রাধা কিশোর মাণিক্য
মাণিক্য রাজবংশের মহারাজা রাধা কিশোর মাণিক্য ১৮৯৭ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা হিসাবে রাজত্ব করেছিলেন। তাকে আধুনিক ত্রিপুরার অন্যতম স্থপতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়। [১][২]
H.R.H. মহারাজা রাধা কিশোর মাণিক্য দেববর্মন বাহাদুর | |
---|---|
মহারাজা | |
রাজত্ব | ১৮৯৭-১৯০৯ |
পূর্বসূরি | বীর চন্দ্র মাণিক্য |
উত্তরসূরি | বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য |
ধর্ম | হিন্দু ধর্ম |
প্রশাসন
সম্পাদনামহারাজা রাধা কিশোর মাণিক্য পুলিশ ও রাজস্ব বিভাগকে পৃথকীকরণ করেন।[৩] ১৯০৫ সালের আগে রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা একইসাথে পুলিশ ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯০৭ সালে রাজা পুলিশ বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করেন এবং পুলিশকে রাজস্ব আদায়ের কাজ থেকে অব্যাহতি দেন। এই পৃথকীকরণের পর রাজা কর্তৃক নিযুক্ত প্রথম পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন মিঃ জে.সি. দত্ত।
শিল্প ও শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক
সম্পাদনারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে রাজার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তার রাজত্বকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০০ সালে প্রথম ত্রিপুরা সফর করেন। রাজা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বার্ষিক ১০০০ টাকা অনুদান দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে রাজা আর্থিক সঙ্কটে থাকা সত্ত্বেও জগদীশ চন্দ্র বসুর বৈজ্ঞানিক গবেষণায় গোপনে সহায়তা করার জন্য তিনি তার পুত্রবধূর গহনা বন্ধক রেখেছিলেন। [৪]
আর্থিক সঙ্কটে থাকা সত্ত্বেও[৫] রাজা রাধা কিশোর মাণিক্য ১৮৯৯ - ১৯০১[৬] সালের মধ্যে ১০ লক্ষ[৭] (১ মিলিয়ন) টাকা খরচ করে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। ত্রিপুরা রাজ্যের এর আগের রাজপ্রাসাদটি আগরতলা থেকে ১০ কিমি (৬ মাইল) দূরে অবস্থিত ছিল। তবে, ১৮৯৭ সালের একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আগরতলা শহরের কেন্দ্রস্থলে এটিকে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ হিসাবে পুননির্মাণ করা হয়। [৭]
রাজা রাধা কিশোর মাণিক্য ছিলেন শিক্ষানুরাগী।[২] তিনি কৈলাশহরের আর.কে.আই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি তিনি বর্তমান বাংলাদেশে অবস্থিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ নির্মাণেও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। তাঁর দেওয়া আর্থিক সহায়তায় কলকাতার রাধাগোবিন্দ কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ইউনিট স্থাপন করা হয়েছিল।
-
১৯০০ সালে মহারাজা রাধা কিশোরের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Deb Barma, Aloy; Debroy, Prajapita (২০২২)। Cinema as Art and Popular Culture in Tripura: An Introduction (ইংরেজি ভাষায়)। Tribal Research and Cultural Institute। পৃষ্ঠা 13। আইএসবিএন 978-81-958995-0-0।
- ↑ ক খ "Leading lights among the Manikyas"। tripurainfo.in। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Police system in Princely state of Tripura"। tripura police। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২।
- ↑ "Tagore telegram shows special relationship with Tripura kings"। The Hindu Businessline। PTI। ১৪ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২।
- ↑ Westtripura.gov.in ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে, retrieved on 3.6.2007
- ↑ Indnav.com, retrieved on 31 May 2007.
- ↑ ক খ North-east-india.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে, retrieved on 31 May 2007.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Kingdom of Tripura - University of Queensland The name ujjayanta palace was given by RABINDRANATH TAGORE.
- The ujjayanta palace was established in1901.