তামিল সাহিত্য ভারতের সবচেয়ে পুরোনো সাহিত্য, এই সাহিত্যের ইতিহাস দুই হাজার বছরের চেয়েও বেশি পুরোনো এবং খুবই দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধশালী। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ধ্রুপদী সাহিত্য ভারতের তামিল জনগণ এবং শ্রীলঙ্কার তামিল জনগণের অবদান দ্বারা সমৃদ্ধ।

তামিলনাড়ুর একটি মন্দিরে ঋষি অগস্ত্যর মূর্তি যিনি প্রাচীন তামিল সাহিত্যিক ছিলেন

তামিল সাহিত্যের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে তামিলনাড়ুর ইতিহাসও ঘাঁটতে হবে কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তামিল লোকদের দীর্ঘ দিনের আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে রচিত আদি সঙ্গম সাহিত্যে পাওয়া যায় বিভিন্ন কবির আখ্যান, যেগুলোতে রয়েছে মানুষের জীবনের বিভিন্ন উপাদান যেমনঃ ভালোবাসা, যুদ্ধ বিগ্রহ, সামাজিক মূল্যবোধ এবং ধর্ম। এরপর আসে আদি উপখ্যানমূলক কাহিনী এবং নীতি কাহিনী মূলক লেখা যেগুলো রচিত হয়েছিলো শৈবধর্ম, বৈষ্ণব সম্প্রদায়, আজীবিক, জৈন ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের লেখক এবং কবিদের দ্বারা যেগুলো খ্রিষ্ট পরবর্তী ৫ম শতাব্দী পর্যন্ত চালু ছিলো। খ্রিষ্ট পরবর্তী ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত তামিল ভক্তিমূলক কবিতাগুলো নায়নার (শৈবধর্মের ঋষিগণ), আলভার (বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ঋষিগণ) ভক্তি আন্দোলনের পথকে ত্বরান্বিত করেছিলো যেটা পরে পুরো ভারতবর্ষে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা