ব্রাজিলে বাংলাদেশী অভিবাসন
ব্রাজিলে বাংলাদেশী অভিবাসন একটি নতুন প্রবণতা, কেননা দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে বাঙালিদের গ্রহণের কোনও অতীত ঐতিহ্য নেই।[২] ব্রাজিলে বেশিরভাগ বাংলাদেশী অভিবাসী ব্রাজিলিয়ান সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় এবং সুরক্ষা চেয়ে থাকেন।[৩] বেশিরভাগ দেশ বিদেশিদের শরণার্থী হিসাবে বিবেচনা করে, যদিও প্রথমবারের মতো ২০০০-এর দশকের শেষদিকে বাঙালিরা ব্রাজিল আসতে শুরু করে এবং ২০১০-এর দশকের শুরুর দিকে অভিবাসীদের ঢল নামে। অভিবাসীরা নতুন বাড়ি হিসাবে ব্রাজিলকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল তাদের কাছে দেশটি সুযোগে ভরপুর, যা তারা বাংলাদেশে দারিদ্র্য, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নির্যাতনের জন্য পান না।[৪]
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
১৮০০-এর বেশি আশ্রয়প্রার্থি (২০১৪)।[১] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ভাষা | |
ধর্ম | |
ইসলাম | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
অবৈধ অভিবাসন
সম্পাদনাব্রাজিলিয়ান পুলিশ বাংলাদেশি নাগরিকদের সে দেশে মানব পাচারের সাথে সংযোগ খুঁজে পায়।[৫][৬] সাইফুল্লাহ আল-মামুন নামে এক বাংলাদেশিকে ব্রাজিলিয়ান ফেডারেল পুলিশ গ্রেপ্তার করে, যাকে বিশ্বের অন্যতম কুখ্যাত মানব পাচারকারী হিসেবে মনে করা হয়।[৭] ব্রাজিলের পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়, 'সে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের লোকজন পাচার করে প্রথমে ব্রাজিল এবং তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাঠায়।[৮]
কিছু অভিবাসী আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে শোষণের শিকার হন,[৯] তবে যারা সেদেশে বৈধভাবে কাজ করেন তারা এমন কারখানায় নিযুক্ত যেখানে হালাল পন্থায় জবাইকরণ (মাংস কাটার ইসলামী পদ্ধতি) করা হয়।[১০]
কেবল ভেনিজুয়েলা, হাইতিয়ান, কিউবান এবং চীনাদের পরেই শুধুমাত্র ২০১৮-এর জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই বাংলাদেশিরা লাতিন আমেরিকার দেশটিতে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য পঞ্চম গ্রুপ ছিল।[১১]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ BBC Brasil। "Brasil vira rota de bengalis em busca de refúgio" (Portuguese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Bangladesh in the Brazilian Amazon"। Al Jazeera। ১১ জানু ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানু ২০২১।
- ↑ "Bangladeshis in Latin America!"। দৈনিক প্রথম আলো। ৯ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানু ২০২১।
- ↑ "Brasil vira rota de onda de imigrantes bengalis em busca de refúgio" (Portuguese ভাষায়)। ৫ ফেব্রু ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Trafficking gang 'smuggled Bangladeshis into Brazil'"। BBC। ১৭ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানু ২০২১।
- ↑ "Brasilia, immigrants from Bangladesh forced to work in slave-like conditions"। AsiaNews। ২০ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানু ২০২১।
- ↑ "8 years of perilous journey chasing the American dream"। tbsnews.net। ২১ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানু ২০২১।
- ↑ "Brazil arrests Bangladeshi man, said to be world's most prolific human traffickers"। The Daily Star (Bangladesh)। ২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানু ২০২১।
- ↑ "Quadrilha explorava bengalis em obras do DF" (Portuguese ভাষায়)। ১৫ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Cresce número de bengalis refugiados no Brasil" (Portuguese ভাষায়)। ৭ ফেব্রু ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Número de estrangeiros que pediram refúgio no Brasil aumenta 161% em 2018; maioria é de venezuelanos" (Portuguese ভাষায়)। ৫ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০।