আহমেদাবাদ (গুজরাটি: અમદાવાદ, প্রতিবর্ণী. অ্যম্‌দাভ়াদ, /ˈɑːmədəbæd, -bɑːd/ AH-mə-də-ba(h)d; [ˈəmdɑːʋɑːd] (শুনুন)) হল ভারতের গুজরাত রাজ্যের বৃহত্তম শহর এবং সাবেক রাজধানী। এটি আহমেদাবাদ জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর এবং গুজরাতের বিচার বিভাগীয় রাজধানী; গুজরাত হাইকোর্ট এখানে অবস্থিত। ৫৮ লাখের অধিক জনসংখ্যা এবং ৬৩ লাখ বর্ধিত জনসংখ্যা নিয়ে এটি ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম শহর ও সপ্তম বৃহত্তর মেট্রোপলিটন এলাকা। এটি ফোর্বসের দশকের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শহরগুলোর 'তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করে।[] আহমেদাবাদ সবরমতি নদীর তীরে অবস্থিত; গুজরাতের রাজধানী গান্ধীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দূরে।

আহমেদাবাদ
અમદાવાદ
আমেদাবাদ, আমদাবাদ
মহানগরী
দেশভারত
রাজ্যগুজরাত
জেলাআহমেদাবাদ
প্রতিষ্ঠাতাসোলাঙ্কি
সরকার
 • ধরনপৌরসংস্থা
 • শাসকআহমেদাবাদ পৌরসংস্থা
 • সংসদপরেশ রাওয়াল(ভারতীয় জনতা পার্টি), কিরিত প্রেমজিভাই সোলান্কি (ভারতীয় জনতা পার্টি)
 • মেয়রমীনাক্ষী প্যাটেল
 • ডেপুটি মেয়ররমেশ দেসাই
 • পৌর কমিশনারগুরুপ্রসাদ মহাপাত্র
আয়তন
 • মহানগরী৪৬৬ বর্গকিমি (১৮০ বর্গমাইল)
উচ্চতা[]৫৩ মিটার (১৭৪ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মহানগরী৫৫,৭০,৫৮৫
 • ক্রম৫ম
 • মহানগর[]৬৩,৫২,২৫৪
বিশেষণআহমেদাবাদী
আমদাভাদী
সময় অঞ্চলভাপ্রস (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন কোড৩৮০ ০XX
এলাকা কোড০৭৯
যানবাহন নিবন্ধনGJ-1,GJ-18,GJ-27
লিঙ্গানুপাত১.১১[] /
স্বাক্ষরতাহার৮৬.৬৫%[]
কথ্য ভাষাগুজরাটি, হিন্দি এবং ইংরেজি
ওয়েবসাইটwww.egovamc.com
সূত্র: ভারতের আদমশুমারি।[]

সংস্কৃতি

সম্পাদনা
 
আহমেদাবাদে নবরাত্রি উদ্‌যাপন

আহমেদাবাদ শহরে বিভিন্ন উৎসব পালন করা হয়। জনপ্রিয় উদ্‌যাপন এবং পালনীয় উৎসবের মধ্যে রয়েছে উত্তরায়ণ, যা ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারী বার্ষিক ঘুড়ি উড়নোর দিন হিসাবে পরিচিত। নবরাত্রির নয়টি রাত্রি নগরীর বিভিন্ন জায়গাগুলিতে গুজরাতের সর্বাধিক জনপ্রিয় লোক নৃত্য গারবা পরিবেশনের সাথে পালিত হয়। দীপাবলির আলোর উৎসবে প্রতিটি ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করা হয়, মেঝেতে রঙ্গুলি দিয়ে সজ্জিত করা হয় এবং বাজি-পটকা ফাটানো হয়। জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী বাৎসরিক রথযাত্রা এবং মুসলিমদের পবিত্র মহররম মাসে তাজিয়ার মিছিল এই শহরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।[][]

শিক্ষা

সম্পাদনা
 
গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়, আহমেদাবাদ

২০০১ সালে আহমেদাবাদের সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৯% ছিল, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬২ শতাংশে। ২০১১ পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯৩.৯৬% এবং ৮৮.৮১ শতাংশ।[১০]

আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়টি সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়;[১১] যদিও গুজরাত বিদ্যাপীঠটি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - এটি ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে কোন সনদ লাভ করেনি, এটি কেবল ১৯৬৩ সালে একটি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে।[১২] নগরীর একটি বিশাল সংখ্যক কলেজ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত। গুজরাত টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার কোর্সে ১,০০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।[১৩][১৪]

আহমেদাবাদ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদ শহরে অবস্থিত, যা ২০১৮ সালে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা দেশের পরিচালিত ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটগুলির মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে।[১৫]

১৯৪৭ সালে বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আহমেদাবাদের সর্বাধিক প্রাচীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শারীরিক গবেষণা ল্যাবরেটরি মহাকাশ বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, উচ্চ-শক্তি পদার্থবিজ্ঞান এবং গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে।[১৬] মৃণালিনী সারাভাই ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দারপানা একাডেমি অফ পারফর্মিং আর্টস'কে ইউনেস্কো দ্বারা "বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা"য় সক্রিয় একটি সংস্থা হিসাবে তালিকাভুক্ত করে।[১৭][১৮]

আহমেদাবাদে বিদ্যালয়গুলি পৌর কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়, বা ব্যক্তিগতভাবে, ট্রাস্ট এবং কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। বেশিরভাগ বিদ্যালয় গুজরাত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দ্বারা অনুমোদিত, যদিও কিছু কিছু কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশনস এবং আন্তর্জাতিক স্নাতক ও জাতীয় উন্মুক্ত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা অনুমোদিত।

আন্তর্জাতিক সম্মান

সম্পাদনা

২০১১ সালের ৩১ মার্চ , ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শহরের তালিকায় আহেমদাবাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই , ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে এই শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্যপূর্ণ শহর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ভারতের প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটির তকমা পায় এই শহর। [১৯]

বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. mhupa.gov.in/ray/csmc_ppt/6th-csmc-Ahmedabad-AHP.pdf
  2. "Provisional Population Totals, Census of India 2011" (পিডিএফ)World Gazetteer। Census of India। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  3. "India: Major Agglomerations"। Thomas Brinkhoff। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  4. "Distribution of Population, Decadal Growth Rate, Sex-Ratio and Population Density"2011 census of Indiaভারত সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১২ 
  5. "Literacy Rates by Sext for State and District"2011 census of Indiaভারত সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২ 
  6. "Ahmadabad (Ahmedabad) District : Census 2011 data"census2011। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪ 
  7. Kotkin, Joel। "In pictures- The Next Decade's fastest growing cities"Forbes 
  8. "Ahmedabad all set for Tazias"Daily News and Analysis। ৬ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  9. "Ahmedabad gets ready for colourful tazias"Daily News and Analysis। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯। ৩০ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  10. "Literacy in Gujarat"। ১১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  11. "Gujarat University"gujaratuniversity.org.in। ৩০ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  12. "Gujarat Vidyapith : History"। Gujarat Vidyapith। ১৬ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৮ 
  13. "List of University (State wise)—Gujarat"। University Grants Commission, India। ৮ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০০৬ 
  14. "Introduction"baou.edu.in। Dr. Babasaheb Ambedkar Open University। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  15. "MHRD, National Institute Ranking Framework (NIRF)"nirfindia.org। ৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৮ 
  16. Jain, R.; Dave, H.; Deshpande, M. R. (সেপ্টেম্বর ২০০১)। Solar X-ray Spectrometer (SoXS) development at Physical Research Laboratory/ISROEuropean Space Agency। পৃষ্ঠা 109। বিবকোড:2001ESASP.493..109J  টেমপ্লেট:Bibcode
  17. Intergovernmental Committee for the Safeguarding of the Intangible Cultural Heritage (৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Intangible Cultural Heritage" (পিডিএফ)UNESCO। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  18. "Decision of the Intergovernmental Committee: 2.COM 4 – intangible heritage – Culture Sector"। UNESCO। 
  19. দেশে প্রথম

পাদটীকা

সম্পাদনা