শিবসুন্দরী দেবী
শিবসুন্দরী দেবী ( ১৮০৬-১৮৯৩ ) ছিলেন অবিভক্ত বাংলার সম্ভবত প্রথম বাঙালি মহিলা লেখিকা। [১]
শিবসুন্দরী দেবী | |
---|---|
জন্ম | ১৮০৬ কলকাতা ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৮৯৩ কলকাতা ব্রিটিশ ভারত |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | তারাবতী |
দাম্পত্যসঙ্গী | হরকুমার ঠাকুর |
সন্তান | যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর শৌতীন্দ্রমোহন ঠাকুর |
জীবনী
সম্পাদনাশিবসুন্দরী দেবী ছিলেন ঈশানচন্দ্র মুস্তাফির কন্যা। তার বিবাহ হয় কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুর পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের গোপীমোহন ঠাকুরের সন্তান হরকুমার ঠাকুরের সঙ্গে। পারিবারিক পরিবেশে স্বশিক্ষিত হন। তিনি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে (অন্যমতে ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দ) রচনা করেন তারাবতী নামের একটি উপন্যাস। সেক্ষেত্রে বাংলা উপন্যাস রচনায় পরম্পরা হয়- ১) তারাবতী- শিবসুন্দরী দেবী (১৮৬৩) ২) দুর্গেশনন্দিনী- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫) ৩) মনোত্তমা- হিন্দুকুল কামিনী (১৮৬৮)। উপন্যাস গ্রন্থটি তার কনিষ্ঠ পুত্র শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে ইংরাজীতে অনুবাদ করে তার রচিত কবিতার সঙ্গে তার বন্ধুবান্ধবদের পাঠান।[২]
শিবসুন্দরী দেবী ও হরকুমার ঠাকুরের তিন পুত্রেরা হলেন- মহারাজা স্যার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, সঙ্গীতজ্ঞ ও সাহিত্যিক শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর ও শৌতীন্দ্রমোহন ঠাকুর। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিবসুন্দরী দেবী পরলোক গমন করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭১৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ দেব, চিত্রা (২০১০)। ওমেন অফ দ্য টেগোর হাউসহোল্ড (ইংরাজী ভাষায়)। পেঙ্গুইন বুকস্ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। আইএসবিএন 978-01-4306-605-7।