নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্ব
২৬ মে ২০১৪-এ রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্ব শুরু হয়েছিল। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মনমোহন সিংহের পর ভারতীয় জনতা পার্টির নরেন্দ্র মোদী ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী,[১] মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভায় ৪৫ জন মন্ত্রী ছিলেন, যা পূর্বের সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট সরকারের তুলনায় ২৫ জন কম।[২] ৯ নভেম্বর ২০১৪-এ মন্ত্রী পরিষদে ২১ জন মন্ত্রীদের যোগ করা হয়েছিল।
নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্ব ২৬ মে ২০১৪ – বর্তমান | |
দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
---|---|
প্রথম মেয়াদ ২৬ মে ২০১৪ – ৩০ মে ২০১৯ | |
মন্ত্রিসভা | প্রথম |
নির্বাচন | ২০১৪ |
নিয়োগদাতা | রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় |
আসন | বারাণসী |
দ্বিতীয় মেয়াদ ৩০ মে ২০১৯ – বর্তমান | |
মন্ত্রিসভা | দ্বিতীয় |
নির্বাচন | ২০১৯ |
নিয়োগদাতা | রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ |
আসন | বারাণসী |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন এবং ৩০ মে ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি শপথগ্রহণ করেছিলেন।[৩] তাঁর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় ৫৪ জন মন্ত্রী ছিলেন[৪] এবং প্রাথমিকভাবে এতে ৫১ জন মন্ত্রী ছিলেন, যা ৭ জুলাই ২০২১-এ বেড়ে ৭৭ জন মন্ত্রীতে দাঁড়াল।[৫]
কিছু সংবাদমাধ্যমের মতে, মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে ভারতে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ ঘটছে,[৬] যদিও অন্যান্য সূত্র এই দাবি নস্যাৎ করেছে।[৭]
অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সম্পর্কিত নীতি
সম্পাদনামেক ইন ইন্ডিয়া
সম্পাদনাসেপ্টেম্বর ২০১৪-এ ভারতে পণ্য উৎপাদনের জন্য বিদেশি কোম্পানিদের উৎসাহিত করার জন্য মোদী মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প চালু করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ভারতকে এক বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে উন্নীত করা।[৮] অর্থনৈতিক উদারীকরণের সমর্থকেরা এই প্রকল্পকে সমর্থন করেন, এবং সমালোচকেরা বলছেন যে এর মাধ্যমে বিদেশি কর্পোরেশনগুলো ভারতীয় বাজারের এক বড় শেয়ার লাভ করবে। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের তিনটি লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে:
- উৎপাদন সেক্টরের বৃদ্ধির হারকে ১২-১৪% প্রতি বছরে উন্নীত করা।
- ২০২২-এর মধ্যে অর্থনীতিতে ১০ কোটি অতিরিক্ত উৎপাদন চাকরি তৈরি করা।
- লক্ষ রাখা যেন ২০২২-এর মধ্যে (পরে সংশোধন করে ২০২৫-এর মধ্যে) জিডিপি-তে উৎপাদন সেক্টরের অবদান ২৫%-এ উন্নীত হয়।
জ্বালানি মূল্য
সম্পাদনাঅক্টোবর ২০১৪-এ মোদী সরকার ডিজেল মূল্যকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছিলেন।[৯] পরে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ও অক্টোবর ২০১৮-এর মধ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর কর ৪ টাকা (₹৪) কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে, জানুয়ারি–এপ্রিল ২০২০-এর মধ্যে বৈশ্বিক কাঁচাতেল মূল্যের ৬৯%-এর মতো চরম অবনতির পর কেন্দ্রীয় সরকার মে ২০২০-এ পেট্রোল ও ডিজেলের উপর অন্তঃশুল্ক যথাক্রমে ₹১০ প্রতি লিটার ও ₹১৩ প্রতি লিটার করে বাড়িয়েছিল।
করের এই পরবর্তী পরিবর্তনের জন্য বৈশ্বিক কাঁচাতেল মূল্যের চরম অবনতি ও উন্নতির সময় ভারতের খুচরো বিক্রয়মূল্য স্থিতিশীল রইল।[১০]
মার্চ ২০১৫-এ মোদী সরকার "গিভ আপ এলপিজি সাবসিডি" বলে এক প্রচার চালিয়েছিল। এটি বাজারদরে এলপিজি ক্রয় করতে পারেন এমন এলপিজি ব্যবহারকারীদের স্বেচ্ছায় এলপিজি ভর্তুকি ত্যাগ করতে উৎসাহিত করেছিল।[১১] ২৩ এপ্রিল ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী ১ কোটি মানুষ স্বেচ্ছায় এলপিজি ভর্তুকি ত্যাগ করেছিল।[১২] সরকার এই ত্যাগ করা ভর্তুকির মাধ্যমে বিনামূল্যে গ্রামের দরিদ্র পরিবারদের জন্য রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা করেছিল।[১৩] ত্যাগ করা ভর্তুকিতে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, দিল্লি ও তামিলনাড়ু প্রথম পাঁচ রাজ্য।[১৪]
প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা
সম্পাদনাপ্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা হল ভারতএর দরিদ্র পরিবারের মহিলাসমূহের মুখে হাসি আনার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার-এর দ্বারা ২০১৬ সালের ১ মে তে আরম্ভ করা একটা যোজনা। এই যোজনার অধীনে দরিদ্র মহিলাদেরকে বিনামূল্যে এল.পি.জি. সংযোগ যোগান দেওয়া হয়।
এই যোজনার মুখ্য উদ্দেশ্য হল গ্রামাঞ্চলে খাদ্য বানাবার জন্য ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানির জায়গায় এল.পি.জি.র ব্যবহারকে অধিক গুরুত্ব দেয়া। তারোপরি মহিলার সশক্তিকরণকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার সাথে তাদেরকে স্বাস্থ্যের সুরক্ষাও এই যোজনার অন্য একটি উদ্দেশ্য। এই যোজনার জন্য মন্ত্রীমণ্ডল ৮,০০০ কোটি টাকার বাজেট নির্মাণ করেছেন।গণপরিবহন
সম্পাদনাকেন্দ্রীয় সরকার ভারতে ১,০০০টি নতুন ডিজেল রেলইঞ্জিন সরবরাহ করার জন্য জেনারেল ইলেকট্রিক ও অ্যালস্টমের সঙ্গে বড় চুক্তি করেছিলেন। এটি ভারতের রেল পরিবহনের পরিবর্তনের এক প্রচেষ্টার অংশ, যার মধ্যে বেসরকারীকরণের প্রচেষ্টাও অন্তর্গত।[১৫][১৬]
ডিসেম্বর ২০১৫-এ মোদী সরকার মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে এক উচ্চ-গতির রেল ব্যবস্থা বা "বুলেট ট্রেন" তৈরি করার জন্য জাপানের সঙ্গে এক চুক্তি করেছিল।[১৭]
নোট বাতিল
সম্পাদনাজাল নোট ব্যবহারের দ্বারা তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন ও দেশে কালো টাকা প্রতিরোধ করার ভারত সরকার দ্বারা এটি একটি প্রচেষ্টা৷[১৯]
স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ
সম্পাদনা২৫ জুন ২০১৫-এ মোদী ১০০টি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার জন্য এক প্রকল্প শুরু করেছিলেন।[২০] আশা করা হয় যে এই "স্মার্ট সিটিজ" প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিদের ₹ ২০ বিলিয়ন (ইউএস$ ২৪৪.৪৭ মিলিয়ন) অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে।[২১] এছাড়া তিনি "স্মার্ট ভিলেজেস" প্রকল্প শুরু করেছিলেন, যার মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট সুবিধা, পরিষ্কার জল, স্বচ্ছতা ও নিম্ন-কার্বন শক্তি প্রদান করা হবে, এবং সংসদ সদস্য এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে নজরদারি করবেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যে ২০১৯-এর মধ্যে কমপক্ষে ২,৫০০টি স্মার্ট ভিলেজ গড়ে তোলা হবে।[২১]
সামাজিক নীতি
সম্পাদনাপ্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা
সম্পাদনাস্বাস্থ্য ও স্বচ্ছতা নীতি
সম্পাদনাস্বচ্ছ ভারত অভিযান
সম্পাদনাস্বচ্ছ ভারত অভিযান (হিন্দি: स्वच्छ भारत अभियान) ২০১৪ সালের ভারত সরকার দ্বারা প্রচলিত একটি জাতীয় প্রকল্প। এর মাধ্যমে দেশের ৪০৪১টি শহরের সড়ক ও পরিকাঠামো পরিষ্করণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাও এই কর্মসূচির লক্ষ্য।[৩৩][৩৪][৩৫] ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২রা অক্টোবর নূতন দিল্লির রাজঘাট সমাধি পরিসরে নতুন প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং রাস্তা পরিষ্কার করেন। সেই দিন এই প্রকল্পকে রূপায়িত করতে দেশের প্রায় ত্রিশ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।[৩৬][৩৭]
এটি ২০০৯ সালে চালু হওয়া নির্মল ভারত অভিযানের একটি পুনর্গঠিত সংস্করণ, যা তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।[৩৮][৩৯]
স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রথম পর্যায় অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত চলে। ২০২০-২১ এবং ২০২৪-২৫-এর মধ্যে ফেজ ১ এর কাজকে টেকসই করতে সাহায্য করার জন্য দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।[৪০]শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন
সম্পাদনাবিদেশনীতি
সম্পাদনাবিদেশনীতি মোদীর নির্বাচন প্রচারে তুলনায় কম ভূমিকা পালন করেছিল, এবং বিজেপি-র নির্বাচন ইস্তেহারে এটি তেমন বিশিষ্টতা লাভ করেনি।[৪১] মোদী তাঁর প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যান্য সার্ক নেতাদের আমন্ত্রিত করেছিলেন,[৪২][৪৩] যা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম।[৪৪] পর্যবেক্ষকদের মত, যেহেতু নির্বাচন প্রচারের সময় মোদী নিজেকে এক শক্তিশালী ও জাতীয়তাবাদী নেতা হিসাবে তুলে ধরেছিলেন, সেহেতু তিনি রাজনৈতিকভাবে সংযম নীতি পালন করতে পারবেন না যা ভারত আগে সন্ত্রাস হামলার পরে করেছিল, এবং এর প্রতিক্রিয়া খুব সম্ভবত সামরিক আকার লাভ করবে।[৪২][৪৫]
প্রতিরক্ষা নীতি
সম্পাদনা২০১৪-এর নির্বাচন প্রচার চলাকালীন মোদী ও বিজেপি ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র নীতি, বিশেষ করে ঐতিহাসিক "নো ফার্স্ট ইউজ" নীতি, পুনরায় যাচাই করার অঙ্গীকার করেছিলেন।[৪৬] এই নীতিদের পুনরায় যাচাই করার চাপ মূলত ভারত সরকার ও প্রতিরক্ষা আধিকারিকের দৃঢ় মনোভাব থেকে উদ্ভূত।[৪৬] উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে ব্যবস্থা করা এবং সন্ত্রাসী সংগঠনদের সামলানো নিয়ে আরও দৃঢ় হওয়া বিজেপি-র নির্বাচন ইশতেহারেআরও অন্তর্গত। নির্বাচন প্রচারের সময় মোদী বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের স্বীকার অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ব্যবস্থা করাতে রাজি, কিন্তু "রাজনৈতিক উদ্দেশ্য" নিয়ে আসা অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মোদী সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন, যার ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, শিখ ও বৌদ্ধ বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে বসবাস আইনসঙ্গত হয়ে যাবে। সরকার এই ব্যবস্থাকে মানবিক কারণের জন্য চালু করেছিল বলে দাবি করেছিল, কিন্তু বিভিন্ন অসমীয়া সংগঠন এর তীব্র সমালোচনা করেছিল।[৪৭]
মোদী সরকার পূর্বের কংগ্রেস সরকারের প্রতি বছরে সামরিক আয় বৃদ্ধির নীতি বহাল রেখেছিল এবং ২০১৫-এর সামরিক বাজেটে ১১% বৃদ্ধি ঘোষণা করেছিল। এই বৃদ্ধি কংগ্রেস আমলের গড় বৃদ্ধির তুলনায় বেশি।[৪৮][৪৯]
পরিবেশ নীতি
সম্পাদনাহিন্দুত্ব
সম্পাদনা২০১৪-এর নির্বাচন প্রচারের সময় মোদী সাম্প্রদায়িক কলহ মুক্ত মেয়াদের আশা করেছিলেন। বিজেপি নিজেকে হিন্দু জাতীয়তাবাদ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যার মধ্যে ভীমরাও রামজি আম্বেদকর, সুভাষচন্দ্র বসু ও রাম মনোহর লোহিয়া অন্তর্গত। তবে কিছু রাজ্যে বিজেপি নেতাগণ হিন্দুত্ব ভিত্তিক বক্তৃতা দিয়েছিলেন।[৫০] বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরপূর্ব রাজ্যে সাম্প্রদায়িক কলহ দেখা দিয়েছিল। বিতর্কিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রস্তাব বিজেপি-র নির্বাচন ইস্তেহারের অংশ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর নির্বাচনের পর বিজেপি-র নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজ্য সরকার হিন্দুত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন নীতি প্রয়োগ করেছিল। হরিয়ানা সরকার তার শিক্ষানীতিকে পরিবর্তিত করেছিল যার ফলে পাঠক্রমে হিন্দু ধার্মিক বিষয়াদি চালু হয়েছিল। নির্বাচনের পর বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা গ্রন্থকে ভারতের "জাতীয় গ্রন্থ" হিসাবে গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মোদী সরকার সাধারণত হিন্দুত্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন নীতিকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করতে বিরত থাকে। তবে সেখানে অন্যান্য হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের কর্মকাণ্ডের হার বেড়ে গিয়েছে, এবং অনেকসময় এতে সরকারি মদত থাকে। এই কর্মকাণ্ডের মধ্যে "লাভ জিহাদ"-এর বিরুদ্ধে প্রচার, হিন্দুধর্মে ধর্মান্তর প্রকল্প ইত্যাদি অন্তর্গত। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং এই ধর্মান্তরের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংগঠন একে ইসলাম ও খ্রিস্টধর্ম থেকে "পুনঃধর্মান্তর" বলে আখ্যায়িত করেছে। অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ এই "লাভ জিহাদ" বর্ণনাকে সমর্থনকারী কোনো প্রমাণ পায়নি।[৫১][৫২][৫৩][৫৪]
মোদী আমলে বিভিন্ন মুসলিম পাড়ায় অপরাধ বা দাঙ্গায় অভিযুক্ত মুসলিমদের বাড়ি, দোকান ও অন্যান্য সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করা হয়। বিজেপি আধিকারিকেরা এই ধ্বংসলীলার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছেন যে সম্পত্তিগুলো বেআইনি। দিল্লিতে এই ধ্বংসলীলা এমনকি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশকে বিঘ্নিত করেছিল, যা কর্তৃপক্ষদের দ্রুত ধ্বংসলীলা বন্ধ করতে বলেছিল।[৫৫]
কাশী বিশ্বনাথ ও মহাকাল করিডোর
সম্পাদনা৮ মার্চ ২০১৯-এ বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও গঙ্গা নদীর মধ্যে ভিড়ভাট্টা কমিয়ে এক প্রশস্ত করিডোর তৈরি করার জন্য নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ করিডোর প্রকল্প শুরু করেছিলেন।[৫৬] ১৩ ডিসেম্বর ২০২১-এ মোদী এক পবিত্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই করিডোর উদ্বোধন করেছিলেন।[৫৭]
নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯
সম্পাদনা৮ জানুয়ারি ২০১৯-এ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল, ২০১৯ পাস করেছিল, যার দ্বারা ২০১৪-এর আগে তিন মুসলিমপ্রধান দেশ (আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) থেকে অমুসলিম অভিবাসকদের বাসস্থান ও নাগরিকত্ব অধিকার প্রদান করা হবে, যাদের মধ্যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান ও পার্সি সম্প্রদায়ের অভিবাসক অন্তর্গত। এই বিলে মুসলিম অভিবাসকদের অন্তর্গত করা হয়নি।[৫৮][৫৯]
রাম মন্দির
সম্পাদনা৬ আগস্ট ২০১৯-এ ভারতের সর্বোচ্চ আদালত, অযোধ্যার বিবাদমান এলাকায় রাম মন্দির তৈরি করার প্রস্তাব পাস করেছিল।[৬০] এই রায়তে ঐ এলাকার অন্য অংশে এক মসজিদ তৈরি করার জন্য ৫ একর (২০,০০০ মি২) বরাদ্দ করার কথা বলেছিল। ঐ অংশটি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে দেওয়া হয়েছিল।[৬১] ৫ আগস্ট ২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় ভূমিপূজন আয়োজন করেছিলেন। তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি রাম জন্মভূমি ও হনুমান গড়িতে গিয়েছিলেন।[৬২]
প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্যোগ
সম্পাদনাগণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ
সম্পাদনাকিছু সংবাদমাধ্যমের মতে, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে ভারতে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ ঘটছে। মার্চ ২০২১-এ সুয়েডীয় সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্টেন্স ভারতকে "ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি" বা "নির্বাচিত কর্তৃত্ববাদ" বলে শ্রেণীভুক্ত করেছে।[৬][৬৩]
২০১৪-এ মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে ভারতের অবস্থা নিম্নগামী। ২০২০-এ মানব স্বাধীনতা সূচক, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক, ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ইত্যাদিতে ভারতের র্যাঙ্কিং কমে গেছে।[৬৪][৬৫][৬৬]
কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
সম্পাদনাএপ্রিল ২০২১-এ কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মোদী সরকার টিকার জন্য এক নতুন নীতি চালু করেছিল, যার ফলে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেক বৃহৎ আয় করেছিল, যার ফলে ভারতের শ্রমিক শ্রেণির পরিবারদের কাছে বেসরকারি হাসপাতাল দ্বারা বিতরণ করা টিকার ডোজ গ্রহণ করা অসাধ্য ছিল। অনলাইনে টিকাকরণ স্লট বুক করার নিয়মনীতি অনেক ভারতীয়দের বঞ্চিত করেছিল যাদের কাছে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল না।[৬৭]
৩০ জানুয়ারি ২০২২-এ ভারত ঘোষণা করেছিল যে সে প্রায় ১৭০ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করেছে এবং প্রায় ৭২ কোটি মানুষ সম্পূর্ণভাবে টিকাকৃত।[৬৮] দ্য ল্যানসেট ইনফেকশিয়াস ডিজিসেস জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর টিকাকরণের জন্য ২০২১-এ ৪২ লাখ মানুষদের প্রাণ বেঁচেছিল।[৬৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Narendra Modi appointed Prime Minister, swearing in on May 26"। The Times of India। ২০ মে ২০১৪। ২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪।
- ↑ Irfan, Hakeem (মে ২৮, ২০১৪)। "Narendra Modi saves Rs 125 crore by keeping Cabinet small"। Dnaindia.com। ৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৭, ২০২১।
- ↑ "Modi Swearing-in Highlights: New team blend of youthful energy, experience: PM"। Live Mint (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৫-৩০। ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০।
- ↑ "Who Gets What: Cabinet Portfolios Announced. Full List Here"। NDTV। ৩১ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০।
- ↑ "Narendra Singh Tomar Takes Additional Charge of Food Processing Ministry After Harshimrat Badal Resigns"। News18 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-২৩। ২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০।
- ↑ ক খ Sirnate, Vasundhara (২০২১-১১-২৭)। "The democratic backsliding of India"। The Hindu। ৩০ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩০।
- ↑ Akhilesh, Pillalamarri। "Why India's Democracy is Not Dying"। The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২২।
- ↑ Choudhury, Gaurav (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Look East, Link West, says PM Modi at Make in India launch"। Hindustan Times। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Shrivastava, Rahul (১৮ অক্টোবর ২০১৪)। "Narendra Modi Government Deregulates Diesel Prices"। NDTV। ২৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Petrol and Diesel Prices"। PRS Legislative Research (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৮।
- ↑ "About the GiveItUp Campaign"। Ministry of Petroleum and Natural Gas। ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "PM thanks 1 crore people for giving up LPG subsidy to help poor"। ২৩ এপ্রিল ২০১৬। ৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Give-it-Up: Over 1 crore LPG users gave up their subsidies"। The Economic Times। ১২ এপ্রিল ২০১৬। ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Maharashtra leads in surrendering LPG subsidy"। The Indian Express। ২৩ এপ্রিল ২০১৬। ১৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Riley, Charles (১০ নভেম্বর ২০১৫)। "GE to build 1,000 trains for India in massive deal"। CNNMoney। ২৭ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Narayan, Adi (৯ নভেম্বর ২০১৫)। "India's $5.6 Billion GE, Alstom Deals Step Up Rail Overhaul"। Bloomberg.com। ২৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Japan and India sign bullet train deal amid closer ties"। BBC News। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Bhatt, Abhinav (৮ নভেম্বর ২০১৬)। "Watch PM Modi's Entire Speech On Discontinuing 500, 1000 Rupee Notes"। NDTV India। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ PM Narendra Modi: Rs 500, Rs 1000 bank notes not valid from midnight; ATMs won't work tomorrow
- ↑ "Cities should get chance to plan their growth, says Modi"। The Hindu। New Delhi। ২৫ জুন ২০১৫। ৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৫।
- ↑ ক খ Kaushik, Preetam (২৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Smart Villages: Lending A Rural Flavour To Modi's Growth Agenda"। Businessinsider.in। ৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "PMAY বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যোগ্যতার মানদণ্ড ২০২৩"। Magicbricks। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫।
- ↑ "PMAY প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা 2023: সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্প"। Magicbricks। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)"। Vikaspedia। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫।
- ↑ "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীন লিস্ট ২০২৩"। Jojona.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৯।
- ↑ "প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা (পিএমএওয়াই) সম্পর্কিত সমস্ত কিছুই"। Housing.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫।
- ↑ "PM Awas Yojana 2023"। SKGuide Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|2=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের টাকা কবে ডুকবে ? জানুন প্রথম কিস্তির ডেট ?"। Sarkari Suvidha। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Pradhan Mantri Awas Yojana: 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা'....ভারতে মিটবে বাসস্থানের অভাব"। Ei Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫।
- ↑ "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ২০২৩"। Jojona.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ২০২৩: অনলাইন আবেদন (ফর্ম ফিলাপ)"। MoneyGita। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কিভাবে আবেদন করবেন 2023- How To Apply For PM Awas Yojana?"। Govt Schemes in Bengali। ২০২৩-১২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৫।
- ↑ "Swachh Bharat campaign should become mass movement: Narendra Modi"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "PM reviews preparations for launch of Mission Swachh Bharat"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Swachh Bharat: PM Narendra Modi launches 'Clean India' mission"। Zee News। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Swachh Bharat Abhiyan: PM Narendra Modi to wield broom to give India a new image"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "As it happened: PM Narendra Modi's 'Swachh Bharat Abhiyan'"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Standard, Business (২০১৪-০৯-২৪)। "Restructuring of the Nirmal Bharat Abhiyan into Swachh Bharat Mission"। www.business-standard.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৪।
- ↑ Khanna, Pretika (২০১৫-১২-০৯)। "Nirmal Bharat Abhiyan failed to achieve its desired targets: CAG"। mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৪।
- ↑ "Swachh Bharat Mission Phase II guidelines released"। www.downtoearth.org.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৪।
- ↑ Hall, Ian (২০১৫)। "Is a 'Modi doctrine' emerging in Indian foreign policy?"। Australian Journal of International Affairs। 69 (3): 247–252। এসটুসিআইডি 154260676। ডিওআই:10.1080/10357718.2014.1000263। ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ ক খ Grare, Frederic (Winter ২০১৫)। "India–Pakistan Relations: Does Modi Matter?"। The Washington Quarterly। 37 (4): 101–114। এসটুসিআইডি 153923833। ডিওআই:10.1080/0163660X.2014.1002158। ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Pant, Harsh V. (Fall ২০১৪)। "Modi's Unexpected Boost to India-U.S. Relations"। The Washington Quarterly। 37 (3): 97–112। এসটুসিআইডি 154940836। ডিওআই:10.1080/0163660X.2014.978438। ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Swami, Praveen (২১ মে ২০১৪)। "In a first, Modi invites SAARC leaders for his swearing-in"। The Hindu। Chennai, India। ২৫ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৪।
- ↑ Def 2016, পৃ. 9-16।
- ↑ ক খ Joshi, Shashank (মে ২০১৫)। "India's Nuclear Anxieties: The Debate Over Doctrine"। Arms Control Today। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Northeast
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ C. Ladwig, Walter III (মে ২০১৫)। "Indian Military Modernization and Conventional Deterrence in South Asia"। Journal of Strategic Studies। 38 (5): 729–772। এসটুসিআইডি 216088396। ডিওআই:10.1080/01402390.2015.1014473। ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Choudhury, Santanu (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "India Increases Military Budget By 11% to Nearly $40 Billion"। The Wall Street Journal। ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Palshikar, Suhas (২০১৫)। "The BJP and Hindu Nationalism: Centrist Politics and Majoritarian Impulses"। Journal of South Asian Studies। 38 (4): 719–735। এসটুসিআইডি 147143160। ডিওআই:10.1080/00856401.2015.1089460। ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Ara, Ismat (২০২০-১১-২৩)। "Exclusive: UP Police Report Contradicts Adityanath Claim of 'Rise in Love Jihad'"। The Wire। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০।
- ↑ "NIA Finds No Evidence of 'Love Jihad' After Kerala Probe"। The Wire। ২০১৮-১০-১৮। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০।
- ↑ "'Love Jihad' Not Defined by Laws, No Case Reported, Says Govt"। The Wire। PTI। ২০২০-০২-০৪। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০।
- ↑ MS, Sreeja; Kumar, Akhil (২০২১-১২-১৬)। "Karnataka Officer Transferred After His Survey Showed No Forced Conversion"। NDTV। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০।
- ↑ Shih, Gerry; Gupta, Anant (২০২২-০৪-২৭)। "How bulldozers in India became a symbol of Hindu nationalism"। The Washington Post। ২৮ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০।
- ↑ Kumar Shakti Shekhar (ডিসে ১৩, ২০২১)। "Kashi Vishwanath Corridor project: How BJP is casting PM Modi in Hindu queen Ahilyabai Holkar's mould | India News - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৮।
- ↑ "PM Modi inaugurates Kashi Vishwanath Corridor"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ২৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৮।
- ↑ "India's lower house passes citizenship bill that excludes Muslims"। Al Jazeera। ৮ জানুয়ারি ২০১৯। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ Apoorvanand (১২ জানুয়ারি ২০১৯)। "The new citizenship bill and the Hinduisation of India"। Al Jazeera। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Supreme Court hearing ends in Ayodhya dispute; orders reserved"। The Hindu Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। Press Trust of India। ২০১৯-১০-১৬। ২৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৩।
- ↑ "Ram Mandir verdict: Supreme Court verdict on Ram Janmabhoomi-Babri Masjid case: Highlights"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-০৯। ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৩।
- ↑ "Modi becomes first PM to visit Ram Janmabhoomi, Hanumangarhi temple in Ayodhya"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-০৫। ২৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৩।
- ↑ "EIU Democracy Index 2020: India's rank slips 2 places, 'democratic backsliding' blamed for fall"। CNBC-TV18। ২০২১-০২-০৩। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩০।
- ↑ Gupta, Shekhar (১৯ ডিসেম্বর ২০২০)। "Modi is popular, BJP keeps winning, but India's indicators & global rankings are alarming"। ThePrint। ২৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২৯।
- ↑ "Sharp Downslide: India Slips 11 Ranks in Press Freedom Index, Now 161 of 180 Countries"। The Wire। ২০২৩-০৫-০৩। ৩ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৩।
- ↑ Bureau, The Hindu (২০২৩-০৫-০৩)। "India slips in World Press Freedom Index, ranks 161 out of 180 countries"। The Hindu। ৩ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৩।
- ↑ Mander, Harsh (২০২২-০৯-১৭)। "How the Centre's disastrous decisions on vaccines cost the lives of lakhs of Indians"। Scroll.in। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৭।
- ↑ "United with India: Supporting India's COVID-19 vaccination drive"। UNSDG। ২০২২-০৫-০২। ১৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
On January 30, 2022, India announced that 75 percent of its adult population had received two doses of the COVID-19 vaccine, with some 1.7 billion doses of vaccines administered and over 720 million people fully vaccinated in just over a year.
- ↑ "Covid-19 vaccines prevented over 42 lakh deaths in India in 2021: Lancet study"। mint। ২০২২-০৬-২৪। ১৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৬।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Mahurkar, Uday (২০১৭), Marching with a Billion: Analysing Narendra Modi's Government at Midterm, Penguin books, আইএসবিএন 978-9-386-49584-6
- "Viewpoint: Balakot air strikes raise stakes in India-Pakistan stand-off"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২৬। ২০১৯-০২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০।
- Estrada, Kate Sullivan de (২০২০-০১-০১)। "Modi and the reinvention of Indian foreign policy"। International Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। 96 (1): 257–258। আইএসএসএন 0020-5850। ডিওআই:10.1093/ia/iiz261।
- Pant, Harsh V.; Joshi, Yogesh (২০১৭-০১-০১)। "Indo-US relations under Modi: the strategic logic underlying the embrace"। International Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। 93 (1): 133–146। আইএসএসএন 0020-5850। ডিওআই:10.1093/ia/iiw028।
- Scott, David (২০১৭-০১-০১)। "The rise of India: UK perspectives"। International Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। 93 (1): 165–188। আইএসএসএন 0020-5850। ডিওআই:10.1093/ia/iiw007।
- Maiorano, Diego (২০১৫-০৪-০৩)। "Early Trends and Prospects for Modi's Prime Ministership"। The International Spectator। 50 (2): 75–92। আইএসএসএন 0393-2729। এসটুসিআইডি 155228179। ডিওআই:10.1080/03932729.2015.1024511। ২৪ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২১।
- Mukherjee, Kunal (২০১৬-০১-০২)। "Security Challenges Faced by the Modi Administration in the Indo-Pacific Region"। Journal of Comparative Asian Development। 15 (1): 156–178। আইএসএসএন 1533-9114। এসটুসিআইডি 156779369। ডিওআই:10.1080/15339114.2016.1151800।
- Connors, Michael K.; Davison, Rémy; Dosch, Jörn (২০১৭-১০-৩০)। The New Global Politics of the Asia-Pacific: Conflict and Cooperation in the Asian Century (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা Era of Modi। আইএসবিএন 978-1-317-23267-4। ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২৩।
- Sen, Ronojoy (২০১৫-১০-০২)। "House Matters: The BJP, Modi and Parliament"। South Asia: Journal of South Asian Studies। 38 (4): 776–790। আইএসএসএন 0085-6401। এসটুসিআইডি 147683722। ডিওআই:10.1080/00856401.2015.1091200।
- Mukhopadhyay, Nilanjan (২০১৪-১২-২৮)। Narendra Modi: The Man, the Times (ইংরেজি ভাষায়)। Tranquebar Press। আইএসবিএন 978-93-83260-48-5। ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২১।
- Komireddi, K. S. (২০১৯-০৭-৩১)। Malevolent Republic: A Short History of the New India (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-1-78738-294-7। ১৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২১।
- Tharamangalam, Joseph (২০১৬-০৭-০২)। "Moditva in India: a threat to inclusive growth and democracy"। Canadian Journal of Development Studies / Revue canadienne d'études du développement। 37 (3): 298–315। আইএসএসএন 0225-5189। এসটুসিআইডি 133500638। ডিওআই:10.1080/02255189.2016.1196656।
- Ruparelia, Sanjay (২০১৫-১০-০২)। "'Minimum Government, Maximum Governance': The Restructuring of Power in Modi's India"। South Asia: Journal of South Asian Studies। 38 (4): 755–775। আইএসএসএন 0085-6401। এসটুসিআইডি 155182560। ডিওআই:10.1080/00856401.2015.1089974।
- Khan, Fazal Ahmed; Modi, Jatin; Chavan, Ranjit (২০১৫-০১-২৩)। Understanding Climate Change-Its Mitigationa and Adaptation to It (ইংরেজি ভাষায়)। Partridge Publishing। পৃষ্ঠা 326-334। আইএসবিএন 978-1-4828-4339-2। ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২১।