অলবর
অলবরগণ (তামিল: ஆழ்வார், প্রতিবর্ণী. Āḻvār) ছিলেন দক্ষিণ ভারতের তামিল কবি-সন্ত। তারা তাদের ইচ্ছে , পরমানন্দ এবং সেবামূলক গান, "ভক্তি" দ্বারা হিন্দুধর্মে অবদান রেখেছিলেন।[২] তারা ছিল বৈষ্ণবধর্মের অনুসারী। তারা বিষ্ণুকে পরম তত্ত্ব রূপে আরাধনা করত।
অলবর | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম | ||||||||
অঞ্চল | তামিলাকাম | ||||||||
আখ্যা | বৈষ্ণবধর্ম | ||||||||
শিক্ষালয় | ভাগবত | ||||||||
উল্লেখযোগ্য কাজ | নালায়িরা দিব্য প্রবন্ধম্ | ||||||||
যে জন্য পরিচিত | ভক্তি আন্দোলন | ||||||||
দর্শন | বিশিষ্টাদ্বৈত | ||||||||
ধর্মীয় জীবন | |||||||||
যাদের প্রভাবিত করেন
|
অনেক আধুনিক শিক্ষাবিদ আলবরদের জীবনকালকে ৫ম শতাব্দী থেকে ৯ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কাল বলে নির্ধারণ করেছেন। ঐতিহ্যগতভাবে, আলবররা খ্রিষ্টপূর্ব ৪২০০-২৭০০ -এর মধ্যেবর্তী সময়ে বসবাস করত বলে মনে করা হয়। অলবরেরা ছিলেন সংখ্যায় দশজন , যদিও অন্যান্য উল্লেখ রয়েছে, যেমন ঋষিকা দেবী আণ্ডাল এবং মধুরকবি আলবর পরবর্তীকালে অলবরদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।এভাবে অলবরদের সংখ্যা মোট বারো জন। [৩] বারো জনের মধ্যে আণ্ডালই একমাত্র মহিলা আলবর। সমসাময়িক ৬৩ শৈব নায়নারদের সাথে তারা তামিলনাড়ুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাধুদের মধ্যে রয়েছেন।
তামিল ইতিহাস-এর প্রাক্ মধ্যযুগীয় সময়ে রচিত আলভারের ভক্তিমূলক রচনাগুলি বিষ্ণু এবং তার অবতারদের উপাসনার স্তোত্রের মাধ্যমে ভক্তি আন্দোলন এর পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। তারা বৈষ্ণবধর্মের সাথে সম্পৃক্ত দেবতাদের দিব্য দেশম্ তথা ১০৮ টি দিব্য ধামের প্রশংসা করেছেন। অলবরের কবিতা প্রেমের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি "ভক্তি" কে প্রতিধ্বনিত করে।তারা এই ধরনের ভক্তি আনন্দাপ্লুত হয়ে শত শত গান গেয়েছিলেন। এসব ভক্তিগীতিগুলো অনুভূতির গভীরতা এবং অভিব্যক্তির আনন্দ উভয়কেই মূর্ত করেছে।[৪]
আলবরদের স্তোত্রের সংগ্রহটি নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধ নামে পরিচিত। আলওয়ারস্ থেকে উদ্ভূত ভক্তি সাহিত্য এমন একটি সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা ও টিকিয়ে রাখতে অবদান রেখেছে যা বৈদিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়েছিল এবং মুক্তির একমাত্র পথ হিসাবে ভক্তি অবলম্বন করেছিল। উপরন্তু, তারা তামিল ভক্তিমূলক শ্লোকগুলিতেও অবদান রেখেছিলেন।[৫] আলবরদের বিকাশের সাথে সাথে, পাঁচটি বৈষ্ণব দার্শনিক ঐতিহ্য (সম্প্রদায়) সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয়েছে। [৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Holy People of the World: A Cross-cultural Encyclopedia। Abc-Clio। ২০০৪। আইএসবিএন 9781576073551।
- ↑ Andrea Nippard। "The Alvars" (পিডিএফ)। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- ↑ Flood 1996, পৃ. 131
- ↑ "Indian Literature Through the Ages"। Indian literature, Govt of India। ১৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০।
- ↑ "About Alvars"। divyadesamonline.com। ২১ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০২।
- ↑ Mittal, S. G. R.; Thursby (২০০৬)। Religions of South Asia: An Introduction। Routledge। পৃষ্ঠা 27। আইএসবিএন 9780203970027।