লুয়ান্ডা
লুয়ান্ডা ( /luˈændə,
লুয়ান্ডা | |
---|---|
রাজধানী শহর | |
শীর্ষ: অ্যাগোস্টিনহো নেটো মেমোরিয়াল; অ্যাঙ্গোলার জাতীয় সংসদ; সোনাঙ্গল সদর দপ্তর; মাঝে: লুয়ান্ডার দৃশ্য; নিচে: লুয়ান্ডা উপসাগর; অ্যাঙ্গোলা ব্যাংকের সদর দপ্তর | |
অ্যাঙ্গোলায় লুয়ান্ডার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৮°৫০′১৮″ দক্ষিণ ১৩°১৪′৪″ পূর্ব / ৮.৮৩৮৩৩° দক্ষিণ ১৩.২৩৪৪৪° পূর্ব | |
দেশ | অ্যাঙ্গোলা |
প্রদেশ | লুয়ান্ডা |
প্রতিষ্ঠিত | ১৫৭৬ |
আয়তন | |
• রাজধানী শহর | ১১৬ বর্গকিমি (৪৫ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৮৭৬ বর্গকিমি (৭২৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬ মিটার (২০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২০)[২] | |
• রাজধানী শহর | ২৫,৭১,৮৬১[১] |
• মহানগর | ৮৩,৩০,০০০ |
• মহানগর জনঘনত্ব | ৪,৪০০/বর্গকিমি (১২,০০০/বর্গমাইল) |
২০১৯ | |
সময় অঞ্চল | +1 |
HDI (২০১৯) | ০.৬৮৬[৩] মধ্যম |
এটি আফ্রিকার প্রাচীনতম ঔপনিবেশিক শহরগুলোর মধ্যে একটি। ১৫৭৬ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পাওলো দিয়াস দে নোভায়েস সাও পাওলো দা আসুম্পসাঁও দে লোয়ান্দা নামে শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। দাস ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত শহরটি ছিল ব্রাজিলের দাস ব্যবসায়ের কেন্দ্র। ১৯৭৫ সালে অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বেশিরভাগ শ্বেতাঙ্গ পর্তুগিজ লুয়ান্ডা থেকে শরণার্থী হিসেবে পর্তুগালে চলে যায়। [৫] যুদ্ধের ফলে অ্যাঙ্গোলার অন্যান্য অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের মাধ্যমে লুয়ান্ডার জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এর অবকাঠামো ছিল এই ব্যপক বৃদ্ধি সামাল দেওয়ার পক্ষে অপ্রতুল। এর ফলে লুয়ান্ডার আশেপাশে বস্তি বা মুসকেক সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে শহরটি বৃহৎ পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। [৬] ফলশ্রুতিতে নগরীর বাহ্যিক চিত্র উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে যাচ্ছে।
শহরের উল্লেখযোগ্য শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি পণ্য, পানীয় উৎপাদন, টেক্সটাইল, সিমেন্ট, নতুন গাড়ি সমাবেশ প্ল্যান্ট, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক, ধাতুবিদ্যা, সিগারেট এবং জুতা প্রসেসিং। শহরটিতে একটি তেল শোধনাগার থাকায় এটি তেল সম্পদের কারণে একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবেও সুপরিচিত ।[৭][৮] লুয়ান্ডাকে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। [৯][১০] লুয়ান্ডার বাসিন্দারা বেশিরভাগই আম্বুন্ডু নৃগোষ্ঠীর সদস্য, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাকোঙ্গো এবং ওভিম্বুন্ডুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও এখানে পর্তুগিজদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীও রয়েছে। ২০১০ সালের আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের খেলাগুলো আয়োজনে লুয়ান্ডা ছিল মূল স্বাগতিক শহর।
ইতিহাস
সম্পাদনাপর্তুগিজ উপনিবেশ
সম্পাদনাপর্তুগিজ অভিযাত্রী পাওলো দিয়াস দে নোভায়েস ১৫৭৬ সালের ২৫ জানুয়ারিতে [১১] "সাও পাওলো দা আসুম্পসাঁও দে লোয়ান্দা" হিসাবে লুয়ান্ডা প্রতিষ্ঠা করেন। শহরটিতে তখন একশ পরিবার এবং চার শতাধিক সৈন্য ছিল। ১৬১৮ সালে, পর্তুগিজরা ফোর্টালিজা সাও পেদ্রো দা ব্যারা নামক একটি দুর্গ তৈরি করে। পরবর্তীতে তারা ফোর্টালিজা দে সাও মিগুয়েল (১৫৭৬) ও ফোর্টাল দে সাও ফ্রান্সিসকো দো পেনেদো (১৭৬৫–৬৬) নামে আরও দুটি দুর্গ নির্মাণ করে। এগুলোর মধ্যে ফোর্টালিজা দে সাও মিগুয়েল সবচেয়ে ভালোভাবে সংরক্ষিত। [১২]
১৬৪০ থেকে ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত ফোর্ট আর্দেনবার্গ হিসাবে লুয়ান্ডায় ওলান্দাজ শাসনামল ব্যতীত ১৬২৭ সাল থেকে লুয়ান্ডা ছিল পর্তুগালের ব্রিজহেড। ১৫৫০ থেকে ১৮৩৬ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ব্রাজিলের দাস ব্যবসায়ের কেন্দ্র। [১৩] দাস ব্যবসা বেশিরভাগই পরিচালিত হতো পর্তুগিজ উপনিবেশ ব্রাজিলের সাথে। লুয়ান্ডা বন্দরের জাহাজগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের জাহাজই ছিল সর্বাধিক। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং যোদ্ধারা দাস বাণিজ্য থেকে বিপুল মুনাফা অর্জন করে। [১৪] এই সময়কালে, পর্তুগিজরা এখানকার কোন বৃহত্ আকারের আঞ্চলিক উপনিবেশ গঠন করেনি। শুধু লুয়ান্ডার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কয়েকটি ছোট ছোট বসতি এবং কোয়াঞ্জা নদীর শেষ প্রান্তে কিছু বসতি স্থাপন করে।
সপ্তদশ শতাব্দীতে ইম্বাঙ্গালারা লুয়ান্ডার দাস সরবরাহের বাজারে ক্ষেত্রে এমবান্দাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। ১৭৫০ এর দশকে, বার্ষিক ৫ থেকে ১০ হাজার দাস বিক্রি হত। [১৫] এই সময়কালে, অ্যাঙ্গোলা ছিল অন্যান্য পর্তুগিজ উপনিবেশের তুলনায় ভিন্ন। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল ব্রাজিলের মতো একটি উপনিবেশ। ১৮২২ সালে ব্রাজিলের স্বাধীনতা অবধি লুয়ান্ডায় শক্তিশালী ব্রাজিলীয়ু প্রভাব লক্ষ করা যায়।
উনবিংশ শতাব্দীতে লুয়ান্ডা বড় অর্থনৈতিক বিপ্লবের সম্মুখীন হয়। ১৮৩৬ সালে দাস ব্যবসা বাতিল হওয়ার পর ১৮৪৪ সালের মধ্যেই অ্যাঙ্গোলার বন্দরগুলো বিদেশে পন্য পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৮৫০ সালের মধ্যেই লুলুয়ান্ডা কন্টিনেন্টাল পর্তুগালের (মূল পর্তুগাল) বাইরের বিশাল পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম এবং সবচেয়ে উন্নত পর্তুগিজ শহরগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত হয়। অ্যাঙ্গোলার আরেক শহর বেঙ্গুয়েলার পাশাপাশি লুয়ান্ডা থেকে পাম, চিনাবাদাম তেল, মোম, কহরোবা, কাঠ, হাতির দাঁত, তুলা, কফি, এবং কোকো সহ অন্যান্য অনেক পণ্য রপ্তানি করা হতে থাকে। ভুট্টা, তামাক, শুকনো মাংস এবং কাসাভার আটাও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। অ্যাঙ্গোলায় এই সময়ে বুর্জোয়া শ্রেণি তৈরি হয়। [১৬]
১৮৮৯ সালে গভর্নর ব্রিটো ক্যাপেলো শহরে সজে পানি সরবরাহের জন্য কৃত্রিম জল-প্রণালী খুলে দেন। এটি শহরের দ্রুত বিকাশ ত্বরান্বিত করে।
এস্তাদো নোভো
সম্পাদনাএস্তাদো নোভো নামে পরিচিত পর্তুগালের একনায়কতন্ত্রের আমলে ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে লুয়ান্ডা ১৪.৬% শেতাঙ্গ সহ ৬১,২০৮ জন বাসিন্দা নিয়ে গঠিত সাধারণ শহর থেকে ১,২৪,৮১৪ জন (২৬.৩%) ইউরোপীয় ও প্রায় ৫০,০০ মিশ্র বর্ণ সহ ৪,৭৫,৩২৮ বাসিন্দা নিয় সমৃদ্ধ কসমোপলিটিন নগরে পরিণত হয়। [১৭][১৮]
পর্তুগিজ অ্যাঙ্গোলার বেশিরভাগ অংশের মতো কসমোপলিটিন [১৯] শহর লুয়ান্ডা পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক যুদ্ধের (১৯৬১-১৯৭৪) দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। এই সময়কালে পুরো অঞ্চলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং বিকাশ রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পায়। ১৯৭২ সালে লুয়ান্ডাকে "আফ্রিকার প্যারিস" নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
স্বাধীনতা
সম্পাদনা১৯৭৫ সালে অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতাকালে লুয়ান্ডা ছিল একটি আধুনিক শহর। তখন এর জনসংখ্যার বেশিরভাগই ছিল আফ্রিকান, তবে তাদের উপর পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত শক্তিশালী সাদা সংখ্যালঘুদের আধিপত্য ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৭৪ সালের ২৫ এপ্রিলে লিসবনে কার্নেশন বিপ্লবের পর অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতা লাভ ও গৃহযুদ্ধের (১৯৭৫-২০০২) ফলে বেশিরভাগ শ্বেতাঙ্গ পর্তুগিজ লুয়ান্ডার শরণার্থী হিসাবে পর্তুগালে এবং কেউ কেউ দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায়।[৫] স্থানীয় আফ্রিকান জনগণের মধ্যে শহরটি পরিচালনা ও এর উন্নত অবকাঠামো বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞানের অভাব হওয়ায় তাত্ক্ষণিক সংকট দেখা দেয়।
অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধের অ্যাঙ্গোলার গণমুক্তিআন্দোলন (এমপিএলএ) সরকারের সমর্থনে প্রেরিত কিউবান সৈন্যবাহিনীর মধ্যে বিপুল সংখ্যক দক্ষ প্রযুক্তিবিদ শহরে মৌলিক পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধার ও এগুলো বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
পরবর্তী বছরগুলোতে কয়েক দশক ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সামাজিক বৈষম্যের কারণে অ্যাঙ্গোলার অন্যান্য অঞ্চল থেকে শরণার্থীদের বৃহদাংশ এই শহরে আবাসন গড়ায় শহরেরমুসকেক নামে পরিচিত বস্তিগুলো ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে লুয়ান্ডার প্রাক্তন শহরের সীমা ছাড়িয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার প্রসারিত হয়। শহরের জনসংখ্যার বিপুল বৃদ্ধির ফলে লুয়ান্ডার নাগরিক সুবিধাগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করা যায়নি।
একবিংশ শতাব্দী
সম্পাদনা২০০২ সালের পর গৃহযুদ্ধ অবসান এবং ক্রমবর্ধমান তেল ও হীরক উত্পাদনের মাধ্যমে সরবরাহিত সম্পদের ফলে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কারণে বৃহৎ পরিসরে লুয়ান্ডা পুনর্গঠন শুরু হয। [২০] ক্রমেই লুয়ান্ডা বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহরও হয়ে উঠে। [২১]
কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সব অঞ্চলে তহবিল বরাদ্দ করলেও এই অর্থের সিংহভাগই রাজধানী অঞ্চলে ব্যয় হয়। অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। ২০০২ সালের পর থেকেই গৃহযুদ্ধকালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অংশগুলোতে বড় ধরনের পুনর্গঠন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
লুয়ান্ডা প্রধান সমস্যা হচ্ছে গৃহযুদ্ধকালে শহরের সক্ষমতার তুলনায় জনসংখ্যা বিপুল বৃদ্ধি পায় এবং এর অবকাঠামোর (জল, বিদ্যুত, রাস্তাঘাট) বেশিরভাগই উচ্চ-জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল হয়ে পড়ে।
একবিংশ শতাব্দীতে লুয়ান্ডার প্রধান সড়ক পুনর্গঠন চলছে, এবং ক্যাকুয়াকো, ভায়ানা, সাম্বা এবং নতুন বিমানবন্দরের সংযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে নতুন হাইওয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। [২২]
লুয়ান্ডার বস্তিতে বসবাসকারী জনগণের জন্য সামাজিক আবাসনও নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রতিস্থাপিত আবাসনব্যবস্থার সিংহভাগ নির্মাণের জন্য একটি বৃহৎ চীনা সংস্থার সাথে চুক্তি করা হয়েছে। [২৩] সম্প্রতি অ্যাঙ্গোলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও প্রতিটি নাগরিকের আবাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে অ্যাঙ্গোলায় দারিদ্র্য কাটিয়ে উঠবে। [২৪]
ভূগোল
সম্পাদনাজন ভূগোল
সম্পাদনালুয়ান্ডাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, বাইশা দে লুয়ান্দা (Baixa de Luanda, নিম্ন লুয়ান্ডা বা পুরানো শহর) এবং সিদাদে আলতা (Cidade Alta, উচ্চ শহর বা নতুন অংশ)। বাইশা দে লুয়ান্দা অঞ্চলটি বন্দরের পাশেই অবস্থিত। এই অঞ্চলে সরু রাস্তা ও পুরানো ঔপনিবেশিক ভবনগুলো বিদ্যমান।[২৫] যদিও নব নির্মিত ভবনগুলোর কারণে এখন শহরের মূল সীমা ছাড়িয়ে আশেপাশের অঞ্চলগুলো সহ ভায়ানার মতো স্বতন্ত্র অঞ্চলও লুয়ান্ডা শহরের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
মহানগর লুয়ান্ডা
সম্পাদনা২০১১ অবধি পূর্বের লুয়ান্ডা প্রদেশটি ছিল পাঁচটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০১১ সালে বেঙ্গো প্রদেশ থেকে আইকোলো ই বেঙ্গো এবং ক্যুইসামা নামক দুটি অতিরিক্ত পৌরসভা সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রদেশটির আয়তন বৃদ্ধি করা হয। এই সংযোজনগুলো বাদ দিয়ে বাকি পাঁচটি পৌরসভা নিয়ে বৃহত্তর লুয়ান্ডায় গঠিত:
নাম | ক্ষেত্রফল কিমি২ |
জনসংখ্যা ২০১৪ আদমসুমারি |
জনসংখ্যা ২০১৯ প্রাক্কলন[১] |
---|---|---|---|
বেলাস | ১,০৪৬ | ১,০৭১,০৪৬ | ১,২৭১,৮৫৪ |
কাকুয়াকো | ৩১২ | ১,০৭৭,৪৩৮ | ১,২৭৯,৪৮৮ |
কাজেঙ্গা | ৩৭ | ৮৮০,৬৩৯ | ১,০৪৫,৭২২ |
লুয়ান্ডা (নগর) | ১১৬ | ২,১৬৫,৮৬৭ | ২,৫৭১,৮৬১ |
ভিয়ানা | ৬৯৩ | ১,৬০০,৫৯৪ | ১,৯০০,৬৮৮ |
মোট | ২,২০৪ | ৬,৭৯৫,৫৮৪ | ৮,০৬৯,৬১৩ |
বৃহত্তর লুয়ান্ডার মধ্যে ২০১৭ সালে তালাটোনা এবং কিলম্বা-কিয়াক্সি নামে দুটি নতুন পৌরসভা গঠন করা হয়েছে।
জেলা
সম্পাদনালুয়ান্ডা শহরটি ছয়টি নগর জেলায় বিভক্ত: ইঙ্গোম্বোটা, অ্যাঙ্গোলা কুইলুঞ্জে, মায়াঙ্গা, রেঞ্জেল, সাম্বা এবং সাম্বিজঙ্গা।
সাম্বা ও সাম্বিজঙ্গায় আরও অধিক উন্নয়ন করতে হবে। ক্রমবর্ধমান রাজধানী লুয়ান্ডা শহরের সরকারি সীমা, এমনকি প্রাদেশিক সীমানা ছাড়িয়েও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লুয়ান্ডা একটি রোমান ক্যাথলিক আর্চবিশপের আসন। এছাড়াও এখানে অ্যাঙ্গোলার বেসরকারি ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাগোস্টিনহো নেটোর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ অ্যাঙ্গোলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান। এখানে রইয়েছে ঔপনিবেশিক গভর্নর প্রাসাদ এবং ৬০০,০০০ ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট অ্যাঙ্গোলার মূল স্টেডিয়াম এস্তাদিও দা সিডাদেলা ("সিটাডেল স্টেডিয়াম"।[২৬]
জলবায়ু
সম্পাদনালুয়ান্ডার জলবায়ু উষ্ণ অর্ধ-শুষ্ক (কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস : BSh)। জলবায়ু উষ্ণ থেকে উত্তপ্ত, তবে আশ্চর্যজনকভাবে শুষ্ক। কারণ শীতল বেঙ্গুয়েলা স্রোতের কারণে আর্দ্রতা সহজেই বৃষ্টিতে ঘনীভূত হতে পারে না। ঘন কুয়াশা মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সম্পূর্ণ শুকনো মাসেও রাতের তাপমাত্রা কমতে বাধা দেয়। লুয়ান্ডার বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৪০৫ মিলিমিটার (১৫.৯ ইঞ্চি), তবে এর পরিবর্তনশীলতা ৪০ শতাংশের উপরে, যা সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ।[২৭] জলবায়ু বহুলাংশে সমুদ্রতীর হতে দূরবর্তী বেঙ্গুয়েলা স্রোত দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই স্রোতের কারণে নিম্ন অক্ষাংশ সত্ত্বেও শহরটিতে আর্দ্রতা আশ্চর্যজনকভাবে কম থাকে। ফলে উষ্ণ মাসগুলোতে লুয়ান্ডার আবহাওয়া পশ্চিমা/মধ্য আফ্রিকার অনুরূপ শহরগুলোর তুলনায় যথেষ্ট বেশি সহনীয় থাকে। [২৮] ১৮৫৮ সাল থেকে পর্যবেক্ষণ করা রেকর্ডগুলো ৫৫ মিলিমিটার (২.২ ইঞ্চি) 1958 থেকে ৮৫১ মিলিমিটার (৩৩.৫ ইঞ্চি) 1916 সালে। মার্চ এবং এপ্রিলে সংক্ষিপ্ত বর্ষা মৌসুমটি শহরটিতে আর্দ্রতা বয়ে আনার এক উত্তর পাল্টা উপর নির্ভর করে: এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে বেনগেলা কারেন্টের দুর্বলতা বছরের স্রোতের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে তুলতে পারে। [২৯]
লুয়ান্ডা (১৯৬১–১৯৯০, চরম ১৮৭৯–বর্তমান)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩৩.৯ (৯৩.০) |
৩৪.১ (৯৩.৪) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
৩৬.১ (৯৭.০) |
৩৬.১ (৯৭.০) |
৩৫.০ (৯৫.০) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
২৮.৩ (৮২.৯) |
৩১.০ (৮৭.৮) |
৩১.২ (৮৮.২) |
৩৬.১ (৯৭.০) |
৩৩.৬ (৯২.৫) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৯.৫ (৮৫.১) |
৩০.৫ (৮৬.৯) |
৩০.৭ (৮৭.৩) |
৩০.২ (৮৬.৪) |
২৮.৮ (৮৩.৮) |
২৫.৭ (৭৮.৩) |
২৩.৯ (৭৫.০) |
২৪.০ (৭৫.২) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৬.৮ (৮০.২) |
২৮.৪ (৮৩.১) |
২৮.৬ (৮৩.৫) |
২৭.৭ (৮১.৯) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ২৬.৭ (৮০.১) |
২৮.৫ (৮৩.৩) |
২৮.৬ (৮৩.৫) |
২৮.২ (৮২.৮) |
২৭.০ (৮০.৬) |
২৩.৯ (৭৫.০) |
২২.১ (৭১.৮) |
২২.১ (৭১.৮) |
২৩.৫ (৭৪.৩) |
২৫.২ (৭৭.৪) |
২৬.৭ (৮০.১) |
২৬.৯ (৮০.৪) |
২৫.৮ (৭৮.৪) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ২৩.৯ (৭৫.০) |
২৪.৭ (৭৬.৫) |
২৪.৬ (৭৬.৩) |
২৪.৩ (৭৫.৭) |
২৩.৩ (৭৩.৯) |
২০.৩ (৬৮.৫) |
১৮.৭ (৬৫.৭) |
১৮.৮ (৬৫.৮) |
২০.২ (৬৮.৪) |
২২.০ (৭১.৬) |
২৩.৩ (৭৩.৯) |
২৩.৫ (৭৪.৩) |
২২.৩ (৭২.১) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ১৮.০ (৬৪.৪) |
১৬.১ (৬১.০) |
২০.০ (৬৮.০) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
১২.৮ (৫৫.০) |
১১.০ (৫১.৮) |
১২.২ (৫৪.০) |
১৫.০ (৫৯.০) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
১৭.২ (৬৩.০) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
১১.০ (৫১.৮) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ৩০ (১.২) |
৩৬ (১.৪) |
১১৪ (৪.৫) |
১৩৬ (৫.৪) |
১৬ (০.৬) |
০ (০) |
০ (০) |
১ (০.০) |
২ (০.১) |
৭ (০.৩) |
৩২ (১.৩) |
৩১ (১.২) |
৪০৫ (১৫.৯) |
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় (≥ ০.১ mm) | ৪ | ৫ | ৯ | ১১ | ২ | ০ | ০ | ১ | ৩ | ৫ | ৮ | ৫ | ৫৩ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৮০ | ৭৮ | ৮০ | ৮৩ | ৮৩ | ৮২ | ৮৩ | ৮৫ | ৮৪ | ৮১ | ৮২ | ৮১ | ৮২ |
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ২১৭.০ | ২০৩.৪ | ২০৭.৭ | ১৯২.০ | ২২৯.৪ | ২০৭.০ | ১৬৭.৪ | ১৪৮.৮ | ১৫০.০ | ১৬৭.৪ | ১৮৬.০ | ২০১.৫ | ২,২৭৭.৬ |
দৈনিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ৭.০ | ৭.২ | ৬.৭ | ৬.৪ | ৭.৪ | ৬.৯ | ৫.৪ | ৪.৮ | ৫.০ | ৫.৪ | ৬.২ | ৬.৫ | ৬.২ |
উৎস ১: Deutscher Wetterdienst[৩০] | |||||||||||||
উৎস ২: Meteo Climat (record highs and lows)[৩১] |
জনউপাত্ত
সম্পাদনাবছর | জনসংখ্যা |
---|---|
১৯৭০ (আদমশুমারি) | ৪,৭৫,৩২৮ [৩২] |
২০১৪ (আদমশুমারি) | ৬৭,৬০,৪৩৯ |
২০১৮ (প্রাক্কলন) | ৭,৭৭৪,২০০ |
লুয়ান্ডার বাসিন্দারা মূলত আফ্রিকান নৃগোষ্ঠীর সদস্য, প্রধানত আম্বুন্ডু, ওভিম্বুন্ডু এবং বাকোঙ্গো। লুয়ান্ডার সরকারি ও বহুল ব্যবহৃত ভাষা পর্তুগীজ হলেও বেশ কয়েকটি বান্টু ভাষা, প্রধানত কিম্বুন্দু, উম্বুন্দু, এবং কিকঙ্গো ভাষা ব্যবহৃত হয়।
গৃহযুদ্ধকালে লুয়ান্ডা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় নিরাপদ হওয়ায় সেসব স্থান থেকে সাধারণ মানুষ লুয়ান্ডায় স্থানান্তরিত কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানকার জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। [৩৩] তবে ২০০৬ সালে লুয়ান্ডায়, বিশেষত ঔপনিবেশিক নগর কেন্দ্রকে ঘিরে থাকা শহরতলী ও বস্তি-এলাকালোতে সহিংস অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।[৩৪]
লুয়ান্ডায় পর্তুগিজ ভাষী ইউরোপীয় বংশোদ্ভূদের (প্রায় ২,৬০,০০০) পাশাপাশি কিছু ব্রাজিলীয় সংখ্যালঘু জনসংখ্যা রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, মূলত ২০০০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে অ্যাঙ্গোলার উজ্জ্বল অর্থনীতিতে আরও বেশি সুযোগের কারণে পর্তুগাল থেকে অভিবাসন বেড়েছে । [৩৫][৩৬] দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ক্ষুদ্র প্রবাসী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য আফ্রিকার দেশ থেকে আগত অল্প কিছু বাসিন্দাও এখানে রয়েছে। লুয়ান্ডার অল্প সংখ্যক লোক মিশ্র জাতি - ইউরোপীয়/পর্তুগিজ এবং নেটিভ আফ্রিকান। গত কয়েক দশক ধরে এখানে ভিয়েতনামি সম্প্রদায়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ চীনা সম্প্রদায় গঠিত হয়েছে।
উপাসনালয়
সম্পাদনালুয়ান্ডার উপাসনালয়গুলো প্রধানত খ্রিস্টীয় গির্জা ও অন্যান্য স্থাপনা:[৩৭]
- লুয়ান্ডার রোমান ক্যাথলিক আর্চিডিয়াস (ক্যাথলিক চার্চ)
- ইভানজেলিকাল কংগ্রেগেশনাল চার্চ ইন অ্যাঙ্গোলা (ওয়ার্ল্ড কমিউনিয়ন অফ রিফর্মড চার্চস)
- ইভানজেলিকাল রিফর্মড চার্চ ইন অ্যাঙ্গোলা (ওয়ার্ল্ড কমিউনিয়ন অফ রিফর্মড চার্চস)
- অ্যাঙ্গোলার ব্যাপটিস্ট কনভেনশন (ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স)
- ইউনিভার্সাল চার্চ অফ দ্য কিংডম অফ গড।
- অ্যাসেমব্লিস অফ গড।
সংস্কৃতি
সম্পাদনাঅ্যাঙ্গোলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি লুয়ান্ডা একইসাথে সেদেশের সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল। এই শহরটিতে সিন্ডিকা ডোকলো ফাউন্ডেশন সহ অসংখ্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
শহরটি ২০০৯ সাল থেকে বার্ষিক "লুয়ান্ডা আন্তর্জাতিক জাজ ফেস্টিভ্যালের" আয়োজন করে।
এই শহরে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত জাদুঘর রয়েছে:
- নৃবিজ্ঞান জাতীয় যাদুঘর
- প্রাকৃতিক ইতিহাস জাতীয় যাদুঘর
- সশস্ত্র বাহিনী যাদুঘর
- দাসত্ব জাতীয় যাদুঘর
শহরের অন্যান্য স্মৃতিস্তম্ভগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- আয়রন প্রাসাদ (পালেসিও দে ফেরো)
- সাও মিগুয়েলের দুর্গ
- সাও ফ্রান্সিসকো দুর্গ, পেনেডো
- লুয়ান্ডা ক্যাথেড্রাল
- ইগ্রেজা দা নোসা সেনহোরা ডো ক্যাবো
- ইগ্রেজা দা নোসা সেনহোরা দা কনসিসাও
- ইগ্রেজা দা নোসা সেনহোরা দা নজারি
- ইগ্রেজা দা নোসা সেনহোরা দো করমো
- জাতীয় ঐতিহাসিক সংরক্ষাণাগার
অর্থনীতি
সম্পাদনাঅ্যাঙ্গোলার প্রায় এক তৃতীয়াংশ লুয়ান্ডায় বাস করে। লুয়ান্ডার প্রায় ৫৩% মানুষ দরিদ্র। লুয়ান্ডায় বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান খারাপ। নিরাপদ পানীয় জল এবং বিদ্যুতের স্বল্প সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবাও অনেক ক্ষেত্রে অপ্রতুল। এখনও ট্র্যাফিক পরিস্থিতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। [৩৮] অন্যদিকে, শহরের ধনী সংখ্যালঘুদের সুবিধার্থে বিলাসবহুল নির্মাণকাজ ক্রমেই বেড়ে চলছে।
লুয়ান্ডা বিদেশীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর।.[৩৯]
২০১৪ সালের মার্চে নতুন আমদানি শুল্ক লুয়ান্ডাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, সুপারমার্কেটে ভ্যানিলা আইসক্রিমের আধা লিটার টবের দাম ৩১ মার্কিন ডলার বলে জানা গেছে। রসুন থেকে শুরু করে গাড়ি, কয়েকশত আইটেমের জন্য উচ্চতর আমদানি শুল্ক প্রয়োগ হয়। উল্লিখিত লক্ষ্যটি ছিল তেলের উপর অধিক নির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা এবং কৃষিক্ষেত্র ও শিল্পের মতো ক্রমেই দুর্বল হয়ে উঠছে এমন খাতের উন্নতি করা। এই শুল্কগুলো এমন একটি দেশে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অসুবিধা কষ্ট সৃষ্টি করেছে যেখানে ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী মাসিক গড় বেতন ছিল ২০$। তবে, প্রভাবশালী তেল শিল্পে মাসিক গড় বেতন ছিল ৫৪০০ মার্কিন ডলার, যা ২০ গুণ বেশি। [৪০]
এখানকার উৎপাদিত পন্যের মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাবার, পানীয়, টেক্সটাইল, সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিকের পণ্য, ধাতব সরঞ্জাম, সিগারেট এবং জুতা/কাপড়। পেট্রোলিয়াম এখানে পরিশোধিত হয়। তবে ১৯৭৫-২০০২ সাল পর্যন্ত চলমান অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধের সময় এটি বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। লুয়ান্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বন্দর রয়েছে। এখানকার প্রধান রফতানি হ'ল কফি, তুলা, চিনি, হিরা, লোহা এবং লবণ ।
২০০২ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের সাথে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসার পর থেকে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক উত্থানের প্রভাব পড়ায় এই শহরে একটি সমৃদ্ধ নির্মাণ শিল্পও রয়েছে।। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মূলত তেল উত্তোলনের উপর নির্ভরশীল হলেও ব্যপক বৈচিত্র্যতা চলছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বৃহত্ বিনিয়োগ (দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক) লুয়ান্ডা নগরীতে সমস্ত অর্থনৈতিক খাতের নির্মাণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। [৪১] ২০০৭ সালে, অ্যাঙ্গোলার প্রথম আধুনিক শপিংমলটি লুয়ান্ডার বেলারাস শপিং মলে প্রতিষ্ঠিত হয়। [৪২]
পরিবহন
সম্পাদনারেলপথ
সম্পাদনালুয়ান্ডা লুয়ান্ডা রেলপথের প্রারম্ভিক পয়েন্ট যা পূর্বের মালানজে যাওয়ার কারণে। গৃহযুদ্ধ রেলপথটিকে অ-কার্যকরী রেখে গেছে, তবে রেলপথটি ডন্ডো এবং মালঞ্চে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। [৪৩]
বিমানবন্দর
সম্পাদনালুয়ান্ডার মূল বিমানবন্দর হল কোয়াত্রো দে ফেভেরেইরো বিমানবন্দর। এটি দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর। ভায়ানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে অ্যাঙ্গোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখনও নির্মাণাধীন। ২০১১ সালে বিমানবন্দরট চালু হওয়ার কথা ছিল। [৪৪] তবে, অ্যাঙ্গোলার সরকার নির্মাণের দায়িত্বে থাকা চীনা উদ্যোগের কারণে অর্থ প্রদান করা অব্যাহত না রাখায়, সংস্থাটি ২০১০ সালে তার কাজ স্থগিত করেছিল।
বন্দর
সম্পাদনালুয়ান্ডা বন্দর অ্যাঙ্গোলার প্রধান ও বৃহত্তম বন্দর এবং আফ্রিকার ব্যস্ততম বন্দরগুলোর মধ্যে একটি। [৪৫] এই বন্দরের বৃহত্তর সম্প্রসারণও চলছে। [৪৬] ২০১৪ সালে লুয়ান্ডা বন্দর থেকে প্রায় ৩০ কিমি উত্তরে দান্দেতে একটি নতুন বন্দর তৈরি করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন
সম্পাদনাবর্তমানে লুয়ান্ডার রাস্তাগুলোর মেরামত-ব্যবস্থা খুব খারাপ, তবে নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক বিস্তৃত পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। লুয়ান্ডাকে ভায়ানার সাথে সংযুক্ত করা একটি ৬-লেনের প্রধান মহাসড়ক সহ প্রায় সব এলাকাতেই সড়কে বড় ধরনের মেরামত করতে দেখা যায়। [৪৭]
জন পরিবহন
সম্পাদনালুয়ান্ডা রেলপথের শহরতলির পরিষেবা, পাবলিক সংস্থা টিসিইউএল এবং ক্যান্ডোঙ্গুইরো নামক সাদা-নীল রংকরা মিনিবাস হিসাবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্মিলিত ট্যাক্সি বহর দ্বারা পাবলিক ট্রানজিট সরবরাহ করা হয়। ক্যান্ডোঙ্গুইরোগুলো সাধারণত টয়োটা হাইস ভ্যান। এগুলোর নির্মাণশৈলী অনুযায়ী ১২ জন বহনযোগ্য হলেও সাধারণত ক্যান্ডোঙ্গুইরোগুলোত্ব কমপক্ষে ১৫ জন বহন করা হয়। এগুলোতে ট্রিপ প্রতি ১০০ থেকে ২০০ কোয়ানজাজে ভাড়া ধার্য করা হয়। তবে এগুলো ট্র্যাফিক নিয়ম অমান্য করার জন্য পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ নির্দিষ্টস্থানে না থামানো এবং ফুটপা্থে চালানো।
২০১৯ সালে, ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় ধরে ২০২০ সাল থেকে লুয়ান্ডা লাইট রেল নেটওয়ার্ক নির্মাণকাজ শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। [৪৮]
শিক্ষা
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক স্কুল:
- এসকোলা পর্তুগুয়েশিয়া ডি লুয়ান্ডা
- কলজিও পর্তুগিজ ডি লুয়ান্ডা
- কলজিও সাও ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস
- লুয়ান্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
- লুয়ান্ডা ইংলিশ স্কুল কমিউনিটি
উচ্চশিক্ষা
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়সমূহ:
- অ্যাগোস্টিনহো নেটো বিশ্ববিদ্যালয়
- লুসদা বিশ্ববিদ্যালয়
- অ্যাঙ্গোলার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়
- অ্যাঙ্গোলা প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়
- অ্যাঙ্গোলা মেথোডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
- অ্যাঙ্গোলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
- জিন পাইগেট ইউনিভার্সিটি অ্যাঙ্গোলা
- মান্ডুম ইয়া নেদেমুফায়ো বিশ্ববিদ্যালয়
- ইউনিভার্সিদে ইন্দেপেডেন্টে অ্যাঙ্গোলা
খেলাধুলা
সম্পাদনালুয়ান্ডার পাভিলহো মাল্টিউসোস কিলাম্বা অনেকবার অ্যাঙ্গোলা জাতীয় বাস্কেটবল দলের খেলার আয়োজন করে। [৪৯]
২০১৩ সালে লুয়ান্ডা এবং নামিবে (আজকের মোমাদিস) শহর একত্রে ২০১৩ এফআইআরএস মেনস রোলার হকি বিশ্বকাপের আয়োজন করে। এটি ছিল প্রথমবারের মতো আফ্রিকাতে রোলার হকি বিশ্বকাপ আয়োজন। এটি ডেস্পের্তিভো দো বেঙ্গো ফুটবল ক্লাবের শহর।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
সম্পাদনাজোড় শহর-ভগ্নীপ্রতিম শহর
সম্পাদনালুয়ান্ডা জোড়-শহর:
- হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র[৫০]
- সাও পাওলো, ব্রাজিল[৫১][৫২]
- লিসবন, পর্তুগাল[৫৩][৫৪][৫৫][৫৬]
- ওয়াক্সাকা, মেক্সিকো
- প্রাইয়া, কেপ ভার্দে
- বেইরা, মোজাম্বিক
- উইন্ডহোক, নামিবিয়া
- বিসাহু, গিনি-বিসাউ
- বেইজিং, চীন
- ম্যাকাউ, ম্যাকাউ
- মাপুতো, মোজাম্বিক
- তাহোয়া, নাইজার
- সাঁউ তুমি, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি
- জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
- কায়রো, মিশর
- পোর্তো, পর্তুগাল
- হুয়াম্বু, অ্যাঙ্গোলা
- তুওলন, ফ্রান্স
- আসুনসিয়ন, প্যারাগুয়ে
- কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Instituto Nacional de Estatística, República de Angola.
- ↑ "Archived copy"। ২০১৮-০২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১২। Citypopulation reporting on Instituto Nacional de Estatística, República de Angola (web) projection july 2019
- ↑ "Sub-national HDI – Area Database – Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।
- ↑ "Luanda"। ডিকশনারী.কম। র্যান্ডম হাউজ।
- ↑ ক খ Flight from Angola ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৭-২৩ তারিখে, The Economist (August 16, 1975).
- ↑ "Luanda - Angola Today"। Angola Today (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১৯।
- ↑ Guardian Staff (২০১৯-০১-২২)। "After the oil boom: Luanda faces stark inequality – photo essay"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। ২০১৯-০৬-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৫।
- ↑ Specter, Michael (২০১৫-০৫-২৫)। "Luxury Living in a Failed State" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0028-792X। ২০১৯-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৫।
- ↑ "Luanda most expensive city for expats" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-২১। ২০১৯-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৫।
- ↑ Neild, Barry (২০১৮-০৬-২৬)। "Most expensive city for expats revealed"। CNN Travel (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৫।
- ↑ Leitão, José। "A Missão no Reino de Angola" (পিডিএফ)।
- ↑ "Portuguese Colonial Remains"। Colonialvoyage.com। ২০১০-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৭।
- ↑ See Joseph Miller, Way of Death: Merchant Capitalism and the Angolan Slave Trade, London & Madison/Wis, : James Currey & University of Wisconsin Press, 1988
- ↑ João C. Curto. Álcool e Escravos: O Comércio Luso-Brasileiro do Álcool em Mpinda, Luanda e Benguela durante o Tráfico Atlântico de Escravos (c. 1480-1830) e o Seu Impacto nas Sociedades da África Central Ocidental. Translated by Márcia Lameirinhas. Tempos e Espaços Africanos Series, vol. 3. Lisbon: Editora Vulgata। H-net.org। ২০০২। আইএসবিএন 978-972-8427-24-5। ২০০৫-০১-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪।
- ↑ Njoku, Onwuka N. (১৯৯৭)। Mbundu। পৃষ্ঠা 38–39।
- ↑ "Angola Embassy in Cairo"। www.angolaeg.net। ২০২১-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৮।
- ↑ angolaPT (৩ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Angola antes da Guerra (Parte 2)"। ১৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ – YouTube-এর মাধ্যমে।
- ↑ "YouTube"। www.youtube.com। ১৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Mayor's International Council Sister Cities Program"। Belo Horizonte, Minas Gerais। ২০০৭-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-১৮।
- ↑ The Economist: Marching towards riches and democracy? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৯-২০ তারিখে August 28, 2008
- ↑ "Tokyo falls out of top 10 most expensive cities - FT.com"। ft.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৭।
- ↑ "OT Africa Line - Angola"। Otal.com। ২০০৪-০৭-০১। ২০০৯-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "China International Fund Limited"। Chinainternationalfund.com। ২০০৯-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ "Angola Press - Economia - Pobreza será combatida com emprego e habitações sociais, diz ministro-adjunto do PM"। Portalangop.co.ao। ২০১০-০৫-২৫। ২০১১-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ MBRO%20de%202010.pdf Streets of Luanda from the Luanda Provincial Government website[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] new pictures from Luanda City (Portuguese)
- ↑ "Estádio da Cidadela"। zerozero.pt। ২০১৪-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৭।
- ↑ Dewar, Robert E. and Wallis, James R; "Geographical patterning in interannual rainfall variability in the tropics and near tropics: An L-moments approach"; in Journal of Climate, 12; pp. 3457–3466
- ↑ "Visit Luanda, Angola"। visitafrica.site (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩।
- ↑ Video from heavy rain falls in Luanda ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০৭-২৭ তারিখে December 28, 2010
- ↑ "Klimatafel von Luanda, Prov. Luanda / Angola" (পিডিএফ)। Baseline climate means (1961-1990) from stations all over the world (জার্মান ভাষায়)। Deutscher Wetterdienst। ১২ মে ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৬।
- ↑ "Station Luanda" (ফরাসি ভাষায়)। Meteo Climat। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৬।
- ↑ "Archived copy"। ২০১৯-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৮।
- ↑ "International Spotlight: Angola"। Washingtonpost.com। ২০১২-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৭।
- ↑ Pike, John (২০০৬-০৩-১৩)। "ANGOLA: Easy access to guns concern as election nears"। Globalsecurity.org। ২০১২-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৭।
- ↑ "Tens of Thousands of Portuguese Emigrate to Fast-Growing Angola - SPIEGEL ONLINE"। spiegel.de। ২০১৬-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৭।
- ↑ Smith, David (২০১২-০৯-১৬)। "Portuguese escape austerity and find a new El Dorado in Angola"। The Guardian। London। ২০১৭-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Britannica, Angola ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-০৪-০৯ তারিখে, britannica.com, USA, accessed on July 7, 2019
- ↑ Keeping the flow in Angola's slums ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৯-০৭-১৫ তারিখে, Department for International Development (DFID), United Kingdom (February 13, 2009)
- ↑ "Worldwide Cost of Living survey 2015 - City rankings"। www.mercer.com। ২০১৫-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-১৭।
- ↑ "Angola's new import tariffs putting the squeeze on the poorest residents in one of the world's most expensive cities"। The Independent। ২০১৪-০৪-২৩। ২০১৪-০৪-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-০২।
- ↑ "GDP growth: A look ahead"। The Economist। ২০০৭-১২-১৯। ২০১০-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ "Belas shopping inaugurado em Luanda" (পর্তুগিজ ভাষায়)। Angonoticias.com। ২৮ মার্চ ২০০৭। ২৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৬।
- ↑ "China International Fund Limited"। Chinainternationalfund.com। ২০০৯-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ "China International Fund Limited"। Chinainternationalfund.com। ২০০৯-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ ক খ "African Business Central - Top Eight Busiest Ports in Africa"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ Scott Wilson projects ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ৪, ২০০৮ তারিখে
- ↑ "Angola: Part of Luanda's Highway Complete By December"। allAfrica.com। ২০০৮-০৮-১৫। ২০০৯-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ "Luanda surface light rail system will cost US$3 billion – Macauhub"। Macauhub। ৬ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Getting to know Africa's flashy basketball arenas"। FIBA। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Sister Cities"। www.houstontx.gov। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Pesquisa de Legislação Municipal - No 14471" [Research Municipal Legislation - No 14471]। Prefeitura da Cidade de São Paulo [Municipality of the City of São Paulo] (পর্তুগিজ ভাষায়)। ২০১১-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-২৩।
- ↑ Lei Municipal de São Paulo 14471 de 2007 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৯-২৮ তারিখে WikiSource (পর্তুগিজ ভাষায়)
- ↑ "Lisboa - Geminações de Cidades e Vilas" [Lisbon - Twinning of Cities and Towns]। Associação Nacional de Municípios Portugueses [National Association of Portuguese Municipalities] (পর্তুগিজ ভাষায়)। ২০১৫-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-২৩।
- ↑ "Acordos de Geminação, de Cooperação e/ou Amizade da Cidade de Lisboa" [Lisbon - Twinning Agreements, Cooperation and Friendship]। Camara Municipal de Lisboa (পর্তুগিজ ভাষায়)। ২০১৩-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-২৩।
- ↑ "International Relations of the City of Porto" (পিডিএফ)। © 2006–2009 Municipal Directorateofthe PresidencyServices InternationalRelationsOffice। ২০১২-০১-১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১০।
- ↑ Associação Porto Digital। "C.M. Porto"। Cm-porto.pt। ২০১১-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৭।