২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগ
২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগ (যা সংক্ষেপে ২০১৮–১৯ ইউএনএল নামে পরিচিত) ছিল উয়েফা দ্বারা আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা উয়েফা নেশনস লিগের প্রথম এবং উদ্বোধনী আসর,[১] যেখানে ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফার অন্তর্ভুক্ত ৫৫টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা করে। এই আসরের লিগ পর্ব ২০১৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর হতে ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত এবং নকআউট পর্ব ২০১৯ সালের ৫ হতে ৯ই জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। লিগ পর্বে অংশগ্রহণকারী দলের ফলাফল উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বের জন্য দলগুলোকে বাছাই করতে ব্যবহৃত হয় এবং প্লে-অফে অবস্থান প্রদান করা হয়।
বিবরণ | |
---|---|
তারিখ | লিগ পর্ব: ৬ সেপ্টেম্বর – ২০ নভেম্বর ২০১৮ নকআউট পর্ব: ৫–৯ জুন ২০১৯ |
দল | ৫৫ |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | পর্তুগাল (১ম শিরোপা) |
রানার-আপ | নেদারল্যান্ডস |
তৃতীয় স্থান | ইংল্যান্ড |
চতুর্থ স্থান | সুইজারল্যান্ড |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১৪২ |
গোল সংখ্যা | ৩৪২ (ম্যাচ প্রতি ২.৪১টি) |
দর্শক সংখ্যা | ২৪,৬৭,০৪১ (ম্যাচ প্রতি ১৭,৩৭৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | আলেকসান্দার মিত্রোভিচ (৬টি গোল) |
২০১৯ সালের ৯ই জুন তারিখে, পর্তুগালের পোর্তুর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পর্তুগাল নেদারল্যান্ডসকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উয়েফা নেশনস লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করে।[২]
বিন্যাস
সম্পাদনা২০১৪ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে, উয়েফা নির্বাহী কমিটি উয়েফা নেশনস লিগের বিন্যাস ও সময়সূচী আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছিল।[৩][৪] অনুমোদিত বিন্যাস অনুযায়ী,[১][৫][৬] ৫৫টি উয়েফা জাতীয় দলকে চারটি বিভাগে (উয়েফা নেশনস লিগে যেগুলোকে "লিগ" বলা হয়) বিভক্ত করা হয়েছিল:[৫] লিগ এ-তে ১২টি দল, লিগ বি-তে ১২টি দল, লিগ সি-তে ১৫টি দল এবং লিগ ডি-তে ১৬টি দল।[৫] ২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগের জন্য, ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের (প্লে-অফের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত নয়) সমাপ্তির পর দলগুলোকে উয়েফা জাতীয় দল গুণাঙ্ক অনুযায়ী বিভক্ত করা হয়েছিল; সর্বোচ্চ গুণাঙ্ক ধারণকারী দলগুলো লিগ এ-তে স্থান হয়েছিল।[৭]
প্রতিটি লিগ ৩টি অথবা ৪টি দলের সমন্বয়ে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিটি দল তাদের গ্রুপের অন্যান্য দলের সাথে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর হতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চারটি বা ছয়টি ম্যাচ খেলেছিল (হোম-অ্যান্ড-অ্যাওয়ে রাউন্ড-রবিন নিয়ম নিয়ম ব্যবহার করে)।
শীর্ষ বিভাগে, লিগ এ, দলগুলো উয়েফা নেশনস লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল। লিগ এ-এর চার গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারী ২০১৯ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নেশনস লিগের নকআউট পর্বে খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল; উক্ত পর্বটি নকআউট নিয়মে খেলা হয়েছিল , যেখানে সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ এবং ফাইনাল ছিল। দুই সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ এবং ফাইনাল খেলায় প্রশাসনিক কাজের জন্য ২০১৮ সালের ৩রা ডিসেম্বর তারিখে হোম দল নির্ধারিত করা হয়েছিল।[৮] ২০১৮ সালের ৩রা ডিসেম্বর তারিখে নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ ৪ দল হতে উয়েফা নির্বাহী কমিটি দ্বারা আয়োজক দেশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।[৯]
দলগুলো উচ্চ বা নিম্ন লিগে উন্নীত ও অবনমিত হওয়ার প্রতিযোগিতা করেছিল। প্রতিটি লিগে, চার গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারী (লিগ এ ব্যতীত) উচ্চতর লিগে উন্নীত হয়েছিল এবং প্রতিটি গ্রুপের সর্বশেষ দলগুলো (লিগ ডি ব্যতীত) নিম্নতর লিগে অবনমিত হয়েছিল; তবে লিগ সি-এ, বিভিন্ন আকারের গ্রুপ থাকার কারণে, চতুর্থ স্থানে থাকা তিনটি দল এবং সর্বনিম্ন-অবস্থানে তৃতীয় স্থানে থাকা দল অবনমিত হয়েছিল।
গ্রুপে মানদণ্ড
সম্পাদনাযদি লিগ পর্ব শেষ হওয়ার পর একই গ্রুপের দুই বা ততোধিক দলের পয়েন্ট সমান হয়, তবে নিম্নলিখিত টাইব্রেকার মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয়:[৭]
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, তাদের মধ্যকার ম্যাচে সর্বাধিক অর্জিত পয়েন্ট;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, তাদের মধ্যকার ম্যাচে সর্বাধিক গোল পার্থক্য;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, তাদের মধ্যকার ম্যাচে সর্বাধিক গোল সংখ্যা;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, তাদের মধ্যকার ম্যাচে সর্বাধিক অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
- নিয়ম ১ হতে ৪ পর্যন্ত প্রয়োগ করার পর যদি দলগুলোর অবস্থান সমান থাকে, তবে উক্ত দলগুলোর মধ্যকার ম্যাচে পুনরায় নিয়ম ১ হতে ৪ পর্যন্ত প্রয়োগ করে চূড়ান্ত অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।[টীকা ১] যদি এই পদ্ধতিটি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তবে ৬ হতে ১০ নম্বর মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয়;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বাধিক গোল পার্থক্য;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বাধিক গোল সংখ্যা;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বাধিক অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বাধিক জয়;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বাধিক অ্যাওয়ে জয়;
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে তাদের সর্বনিম্ন শাস্তিমূলক পয়েন্ট (একটি হলুদ কার্ডের জন্য ১ পয়েন্ট, দুটি হলুদ কার্ডের মাধ্যমে লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, একটি হলুদ কার্ডের পর সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৪ পয়েন্ট);
- যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, উয়েফা জাতীয় দল গুণাঙ্কে তাদের অবস্থান।[টীকা ২]
লিগ সি-তে গ্রুপের তৃতীয় দলকে নির্ধারণ করার জন্য, চতুর্থ স্থানে থাকা দলগুলোর বিরুদ্ধে ফলাফল প্রত্যাহার করে নিম্নলিখিত মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয়:
- সর্বাধিক পয়েন্ট;
- সর্বাধিক গোল পার্থক্য;
- সর্বাধিক গোল সংখ্যা;
- সর্বাধিক অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
- সর্বাধিক জয়;
- সর্বাধিক অ্যাওয়ে জয়;
- লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বনিম্ন শাস্তিমূলক পয়েন্ট (একটি হলুদ কার্ডের জন্য ১ পয়েন্ট, দুটি হলুদ কার্ডের মাধ্যমে লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, একটি হলুদ কার্ডের পর সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৪ পয়েন্ট);
- উয়েফা জাতীয় দল গুণাঙ্কে তাদের অবস্থান।[টীকা ২]
লিগে মানদণ্ড
সম্পাদনাপৃথক লিগে অবস্থান নিম্নলিখিত মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়:[৭]
- গ্রুপে অবস্থান;
- সর্বাধিক পয়েন্ট;
- সর্বাধিক গোল পার্থক্য;
- সর্বাধিক গোল সংখ্যা;
- সর্বাধিক অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
- সর্বাধিক জয়;
- সর্বাধিক অ্যাওয়ে জয়;
- লিগ পর্যায়ের সকল ম্যাচে সর্বনিম্ন শাস্তিমূলক পয়েন্ট (একটি হলুদ কার্ডের জন্য ১ পয়েন্ট, দুটি হলুদ কার্ডের মাধ্যমে লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, একটি হলুদ কার্ডের পর সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৪ পয়েন্ট);
- উয়েফা জাতীয় দল গুণাঙ্কে তাদের অবস্থান।[টীকা ২]
বিভিন্ন আকারের গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত লিগে দলগুলোর অবস্থান নির্ণন করার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি প্রযোজ্য:[৭]
- চতুর্থ স্থানে থাকা দলগুলোর বিরুদ্ধে ফলাফল উক্ত গ্রুপের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দলগুলোর তুলনা করার জন্য বিবেচিত হয় না।
- তাদের নিজ নিজ গ্রুপের চতুর্থ স্থানে অবস্থানকারী দলের সাথে তুলনা করার উদ্দেশ্যে সব ফলাফল বিবেচনা করা হয়।
লিগ এ-এর শীর্ষ ৪টি দলের অবস্থান নেশনস লিগের নকআউট পর্বে তাদের সমাপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়:[৭]
- বিজয়ী দল ১ম হয়;
- রানার-আপ দল ২য় হয়;
- তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল ৩য় হয়;
- চতুর্থ স্থান অর্জনকারী দল ৪র্থ হয়।
সামগ্রিক অবস্থানের মানদণ্ড
সম্পাদনাইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে গ্রুপ পর্বের ড্র এবং ইউরোপীয় বাছাইপর্বের প্লে-অফে উত্তীর্ণের উদ্দেশ্যে, সামগ্রিকভাবে উয়েফা নেশনস লিগ নিম্নরূপ নিয়মে প্রতিষ্ঠিত:[৭]
- লিগ অবস্থানের ভিত্তিতে ১২টি দল লিগ এ-তে ১ম স্থান থেকে ১২তম স্থানে অবস্থান করে;
- লিগ অবস্থানের ভিত্তিতে ১২টি দল লিগ বি-তে ১৩তম স্থান থেকে ২৪তম স্থানে অবস্থান করে;
- লিগ অবস্থানের ভিত্তিতে ১৫টি দল লিগ সি-তে ২৫তম স্থান থেকে ৩৯তম স্থানে অবস্থান করে;
- লিগ অবস্থানের ভিত্তিতে ১৬টি দল লিগ এ-তে ৪০তম স্থান থেকে ৫৫তম স্থানে অবস্থান করে।
উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্ব
সম্পাদনা২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগ উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যেখানে দলগুলো উয়েফা ইউরো ২০২০-এ অংশগ্রহণের আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল।
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাসের পরিবর্তে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে মূল বাছাইপর্ব শুরু হয়েছিল এবং ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়েছিল। এই বিন্যাসটি অধিকাংশই একই রকম থাকবে, যদিও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য দলগুলো ২৪টি স্থানের ২০টি স্থান পেয়েছিল এবং এর ফলে মাত্র ৪টি স্থান অবশিষ্ট ছিল। উয়েফা নেশনস লিগের সমাপ্তির পর ৫৫টি দলকে ১০টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল (যেখানে ৫টি দলের ৫টি গ্রুপ এবং ৬টি দলের ৫টি গ্রুপ ছিল), যেখানে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল উত্তীর্ণ হয়েছিল।[৩][৪] নেশনস লিগের সামগ্রিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে ড্রয়ের পাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল।[৭] বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো ২০১৯ সালের মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর দ্বৈত ম্যাচদিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৫]
বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বের পর, ২০২০ সালের মার্চ মাসে উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্ব প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর বিপরীতে, প্লে-অফের অংশগ্রহণকারী দলগুলো বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বের ফলাফলের ভিত্তিতে সুযোগ পায়নি। এর পরিবর্তে, নেশনস লিগে তাদের খেলা অনুযায়ী ১৬টি দল নির্বাচন করা হয়েছিল। এই দলগুলোকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল, প্রতিটিতে চারটি দল ছিল, প্রতিটি ভাগ হতে একটি দল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। কমপক্ষে ৪টি দল অবশিষ্ট থাকায় প্রতিটি লিগের নিজস্ব প্লে-অফ পথ ছিল। নেশনস লিগ গ্রুপ বিজয়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লে-অফ পথের উত্তীর্ণ হয়েছিল। যদি কোন গ্রুপ বিজয়ী ইতোমধ্যেই প্রচলিত নিয়মে গ্রুপ পর্বে খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়, সেই দলগুলো একই লিগে পরবর্তী সেরা দল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ার নিয়ম ছিল। তবে, যদি কোন লিগে পর্যাপ্ত দল না থাকে, তাহলে উক্ত স্থানটি সামগ্রিক অবস্থানে থাকা পরবর্তী সেরা দলকে দিয়ে দেওয়া হতো। যাহোক, গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারী দল উচ্চতর লিগের দলের সাথে মুখোমুখি হতে পারেনি।[১০]
প্রতিটি প্লে-অফ পথ দুটি এক লেগের সেমি-ফাইনাল এবং এক লেগের ফাইনাল সমন্বিত গঠিত ছিল। সেরা দল চতুর্থ দলকে এবং দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণী দল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী দলকে আতিথ্য দিয়েছিল। ফাইনালের আয়োজক একটি ড্রয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছিল, যেখানে হয়তো সেমি-ফাইনাল ১ বিজয়ী অথবা সেমি-ফাইনাল ২ বিজয়ী আয়োজক ছিল। প্লে-অফ পথে বিজয়ী চার দল পূর্ব হতে উয়েফা ইউরো ২০২০ নিশ্চিতকারী ২০টি দলের সাথে যোগদান করেছিল।[৩][৪]
সময়সূচী
সম্পাদনা২০১৮ সালের ২৪শে জানুয়ারি তারিখে, উয়েফা এই সময়সূচী ঘোষণা করেছিল।[১১][১২] ২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগের সময়সূচী নিম্নরূপ:[৭]
পর্যায় | পর্ব | তারিখ |
---|---|---|
লিগ পর্যায় | ম্যাচদিন ১ | ৬–৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
ম্যাচদিন ২ | ৯–১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | |
ম্যাচদিন ৩ | ১১–১৩ অক্টোবর ২০১৮ | |
ম্যাচদিন ৪ | ১৪–১৬ অক্টোবর ২০১৮ | |
ম্যাচদিন ৫ | ১৫–১৭ নভেম্বর ২০১৮ | |
ম্যাচদিন ৬ | ১৮–২০ নভেম্বর ২০১৮ | |
নকআউট পর্ব | সেমি-ফাইনাল | ৫–৬ জুন ২০১৯ |
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | ৯ জুন ২০১৯ | |
ফাইনাল |
ড্র
সম্পাদনাউয়েফার অন্তর্ভুক্ত ৫৫টি জাতীয় দল ২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। উয়েফা জাতীয় দল গুণাঙ্ক অনুযায়ী, ৫৫ সদস্য চারটি লিগে (লিগ এ-তে ১২টি দল, লিগ বি-তে ১২টি দল, লিগ সি-তে ১৫টি দল এবং লিগ ডি-তে ১৬টি দল) বিভক্ত করা হয়েছিল। ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের (প্লে-অফের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত নয়) সমাপ্তির পর দলগুলোকে উয়েফা জাতীয় দল গুণাঙ্ক অনুসারে বিভক্ত করা হয়েছিল; সর্বোচ্চ গুণাঙ্ক ধারণকারী দলগুলো লিগ এ-তে স্থান পেয়েছিল।[৫][১৩][১৪] ২০১৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে, ড্রয়ের পাত্র ঘোষণা করা হয়েছিল।[১৫]
|
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
|
২০১৮ সালের ২৪শে জানুয়ারি তারিখে, সুইজারল্যান্ডের লোজানের সুইসটেক কনভেনশন সেন্টারে ১২:০০ টায় (সিইটি) লিগ পর্যায়ের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১৬][১৭][১৮][১৯][২০]
রাজনৈতিক কারণে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান (নাগোরনো-কারাবখ সংঘর্ষের কারণে), একই সাথে রাশিয়া ও ইউক্রেন (ইউক্রেনে রুশ সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে), একই গ্রুপে বিভক্ত হয়নি। শীতকালীন মাঠ সীমাবদ্ধতার কারণে, একটি গ্রুপে নিম্নোক্ত দলগুলোর মধ্যে সর্বাধিক দুটি দল থাকতে পারে: নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়া। অত্যধিক ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে, কোন গ্রুপে নিম্নলিখিত দল জোড়ার মধ্যে সর্বাধিক একটি দল থাকতে পারে: অ্যান্ডোরা ও কাজাখস্তান, ফারো দ্বীপপুঞ্জ এবং কাজাখস্তান, জিব্রাল্টার এবং কাজাখস্তান, জিব্রাল্টার এবং আজারবাইজান।[২১]
লিগ এ
সম্পাদনাগ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাগ্রুপ এ১
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন[ক] | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | নেদারল্যান্ডস | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৮ | ৪ | +৪ | ৭[খ] | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ | — | ২–০ | ৩–০ | |
২ | ফ্রান্স | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৭[খ] | ২–১ | — | ২–১ | ||
৩ | জার্মানি | ৪ | ০ | ২ | ২ | ৩ | ৭ | −৪ | ২ | ২–২ | ০–০ | — |
টীকা:
- ↑ ২০২০–২১ উয়েফা নেশনস লিগের জন্য খেলার বিন্যাস পুনর্গঠনের কারণে শেষ পর্যন্ত কোন দল অবনমিত হয়নি।
- ↑ ক খ হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য: নেদারল্যান্ডস +১, ফ্রান্স -১।
গ্রুপ এ২
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন[ক] | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | সুইজারল্যান্ড | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ১৪ | ৫ | +৯ | ৯[খ] | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ | — | ৫–২ | ৬–০ | |
২ | বেলজিয়াম | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৯ | ৬ | +৩ | ৯[খ] | ২–১ | — | ২–০ | ||
৩ | আইসল্যান্ড | ৪ | ০ | ০ | ৪ | ১ | ১৩ | −১২ | ০ | ১–২ | ০–৩ | — |
টীকা:
- ↑ ২০২০–২১ উয়েফা নেশনস লিগের জন্য খেলার বিন্যাস পুনর্গঠনের কারণে শেষ পর্যন্ত কোন দল অবনমিত হয়নি।
- ↑ ক খ হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য: সুইজারল্যান্ড +২, বেলজিয়াম -২।
গ্রুপ এ৩
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন[ক] | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | পর্তুগাল | ৪ | ২ | ২ | ০ | ৫ | ৩ | +২ | ৮ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ | — | ১–০ | ১–১ | |
২ | ইতালি | ৪ | ১ | ২ | ১ | ২ | ২ | ০ | ৫ | ০–০ | — | ১–১ | ||
৩ | পোল্যান্ড | ৪ | ০ | ২ | ২ | ৪ | ৬ | −২ | ২ | ২–৩ | ০–১ | — |
টীকা:
- ↑ ২০২০–২১ উয়েফা নেশনস লিগের জন্য খেলার বিন্যাস পুনর্গঠনের কারণে শেষ পর্যন্ত কোন দল অবনমিত হয়নি।
গ্রুপ এ৪
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন[ক] | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইংল্যান্ড | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৬ | ৫ | +১ | ৭ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ | — | ১–২ | ২–১ | |
২ | স্পেন | ৪ | ২ | ০ | ২ | ১২ | ৭ | +৫ | ৬ | ২–৩ | — | ৬–০ | ||
৩ | ক্রোয়েশিয়া | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৪ | ১০ | −৬ | ৪ | ০–০ | ৩–২ | — |
টীকা:
- ↑ ২০২০–২১ উয়েফা নেশনস লিগের জন্য খেলার বিন্যাস পুনর্গঠনের কারণে শেষ পর্যন্ত কোন দল অবনমিত হয়নি।
নকআউট পর্ব
সম্পাদনা- বন্ধনী
সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||
৫ জুন ২০১৯ – পোর্তু | ||||||
পর্তুগাল | ৩ | |||||
৯ জুন ২০১৯ – পোর্তু | ||||||
সুইজারল্যান্ড | ১ | |||||
পর্তুগাল | ১ | |||||
৬ জুন ২০১৯ – গিমারায়েস | ||||||
নেদারল্যান্ডস | ০ | |||||
নেদারল্যান্ডস (অ.স.প.) | ৩ | |||||
ইংল্যান্ড | ১ | |||||
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | ||||||
৯ জুন ২০১৯ – গিমারায়েস | ||||||
সুইজারল্যান্ড | ০ (৫) | |||||
ইংল্যান্ড (পে.) | ০ (৬) |
সেমি-ফাইনাল
সম্পাদনাপর্তুগাল | ৩–১ | সুইজারল্যান্ড |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী
সম্পাদনাফাইনাল
সম্পাদনা
লিগ বি
সম্পাদনাগ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাগ্রুপ বি১
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইউক্রেন (P) | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৫ | ৫ | ০ | ৯ | লিগ এ-তে উন্নীত | — | ১–০ | ১–০ | |
২ | চেক প্রজাতন্ত্র | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৪ | ৪ | ০ | ৬ | ১–২ | — | ১–০ | ||
৩ | স্লোভাকিয়া (R) | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ৫ | ৫ | ০ | ৩ | লিগ সি-তে অবনমিত | ৪–১ | ১–২ | — |
গ্রুপ বি২
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | সুইডেন (P) | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৫ | ৩ | +২ | ৭[ক] | লিগ এ-তে উন্নীত | — | ২–০ | ২–৩ | |
২ | রাশিয়া | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৭[ক] | ০–০ | — | ২–০ | ||
৩ | তুরস্ক (R) | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ৪ | ৭ | −৩ | ৩ | লিগ সি-তে অবনমিত | ০–১ | ১–২ | — |
গ্রুপ বি৩
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (P) | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ৫ | ১ | +৪ | ১০ | লিগ এ-তে উন্নীত | — | ১–০ | ২–০ | |
২ | অস্ট্রিয়া | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৩ | ২ | +১ | ৭ | ০–০ | — | ১–০ | ||
৩ | উত্তর আয়ারল্যান্ড (R) | ৪ | ০ | ০ | ৪ | ২ | ৭ | −৫ | ০ | লিগ সি-তে অবনমিত | ১–২ | ১–২ | — |
গ্রুপ বি৪
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ডেনমার্ক (P) | ৪ | ২ | ২ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৮ | লিগ এ-তে উন্নীত | — | ২–০ | ০–০ | |
২ | ওয়েলস | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৬ | ৫ | +১ | ৬ | ১–২ | — | ৪–১ | ||
৩ | প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড (R) | ৪ | ০ | ২ | ২ | ১ | ৫ | −৪ | ২ | লিগ সি-তে অবনমিত | ০–০ | ০–১ | — |
লিগ সি
সম্পাদনাগ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাগ্রুপ সি১
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | স্কটল্যান্ড (P) | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ১০ | ৪ | +৬ | ৯ | লিগ বি-তে উন্নীত | — | ৩–২ | ২–০ | |
২ | ইসরায়েল | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৬ | ৫ | +১ | ৬ | ২–১ | — | ২–০ | ||
৩ | আলবেনিয়া | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ১ | ৮ | −৭ | ৩ | ০–৪ | ১–০ | — |
গ্রুপ সি২
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ফিনল্যান্ড (P) | ৬ | ৪ | ০ | ২ | ৫ | ৩ | +২ | ১২ | লিগ বি-তে উন্নীত | — | ১–০ | ২–০ | ১–০ | |
২ | হাঙ্গেরি | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ৯ | ৬ | +৩ | ১০ | ২–০ | — | ২–১ | ২–০ | ||
৩ | গ্রিস | ৬ | ৩ | ০ | ৩ | ৪ | ৫ | −১ | ৯ | ১–০ | ১–০ | — | ০–১ | ||
৪ | এস্তোনিয়া (R) | ৬ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ৮ | −৪ | ৪ | লিগ ডি-তে অবনমিত | ০–১ | ৩–৩ | ০–১ | — |
গ্রুপ সি৩
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | নরওয়ে (P) | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ৭ | ২ | +৫ | ১৩ | লিগ বি-তে উন্নীত | — | ১–০ | ২–০ | ১–০ | |
২ | বুলগেরিয়া | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ৭ | ৫ | +২ | ১১ | ১–০ | — | ২–১ | ১–১ | ||
৩ | সাইপ্রাস (R) | ৬ | ১ | ২ | ৩ | ৫ | ৯ | −৪ | ৫ | লিগ ডি-তে অবনমিত | ০–২ | ১–১ | — | ২–১ | |
৪ | স্লোভেনিয়া (R) | ৬ | ০ | ৩ | ৩ | ৫ | ৮ | −৩ | ৩ | ১–১ | ১–২ | ১–১ | — |
গ্রুপ সি৪
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত বা অবনমন | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | সার্বিয়া (P) | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ১১ | ৪ | +৭ | ১৪ | লিগ বি-তে উন্নীত | — | ২–২ | ২–১ | ৪–১ | |
২ | রোমানিয়া | ৬ | ৩ | ৩ | ০ | ৮ | ৩ | +৫ | ১২ | ০–০ | — | ০–০ | ৩–০ | ||
৩ | মন্টিনিগ্রো | ৬ | ২ | ১ | ৩ | ৭ | ৬ | +১ | ৭ | ০–২ | ০–১ | — | ২–০ | ||
৪ | লিথুয়ানিয়া (R) | ৬ | ০ | ০ | ৬ | ৩ | ১৬ | −১৩ | ০ | লিগ ডি-তে অবনমিত | ০–১ | ১–২ | ১–৪ | — |
লিগ ডি
সম্পাদনাগ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাগ্রুপ ডি১
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | জর্জিয়া (P) | ৬ | ৫ | ১ | ০ | ১২ | ২ | +১০ | ১৬ | লিগ সি-তে উন্নীত | — | ২–১ | ১–০ | ৩–০ | |
২ | কাজাখস্তান | ৬ | ১ | ৩ | ২ | ৮ | ৭ | +১ | ৬ | ০–২ | — | ১–১ | ৪–০ | ||
৩ | লাতভিয়া | ৬ | ০ | ৪ | ২ | ২ | ৬ | −৪ | ৪ | ০–৩ | ১–১ | — | ০–০ | ||
৪ | অ্যান্ডোরা | ৬ | ০ | ৪ | ২ | ২ | ৯ | −৭ | ৪ | ১–১ | ১–১ | ০–০ | — |
গ্রুপ ডি২
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বেলারুশ (P) | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ১০ | ০ | +১০ | ১৪ | লিগ সি-তে উন্নীত | — | ১–০ | ০–০ | ৫–০ | |
২ | লুক্সেমবুর্গ | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ১১ | ৪ | +৭ | ১০ | ০–২ | — | ৪–০ | ৩–০ | ||
৩ | মলদোভা | ৬ | ২ | ৩ | ১ | ৪ | ৫ | −১ | ৯ | ০–০ | ১–১ | — | ২–০ | ||
৪ | সান মারিনো | ৬ | ০ | ০ | ৬ | ০ | ১৬ | −১৬ | ০ | ০–২ | ০–৩ | ০–১ | — |
গ্রুপ ডি৩
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | কসোভো (P) | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ১৫ | ২ | +১৩ | ১৪ | লিগ সি-তে উন্নীত | — | ৪–০ | ২–০ | ৩–১ | |
২ | আজারবাইজান | ৬ | ২ | ৩ | ১ | ৭ | ৬ | +১ | ৯ | ০–০ | — | ২–০ | ১–১ | ||
৩ | ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ | ৬ | ১ | ২ | ৩ | ৫ | ১০ | −৫ | ৫ | ১–১ | ০–৩ | — | ৩–১ | ||
৪ | মাল্টা | ৬ | ০ | ৩ | ৩ | ৫ | ১৪ | −৯ | ৩ | ০–৫ | ১–১ | ১–১ | — |
গ্রুপ ডি৪
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | উন্নীত | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | উত্তর মেসিডোনিয়া (P) | ৬ | ৫ | ০ | ১ | ১৪ | ৫ | +৯ | ১৫ | লিগ সি-তে উন্নীত | — | ২–০ | ৪–০ | ৪–১ | |
২ | আর্মেনিয়া | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ১৪ | ৮ | +৬ | ১০ | ৪–০ | — | ০–১ | ২–১ | ||
৩ | জিব্রাল্টার | ৬ | ২ | ০ | ৪ | ৫ | ১৫ | −১০ | ৬ | ০–২ | ২–৬ | — | ২–১ | ||
৪ | লিশটেনস্টাইন | ৬ | ১ | ১ | ৪ | ৭ | ১২ | −৫ | ৪ | ০–২ | ২–২ | ২–০ | — |
তৃতীয় স্থান অধিকারী দলের অবস্থান
সম্পাদনাসামগ্রিক অবস্থান
সম্পাদনাউয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের জন্য এই আসরের সামগ্রিক অবস্থান ব্যবহার করা হয়েছে।[২৩]
পুরস্কারের অর্থমূল্য
সম্পাদনা২০১৮ সালের মার্চ মাসে, এই প্রতিযোগিতায় বিতরণ করা পুরস্কারের পরিমাণ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৭৬.২৫ মিলিয়ন ইউরোর পুরস্কার এবং ৫৫টি অংশগ্রহণকারী জাতীয় দলকে বোনাস ফি বিতরণ করা হয়েছিল।[২৪] তবে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে, গ্রুপ বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার ফি এবং বোনাস ফি ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছিল, যার ফলে নেশনস লিগের নকআউট পর্বে খেলা দলগুলোর জন্য বোনাসও বৃদ্ধি পেয়েছিল; এর মাধ্যমে পুরস্কারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে সর্বমোট ১১২.৮৭৫ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছিল।[২৫]
লিগ অনুসারে প্রত্যেক দলের পুরস্কারের অর্থমূল্য নিম্নরূপ:
- লিগ এ: €২.২৫ মিলিয়ন
- লিগ বি: €১.৫ মিলিয়ন
- লিগ সি: €১.১২৫ মিলিয়ন
- লিগ ডি: €৭৫০,০০০
উপরন্তু, প্রতিটি লিগের গ্রুপ বিজয়ী নিম্নলিখিত বোনাস ফি পেয়েছিল:
- লিগ এ গ্রুপ বিজয়ী: €২.২৫ মিলিয়ন
- লিগ বি গ্রুপ বিজয়ী: €১.৫ মিলিয়ন
- লিগ সি গ্রুপ বিজয়ী: €১.১২৫মিলিয়ন
- লিগ ডি গ্রুপ বিজয়ী: €৭৫০,০০০
লিগ এ হতে চার গ্রুপ বিজয়ী, যারা নেশনস লিগের নকআউট পর্বে অংশগ্রহণ করেছিল, তারা তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত বোনাস ফি পেয়েছিল:
- বিজয়ী: €৬ মিলিয়ন
- রানার-আপ: €৪.৫ মিলিয়ন
- তৃতীয় স্থান: €৩.৫ মিলিয়ন
- চতুর্থ স্থান: €২.৫ মিলিয়ন
এর অর্থ এই যে, লিগ এ-এর একটি দল সর্বাধিক €১০.৫ মিলিয়ন অর্থমূল্য পেয়েছিল, এছাড়াও লিগ বি-এর একটি দল জন্য €৩ মিলিয়ন, লিগ সি-এর একটি দল €২.২৫ মিলিয়ন এবং লিগ ডি-এর একটি দল €১.৫ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছিল।
উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্ব প্লে-অফ
সম্পাদনাউয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্যায়ে ব্যর্থ হওয়া দলগুলো এখনও প্লে-অফের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। উয়েফা নেশনস লিগের প্রতিটি লিগ হতে অবশিষ্ট চারটি উয়েফা ইউরো ২০২০-এর স্থান বরাদ্দ ছিল। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের খেলার জন্য ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ দলগুলো প্রতিটি লিগের চারটি দল ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্লে-অফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। প্রথমবারের মতো প্লে-অফ স্থানগুলো প্রতিটি গ্রুপে ১ম স্থান অধিকারী দলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এবং যদি কোন গ্রুপের কোন ১ম স্থান অধিকারী দল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার জন্য ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হতে থাকত, তবে লিগের পরবর্তী সেরা দল উক্ত স্থান গ্রহণ করত।
মানদণ্ডের একটি সেটের উপর ভিত্তি করে দল নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্লে-অফে অংশগ্রহণকারী ১৬টি দল নির্ধারণ করা হয়েছিল।[২৬] গাঢ় দ্বারা নির্দেশিত দলগুলো প্লে-অফে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
|
|
|
|
পাদটীকা
- গ গ্রুপ পর্বে প্রথম স্থান অধিকারী
- আ ড্রয়ের সময় উয়েফা ইউরো ২০২০-এর আয়োজক দেশ
- প্লে-অফে উত্তীর্ণ দল
- সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ দল
টীকা
সম্পাদনা- ↑ যখন দুই বা ততোধিক দলের পয়েন্ট সমান হয় তখন নিয়ম ১ হতে ৪ পর্যন্ত প্রয়োগ করা হয়। এই মানদণ্ড প্রয়োগ করার পর, এই নিয়ম উক্ত দলগুলোর অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে, কিন্তু সকল দলের নয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি দলগুলোর পয়েন্টে তিন-ধাপের সমতা থাকে, তবে প্রথম চারটি মানদণ্ডের প্রয়োগ শুধুমাত্র উক্ত দলগুলোর জন্য টাই নিষ্পন্ন করতে পারে, বাকি দুটি দল এখনও সমতায় বাকি থাকে। এই ক্ষেত্রে, শুরু থেকে, যে দলগুলো এখনও সমতায় রয়েছে, তাদের জন্য টাইব্রেকার মানদণ্ড প্রক্রিয়াটি পুনরায় শুরু করা হয়।
- ↑ ক খ গ যদি দুই বা ততোধিক দলের একই গুণাঙ্ক থাকে, তবে নিম্নলিখিত মানদণ্ডটি সাম্প্রতিক অর্ধেক চক্রের জন্য প্রয়োগ করা হয়:[৭]
- গুণাঙ্ক;
- গড় গোল পার্থক্য;
- গড় গোল সংখ্যা;
- গড় অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
- গড় শাস্তিমূলক পয়েন্ট (একটি হলুদ কার্ডের জন্য ১ পয়েন্ট, দুটি হলুদ কার্ডের মাধ্যমে লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৩ পয়েন্ট, একটি হলুদ কার্ডের পর সরাসরি লাল কার্ডের জন্য ৪ পয়েন্ট);
- ড্র।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "UEFA Nations League receives associations' green light"। UEFA। ২৭ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "Portugal-Netherlands - UEFA Nations League"। UEFA.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ ক খ গ "UEFA Nations League format and schedule approved"। UEFA.com। ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ "UEFA Nations League format and schedule confirmed"। UEFA। ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "UEFA Nations League: all you need to know"। UEFA.com। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "UEFA Nations League/UEFA EURO 2020 qualifying" (PDF)। UEFA.com।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "Regulations of the UEFA Nations League 2018/19" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "UEFA Nations League Finals: Draw Procedure" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Lyon to host 2018 UEFA Europa League final"। UEFA। ৯ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Regulations of the UEFA European Football Championship 2018–20" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ৯ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "UEFA Nations League calendar: all the fixtures"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৪ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "UEFA Nations League 2018/19: Fixtures List – League Phase" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৪ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Confirmed: How the UEFA Nations League will line up"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ১১ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "National Team Coefficients Overview" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ১১ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "UEFA Nations League draw seedings confirmed"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ৭ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "UEFA Nations League format confirmed"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "All you need to know: UEFA Nations League draw"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "League Phase Draw Press Kit" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২২ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Group stage draw"। UEFA.com। ২৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "UEFA Nations League 2018/19 League Phase draw"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৪ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "UEFA Nations League 2018/19 – League Phase Draw Procedure" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ৭ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Full Time Report – Semi-finals – Portugal v Switzerland" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ৫ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৯।
- ↑ "2018/19 UEFA Nations League rankings" (PDF)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "UEFA Nations লিগ solidarity and bonus fees"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৩ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Increased UEFA Nations লিগ solidarity and bonus fees"। UEFA.com। Union of European Football Associations। ১০ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "2018/19 UEFA Nations League rankings" (পিডিএফ)। UEFA.com। Union of European Football Associations। ২০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)