শ্রীপুর উপজেলা, মাগুরা
শ্রীপুর উপজেলা বাংলাদেশের মাগুরা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
শ্রীপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে শ্রীপুর উপজেলা, মাগুরা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৫′৪৫″ উত্তর ৮৯°২৩′৩″ পূর্ব / ২৩.৫৯৫৮৩° উত্তর ৮৯.৩৮৪১৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | মাগুরা জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৩ |
আয়তন | |
• মোট | ১৭৯.১৮ বর্গকিমি (৬৯.১৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৭৩,০৯৭[১] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৩.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৫৫ ৯৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাশ্রীপুর উপজেলার আয়তন ১৭৯.১৮ বর্গ কিলোমিটার।[২] মাগুরা জেলার উত্তর-পূর্বাংশে শ্রীপুর উপজেলার অবস্থান। উপজেলার উত্তরে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, দক্ষিণে মাগুরা সদর উপজেলা, পূর্বে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলা। গড়াই নদী ও কুমার নদী শ্রীপুরের উল্লেখযোগ্য নদ-নদী। [৩]
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাশ্রীপুর উপজেলার জনসংখ্যা ১লাখ ৭৩ হাজার ৯৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৫ হাজার ১০০শ ১২জন ও মহিলা ৮৭ হাজার ৯০০শ ৮৫জন।
নামকরণ
সম্পাদনা১৮৫৯ সালে সালের আয়তন জরীপ অনুযায়ী শ্রীপুর উপজেলা মাগুরা জেলার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা। নির্দিষ্টভাবে এই উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে জনশ্রুতি আছে যে, নবম শতাব্দিতে পাল রাজার শাসন আমলে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ নগর ছিল। এককালে শ্রীপুর অঞ্চলে বিরাট রাজা নামে এক রাজার শাসন ছিল। তার প্রকৃত নাম ছিল রাজা রাম চন্দ্র। রাজার স্ত্রীর নাম ছিল শ্রীদেবী। শ্রীদেবীর নাম অনুসারে এই উপজেলার নামকরণ হয় শ্রীপুর।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
সম্পাদনামিয়া আকবর হোসেন-এর নেতৃত্বে বেসামরিক যোদ্ধাদের নিয়ে গড়ে উঠা বাংলাদেশের অন্যতম গেরিলা বাহিনী ‘আকবর বাহিনী’ মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করে ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শ্রীপুর স্বাধীন করে। ইপিআর, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীতে চাকুরীত শ্রীপুরের বেশ কয়েকজন অধিবাসী দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশ নিয়ে কৃতীত্বপূর্ণ সাহসিকতার পরিচয় দেন। এছাড়া, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পূর্ব শ্রীকোল গ্রামের নায়েক আব্দুল মোতালেব, বীর বিক্রম, এবং হরিন্দী গ্রামের সুবেদার সিগন্যাল সৈয়দ আমিরুজ্জামান, বীর বিক্রম। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত আমির হামজা এ বাহিনীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাশ্রীপুর উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। এটি নির্বাচনী এলাকা ৯১ মাগুরা-১ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা)
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
সম্পাদনাক্রম নং. | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান | ' |
০২ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | ' |
০৩ | ভাইস চেয়ারম্যান | ' |
০৪ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | ' |
শিক্ষা
সম্পাদনামোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা:১৩০টি , এই উপজেলায় শিক্ষার হার ৪৩.৫%
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৭১
- কিন্ডার গার্টেন - ৫
- এনজিও কেন্দ্র (ব্রাক) - ৬
- হাই স্কুল - ২৬
- কলেজ - ৬[৪]
- মাদ্রাসা - ১৬
অর্থনীতি
সম্পাদনাশ্রীপুর উপজেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। উপজেলার মধ্য দিয়ে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হওয়ার ফলে এর কৃষি জমি সমূহ বেশ উর্বর।জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৪.৩৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.০৭%, শিল্প ১.৫০%, ব্যবসা ১২.৭৯%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৪.৭২%, চাকরি ৮.১৭%, নির্মাণ ১.২৭%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬২% এবং অন্যান্য ৪.৩৬%। এখানকার প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, সরিষা, ডাল, কাজুবাদাম, শাকসবজি। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি অড়হর, চীনা, যব। প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, নারিকেল, লিচু, কলা।
নদ-নদী
সম্পাদনাশ্রীপুর উপজেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হল:
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জনসংখ্যা"। www.sreepur.magura.gov.bd। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "আয়তন"। www.bn.banglapedia.org। ৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "ভৌগোলিক পরিচিতি"। www.sreepur.magura.gov.bd। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "কলেজ"। www.sreepur.magura.gov.bd। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৭৯, ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।