শ্রীপুর জমিদার বাড়ি
শ্রীপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়ি নিয়েই বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর "বৌঠাকুরানীর হাট" উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন।[১]
শ্রীপুর জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | শ্রীপুর উপজেলা |
শহর | শ্রীপুর উপজেলা, মাগুরা জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১৫০০ শতাব্দী |
বন্ধ | ১৯৪৭ |
স্বত্বাধিকারী | সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৫০০ শতাব্দী পর্যন্ত মূলত এখানের জমিদারী ছিল নবাব আলীবর্দী খাঁর আওতায়। পরে তিনি উক্ত জমিদারী অঞ্চল সারদা রঞ্জন পালের কাছে বিক্রি করে দেন। তারপরই তিনি এখানে নিজের জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করার পূর্বে জমিদার সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী তার মেয়ে বিভা রানী পালের সাথে তৎকালীন যশোরের প্রভাবশালী রাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের বিয়ে দেন। তারপর রাজা প্রতাপাদিত্যের সহযোগিতায় এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। কথিত আছে যে, জমিদার সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভা রানী পাল চৌধুরীকে নিয়েই কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। উপন্যাসটির নাম "বৌঠাকুরানীর হাট" ছিল।
গবেষকদের মতে, যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীপুরের জমিদার সারদা রঞ্জন পালের কন্যা বিভা রানী পালের। প্রতাপাদিত্য ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজা, আর সারদা রঞ্জন ছিলেন তাঁর তুলনায় উদার মনের মানুষ। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর প্রভাব পড়ে বিভার সংসারে। এই কাহিনীকে উপজীব্য করেই রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন "বৌ-ঠাকুরাণীর হাট"।
অবকাঠামো
সম্পাদনাবর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাপ্রত্নতত্ত্ব বিভাগ 'শ্রীপুর জমিদার বাড়ি' কখনই অধিগ্রহণ করেনি বা সরকারি কোন কর্তৃপক্ষ কখনই এর রক্ষণাবেক্ষণের পদক্ষেপ নেয়নি। বাড়িটির সিংহ দরজা এবং ভেতর বাড়ির কিছু ঘর এখনও বর্তমান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শ্রীপুর জমিদার বাড়ী!"। ২ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৯।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |