ১৮ | চ্যাম্পিয়ন (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪) |
ডেনমার্ক | উয়েফা গ্রুপ এফ বিজয়ী | ১২ অক্টোবর ২০২১ | ৬ | ২০১৮ | ২ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৯৮) |
ব্রাজিল | কনমেবল বিজয়ী | ১১ নভেম্বর ২০২১ | ২২ | ২০১৮ | ২২ | চ্যাম্পিয়ন (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) |
ফ্রান্স | উয়েফা গ্রুপ ডি বিজয়ী | ১৩ নভেম্বর ২০২১ | ১৬ | ২০১৮ | ৭ | চ্যাম্পিয়ন (১৯৯৮, ২০১৮) |
বেলজিয়াম | উয়েফা গ্রুপ ই বিজয়ী | ১৩ নভেম্বর ২০২১ | ১৪ | ২০১৮ | ৩ | তৃতীয় স্থান (২০১৮) |
সার্বিয়া | উয়েফা গ্রুপ এ বিজয়ী | ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ১৩[খ] | ২০১৮ | ২ | চতুর্থ স্থান (১৯৩০, ১৯৬২) |
স্পেন | উয়েফা গ্রুপ বি বিজয়ী | ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ১৬ | ২০১৮ | ১২ | চ্যাম্পিয়ন (২০১০) |
ক্রোয়েশিয়া | উয়েফা গ্রুপ এইচ বিজয়ী | ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ৬ | ২০১৮ | ৩ | রানার্স আপ (২০১৮) |
সুইজারল্যান্ড | উয়েফা গ্রুপ সি বিজয়ী | ১৫ নভেম্বর ২০২১ | ১২ | ২০১৮ | ৫ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৫৪) |
ইংল্যান্ড | উয়েফা গ্রুপ আই বিজয়ী | ১৫ নভেম্বর ২০২১ | ১৬ | ২০১৮ | ৭ | চ্যাম্পিয়ন (১৯৬৬) |
নেদারল্যান্ডস | উয়েফা গ্রুপ জি বিজয়ী | ১৬ নভেম্বর ২০২১ | ১১ | ২০১৪ | ১ | রানার্স আপ (১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০) |
আর্জেন্টিনা | কনমেবল রানার্স আপ | ১৬ নভেম্বর ২০২১ | ১৮ | ২০১৮ | ১৩ | চ্যাম্পিয়ন (১৯৭৮, ১৯৮৬) |
ইরান | এএফসি তৃতীয় রাউন্ড গ্রুপ এ রানার্স আপ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২ | ৬ | ২০১৮ | ৩ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪, ২০১৮) |
দক্ষিণ কোরিয়া | এএফসি তৃতীয় রাউন্ড গ্রুপ এ রানার্স আপ | ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১১ | ২০১৮ | ১০ | চতুর্থ স্থান (২০০২) |
সৌদি আরব | এএফসি তৃতীয় রাউন্ড গ্রুপ বি বিজয়ী | ২৪ মার্চ ২০২২ | ৬ | ২০১৮ | ২ | রাউন্ড অফ ১৬ (1994) |
জাপান | এএফসি তৃতীয় রাউন্ড গ্রুপ বি রানার্স আপ | ২৪ মার্চ ২০২২ | ৭ | ২০১৮ | ৭ | রাউন্ড অফ ১৬ (২০০২, ২০১০, ২০১৮) |
উরুগুয়ে | কনমেবল তৃতীয় স্থান | ২৪ মার্চ ২০২২ | ১৪ | ২০১৮ | ৪ | চ্যাম্পিয়ন (১৯৩০, ১৯৫০) |
ইকুয়েডর | কনমেবল চতুর্থ স্থান | ২৪ মার্চ ২০২২ | ৪ | ২০১৪ | ১ | রাউন্ড অফ ১৬ (২০০৬) |
কানাডা | কনকাকাফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ২৭ মার্চ ২০২২ | ২ | ১৯৮৬ | ১ | গ্রুপ পর্ব (১৯৮৬) |
ঘানা | সিএএফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | ৪ | ২০১৪ | ১ | কোয়াটার-ফাইনাল (২০১০) |
সেনেগাল | সিএএফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | ৩ | ২০১৮ | ২ | কোয়াটার-ফাইনাল (২০০২) |
পোল্যান্ড | উয়েফা প্লে-অফের পাথ বি বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | ৯ | ২০১৮ | ২ | তৃতীয় স্থান (১৯৭৪, ১৯৮২) |
পর্তুগাল | উয়েফা প্লে-অফের পাথ সি বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | 8 | ২০১৮ | 6 | তৃতীয় স্থান (১৯৬৬) |
তিউনিসিয়া | সিএএফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | ৬ | ২০১৮ | ২ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬, ২০১৮) |
মরক্কো | সিএএফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | ৬ | ২০১৮ | 2 | রাউন্ড অফ ১৬ (১৯৮৬) |
ক্যামেরুন | সিএএফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ২৯ মার্চ ২০২২ | 8 | ২০১৪ | ১ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৯০) |
মেক্সিকো | কনকাকাফ তৃতীয় রাউন্ড রানার্স আপ | ৩০ মার্চ ২০২২ | ১৭ | ২০১৮ | ৮ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৭০, ১৯৮৬) |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | কনকাকাফ তৃতীয় রাউন্ড তৃতীয় স্থান | ৩০ মার্চ ২০২২ | ১১ | 2014 | ১ | তৃতীয় স্থান (১৯৩০) |
ওয়েলস | উয়েফা প্লে-অফের পাথ এ বিজয়ী | ৫ জুন ২০২২ | ২ | ১৯৫৮ | ১ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৫৮) |
অস্ট্রেলিয়া | এএফসি বনাম কনমেবল প্লে-অফ বিজয়ী | ১৩ জুন ২০২২ | ৬ | ২০১৮ | ৫ | রাউন্ড অফ ১৬ (২০০৬) |
কোস্টা রিকা | কনকাকাফ বনাম ওএফসি প্লে-অফ বিজয়ী | ১৪ জুন ২০২২ | ৬ | ২০১৮ | ৩ | কোয়াটার-ফাইনাল (২০১৪) |
- মন্তব্য
- ↑ ১৯৫১ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে জার্মানি "পূর্ব জার্মানি" নামে পরিচিত ছিল, এটি একটি পৃথক পূর্ব জার্মান রাষ্ট্র ছিল এবং তখন পূর্ব জার্মানি জাতীয় ফুটবল দলটিও বিদ্যমান ছিল।
- ↑ এটি ফিফা বিশ্বকাপে সার্বিয়ার তৃতীয় উপস্থিতি। যাইহোক, ফিফা সার্বিয়াকে যুগোস্লাভিয়া এবং সার্বিয়া এবং মন্টিনিগ্রো এর উত্তরসূরি দল হিসেবে বিবেচনা করে, যারা তাদের মধ্যে ১০ বার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
বাছাই প্রক্রিয়া
সম্পাদনাফিফার সকল সদস্য যার সংখ্যা বর্তমানে ২১১ তারা সকলেই বাছাই পর্বে খেলার যোগ্য। স্বাগতিক হিসাবে কাতার টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্বে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে এএফসি আয়োজিত এশিয়ান কাপের অংশ হিসাবে বাছাই পর্বে অংশ নিতে কাতার বাধ্য, কারণ প্রথম দুই রাউন্ড ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ধারণী হিসাবে কাজ করে।[৪] যদি তারা তাদের গ্রুপে বিজয়ী বা রানার্সআপ হিসাবে শেষ করে তবে পঞ্চম সেরা গ্রুপ রানার্সআপ তাদের পরিবর্তে এগিয়ে যাবে।[৫] ১৯৩০ এবং ১৯৩৪ সালের প্রথম দুটি টুর্নামেন্টের পরে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ এমন একটি দেশে আয়োজিত হবে যার জাতীয় দল এর আগে কখনো ফাইনাল ম্যাচ খেলেনি।[৬] বর্তমান বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকেও অন্যান্যদের মতো বাছাই পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হবে।[৭]
প্রতিটি কনফেডারেশনের জন্য স্থান বরাদ্দের বিষয়ে ফিফা কংগ্রেসের পরে ৩০ মে ২০১৫ জুরিখে ফিফা নির্বাহী কমিটি আলোচনায় বসে।[৮] কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যে ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪ সালে ব্যবহৃত একই বরাদ্দ ২০১৮ এবং ২০২২ টুর্নামেন্টের জন্য বহাল রাখা হবে:[৯]
- এএফসি (এশিয়া): ৪ অথবা ৫
- ক্যাফ (আফ্রিকা): ৫
- কনকাকাফ (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল): ৩ অথবা ৪
- কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা): ৪ অথবা ৫
- ওএফসি (ওশেনিয়া): ০ অথবা ১
- উয়েফা (ইউরোপ): ১৩
- স্বাগতিক: ১
বাছাইপর্বের সংক্ষিপ্তসার
সম্পাদনারাশিয়া যদি চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা লাভ করে তবে তার খেলোয়াড়রা বিশ্ব ডোপিং-বিরোধী সংস্থার (ওয়াডা) ডোপিং টেস্টিং ল্যাবরেটরি ডাটাবেসের দেশের রাষ্ট্র-অনুমোদিত অবৈধ প্রভাব বিস্তার বিষয়ে তদন্ত করার পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অলিম্পিক গেমসের সকল খেলায় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার ফলস্বরূপ দেশের নাম, পতাকা বা সংগীত ব্যবহার করতে পারবে না।[১০] তদন্তকারীদের হাতে কারসাজি করা ল্যাব তথ্য হস্তান্তর করার জন্য রুসাদা অ-অনুগত বলে প্রমাণিত হওয়ার পরে, ওয়াডা ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বরে প্রাথমিক ভাবে চার বছরের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছিল।[১১] ওয়াডা এর রায়ে সেই সকল ক্রীড়াবিদদের অনুমতি দিয়েছে যারা ডোপিং বা লুকানোর সাথে জড়িত ছিল না তারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে, তবে বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় রাশিয়ান পতাকা এবং সংগীত ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।[১২] এই রায়ের বিরুদ্ধে স্পোর্ট (সিএএস) এর সালিশি কোর্টে আপিল করা হয়।[১৩] সিএএস ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর আপিলের রায় দেয়, নিষেধাজ্ঞাটি চার থেকে দুই বছর থেকে কমিয়ে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।[১৪] সিএএসের রায় অনুসারে "নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ" বা "নিরপেক্ষ দল" শব্দগুলির সমান তাৎপর্য থাকলে "রাশিয়া" নামটি পোশাকে প্রদর্শন করতে পারবে।[১০]
কনফেডারেশন | প্রাপ্য স্থান চূড়ান্ত পর্বে | শুরুতে দল | বাদ পরা দল | এখনও খেলছে এমন দল | উত্তীর্ণ দল | বাছাইপর্ব শুরুর তারিখ | বাছাইপর্বে পরবর্তী ম্যাচ | বাছাইপর্ব শেষের তারিখ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এএফসি | ৪ বা ৫ +১ | ৪৫+১ | ১০ | ৩৫[ক] | ০+১ | ৬ জুন ২০১৯ | ২০২১ | জুন ২০২২ |
সিএএফ | ৫ | ৫৪ | ১৪ | ৪০ | ০ | ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | মে ২০২১ | নভেম্বর ২০২১ |
কনকাকাফ | ৩ বা ৪ | ৩৫ | ০ | ৩৫ | ০ | মার্চ ২০২১ | মার্চ ২০২১ | জুন ২০২২ |
কনমেবল | ৪ বা ৫ | ১০ | ০ | ১০ | ০ | ৮ অক্টোবর ২০২০ | ১২ নভেম্বর ২০২০ | জুন ২০২২ |
ওএফসি | ০ বা ১ | ১১ | ০ | ১১ | ০ | মার্চ ২০২১ | মার্চ ২০২১ | জুন ২০২২ |
উয়েফা | ১৩ | ৫৫ | ০ | ৫৫ | ০ | ২৪ মার্চ ২০২১ | ২৪ মার্চ ২০২১ | ২৯ মার্চ ২০২২ |
সর্বমোট | ৩১+১ | ২১০+১ | ২৪ | ১৮৬ | ০+১ | ৬ জুন ২০১৯ | ১২ নভেম্বর ২০২০ | জুন ২০২২ |
- ↑ কাতার দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিচ্ছে, যদিও কাতার ইতিমধ্যে স্বাগতিক হিসাবে চূড়ান্তপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং এই গণনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
পদ্ধতি
সম্পাদনাবাছাইপর্বের প্রতিযোগিতার পদ্ধতি প্রতিটি কনফেডারেশনের উপর নির্ভর করে (নিচে দেখুন)। প্রতিটি পর্বের খেলা নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসারে হবে:[১৫]
- লিগ পদ্ধতি, যেখানে দুই দলের বেশি দল নিয়ে গ্রুপ গঠিত হবে সেখানে তারা রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে অথবা ফিফার সাংগঠনিক কমিটির অনুমতি ব্যতিরেকে দল গঠন করে অথবা অংশগ্রহণকারী দলগুলো এক বা একক নিরপেক্ষ অঞ্চলে খেলার আয়োজন করে থাকে।
- নকআউট পদ্ধতি, যেখানে দুই দল দুই লেগে ম্যাচের মাধ্যমে হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে থাকে।
টাইব্রেকার
সম্পাদনালিগ পদ্ধতিতে, প্রত্যেক গ্রুপে প্রতি দলের র্যাঙ্কিং নিম্নে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে হয়ে থাকে (ধারা ২০.৪ এবং ২০.৬):[১৫]
- পয়েন্ট (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট এবং হারের জন্য ০ পয়েন্ট)
- সামগ্রিক গোল পার্থক্য
- সামগ্রিক স্বপক্ষে গোল
- একই পয়েন্টে থাকা দলের খেলার পয়েন্ট
- একই পয়েন্টে থাকা দলের গোল পার্থক্য
- একই পয়েন্টে থাকা দলের করা সর্বমোট গোল
- একই পয়েন্টে থাকা দলের করা অ্যাওয়ে গোল (হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে লিগ পদ্ধতিতে যদি একই পয়েন্টে ২টি দল থাকে)
- ফেয়ার প্লে পয়েন্ট
- প্রথম হলুদ কার্ড: বিয়োগ ১ পয়েন্ট
- পরোক্ষভাবে প্রাপ্ত লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড): বিয়োগ ৩ পয়েন্ট
- প্রত্যক্ষভাবে প্রাপ্ত লাল কার্ড: বিয়োগ ৪ পয়েন্ট
- হলুদ কার্ড এবং প্রত্যক্ষভাবে প্রাপ্ত লাল কার্ড: বিয়োগ ৫ পয়েন্ট
- এছাড়াও ফিফা আয়োজক কমিটির দ্বারা নির্ধারিত আরো অনেক নিয়ম
যেসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের মধ্যে একই পয়েন্টে থাকা দলগুলোর মধ্যে পরবর্তী পর্বে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দল নির্ধারণ করা হয়, সেসকল ক্ষেত্রে কনফেডারেশন কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয় এবং একই সাথে সেখানে ফিফার অনুমোদন প্রয়োজন হয় (ধারা ২০.৮)।[১৫]
নকআউট পদ্ধতিতে, দুই লেগে যে দল সামগ্রিক স্কোরে সর্বাধিক গোল করে সেই দলটি পরবর্তী পর্বে অগ্রসর হয়ে থাকে। যদি খেলার শেষ পর্যায়ে সামগ্রিক স্কোর সমান থাকে তখন অ্যাওয়ে গোল নিয়ম প্রয়োগ করা হয়, যেমন জেই দল দুই লেগের খেলায় সর্বাধিক অ্যাওয়ে গোল করে সেই দল পরবর্তী পর্বে অগ্রসর হয়। যদি দুই দলের অ্যাওয়ে গোল সমান থাকে তখন ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় খেলা হয়ে থাকে, যেখানে উভয় অর্ধে ১৫ মিনিট করে খেলা হয়। অতিরিক্ত সময়ের পর পুনরায় অ্যাওয়ে গোল নিয়ম প্রয়োগ করা হয়, যেমন, যদি অতিরিক্ত সময়ে উভয় দল গোল করে এবং পরিশেষে উভয় দলের সামগ্রিক স্কোর একই থাকে, তখন সফরকারী দল অধিক অ্যাওয়ে গোল থাকায় পরবর্তী পর্যায়ে খেলার জন্য উন্নীত হয়। যদি অতিরিক্ত সময়ে কোন দলই গোল করতে না পারে তবে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে উক্ত সমতার নির্ধারণ হয়ে থাকে (ধারা ২০.১০)।[১৫]
কনফেডারেশনের বাছাইপর্ব
সম্পাদনাএএফসি
সম্পাদনাবাছাইপর্বের প্রারম্ভিক দুই পর্ব ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ধারণী হিসাবেও কাজ করবে। তাই ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার কেবল এই প্রথম দুই পর্বে অংশ নিয়েছে।[১৬]
যোগ্যতা নির্ধারণী কাঠামোটি নিম্নরূপ:[১৭]
- প্রথম পর্ব: মোট ১২টি দল (যে সকল দলের অবস্থান ৩৫–৪৬) দুই লেগের হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে। এই পর্বে বিজয়ী ৬টি দল দ্বিতীয় পর্বে উন্নীত হয়েছে।
- দ্বিতীয় পর্ব: সর্বমোট ৪০টি দলকে (যে সকল দলের অবস্থান ১–৩৪ এবং প্রথম পর্বে বিজয়ী ৬ দল) ৮টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়, তারা রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলায় অংশগ্রহণ করবে। ৮টি গ্রুপের বিজয়ী দল এবং শীর্ষ ৪টি গ্রুপ সেরা রানার-আপ দল ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের তৃতীয় পর্বে উন্নীত হব এবং একই সাথে ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপে উন্নীত হবে। কাতার যদি তাদের গ্রুপে বিজয়ী হয় বা চার সেরা রানার্সআপ হয়, তবে পঞ্চম সেরা রানার্সআপ দল তৃতীয় রাউন্ডে উন্নীত হবে।[৫]
- তৃতীয় পর্ব: সর্বমোট ১২টি দল এই পর্বে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতি গ্রুপে ৬টি দল রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলায় অংশগ্রহণ করবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হবে এবং তৃতীয় স্থান প্রাপ্ত দলদুটি একটি ম্যাচে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে। বিজয়ী আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ ম্যাচে খেলার জন্য উন্নীত হবে, প্লে-অফ ম্যাচের বিজয়ী দল চূড়ান্ত পর্বে খেলবে।
বর্তমান পর্যায় (দ্বিতীয় রাউন্ড)
সম্পাদনাগ্রুপ এ | গ্রুপ বি | গ্রুপ সি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
19 November 2019 তারিখের খেলা শেষের পর হালনাগাদকৃত।
উৎস: AFC (Y) Cannot win group, may still advance as group runner-up; (Z) Eliminated from the World Cup।
|
19 November 2019 তারিখের খেলা শেষের পর হালনাগাদকৃত।
উৎস: AFC (Y) Cannot win group, may still advance as group runner-up।
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ ডি | গ্রুপ ই | গ্রুপ এফ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
19 November 2019 তারিখের খেলা শেষের পর হালনাগাদকৃত।
উৎস: AFC
|
19 November 2019 তারিখের খেলা শেষের পর হালনাগাদকৃত।
উৎস: AFC (Y) Cannot win group, may still advance as group runner-up।
|
19 November 2019 তারিখের খেলা শেষের পর হালনাগাদকৃত।
উৎস: AFC
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ জি | গ্রুপ এইচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
|
সিএএফ
সম্পাদনা১০ জুলাই ২০১৯ সিএএফ তার ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই এর জন্য ব্যবহৃত বিন্যাসটিই অনুসরণের ঘোষণা দেয়।[১৮]
- প্রথম পর্ব: ২৮ টি দল (যে সকল দলের অবস্থান ২৭-৫৪) দুই লেগের হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে খেলায় অংশ নিবে। ১৪ বিজয়ী দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে।
- দ্বিতীয় পর্ব': ৪০ টি দলকে (যে সকল দলের অবস্থান ১–২৬ এবং প্রথম পর্বের বিজয়ী ১৪ টি দল) দশটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে, প্রতি গ্রুপের চারটি দল হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে রাউন্ড রবিন ম্যাচ খেলায় অংশ নিবে। ১০ গ্রুপের বিজয়ীরা তৃতীয় রাউন্ডে উঠবে।
- তৃতীয় পর্ব': দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে আগত ১০ টি দল একে অপরের বিপক্ষে দুই লেগের হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে খেলায় অংশ নিবে। পাঁচ বিজয়ী দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
বর্তমান পর্যায় (দ্বিতীয় রাউন্ড)
সম্পাদনাকনকাকাফ
সম্পাদনামূল পদ্ধতি
সম্পাদনানতুন পদ্ধতি
সম্পাদনাবর্তমান পর্যায় (প্রথম রাউন্ড)
সম্পাদনাকনমেবল
সম্পাদনা২৪ জানুয়ারি ২০১৯ কনমেকল কাউন্সিল পূর্বের ছয়টি টুর্নামেন্টের জন্য ব্যবহৃত একই বাছাইপর্ব কাঠামো বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।[১৯] ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন (পূর্বে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর নির্ধারিত ছিল, কিন্তু পরে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা স্থগিত করা হয়), দশটি কনমেবল দেশের সকলেই হোম ও এন্ড-এওয়ে রাউন্ড-রবিন লিগ ভিত্তিতে খেলবে। শীর্ষস্থানীয় চারটি দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যোগ্যতা অর্জন করবে এবং পঞ্চম স্থান অর্জনকারী দলটি আন্তঃ-ফেডারেশন প্লে-অফে খেলবে।
বর্তমান পর্যায়
সম্পাদনাঅবস্থান | দল | খেলা | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১ | ব্রাজিল | ১৭ | ৪৫ |
২ | আর্জেন্টিনা | ১৭ | ৩৯ |
৩ | উরুগুয়ে | ১৮ | ২৮ |
৪ | ইকুয়েডর | ১৮ | ২৬ |
৫ | পেরু | ১৮ | ২৪ |
৬ | কলম্বিয়া | ১৮ | ২৩ |
৭ | চিলি | ১৮ | ১৯ |
৮ | প্যারাগুয়ে | ১৮ | ১৬ |
৯ | বলিভিয়া | ১৮ | ১৫ |
১০ | ভেনেজুয়েলা | ১৮ | ১০ |
ওএফসি
সম্পাদনাবর্তমান পর্যায় (প্রথম রাউন্ড)
সম্পাদনাGroup A | Group B |
---|---|
টেমপ্লেট:2022 FIFA World Cup qualification – OFC First Round group tables | টেমপ্লেট:2022 FIFA World Cup qualification – OFC First Round group tables |
উয়েফা
সম্পাদনাবর্তমান পর্যায় (প্রথম রাউন্ড)
সম্পাদনাআন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ
সম্পাদনাচূড়ান্ত পর্বে জন্য দুটি দলের যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য দুটি আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ ম্যাচ থাকবে। ম্যাচদুটি ২০২২ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সর্বোচ্চ গোলদাতা
সম্পাদনাএই প্রতিযোগিতায় ১৫৬টি ম্যাচে ৪৪২টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ২.৮৩টি গোল (৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ অনুযায়ী)। গাঢ় লেখাযুক্ত খেলোয়াড়রা এখনও প্রতিযোগিতায় সক্রিয়।
৭টি গোল
৬টি গোল
৫টি গোল
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ কুক দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর কোরিয়া নাম প্রত্যাহার করে নেয় এবং কিছু ম্যাচ খেলার পর রাশিয়াকে বহিস্কার করা হয়। আমেরিকান সামোয়া, সেন্ট লুসিয়া, সামোয়া, টোঙ্গা এবং ভানুয়াতু খেলার আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
- ↑ "June kickoff for qualifiers to 2022 World Cup of 32 or 48 teams"। The Malta Independent। Associated Press। ৪ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "2022 World Cup: How qualifying works around the world"। ESPN FC। ESPN। ২৫ মে ২০১৯।
- ↑ Palmer, Dan (৩১ জুলাই ২০১৭)। "Hosts Qatar to compete in qualifying for 2022 World Cup"। inside the games। Dunsar Media Company। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ "Groups finalised for Qatar 2022 & China 2023 race"। The-AFC.com। AFC। ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Harding, David (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "World Cup failure puts Qatar back in spotlight"। Yahoo Sports। Agence France-Presse। ১৮ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "2022 World Cup odds: France favorite to repeat in Qatar; USA behind Mexico with 16th-best odds"। CBSSports.com। ১৫ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "2022 FIFA World Cup to be played in November/December"। FIFA। ২০ মার্চ ২০১৫। ১২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Current allocation of FIFA World Cup™ confederation slots maintained"। FIFA। ৩০ মে ২০১৫। ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ক খ "Russia banned from using its name, flag at next two Olympics"। ESPN। Associated Press। ১৭ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Russia banned for four years to include 2020 Olympics and 2022 World Cup"। BBC। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Can Russia play at the World Cup 2022 and Euro 2020?"। BBC। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "WADA files official request with Court of Arbitration for Sport to resolve RUSADA dispute"। World Anti-Doping Agency। ৯ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Russia banned from Tokyo Olympics and 2022 World Cup after Cas ruling"। BBC। ১৭ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ "Regulations – 2022 FIFA World Cup Preliminary Competition" (পিডিএফ)। FIFA। ১৫ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Palmer, Dan (৩১ জুলাই ২০১৭)। "Hosts Qatar to compete in qualifying for 2022 World Cup"। inside the games। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Pakistan to learn World Cup, Asian Cup qualifying fate on April 17"। Dawn.com। ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "CAF reverts to previous format for 2022 African World Cup qualifiers"। Ahram Online। ১০ জুলাই ২০১৯। ১১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Clasificatorio sudamericano al Mundial de Qatar arrancará en marzo del 2020" (স্পেনীয় ভাষায়)। Conmebol। ২৪ জানুয়ারি ২০১৯।