সাসেক
দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রম (সংক্ষেপে সাসেক) হলো নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম। আন্তঃসীমান্ত পরিবহন-যোগাযোগ বৃদ্ধি, সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়ন ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রকল্পভিত্তিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আঞ্চলিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সালে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।[১] ২০২০ সাল পর্যন্ত সাসেক সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে জ্বালানি, পরিবহন-যোগাযোগ, বাণিজ্য সুবিধাবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৬১টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।[২] ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সাসেকের সদরদপ্তর হিসেবে কাজ করে।
সংক্ষেপে | সাসেক |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০১ |
ধরন | উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রম |
সদরদপ্তর | ম্যানিলা, ফিলিপাইন |
যে অঞ্চলে কাজ করে | দক্ষিণ এশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া |
সদস্যপদ | নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা |
ওয়েবসাইট | http://www.sasec.asia |
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাদক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে ন্যূনতম সংযুক্ত অঞ্চলগুলোর অন্যতম। ফলে এই অঞ্চল পারস্পরিক পরিবহন-যোগাযোগব্যবস্থা ও জ্বালানি সংযোগ লাইনের উন্নয়ন ও বিস্তারের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য অনেক কম।[৩] ২০১০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তঃবাণিজ্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর মোট বাণিজ্যের মাত্র ৪.৩% ছিল।[৪] এই বাণিজ্যঘাটতির অন্যতম একটি কারণ হলো এই অঞ্চলের পরিবহন-যোগাযোগব্যবস্থায় আন্তঃসীমান্ত সংযুক্তির উন্নয়নের চাইতে জাতীয় সংযুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার মানসিকতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে এই অঞ্চলের আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে দেশগুলোর বিনিয়োগ যথেষ্ট নয় এবং তার ফলাফল দেশগুলোর আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের সামঞ্জস্যহীনতায় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও এই দেশগুলোর সীমিত ট্রানজিট সুবিধা, স্বয়ংক্রিয় কাস্টম ব্যবস্থার অপ্রতুলতা ও স্থানীয় সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা প্রভৃতিও দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের পথে অন্যতম অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হয়।
দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের অসম প্রাপ্তিতা লক্ষিত হয়। তা সত্ত্বেও জ্বালানিখাতের অবকাঠামো ও গবেষণায় উপযুক্ত বিনিয়োগের অভাবে দেশগুলো তাদের ভৌগোলিক সীমায় প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের উপযোগিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত হতে সক্ষম হয়নি। ফলে নির্দিষ্ট দেশে নির্দিষ্ট জ্বালানির উপর অধিক নির্ভরশীলতা দেখা যায়; যেমন: ভারতের কয়লানির্ভরতা, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভরতা এবং ভুটান ও নেপালের জলবিদ্যুৎনির্ভরতা এই দেশগুলোকে বাধ্যতামূলক আমদানি নির্ভর করে তুলেছে।[৫] অন্যদিকে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়নের চাহিদা রয়েছে। আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি নেটওয়ার্ক নির্মাণ ও জ্বালানিবাণিজ্যের বিস্তারের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে সকল স্তরের বাণিজ্যে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।[৬]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৬ সালে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্যরাষ্ট্র নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারত পরিবেশ, জ্বালানি ও শক্তিখাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পরিবহন-যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় উন্নয়ন কোয়াড্রেঙ্গেল (সাউথ এশিয়ান গ্রোথ কোয়াড্রেঙ্গেল, এসএজিকিউ) গঠন করে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা চার সদস্যরাষ্ট্র উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতা চাইলে সাসেক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের মে মাসে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা সাসেকের নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমার সপ্তম সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে সাসেকে যোগ দেয়।[৭]
সাসেক ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কার্যক্রম পরিকল্পনা[৮] এবং ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে উপ-আঞ্চলিক কৌশলগত উন্নয়নের রোডম্যাপ প্রকাশ করে।[৯] ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাসেকের কার্যক্রম পরিকল্পনায় হালনাগাদ আনা হয়।[১০]
সহযোগিতার জন্য সাসেকের অগ্রাধিকার খাতসমূহ
সম্পাদনা২০০৫ সালে সাসেকের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিনিয়োগের জন্য কয়েকটি খাতকে নির্দিষ্ট করে, যথাক্রমে: পরিবহন-যোগাযোগ, বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি ও জ্বালানি। ২০১৬ সালে দশ বছর মেয়াদি সাসেক কার্যক্রম পরিকল্পনা ২০১৬–২০২৫ গৃহীত হলে অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন (ইসিডি) নামে চতুর্থ একটি খাত অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও সাসেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে আঞ্চলিক উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে।[১১][১২]
- পরিবহন-যোগাযোগ — সাসেকের উদ্দেশ্য হলো অতিপ্রয়োজনীয় মাল্টিমোডাল পরিবহনব্যবস্থা উন্নয়ম, যা আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে এবং তা প্রভাবে উপ-আঞ্চলিক উন্নয়নকে তরান্বিত করবে। সাসেক এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির প্রতি দৃষ্টি রেখে ও সাসেক পরিবহন করিডোর নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সড়ক, রেলপথ ও আকাশপথে সংযোগ এবং বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে।[১৩]
- বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি — সাসেক এই অঞ্চলজুড়ে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যে সময় ও অর্থসাশ্রয়ী সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে। সাসেকের আঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংশোধিত কিয়োটো সনদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক কাস্টম প্রশাসন ব্যবস্থা,[১৪] সুবিন্যস্ত ও স্বচ্ছ আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ এবং বেসরকারি খাতের জন্য উন্নত তথ্য ও সেবা প্রদানব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।[১৫]
- জ্বালানি — সাসেক এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণ ও আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জ্বালানি খরচ কমানো ও আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে জ্বালানি নিশ্চয়তা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। এছাড়াও সাসেক নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাব্যতায় দৃষ্টিপাত করেছে।[১৬]
- অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন — সাসেক শিল্প উন্নয়ন ও বাজার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিসহ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর উন্নয়ন অগ্রগতি সুসংহতকরণ, উচ্চমানের চাকরি সৃষ্টি, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিদ্যমান মূল্যশৃঙ্খল শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সমন্বিত নীতি ও সংযোগের প্রসার করে।[১৭]
প্রকল্পসমূহ
সম্পাদনা২০০১ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সাসেক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে, যার অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে পরিবহন-যোগাযোগখাতে।[১৮] এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সাসেক সদস্য দেশগুলোকে আঞ্চলিক কার্যক্রম ও উদ্যোগ বাস্তবায়নে ৬.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান হিসেবে প্রদান করে। সদস্যরাষ্ট্রগুলো ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক পরিমাণ বিনিয়োগ লাভ করে। সাসেকের প্রকল্পের মধ্যে সদস্য দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রাধান্য পেয়েছে। সাসেক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি নমনীয় ও বহুমাত্রিক পন্থা অনুসরণ করে, যেখানে আঞ্চলিক পর্যায়ে ইতিবাচক ফলাফল লাভের জন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলো তাদের অভ্যন্তরে জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর আন্তর্জাতিক সমন্বয়সাধন করে থাকে।
খাত | প্রকল্পের সংখ্যা |
মোট প্রকল্প খরচ (মিলিয়ন মার্কিন ডলার) |
---|---|---|
পরিবহন-যোগাযোগ (সড়ক, রেলপথ, আকাশপথ ও সমুদ্রপথ) |
৪১ |
১১,২০০
|
জ্বালানি | ১২ |
১,৫৮০
|
বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি | ৩ |
৮১
|
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি | ২ |
২১
|
অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন | ৩ |
৬৯৭
|
মোট | ৬১ |
১৩,৫৭৯
|
(জুন ২০২০ পর্যন্ত তথ্য)
এডিবি জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের কারিগরি সহায়তামূলক অনুদান প্রকল্পের আওতায় সাসেকের প্রকল্পসমূহে সহায়তা প্রদান করে। ২০০১ সাল থেকে আঞ্চলিক কারিগরি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি এবং কারিগরি ও অন্যান্য দক্ষতা উন্নয়নে ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করা হয়েছে। সাসেকের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের সদাচার ও কারিগরি জ্ঞান সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য এডিবি বিশ্ব শুল্ক সংস্থা, জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন, জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (আসিকুডা) প্রভৃতি আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করে।
সম্মেলন
সম্পাদনাএডিবির বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনের সাইডলাইনে সাসেকভুক্ত দেশসমূহের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে নিয়মিত নোডাল পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।[১৯] নোডাল কর্মকর্তাগণ সাসেকের অধীনে বৈঠকের ফলাফল মূল্যায়ন করেন ও কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করেন।[২০] সাসেকভুক্ত সদস্যরাষ্ট্রগুলোর যুগ্ম সচিব ও মহাপরিচালকের নেতৃত্বে চারটি কার্যনির্বাহী দলের (পরিবহন-যোগাযোগ, বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি, জ্বালানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) প্রতিনিধিরা নিয়মিত বৈঠক করেন এবং কৌশলগত অগ্রাধিকার এবং প্রকল্পসমূহ ও তার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
২০১৫ সালের ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বিবিআইএনভুক্ত দেশসমূহের সড়ক পরিবহন মন্ত্রীগণ আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ বিষয়ক বৈঠকে বিবিআইএন মোটরযান চুক্তি (এমভিএ) চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করেন এবং এই চুক্তির দ্রুত ও কার্যকর বাস্তবায়নে পরিকল্পনা তৈরি করেন।[২১][২২] এই চুক্তিটি বিবিআইএনভুক্তি দেশগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী, ব্যক্তিগত ও কারগোবাহী যানবাহনের বাধাহীন চলাচলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। তবে পরিবেশ দূষণের কারণ দেখিয়ে ভুটান এই চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে দেয়।
সাসেক সদরদপ্তর
সম্পাদনাএশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সাসেকের সদরদপ্তর হিসেবে কাজ করে।[২৩] পাশাপাশি সাসেকের সদস্যরাষ্ট্রসমূহের সরকারকে সাসেকভুক্ত প্রকল্প ও উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন এবং কারিগরি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে। সাসেক সদরদপ্তর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানবিতরণী কর্মসূচির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের জন্য উপযোগী কারিগরি সংগঠন ও উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে কাজ করে। সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে সার্বিক সমন্বয়, প্রশাসনিক সহায়তা ও রসদ সরবরাহ করে। এছাড়াও সাসেক সদরদপ্তর এর সদস্যরাষ্ট্রসমূহ এবং আঞ্চলিক সহায়তায় আগ্রহী প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ADB gives $21m to help expand South Asian trade"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা। ২০১৪।
- ↑ "SASEC Project Portfolio Summary"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "South Asia: Growth and Regional Integration" (পিডিএফ)। বিশ্ব ব্যাংক। ওয়াশিংটন, ডিসি। ২০০৭।
- ↑ এডিবি। ২০১৩। দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা কার্যক্রম। ম্যানিলা।
- ↑ "SASEC Brochure" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "SASEC nations agree to collaborate on mega subregional ICT project"। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। ১৭ অক্টোবর ২০০৭।
- ↑ "Myanmar Joins SASEC"। সাসেক।
- ↑ "SASEC Operational Plan unveiled"। দ্য হিমালয়ান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ মিশ্র, অসিত রঞ্জন (৪ এপ্রিল ২০১৭)। "Sasec members chart strategic sub-regional development road map"। লাইভমিন্ট.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন অপারেশনাল প্ল্যান ২০১৬–২০২৫ আপডেট (ইংরেজি ভাষায়)। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। ২০২০। আইএসবিএন 9789292619978। ডিওআই:10.22617/SPR200005-2।
- ↑ "Information Highway Project"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Regional: SASEC Information Highway Project (Bangladesh, Bhutan, India, Nepal)"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "SASEC transport sector strategy" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Revised Kyoto Convention"। www.wcoomd.org (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Project Details" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "SASEC energy sector overview" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Economic Corridor Development"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Projects"। সাসেক। ২৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Nodal Officials Meeting"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ২৮ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "SASEC DISCUSSION PLATFORMS"। সাসেক। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "BBIN agreement on motor vehicles signed"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "BBIN agreement on Motor Vehicles Agreement"। নেপাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Contact us"। সাসেক (ইংরেজি ভাষায়)।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- সাসেকের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- টুইটারে সাসেক
- ফেসবুকে সাসেক
- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাসেক
- দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযুক্ততা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন (ইংরেজি)
- এনার্জি ট্রেড ইন সাউথ এশিয়া: অপর্চুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস (ইংরেজি)
- ডিজাইনিং অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টিং ট্রেড ফেসিলিটেশন ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইংরেজি)