লুৎফুজ্জামান বাবর
লুৎফুজ্জামান বাবর (জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৫৮) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভায় নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০০৬ পর্যন্ত।[১][২]
লুৎফুজ্জামান বাবর | |
---|---|
নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ১২ জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | আলী ওসমান খান |
উত্তরসূরী | আবদুল মোমিন |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | আবদুল মোমিন |
উত্তরসূরী | রেবেকা মমিন |
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৮ মার্চ ২০০৪ – ২৮ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | আলতাফ হোসেন চৌধুরী |
উত্তরসূরী | ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ বাড়িভাদেরা, মদন, নেত্রকোণা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাহমিনা জামান শ্রাবণী |
সন্তান |
|
পিতামাতা |
|
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনালুৎফুজ্জামান বাবর ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের নেত্রকোণার মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩]
পারিবারিক জীবন
সম্পাদনালুৎফুজ্জামান বাবরের পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এ কে লুৎফর রহমান ও মাতা জোবাইদা রহমান। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বাবর তৃতীয়। তার স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী ছিলেন। এই দম্পতির ১ ছেলে লাবিব ইবনে জামান ও ১ মেয়ে তাসফিয়া বিনতে জামান।[৪][৫]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনালুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬][১]
এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৭][৮]
অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।[১]
বিতর্ক
সম্পাদনালুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৮০'র দশকে ঢাকা বিমানবন্দর-কেন্দ্রীক ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মেয়াদ চলাকালে ক্যাসিও ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাচার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ঘনিষ্ঠদের দাবী-তিনি কখনোই বিমানবন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।[৩][৯]
২১ আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৮ মার্চ ২০১২ সালে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর সহ নতুন তালিকাভুক্ত ৩০ আসামির নাম যুক্ত হয়। ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৩][১০][১১]
২০০৪ সালে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান মামলায় ৩ অক্টোবর ২০১০ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় শ্যেন অ্যরেস্ট দেখানো হয় বাবরকে। এই মামলায়ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৫][১০][১১]
১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে, বাবর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত হত্যাচেষ্টা সহ চারটি মামলায় জামিন পান।[১২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "লুতফুজ্জামান বাবর, আসন নং: ১৬০, নেত্রকোনা-৪"। দৈনিক প্রথম আলো। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ "পূর্ববর্তী মন্ত্রী"। সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ "জন্মদিনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর"। বিবিসি বাংলা। ২০১৮-১০-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২০।
- ↑ "মায়ের দাফন শেষে ফের কারাগারে বাবর"। ১৩ জুলাই ২০১৬। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ "কারাগারে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানদের সাক্ষাৎ"। দৈনিক আমাদের সময়। ১২ জুলাই ২০২২। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "From Casio to arms"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৪।
- ↑ ক খ "রায়ে বিমর্ষ বাবর বললেন, 'ফাঁসিয়ে দিল'"। bangla.bdnews24.com। ২০২০-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২০।
- ↑ ক খ "সেই বাবর আর এই বাবর"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২০।
- ↑ ব্যুরো, সিলেট। "কিবরিয়া হত্যা মামলায় বাবরের জামিন | কালবেলা"। কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১২।