তিরুপ্পবাই (তামিল: திருப்பாவை, রোমান: Tiruppāvai) হলো তামিল হিন্দু নারী কবি-সাধিকা অন্ডাল রচিত স্তবগানের একটি সংকলন[]

তিরুপ্পবাই
অন্ডালের চিত্রকর্ম, শ্রী অপ্পান বেঙ্কটাচলপতি মন্দির, চেরনমহাদেবী।
তথ্য
ধর্মহিন্দুধর্ম
রচয়িতাঅন্ডাল
ভাষাতামিল
যুগখ্রিস্টাব্দ ৯ম-১০ম শতাব্দী
শ্লোক৩০

তিরুপ্পবাই ত্রিশটি স্তবক নিয়ে গঠিত পেরুমলের স্তবগান। একে পশুরামও বলা হয় [] এটি নালায়রা দিব্য প্রবন্ধমের একটি অংশ। দিব্য প্রবন্ধ আলবর নামে বিখ্যাত দ্বাদশ কবি-সাধুর রচনা সংগ্রহ, যা তামিল সাহিত্যের ভক্তিমূলক ধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিরুপ্পবাই তেলুগুতে অনুবাদ করেছেন মুল্লাপুদি ভেঙ্কটরমনা। তেলুগুতে এর নাম মেলুপালুকুলা মেলুকোলুপু । [] এই স্তবগানে অন্ডাল সমস্ত মানুষকে বিষ্ণুর নাম ও মাহাত্ম্য পাঠ করার আহ্বান জানান। []

তিরুপ্পবাই পাভাই ধারার গানের অন্তর্গত। এই ধারাটি অবিবাহিত মেয়েদের মারগাহি মাস জুড়ে তাদের কর্ম সম্পাদনের একটি ব্রত পালনের তামিল ঐতিহ্যের পরিচায়ক। [] মার্গাইয় মাসের এই ব্রতটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে: এই মাসের প্রতিটি দিনের নাম ত্রিশটি শ্লোক থেকে পাওয়া যায়। সঙ্গম যুগের শেষের দিকের তামিল প্রথম শ্রেণীর সংকলনে এই ব্রতের উল্লেখ পাওয়া যায় যাকে পারিপাতাল বলা হয়। []

অন্ডালের ত্রিশটি গানে মারগায় মাসে বৈষ্ণব ধর্মের মূল নীতির পরিচয় পাওয়া যায়। অন্ডাল গোপী ভাবে ভাবিত হয়ে এই ত্রিশটি পদ রচনা করেছিলেন। অন্ডাল বিষ্ণুকে বিবাহ করে তার চিরস্থায়ী সঙ্গ লাভের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ ধর্মীয় ব্রত পালন করার জন্য অভিপ্রায় প্রকাশ করেছিলেন, তিনি তার সখীদের বিষ্ণুর সেবা করার জন্য তার সাথে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানান। []

মূলভাব

সম্পাদনা

ধর্মীয় স্তোত্র অনুসারে অন্ডালের তার সখীদের জেগে তোলা ও কৃষ্ণকে অন্বেষণ অনুরোধের পশ্চাতে প্রতীকী অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যসমূহ বৈষ্ণব ঐতিহ্যের তিনটি মৌলিক মন্ত্রের সারমর্মকে সমন্বিত করে,তা হলো - তিরুমন্ত্রম্, দ্বয়ম এবং চরম শ্লোক। এই মন্ত্র পরম সত্যকে নির্দেশিত করে। পরম সত্তা সব কিছুর মাঝেই বিরাজ করেন। ২৭ তম পশুরমে একটি প্রচ্ছন্ন অর্থ রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, অন্ডাল একজন আচার্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন, কারণ তার নির্দেশনা একজন শিষ্যকে এই ত্রয়ী মন্ত্রগুলি হৃদয়ঙ্গম করতে সাহায্য করে।

তিরুপ্পবাই কে 'বেদম আনাইথুক্কুম ভিথাগুম' বলা হয় যার অর্থ 'এটি বেদের বীজ'।[] সকল বৃক্ষ ও তা থেকে উৎপন্ন বৃক্ষসমূহ যেমন সূক্ষ্ম বীজের মধ্যে লুকিয়ে আছে, তেমনি বেদের সমগ্র সারাংশ লুকিয়ে আছে তিরুপ্পবাই-এর স্তবগানে যা কেবলমাত্র একজনে আচার্যের নির্দেশে শিষ্যের হৃদয়ে প্রকাশিত হতে পারে। আচার্য বা গুরু তাকেই বলা হয় যিনি বৈদিক শাস্ত্রে পারদর্শী।

এই সম্পূর্ণ প্রচ্ছন্ন সারাংশটি পদ্যাকারে অন্ডালের শ্লোকগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পর্যালোচনা

সম্পাদনা

প্রথম পাঁচটি স্তবকে স্তবগানের মূলভাব, এর নীতি ও উদ্দেশ্যের একটি ভূমিকা প্রদান করা হয়েছে। অন্ডালের মতে, এই ঋতুতে বিলাসিতা ত্যাগ করা উচিত। ঈশ্বরের কাছে আন্তরিক প্রার্থনা প্রচুর বৃষ্টি ও সমৃদ্ধি আনয়ন করবে। কৃষ্ণকে নবীন পুষ্প অর্পণ করলে পূর্বে কৃত পাপ ও ভবিষ্যতে যে পাপ হতে পারে তার মোচন হয়ে যাবে।

পরবর্তী দশটি স্তবকে তিনি সংঘবদ্ধ অংশগ্রহণের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। তিনি তার সখীদের পুষ্প চয়নের আমন্ত্রণ জানান ও গ্রাম্য পরিবেশ, পাখির কলরব, রঙিন ফুল, দধি-মন্থনের সুরেলা শব্দ, ঘণ্টাধ্বনি সহ গবাদি পশুর পাল ও মন্দিরের শঙ্খের শব্দ নিরীক্ষণ করেন ।

তিনি প্রতিটি গৃহ পরিদর্শন করেন এবং তার সমস্ত সখীদের একটি পুকুরে স্নানের জন্য তার সাথে যোগ দিতে জাগ্রত করে তোলেন। তিনি বিষ্ণুর অবতারদেরও প্রশংসা করেন। পরবর্তী পাঁচটি স্তবক তার সখীদের সাথে মন্দিরে যাওয়ার বর্ণনা দেয়। তিনি দেবতাকে জাগানোর জন্য সুপ্রভাথম নিবেদন করতে চান। রমণী দলটি মন্দিররক্ষকদের অনুমতি নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে, কৃষ্ণের পিতামাতার প্রশংসা করে ও কৃষ্ণ ও বলরামকে জাগানোর জন্য প্রার্থনা করে। তারপর তারা দেবতার সহধর্মিণী নীলাদেবীর নিকট গমন করে৷ []

শেষ নয়টি স্তবক দেবতার মহিমার বর্ণনা দেয়। তার আশীর্বাদ পেয়ে অন্ডাল তার ঈপ্সিত বস্তুর তালিকা করেন,যেমন; 'ব্রতের' জন্য দুধ, শ্বেত শঙ্খ, প্রদীপ, পুষ্প, সমৃদ্ধ আভরণ ও অলঙ্কার, প্রচুর ঘৃত ও ননী। সমাপ্তিসূচক স্তবকটি তাকে বিষ্ণুচিত্তরের (পেরিয়ালবর) কন্যা হিসাবে চিহ্নিত করে যিনি ৩০ টি পশুরমের এই মাল্য তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেছেন যারা ভক্তি সহকারে এই পশুরম পাঠ করবেন তারা কৃষ্ণের কৃপা প্রাপ্ত হবেন। [১০]

শ্লোক ও ব্যাখ্যা

সম্পাদনা

তিরুপ্পবাইতে তিনটি তানিয়ান (আক্ষরিক অর্থে, 'একক' বা স্বতন্ত্র পদ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা পরবর্তী লেখকদের দ্বারা পুরানো পুঁথিগুলি প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। সংস্কৃতে প্রথম তানিয়ান নীলা তুঙ্গস্তানা... রচনা করেছিলেন পরাশর ভট্ট। পরের দুটি তানিয়ান ', 'আন্না ভয়াল পুধুভাই...' এবং চুডি কদুথা...' (নিম্নে অনুবাদিত) শ্রী উয়্যাকোন্ডার রচিত।

তানিয়ান এর [১১] এই গানটি তিরুপ্পাবাইয়ের একটি ভূমিকা। এটি তিনটি তানিয়ানের মধ্যে একটি।

রাজহংস থেকে অন্ডাল পদুবাই পূর্ণ করেছেন,
তিনি তার মিষ্টি কন্ঠে গান গেয়েছেন,
বেশ কিছু মুগ্ধকর মিষ্টি পদ প্রভুর উদ্দেশ্যে,
পাভাইয়ের পূজা ও শ্রদ্ধা করার জন্য।
গীতগুলি তার কাছে মালার মতো,
তার কাছ থেকে তিনি প্রথমে এগুলি পরেছিলেন,
তাদের তাঁর কাছে নিবেদন করার আগে।

তিরুপ্পাবাই-এর প্রতিটি পশুরমের নামকরণ (পেরুমলের প্রতি) সাধারণত স্তোত্রটির প্রথম কয়েকটি শব্দ দ্বারা করা হয়েছে। শিরোনামগুলো প্রথমে দেওয়া হয়েছে ও তারপর দেওয়া হয়েছে পদগুলোর অনুবাদ:-

স্তোত্রের নাম অনুবাদ
১।'মার্গাই টিংগাল এই মারগাই(অগ্রহায়ণ) মাসে

পূর্ণিমার শুভ দিনে,
যমুনার জলে স্নান করতে এসো,
ওহে বহু বস্ত্র পরিহিত সুসজ্জিত বালাগণ,
সুন্দর ভব্য বৈচিত্র্যময় "বৃন্দাবনের" ধনী গোপগৃহের উচ্চাভিলাষী হে বালাগণ,
যার তেজশালী ভুজদ্বয় "ধারালো বর্শা দিয়ে,
কোনো করুণা ছাড়াই তার শত্রুদের হত্যা করে,
যিনি নন্দ গোপের পুত্র,
যিনি সুন্দর নেত্রশালিনী যশোদার মৃগশাবক শ্যাম বদন প্রিয় পুত্র,
যিনি সুগন্ধি ফুলের মালা পরতেন,
যিনি কৃষ্ণবর্ণে সুন্দর জগৎ করেন জ্যোতির্ময়,
যার ছোট ছোট চোখ আছে,
যার মুখ পূর্ণিমার চন্দ্রের ন্যায়,
তিনি আমাদের প্রভু স্বয়ং নারায়ণ,
তিনি আমাদের সুরক্ষা দান করে কৃপা করবেন,
যাতে আমরা স্নান করি ও পাভাই (শ্রীব্রত) সম্পন্ন করতে পারি,

২। ভাইয়াথু ভার্গাল'
'
ওহে এই পৃথিবীর মানুষ,

সেই তপস্যার কথা শুনে খুশি হও,
যা আমরা প্রতিদিন পাবই পূজার জন্য করি,
যোগনিদ্রাশায়ী সেই নাথের চরণ বন্দনা করে গান করি,
যিনি ক্ষীর সমুদ্রে শুয়ে আছেন,
আমরা খুব সুস্বাদু ঘি গ্রহণ করবো না,
আমরা স্বাস্থ্যকর দুধ প্রদান এড়িয়ে চলব,
আমরা প্রতিদিন ভোরের পূর্বে স্নান করব,
আমরা সখীরা চোখে কোনো কাজল পড়বো না,
আমরা চুলে জোড়া ফুল বাঁধব না,
আমরা কোনো নিষিদ্ধ ও ত্যাজ্য কাজ করব না,
আমরা অন্য কারো সাথে খারাপ কথা বলব না,
আমরা যোগ্য জন,দীন জন,সন্তদের দান করব,
যতটা পারি,
এবং সর্বদা প্রসন্ন থাকবো, অন্যদের দুঃখমুক্ত করার জন্য সেই সমস্ত কাজগুলি করবো,
যাতে তারা নিজের উদ্ধার চিন্তা করতে পারে, এই হলো আমাদের শ্রীব্রত (পাভাই)।

৩।'ওঙ্গি উলাগালান্ধা আমরা তাঁর গুণগান গান করি,

তিনি বৃহৎ আকার ধারণ করে বিস্তৃত পৃথিবীকে পরিমাপ করেছেন,
আমাদের দেবী পাভাইকে পূজা করলে,
মাসে অন্তত তিনবার বৃষ্টি হবে,
আর লাল ধানের ক্ষেত বড় হবে,
জলে ক্ষুদ্র মৎস্য সাঁতার কাটবে, খেলা করবে,
গোপ দুধ দোহন করলে
দুধের পাত্রগুলো কানায় কানায় ভরে উঠবে,
এবং সুস্থ গরু ও সম্পদ হ্রাস পাবে না,
দুষ্টশূন্য দেশ পূর্ণ হয়ে যাবে,
আর এই সবই আমি আমাদের ব্রত/অভ্যাসের মাধ্যমে নিশ্চিত করছি।

৪।'আহি মাই কান্না দয়া করে আমাদের ইচ্ছা পূর্ণ করুন,

হে বর্ষানাথ, আপনি সমুদ্র থেকে এসেছেন,
সমুদ্রে প্রবেশ করুন, অনুগ্রহ করে, আপনার পূর্ণ সমুদ্র থেকে জল নিয়ে আসুন,
উত্‍সাহ ও শব্দের সাথে এটি তুলে নিন,
এবং প্রলয়ের ঈশ্বরের মতো শ্যামরূপ ধারণ করুন,
হাতে পবিত্র চক্র জ্বলজ্বল করুক,
ভগবান পদ্মনাভের হাতে চক্র যেমন বিদ্যুতের মতো চমকায়,
তিনি আনন্দদায়ক শব্দ করুন,
ডান হাতের সর্পিল শঙ্খের মত,
শার্ঙ্গধনু থেকে বাণের ন্যায় বর্ষা উন্নত সংসারের কারণ হোক,
এই পৃথিবীকে সুখী করুক,
এবং আমরাও মারগাই স্নানের আনন্দ উপভোগ করি, এভাবে আমরা শ্রীব্রত করে থাকি।

৫।'ময়নাই মান্নু সকল যাদু রয়েছে তাঁর কাছে,

তিনি লীলাদেব, উত্তরের মথুরা কিশোর,
তিনি খেলেন ও রসিকতা করেন,
পবিত্র যমুনার তীরে,
গোপগণের আশ্রয় পবিত্র জ্যোতি,
মাতৃ যশ বৃদ্ধিকারক,
দামোদরের পূজার অভিপ্রায় নিয়ে,
আমরা পবিত্র স্নান সেরে এলাম,
এবং তার চরণে সতেজ পুষ্প নিবেদন করলাম,
আমাদের মুখ তার নাম কীর্তন করেছে,
এবং আমাদের মনে তার চিন্তা এসেছে,
আমরা নিশ্চিত
যে আমাদের অতীতের সব পাপ,
এবং অনাগত সমস্ত পাপ,
তার নামগানে তৃণবৎ অগ্নির মতো ছাই হয়ে বিলীন হয়ে যাবে।

'৬। পুলুম চিলাম্বিনা তুমি কি শুনতে পাচ্ছো না পক্ষী উচ্চ শব্দে কলরব করছে,

তুমি কি শুনতে পাওনি মন্দিরে শ্বেত শঙ্খ নাদ করছে
পক্ষীরাজ গরুড় রাজার মন্দির থেকে,
হে বালিকাগণ, দয়া করে জাগো,
এসো শ্রবণ করি পবিত্র ধ্বনি "হরি,হরি।"
সন্ত ও ঋষিদের কাছ থেকে,
যে রাক্ষসীর বিষপূর্ণ স্তন পান করেছে,
যে শকট 'অসুরকে' চরণ দ্বারা প্রহার করেছে,
এবং যিনি ক্ষীর সাগরে মহাসর্প আদি শেষের উপর শয়ন করেন
সন্ত-যোগীর জীবনস্রোতে,
"তাদের শনৈঃ শনৈঃ" ধ্যান ভঙ্গ হলো,
তাদের হরিনামের উচ্চ স্বর,
হৃদয়মাঝে প্রবেশ করে আনন্দ দান করছে।

৭। কিসু কিসু তুমি কি শুনতে পাওনি ওহে ধীর বুদ্ধি বালিকা,

ভোরের ভরদ্বাজ 'অল্লিয়ন' পক্ষীর চঞ্চুর শব্দ,
যা তাদের মধ্যে কথা বলার মত শোনাচ্ছে,
অবলার গন্ডদেশের আভূষণের শব্দ,
জোড়া ফুলের সুগন্ধ,
তুমি কি মন্থন দণ্ডের নির্ঘোষ শব্দ শুনতে পাওনি,
যখন দণ্ড ব্যবহার করে মন্থন করা হয়,
ওহে কিশোরীগণের নেত্রী
তুমি কিভাবে নিদ্রায় যাবে,
যখন তারা মিষ্টি সুরে নাম ও গুণানুবাদ করে
নারায়ণ ও কেশবের,
হে শায়িত সুন্দরী,দরজা খোলো,
ও আনন্দিত হও।

৮। কিহ বনম পূর্ব আকাশ শ্বেত হয়ে গেছে,

সর্বত্র ধেনু ও মহিষগুলি স্বাধীনভাবে বিচরণ করছে,
অবশিষ্ট বালিকারা, যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে,
যারা যেতে চেয়েছিলেন,
আর তোমাকে চিৎকার করে ডাকতে এসেছি,
ওহে সুখী মেয়ে, দয়া করে জেগে উঠুন
আসুন আমরা সবাই গান করি ও উপহার প্রাপ্ত হই,
সে ঘোড়া অসুরের মুখ বিদীর্ণ করেছে,
যিনি কুস্তিগীরদের হত্যা করেছিলেন,
সেই নারায়ণ, তিনি দেবতাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ
এবং তাকে নমস্কার করো.. আমরা কি বলি দয়া করে শুনুন,
এবং নিজেই সিদ্ধান্ত নিন।

৯। তুমানি মাদাথু' ওহে আমার মামার মেয়ে, তুমি ঘুমাচ্ছো,

নরম তুলোর বিছানায়,
রত্নজড়িত কক্ষ দীপ দ্বারা
প্রকাশিত সুগন্ধিত ধুপ
আগরবাতির গন্ধ উপভোগ করে,
চারদিক উজ্জ্বলভাবে আলোকিত,
আর ধূপের ধোঁয়ায় পূর্ণ,
শোভাময় সুন্দর মণিজড়িত দরজার শেকল খুলুন,
ওহে চাচী, তুমি ওকে জাগাচ্ছো না কেন,
তোমার কন্যা বোবা নাকি বধির, অথবা ক্লান্ত,
অথবা সে গভীর আনন্দদায়ক নিদ্রার সমাধিতে আছে,
এসো আমরা সেই মহান জাদুকরকে স্মরণ করি,
সেই মাধবকে, যিনি বৈকুণ্ঠে বাস করেন,
তার নাম অতি ফলদায়ক।

১০। নত্রু স্বর্গম ওহে সজনী, কে স্বর্গে প্রবেশ করেছে,

গত জন্মে করা তপস্যার কারণে,
অনুগ্রহ করে আপনি কি উত্তর দেবেন না,
দয়া করে আপনি কি দরজা খুলবেন না
আমরা ভগবান নারায়ণকে প্রার্থনা করি,
সুগন্ধিত তুলসীমালাধারী
নারায়ণের যশোগান অতি বরদায়ক,
তিনিই সেই পুণ্যশ্লোক যিনি প্রাচীনকালে,
কুম্ভকর্ণকে বধ করেছিলেন,
যুদ্ধক্ষেত্রে তাকে প্রহার করার পর,
সেই নিদ্রায় উৎপীড়িত কি তোমাকে নিদ্রা দিয়েছে,
রত্নালঙ্কারের মতো পূর্ণযৌবনা মূর্তি
হে সখী স্থির চিত্ত হয়ে দ্বার খুলে দাও।

১১। কাতরু কারাভাই শত্রুবিদারক গোপগণ,

ধেনু দোহন করে,
এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায়
ও তার শত্রুদের শক্তিক্ষয় করে,
ওহে স্বর্ণলতা সাপের
ফণার মতো অধোভাগী
বনের ময়ূর বাইরে এসো
সুহৃদ মিত্র সকল কুটুম্ব
এসেছে তোমার অঙ্গনে,
শ্যাম ঘন তোমার নাম করতে
যারা চ্যুত হয় না ও শব্দ করে না
ওহে ধনী রমণী,
তুমি নড়তে পারো না কথাও
বলছো না,
এবং গভীর সমাধিতে শুয়ে আছো,

১২। কানাইথিলাম কাটেররুমাই আরে প্রগতিশীল গোপের ভগিনী,

বাছুড়ের স্নেহের বশে ধেনু বৎস স্মরণ
হেতু দুধ বহন করে,
দুধের দ্বারা পঙ্কিল হয়ে,
আমরা তোমার অঙ্গনে একত্রিত হয়েছি,
ঝরে পড়া কুয়াশায়, এবং তাঁর গান গাও,
যিনি ক্রোধে দক্ষিণ লঙ্কার রাজাকে বধ করেছিলেন,
আমরা তার গান গাই
কিন্তু তুমি মুখ খুলো না..
অন্তত এখন জেগে উঠো,
কেন এই গভীর ঘুম?
আশেপাশের সব বাড়ির মানুষেরা জেগে উঠতে,
ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়ে গেছেন।

১৩। পুলিন বাই কিন্দানাই সে বকাসুর" পক্ষীর

বৃহৎ চঞ্চু ভেঙে ফেলেছে,
দুষ্ট রাক্ষস রাবণের মস্তক ছিন্ন করেছে,
তার কীর্তিগানকারী সকল
কিশোরীগণ শ্রীব্রত স্থলে পৌঁছে গেছে,
শুক্র এসেছে,
গুরু (বৃহস্পতিবার) চলে গিয়েছে,
পক্ষী কলরব করছে, দেখো সুমনসী
সুন্দরী,পুষ্পসুন্দর রক্তিম মৃগনয়নী,
কঠোর বরফ শীতল জলে
ডুব না দিয়ে তুমি কি ঘুমাতে চাইবে?
হে বালিকে, আজ খুব শুভ দিন,
ত্যাগ করো অলস যুক্তি,
আমাদের সঙ্গে স্নান করতে,
এসো শ্রীব্রত করি।

১৪। উঙ্গাল পুইক্কাদাই তোমার গৃহের অঙ্গনে পুকুরে

লাল পদ্ম খেলা করছে,
নিশীথে কুমুদিনী প্রস্ফুটিত হচ্ছে
শ্বেতদন্ত ঋষি,
যারা লাল রঙের পোশাক পরে,
তারা কেশরি বস্ত্র সন্তগণ
পবিত্র মন্দিরে শঙ্খবাদ্যহেতু
গমন করছে।
আপনিই তিনি যিনি আমাদের জাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দয়া করে জেগে উঠুন,
খুব করে বলছি, হে বালে, তোমার কি লজ্জা হয় না,
আপনি নির্লজ্জ,
আসুন আমরা সবাই
আত্মারাম শঙ্খ চক্রধারী,
বক্ষস্থল বিশাল
কমলনয়নের গীত গান করি।

১৫। এলে ইলাম কিলিয়ে দুই দলের সংবাদঃ

"আরে, ছোট্ট পাখি, তুমি কি এখনো ঘুমাচ্ছো?"
"কঠোর বচন বলো না,
আমার ঘুমের ব্যাঘাত করো না,
বালিকাগণ, আমি আসব।"
"আপনি আপনার বাকপটুতায় খুবই চতুর,
আমরা জানি আপনি কি বলতে চান।"
"তুমি ভালো থাকো, কিন্তু আমাকে একা ছেড়ে দাও"
"তাড়াতাড়ি এসো, তোমার জন্য অন্যথা হবে কেন?"
"সবাই চলে গেছে?" "মনে হয় ওরা চলে গেছে"
"দয়া করে জেগে উঠুন ও গান করুন,
শক্তিশালী হাতি কুবলয়াপীড় সংহারী,
যুদ্ধে শত্রুর বিনাশকারী
গজেন্দ্র নায়কের গীতি এসো গান করি।

১৫। নয়াগানাই নিরা আমাদের রক্ষক নন্দগোপ

রায়ের মন্দিরের
"পুষ্পসজ্জিত" তোরণ দ্বারের রক্ষক,
খুলুন রত্নজড়িত দ্বার,
ঘুঙুরের সাথে স্বর্ণশেকল দ্বারা
সজ্জিত হয়ে যমুনা যাত্রার
উদঘোষ হেতু আনন্দদানকারী
নীলমণি নায়ক গতকালই
আমাদের কথা দিয়েছে নতুন
সজ্জিত রূপে আগমন করবেন,
গাইতে গাইতে "ভোরে" মাতৃবৎ
দয়া করে হুঙ্কার না করে পট খুলে দিন।

১৭। আম্বারামে তন্নিরে সকলের বস্ত্র,জল,ভোজনদাতা

জননায়ক নন্দগোপ,
জেগে ওঠুন,
জননায়িকা কুলদীপিকা সজনী যশোদা,
জেগে ওঠুন,
গগন ভেদ, বিশাল রূপ,
পরিমাপ করেছিল ত্রিলোকদেবরায় কৃষ্ণ,
নিদ্রা ত্যাগ করুন,
স্বর্ণনূপুরপরিহিতচরণ
সমুন্নত বলদেব ভ্রাতার সাথে জেগে ওঠুন।

১৮। উন্ধু মাধ কালীত্রান নন্দ গোপের বেশ কয়েকটি হাতি আছে,

এবং তিনি একজন মহান বীর যিনি কখনও তার শত্রুদের কাছ থেকে পালিয়ে যাননি,
শক্তিমান বক্ষস্থল সেই নন্দগোপের পুত্রবধূ,
হে নাপ্পিনাই আপনার সুগন্ধিত
কেশাবলীর ঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে,
দরজা খুলুন, জেগে উঠুন,
সকল পক্ষী ডাকছে,
মোরগগুলি সর্বত্র আমাদের জাগিয়ে তুলছে,
দেখুন মাধবী শিখরে কুহুকারী কোয়েল,
তারা আপনার পতির গুণ গান করছে,
লাল সরোরুহ সাথে,
হাতে কিঙ্কিণী বাজিয়ে,
আপনি হর্ষভরে দ্বার খুলে দিন।

১৯। কুট্টু ভিলাকেরিয়া তৈল প্রদীপের আলোয়,

শোভাময় চতুষ্পদ হাতির দাঁতের খাটের উপর,
তুলো ভর্তি নরম বিছানায়,
নাপ্পিনাইয়ের আবক্ষের উপর হেলান দিয়ে শুয়ে আছে,
পুষ্পগুচ্ছশোভিত নাপ্পিনায়
"যার বক্ষস্থলে মস্তক রেখে শয়ন করে,
বিশালবক্ষ, মুখ খুলুন,
কাজলনয়ন আপনার
পতিদেব বিলম্ব সহ্যই বা করল,
জাগিয়ে তুলুন, দেখুন,
ক্ষণমাত্রও বিলম্ব আপনি চান না
হে শুভস্বভাব, এ কি ন্যায়?
তুমি ঘুমাও, হায় যার ফুলের মত হৃদয় আছে,
আমরা জানি যে আপনি তাকে কখনই ঘুম থেকে উঠতে দেবেন না,
কারণ আপনি কখনই তাঁর থেকে দূরে থাকা সহ্য করতে পারবেন না,
এটা তেমন ভালো নয়,
এবং আমাদের দ্বারা গ্রহণ করা যাবে না।

২০। মুপ্পাতু মুভার
তেত্রিশ "কোটি" দেবতার জাতি

ভয় দূরকারী আপনি,
নায়ক সর্বশক্তিশালী,
আপনি শত্রুদের নাশকারী,
নায়ক আপনি জেগে ওঠুন,
কুম্ভবন কোমল কূচ, অরুণ ঠোঁট,
সুন্দর কটি হে নাপ্পিনাই,
সুন্দরী সজনী জেগে উঠুন,
চামর, দর্পণ, আমাদের দিন,
আপনার পতিদেবকে জাগিয়ে তুলুন,
এখন আমার শীঘ্র স্নান করবো।

২১। ইট্রা কালাঙ্গাল ওই তার পুত্র,

যিনি বেশ কিছু গাভীর অধিপতি ছিলেন,
যারা দুগ্ধবতী,
যারা বহু দুধ দেয়।
হে দেবতা, যিনি করুণায় পূর্ণ,
হে দেবতা, শ্রেষ্ঠের চেয়ে কেই বা শ্রেষ্ঠ,
হে প্রভু, কে সেই জ্যোতি যিনি এই জগতের সৃষ্টি করেছিলেন,
দয়া করে জেগে উঠুন।
তোমার পরাজিত শত্রুলের মত,
আত্মসমর্পণ করে আপনার চরণে পতিত হয়,
আমরা আপনার প্রশংসা করতে এসেছি, যাতে আমরা খ্যাতি পাই,
আপনার চরণাশ্রিত তেমনই পূজা করে,
এসো আমরা তার যশোগান করি।

২২। অঙ্গন মা জানালাথু সকল বিখ্যাত রাজাদের মত

বিস্তৃত বিশ্বের তিনিই একমাত্র সুন্দর,
মান ত্যাগ করুন, আপনার জোড়া পা নিচে
একত্রিত আছে,
আমরা এসেছি আপনার কাছে
হে মধুর কিঙ্কিণী, মুখ খুলুন,
কমল ফুল সুন্দর নয়ন,
ক্ষণেক দৃষ্টিপাত করুন আমাদের প্রতি,
চন্দ্র সূর্যবৎ জ্যোতিপূর্ণ দুই নয়ন,
আপনি মৃত্যু থেকে ত্রাণ দান করেন,
এতে আমাদের সমস্ত অভিশাপ বিলুপ্ত হবে।

২৩। মারি মালাই মুইনজিল এই পদে রয়েছে লক্ষ্মী-নৃসিংহের বন্দনাঃ

বর্ষা কাল, পর্বত গুহায় তিনি
সপত্নী শয়ন করলেন,
ধীরে সিংহ জাগ্রত হলেন,
জ্বালাময়ী আঁখি গর্দান কেশ
ঝেড়ে সকল দিকে সম্ভল করে,
দাঁড়িয়ে আছেন, গর্জন করছেন,
যুদ্ধ করতে প্রস্তুত,
বিষ্ণুকান্তা পুষ্পের ন্যায়
সুন্দরভাবে দণ্ডায়মান,
আপনি আসুন, আশীষ দান করুন,
সজ্জিত সিংহাসনে বিরাজ করুন,
আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য জেনে অনুগৃহীত করুন।

২৪। আনরু ইভভুলাগাম আমরা তোমার চরণকে পূজা করি যা তখন পৃথিবী পরিমাপ করেছিল,

আমরা দক্ষিণ লঙ্কার রাজাকে জয়ের কারণ আপনার যশের পূজা করি,
আমরা সেই তোমার বীরত্বের পূজা করি
যে শকটাসুর গাড়ির মতো এসেছিল
তাকে বধ করেছিলে তোমার চরণ দিয়ে,
আমরা তোমার সেই শক্তির পূজা করি যে বৎসাসুরকে বৃক্ষে পতিত করেছিল,
আমরা পূজা করি তোমার ধার্মিকতার
যখন একটি ছাতার মতো পর্বত ধরেছিলে,
এবং আমরা আপনার হাতে বিশাল শক্তির পূজা করি,
যা আপনাকে জয়ের দিকে নিয়ে গেছে,
আমরা এখানে এসেছি সর্বদা আপনার গুণগান গান করতে।

২৫। ওরুতি মাগানাই পিরান্দু এক নারীর নিকট জন্ম নিয়ে,

এবং একই রাতে আত্মগোপন করে
তুমি অন্যের পুত্র হয়েছ,
কিন্তু এটা সে(কংস) সহ্য করতে পারেনি,
আপনার ক্ষতির, চিন্তা করে
সকল পরিকল্পনা তার বিফল হলো,
কংসের বক্ষে অগ্নির মতো সর্বনায়ক আপনি,
আপনার নিকট ভিক্ষা হেতু,
এসেছেন আমাদের উদ্ধারকল্পে,
দর্শন করে আপনি দান করবেন
লক্ষ্মীর ন্যায় সৌন্দর্য সেবা অবসর,
(আপনার নাম) গান করে দুঃখ দূর হোক,
আমরা কৃতার্থ হই।

২৬। পুরুষ ! মানিভান্না ওহে বিষ্ণু,

হে প্রভু নীলকান্তমণি,
আপনি যদি আমাদের জিজ্ঞাসা করেন আমাদের কি প্রয়োজন,
আপনার মহান অনুগ্রহ ও মহান কর্ম,
আমাদের মারগাইয়ের পবিত্র স্নানের জন্য,
আমরা অনেকগুলো শঙ্খ চাইব
তোমার শ্বেতসন্নিভ শঙ্খের মত, যার নাম পাঞ্চজন্য,
অনেক বড় বড় ঢাক যার আওয়াজ সর্বত্র শোনা যায়,
খ্যাতিসম্পন্ন বেশ কয়েকজন সঙ্গীতশিল্পী “পল্লন্দু” গায়ক, বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর প্রদীপ,
তাঁবু তৈরির জন্য বেশ কিছু ধ্বজা ও বস্ত্র,
ওহে, যিনি প্রলয়ের সময় বট পাতায় নিদ্রা যান,
দয়া করে আমাদের তা প্রদান করুন।

২৭। কুদারাই ভেলুম হে গোবিন্দ,

যিনি শত্রুর প্রতি বিজয়ের জন্য পরিচিত,
তোমার নাম গাওয়ার পর আমরা ঢক্কা ও অনেক উপহার পাবো,
এবং সমস্ত লোকের দ্বারা প্রশংসিত হওয়ার পরে,
চুলে স্বর্ণাভ ফুল পড়ব,
আমরা সোনার কিঙ্কিণি পড়ব,
সোনালী কুণ্ডল পড়ব,
পরে আমরা আমাদের কর্ণ স্বর্ণ ফুল দিয়ে বিভূষিত করবো,
পায়ে নূপুর পড়বো,
বেশ নতুন পোশাক পরব,
দুধ মিশিয়ে ভাত খাবো,
ঘি দিয়ে চাল সম্পূর্ণ ঢেকে দেবো,
আমরা একসাথে থাকব ও সুখী হব।

২৮। কারাভাইগাল পিন চেন্দ্রু গোগণের পশ্চাদবর্তী কাননে,

আমরা ভোজন করি
যদিও অনভিজ্ঞ আমরা,
গোয়ালঘরে আপনি জন্মেছেন,
আমাদের বড়ো অহো ভাগ্য কোন ত্রুটি নেই,
হে দেবতা, তোমার সাথে আমাদের যে বন্ধন
আছে তা কেউ কখনো
ভাঙতে পারবে না,
আমরা কিন্তু অবুঝ বালিকা, আমরা পৃথিবী জানি না,
অজ্ঞতা ও ভালোবাসায় আমরা তোমাকে নাম ধরে ডেকেছি।
তাই দয়া করে আমাদের প্রতি রাগ করো না,
হে নাথ আমাদের উদ্ধার করুন।

২৯। চিত্রম চিরু কালে কৃপা করে শুনুন,

এই খুব ভোরে,
আমরা পাশে এসে আপনার কনকবরণ চরণকমল পূজা করি,
প্রশংসা গান করি,
গো সেবা দ্বারা জীবিকা পেয়েছি,
সেখানে জন্মেছেন আপনিও,
আমাদের বিনা আপনি যান নি,
কেবল আজকের জন্য আমাদের দয়া চাই না,
দেখুন গোবিন্দ সাত সাতটি জন্ম
আপনার সাথে শান্তি শাশ্বত সুখ
আমাদের প্রাপ্তি হোক,
কেবল আপনার দাসী হয়ে থাকতে চাই, অন্য কিছু চাই না।

৩০। বঙ্গ কদল কদাইন্থ যে ভ্রান্তি ছাড়াই গান করে,

মিষ্টি তামিল ভাষায় তিরিশটি স্তব,
হে নাথ কেশব, চন্দ্রসুমুখী
অলংকৃত কিশোরীগণ
আমরা পূজা করে পাই কল্যাণ শ্রেয়স,
সুন্দর পাঠসমন্বিত শ্রীবিল্লিপুত্তরের নবকমল
পুষ্পমাল্য পড়ে অর্চক বিষ্ণুচিত্তের কন্যা
শ্রীগোদা বলে, এই সুন্দর তমাল মালার মতো
শ্লোক ত্রিশ যে নিত্যদিন পড়ে,
সুন্দর শহর পুডুভাইয়ে বাস করে,
তিনি সুখী হবেন ও ভগবানের অনুগ্রহ লাভ করবেন,
সুন্দর মুখ তিরুমাল "শ্রেষ্ঠ ভগবান " হতে
দয়ারূপ পরম সুখ লাভ করে
তিনি ধন্য হয়ে যাবেন।

থাইল্যান্ডে আবৃত্তি

সম্পাদনা

থাইল্যান্ডের দৈত্যাকার দোলনা ত্রিয়ম্পাবাই-ত্রিপাভাই নামে পরিচিত এক বার্ষিক অনুষ্ঠান প্রধান শহরগুলিতে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল, পরে নিরাপত্তার কারণে এটি বাতিল হয়ে যায়। অনুষ্ঠানের নাম দুটি তামিল হিন্দু মন্ত্র: তিরুবেম্পাবাই (মানিক্কাবাকার এর একটি শৈব স্তোত্র) ও তিরুপ্পবাই থেকে নেওয়া হয়েছে। জানা যায় যে তিরুবেম্পাবাই - কবি প্রতু শিবালাই ("শিবের প্রাসাদের মুক্তদ্বার") - এর তামিল শ্লোকগুলি এই অনুষ্ঠানে পাঠ করা হতো, পাশাপাশি থাই রাজার অনুষ্ঠানেও পাঠ করা হতো। [১২] টি.পির মতে, মীনাক্ষীসুন্দরম উৎসবের নামটিও বোধহয় তিরুপ্পাবাই পাঠের সূত্র থেকে এসেছে। [১৩]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. K. K. Nair (১ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। Sages Through Ages - Volume IV: India's Heritage। AuthorHouse। আইএসবিএন 978-1-4670-6410-1 
  2. Rajarajan, R. K. K. (জানুয়ারি ২০১৭)। "Samāpti-Suprabhātam – Reflections on South Indian Bhakti Tradition in Literature and Art" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  3. Nadadhur, Srivathsan (২০১৯-১২-২৭)। "Telugu touch to Thiruppavai goes digital"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X 
  4. "Archived copy"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. White, David Gordon (২০১৮-০৬-২৬)। Tantra in Practice (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 212। আইএসবিএন 978-0-691-19045-7 
  6. "Paavai genre of songs"ntyp.org। ২০০১-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৩ 
  7. "Importance of Tiruppavai"namperumal.tripod.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৩ 
  8. "Vedas and Thiruppavai"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-২১। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩ 
  9. The Secret Garland: Antal's Tiruppavai and Nacciyar Tirumoli (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। ২০১০-০৯-৩০। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 978-0-19-983094-7 
  10. "Thiruppavai - overview"। ৩০ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৩ 
  11. http://www.ibiblio.org/sripedia/ebooks/ramachander/Thiruppavai.doc
  12. M. E. Manickavasagom Pillai (১৯৮৬)। Dravidian Influence in Thai Culture। Tamil University। পৃষ্ঠা 69। 
  13. Norman Cutler (১৯৭৯)। Consider Our Vow: Translation of Tiruppāvai and Tiruvempāvai Into English। Muttu Patippakam। পৃষ্ঠা 13।