বিবিআইএন সংযুক্তি
বিবিআইএন বা "বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি" হল সার্ক ভুক্ত চারটি দেশ নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি পরিকাঠামো, যেটির উদ্দেশ্য জলের উৎসের সঠিক ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। বিবিআইএন ভূমি বেষ্টিত (ল্যান্ড ব্লক) দেশ নেপাল ও ভুটান ভারত এর কলকাতা বন্দর, হলদিয়া বন্দর এবং বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিশেষ সুবিধা পাবে।
বিবিআইএন | |
---|---|
সদস্য দেশগুলি গাঢ় সবুজ বর্ণের | |
প্রতিষ্ঠা | ১৪ মে ১৯৯৭ |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪,৯৯,৫৫৯ কিমি২ (১৩,৫১,১৮৭ মা২) |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৪ আনুমানিক | ১৪৬৫২৩৬০০০ |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৫ আনুমানিক |
• মোট | $৮.৬৪৬ টিলিওন |
ইতিহাস
সম্পাদনাবিবিআইএন ১৯৯৭ সালের ১৪ মে গড়ে ওঠে। ৮ জুন ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট এর খসড়া তৈরি করে ও ১৫ জুন (২০১৫) ভুটান-এর রাজধানী থিম্পুতে এই খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এই চুক্তি দ্বারা চারটি দেশের যাত্রীবাহি,পন্যবাহি ও ব্যক্তিগত যানবাহন নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করতে পারবে এবং সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
বিবিআইএন সড়ক রুট
সম্পাদনাভারত-বাংলাদেশ-ভারত রুট
সম্পাদনা- ১. কলকাতা - বনগাঁর কাছে পেট্রোপল - ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত - বেনাপোল - ঢাকা - আখাউড়া - বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত - আগরতলা
- ২. আগরতলা - ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত - চট্টগ্রাম
- ৪. শিলচর - ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত-সিলেট - পাটুরিয়া ফেরি - বেনাপোল - ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত - বনগাঁ(পেট্রোপল) - কলকাতা
ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ রুট
সম্পাদনা- ১. সামদ্রুপ জংখার-ভারত ভুটান সীমান্ত- গোয়াহাটি-শিলং-ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত - তামাবিল - চট্টগ্রাম।
- ২. থিম্পু-ফুয়েস্টশোলিং-ভুটন ভারত সীমান্ত-জয়গাঁ-ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত-বুড়িমারি-মোংলা বা চট্টগ্রাম বন্দর।
নেপাল-ভারত-বাংলাদেশ রুট
সম্পাদনা- ১. কাঠমান্ডু-কাকরভিটা-নেপাল ভারত সীমান্ত-শিলিগুড়ি-ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত-চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ১. বিবিআইএন: অর্থনৈতিক উন্নতির নতুন দিগন্ত[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] আমারদেশ (ভাষা বাংলা)| ১-১২-২০১৫| সংগৃহীত ১৬-০৬-২০১৬|