সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড

ক্রিকেট খেলার মাঠ
(সিডনী ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি) (ইংরেজি: Sydney Cricket Ground (SCG)) অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে প্রতিষ্ঠিত একটি ক্রীড়া স্টেডিয়াম। মূলতঃ টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হলেও অন্যান্য পেশাদার ক্রীড়া হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলসহ রাগবি লীগ ফুটবল ও রাগবি ইউনিয়নের খেলাগুলোও অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিকেট খেলায় নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ এবং অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লীগে সিডনি সোয়ান্সের ঘরোয়া মাঠ হিসেবে এসসিজি ব্যবহৃত হচ্ছে। এসসিজি ট্রাস্টের অধীনে এ স্টেডিয়াম নিয়ন্ত্রণাধীন ও পরিচালিত হয়। পাশের দরজাতেই সিডনি ফুটবল স্টেডিয়াম অবস্থিত যা এ ট্রাস্টের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। ১৯৮৮ সালে ফুটবল স্টেডিয়ামের জন্য ৪০,০০০ দর্শকের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। রাগবি লীগের প্রধান মাঠ হিসেবেও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ব্যবহৃত হয়।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড
এসসিজি
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানমুর পার্ক, নিউ সাউথ ওয়েলস
দেশঅস্ট্রেলিয়া
স্থানাঙ্ক৩৩°৫৩′৩০″ দক্ষিণ ১৫১°১৩′২৯″ পূর্ব / ৩৩.৮৯১৬৭° দক্ষিণ ১৫১.২২৪৭২° পূর্ব / -33.89167; 151.22472
প্রতিষ্ঠা১৮৪৮
ধারণক্ষমতা৩৬,০০০[] (পুণঃউন্নয়নের সময় দর্শক ধারণ সংখ্যা কমানো হয়)
স্বত্ত্বাধিকারীনিউ সাউথ ওয়েলস সরকার
পরিচালকসিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ট্রাস্ট
ভাড়াটেঅস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল,
নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ ক্রিকেট,
সিডনি সোয়ান্স (এএফএল)
সিডনি সিক্সার্স (ক্রিকেট)
প্রান্তসমূহ
নর্দার্ন অথবা প্যাডিংটন এন্ড
সাউদার্ন অথবা র‌্যান্ডউইক এন্ড
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট২১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২:
অস্ট্রেলিয়া  বনাম  ইংল্যান্ড
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট৩-৭ জানুয়ারি ২০১২:
অস্ট্রেলিয়া  বনাম  ভারত
প্রথম পুরুষ ওডিআই১৩ জানুয়ারি ১৯৭৯:
অস্ট্রেলিয়া  বনাম  ইংল্যান্ড
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই২ ফেব্রুয়ারি ২০১১:
অস্ট্রেলিয়া  বনাম  ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ (১৮৭৮-বর্তমান)
সিডনি সিক্সার্স (২০১১-বর্তমান)
১ জুন ২০১০ অনুযায়ী
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮১১ সালে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের গভর্নর লেচলান ম্যাককুয়ারি দ্বিতীয় সিডনি কমন প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রস্থে প্রায় দেড় মাইল ছিল এবং সাউথ হেড রোড (বর্তমান - অক্সফোর্ড স্ট্রিট) থেকে দক্ষিণে বর্ধিত করা হয়েছে। ১৮৫০-এর দশকে জায়গাটি ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু তা খেলাধুলা করার মতো আদর্শ স্থান ছিল না। ১৮৫১ সালে সিডনি কমনের অংশবিশেষ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভিক্টোরিয়া ব্যারাকের দক্ষিণাংশ হিসেবে বাগান ও সৈনিকদের ক্রিকেট খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রথম ব্যবহারকারী হিসেবে ছিল ১১শ নর্থ ডেভনশায়ার রেজিম্যান্ট। পরবর্তী কয়েক বছরে ভিক্টোরিয়া ব্যারাকের সম্মিলিত দল আরও স্থায়ী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরে ও নিজেদের গ্যারিসন ক্লাব নামে পরিচিতি ঘটায়। এরপর থেকেই মাঠটি গ্যারিসন গ্রাউন্ড হিসেবে ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৪ সালে প্রথম উদ্বোধন করা হয়।

কিংবদন্তিদের এর অবসর

সম্পাদনা

২০০৭ সালে এই মাঠে শেন ওয়ার্নগ্লেন ম্যাকগ্রা একই টেস্ট ম্যাচে ক্রিকেট জীবনে অবসর নেন।

ভাস্কর্য

সম্পাদনা

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ট্রাস্ট ১০টি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য এসসিজি ও এসএফএসের মাঠের চতুর্দিকে বসানোর অনুমোদন দেয়। তন্মধ্যে, ২০১০ সাল পর্যন্ত সাতটি ভাস্কর্যের উন্মোচন ঘটানো হয়। ৪ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে বিখ্যাত বোলার রিচি বেনো কর্তৃক প্রথম নিজের ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।[] ফাস্ট বোলার ফ্রেড স্পফোর্থের ভাস্কর্য উন্মোচিত হয় ৫ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে।[] ব্যাটসম্যান স্ট্যান ম্যাককেবের ভাস্কর্য বসানো হয় ৫ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে।[]

এই মাঠের একমাত্র ত্রিশতরানটি আসে মাইকেল ক্লার্ক এর ব্যাটে, জহির খান উমেশ যাদব ইশান্ত শর্মা রবিচন্দ্রন অশ্বিন সংবলিত ভারতের বিরুদ্ধে ৩রা জানুয়ারি ২০১২ সালে।

এই মাঠের সাম্প্রতিক কালে সেরা বোলিং ইনিংস(১৪১-৮) আসে অনিল কুম্বলে এর বোলিংয়ে ২রা জানুয়ারি ২০০৪ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।

এই মাঠের সাম্প্রতিক কালে সেরা পার্টনারশিপ ইনিংস(৩৫৩ রানের ৫ম উইকেটে) আসে শচীন তেন্ডুলকর-ভিভিএস লক্ষ্মণ এর ব্যাটিংয়ে ২রা জানুয়ারি ২০০৪ সালে, ব্রেট লি জেসন গিলেস্পি নাথান ব্র্যাকেন স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল এর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।

এই মাঠের সাম্প্রতিক কালে সর্বনিম্ম দলগত ইনিংস (১২৭ অলআউট ) আসে রিকি পন্টিং মাইকেল হাসি মাইকেল ক্লার্ক এর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ৩রা জানুয়ারি ২০১০ সালে, মোহাম্মাদ আসিফ মোহাম্মদ সামি এর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

একদিবসীয় আন্তর্জাতিক

সম্পাদনা

এই মাঠ অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম পয়া মাঠ হিসেবে গণ্য হয়। ৭৮% ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয়া হয়। ৫৬% ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে জয় আসে। মাত্র ৩৪% ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে জয় আসে, ভারত ২ বার তা করতে সক্ষম হয়। দিনের আলোয় পিচ যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক। প্রায় ৩৬০ রান পর্যন্ত উঠতে পারে। ডেভিড ওয়ার্নার এই মাঠে ৩টি শতরানের ইনিংস খেলেন। রাতের আলোয় তা পেস বোলিং সহায়ক হয়ে উঠে। প্যাট কামিংস ও জোস্ হাজেলউড এর বোলিং রেকর্ড এই মাঠে খুব ভালো।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা