ইশান্ত শর্মা
ইশান্ত শর্মা (হিন্দি: इशांत शर्मा; জন্ম: ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৮) দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় ক্রিকেটার। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে ভারতীয় দলে খেলছেন।[২] লম্বা বাহুতে বল নিক্ষেপের ভঙ্গীমায় ও পেসের উপর নির্ভর করে বলকে সিম করে থাকেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলে ডাক পান। কিন্তু ভ্রমণের জটিলতার জন্য ঐ সফরে যেতে পারেননি তিনি।[৩] দৈহিক উচ্চতা ও পাতলা শারীরিক গড়নের জন্য এ বোলারকে ডাক নাম লম্বু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[১][৪]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইশান্ত বিজয় শর্মা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | দিল্লি, ভারত | ২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | লম্বু[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯৫ মিটার (৬ ফুট ৫ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৮) | ২৫ মে ২০০৭ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ মার্চ ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬৯) | ২৯ জুন ২০০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১১ জুন ২০১৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২১) | ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬/০৭-বর্তমান | দিল্লি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | কলকাতা নাইট রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | সানরাইজার্স হায়দরাবাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৮ ডিসেম্বর ২০১২ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনামে, ২০০৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সফরে টেস্ট ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে ফাস্ট বোলার মুনাফ প্যাটেলের বিপরীতে মনোনীত হন। দ্বিতীয় টেস্টে ইশান্ত মাত্র তিন ওভার বোলিং করে এক মেইডেন লাভ করলেও ৫ রানের বিনিময়ে কোন উইকেট পাননি।[৫] পরবর্তীতে জুলাই-আগস্ট, ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে ডাক পান। ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে দলের শীর্ষস্থানীয় জহির খান, আরপি সিং এবং শ্রীশান্ত - এ পেসারত্রয়ের আঘাতজনিত অনুপস্থিতির জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩য় টেস্টে খেলেন।[৬] ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ৫ উইকেট লাভ করেন তিনি।[৭] এরফলে তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সহযাত্রী হন। কিন্তু জহির ও আরপি সিংয়ের দলে অন্তর্ভূক্তির ফলে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির বক্সিং ডে টেস্টে বাদ পড়েন। জানুয়ারি, ২০০৮ সালে এসসিজিতে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টের পূর্বে জহির খানের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে মাঠে নামেন। প্রথম দিনেই আম্পায়ার স্টিভ বাকনরের সাথে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের আউট সংক্রান্ত বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বোলিংয়ের ধরন
সম্পাদনাডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশের পূর্ব-পর্যন্ত ইশান্তের গতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়নি।[৮] ২০০৮ সালে ১৫২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯৪ মা/ঘ) গতিতে বল ছুড়েছিলেন তিনি।[৯] এ ধরনের গতির বাইরে তিনি গড়ে ১৩০ কিমি/ঘ (৮১ মা/ঘ) গতিতে বোলিং করতেন। কিন্তু ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত ভারতের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালনকারী এরিক সিমন্সের তত্ত্বাবধানে ২০১১-১২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ১৪০ কিমি/ঘ (৮৭ মা/ঘ) গতিতে বোলিং করেছেন।[১০][১১] সাবেক বোলিং কোচ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতে, ইশান্ত সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল বোলার।[১২] সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ও বর্তমানের ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছেন যে, বোলিংয়ের সর্বদিকে দক্ষতা ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি যথেষ্ট উইকেট শিকার করতে পারছেন না। জানুয়ারি, ২০১২ তারিখ পর্যন্ত ৪৩ টেস্টে প্রায় ৩৭ রান গড়ে উইকেট লাভ করেছেন।[১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Speedster Ishant Sharma earns Curtly Ambrose comparison"। Herald and Weekly Times। ১৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ "Ishant Sharma"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ Ishant won't be going to SA, by Anand Vasu, Cricinfo, 27 December 2006
- ↑ Ramamoorthy, Mangala (৩ এপ্রিল ২০০৮)। "Season's flavour"। The Hindu। ২০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১২।
- ↑ Ishant Sharma to replace injured Munaf, by Anand Vasu, Cricinfo, 18 May 2007
- ↑ Pathan, VRV and Ishant drafted in, by Cricinfo, 5 December 2007
- ↑ Misbah and Ishant light up the day, by Dilip Premchandran, Cricinfo, 11 December 2007
- ↑ "Varun Aaron says he won't compromise on pace"। Cricinfo। ২২ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Australia clinch low-scoring scrap overview"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ "India confirm Simons as bowling consultant"। Cricinfo। ১১ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Monga, Sidharth (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Ishant is one of the unluckiest bowlers – Eric Simons"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Veera, 3 June 2011। "Tide is high for India's young and restless"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ Manjrekar, Sanjay (১১ জানুয়ারি ২০১২)। "The truth about 'unlucky' Ishant"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২।