দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)
দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার একটি দৈনিক সংবাদপত্র।[১] ১৪ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে সৈয়দ মোহাম্মদ আলী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।[২]
ধরন | দৈনিক সংবাদপত্র |
---|---|
ফরম্যাট | ব্রডশীট |
মালিক | ট্রান্সকম গ্রুপ |
সম্পাদক | মাহফুজ আনাম |
উপ-সম্পাদক | সৈয়দ আশফাকুল হক |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৪ জানুয়ারি ১৯৯১ |
ভাষা | ইংরেজি, বাংলা (শুধুমাত্র অনলাইন) |
সদর দপ্তর | ৬৪-৬৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫ |
ওয়েবসাইট | thedailystar.net thedailystar.net/bangla/ |
বর্তমানে জনাব মাহফুজ আনাম এই দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদক[৩][৪] ও প্রকাশক।[৫] এর বাংলা বিভাগের সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা।[৬]
সমালোচনা ও বিতর্ক
সম্পাদনাসাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পত্রিকাটি বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অভিযোগ প্রকাশ করে।[৭] এছাড়াও সরকারের চাপের মুখে পড়ার ফলে এর বিজ্ঞাপন আয় হ্রাস পায়।[৮]
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সদস্যদের দ্বারা দায়ের করা মামলা
সম্পাদনাপেন আমেরিকা মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর তীব্র সমালোচনা করে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের সদস্য ও সমর্থকদের দায়ের করা ৮৩টি মামলা এবং ৩০টি ফৌজদারি মানহানির অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত।[৯]
২০০০ দশকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শাসনামলে, আনামের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা মানহানির মামলা করেন। তিনি ছিলেন মতিউর রহমান, বাংলা সংবাদপত্র প্রথম আলোর সম্পাদক, এর সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কর্তৃক দায়েরকৃত মানহানির মামলায় সহ-অভিযুক্ত।আদালতে আনামের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন কামাল হোসেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ডিজিএফআই ফাঁস
সম্পাদনা২০১৬ সালে, এটিএন নিউজের একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন যে, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের সামরিক-সমর্থিত জরুরি অবস্থা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ডিজিএফআই কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে দ্য ডেইলি স্টার-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।[১০] মাহফুজ আনামের স্বীকারোক্তির পর তাঁর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
অবরুদ্ধ ওয়েবসাইট
সম্পাদনা২০১৮ সালের ১ জুন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের দ্বারা একরামুল হকের বিচারবহির্ভূত হত্যার সংবাদ প্রকাশের পর ওই সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটটি সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়।[১১] হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যক্তিটি তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অবরুদ্ধ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করেনি।
কর্মচারীদের দ্বারা শিশু নির্যাতন
সম্পাদনাফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক এবং তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার মোহাম্মদপুর থানায় তাদের বাড়িতে পনের বছর বয়সী এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর ঢাকার একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরবর্তীতে কারাগারে প্রেরিত হন।[১২][১৩] হক এবং তার স্ত্রী শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মুখোমুখি হন। মৃত গৃহকর্মী ছিলেন প্রীতি উরাং নামের এক কিশোরী। তিনি নির্বাহী সম্পাদকের বাড়িতে চাকরের কাজ করতেন। উরাং মৌলভীবাজার জেলার একটি চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের সদস্য ছিলেন।মেয়েটির মৃত্যুর ন্যায়বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।[১৪][১৫] পত্রিকাটি এই ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।[১৬][১৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Newspaper Trends: Bangladesh ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে, World Advertising Research Center; Retrieved: 14 September 2007
- ↑ সৈয়দ মোশাররফ আলী (অক্টোবর ১৭, ২০০৭)। "Remembering Syed Mohammad Ali" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "About The Daily Star" (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সব মতের মিলনমেলা"। mzamin.com। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১০, ২০২৩।
- ↑ "Bangladesh Press Council: Is the protector turning into a 'predator'?"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৬ আগস্ট ২০২২। ২৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;aj7Oct2015
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Bangladesh: Defamation Charges Against Editor Representative of Broader Attacks on Media"। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬। ২৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "Daily Star Editor Mahfuz Anam admits to publishing DGFI-fed baseless stories"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Star blocked, unblocked"। দ্য ডেইলি স্টার। ৩ জুন ২০১৮। ২৩ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Preeti Urang's death: 4-day remand granted for The Daily Star executive editor, wife"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২০।
- ↑ "Journalist Ashfaqul, wife Tania land in jail over death of domestic worker"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২০।
- ↑ "Demand for justice grows as tea workers protest domestic worker Preeti's death"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২০।
- ↑ "Daily Star urged to take action against Ashfaq"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২০।
- ↑ "Editor's note to readers"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২০।
- ↑ অনলাইন ডেস্ক (২ এপ্রিল ২০২৪)। "ডেইলি স্টারের চাকরি হারালেন সৈয়দ আশফাকুল হক"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাসংবাদপত্র বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |