রাণীনগর উপজেলা
রাণীনগর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
রাণীনগর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে রাণীনগর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৪′১০″ উত্তর ৮৮°৫৮′২৮″ পূর্ব / ২৪.৭৩৬১১° উত্তর ৮৮.৯৭৪৪৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | নওগাঁ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৫৮.৩৩ বর্গকিমি (৯৯.৭৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[১] | |
• মোট | ১,৮৪,৯০০ |
• জনঘনত্ব | ৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৭.৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৬৪ ৮৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনারাণীনগর উপজেলা নওগাঁ জেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমানায় অবস্থিত।রাণীনগর উপজেলার আয়তন ২৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে নওগাঁ সদর উপজেলা ও বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা, দক্ষিণে আত্রাই উপজেলা, পূর্বে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা ও নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা, পশ্চিমে মান্দা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনারাণীনগর থানা, সদর উপজেলার একটি মৌজা নিয়ে গঠিত। সদর-এর আয়তন ০.১ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার অন্তর্গত গ্রামের সংখ্যা ১৬৯টি এবং মৌজা ১৯১টি।
ইউনিয়ন সমূহ
- ১নং রাণীনগর ইউনিয়ন
- ২নং কাশিমপুর ইউনিয়ন, রাণীনগর
- ৩নং গোনা ইউনিয়ন
- ৪নং পারইল ইউনিয়ন
- ৫নং বড়গাছা ইউনিয়ন
- ৬নং কালিগ্রাম ইউনিয়ন
- ৭নং একডালা ইউনিয়ন
- ৮নং মিরাট ইউনিয়ন
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনারাণীনগর উপজেলার প্রধান নদী ছোট যমুনা, এছাড়া পূর্ব সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী নাগর নদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিসর কাঁচারী বাড়ীতে থাকা অবস্থাই যে নদীকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে" কবিতাটি লিখেছিলেন।
ইতিহাস
সম্পাদনা“রানীনগর” নামকরণ সম্পর্কে প্রচলিত আছে যে, তেরোশ পুকুর আর বারোশ গারির (ছোট পুকুর) অবস্হান ছিল এই অঞ্চলে। এগার’শ - বার’শ শতাব্দীর পাল বংশের পরাক্রমশালী জমিদার খট্রেশ্বর রাজার প্রভাবশালিনী রাণীর সন্মার্থে মৌজার নাম “রানীনগর” আর রাজার নামে নামকরণ হয় “খট্রেশ্বর পরগনা”। ইংরেজ সেটেলমেন্ট রেকর্ডেও এই অঞ্চলের পরগনার নাম “খট্রেশ্বর” এবং মৌজার নাম “রানীনগর” উল্লেখ করা হয়।
আবার অন্য তথ্যমতে, ছাতিয়ানগ্রামের জমিদার কন্যা নাটোরের রাণী ভবানি শংকর যাত্রা বিরতিতে বর্তমান রানীনগর বাজারে বিশ্রাম নিয়েছিলেন, সেই থেকে এর নাম “রানীনগর”।
এটি ১৮৫৬ সালে “রানীনগর” থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, উপজেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে, এবং উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৮৩ সালের ১লা আগস্ট।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাউপজেলার মোট জনসংখ্যা (আদমশুমারি ২০০১ অনুযায়ী)১,৮৪,৯০০ জন, পুরুষ ৯৪,১০০ জন, মহিলা ৯০,৮০০ জন তন্মধ্যে মুসলমান ৮৬.৬%, হিন্দু ১৩% এবং অন্যান্য ০.৪%।
শিক্ষা
সম্পাদনাউপজেলার শিক্ষার হার ৪৭.৭%।[১] পুরুষ ৫৩.৬% মহিলা ৪১.৪%। উপজেলায় রয়েছে ৪টি কলেজ, ১৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাদ্রাসা, বিভিন্ন এনজিও (NGO) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৫ টি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ১৮টি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা১। জনাব মোঃ আলমগীর কবির এমপি। ২।মরহুম ইস্রাফিল আলম এমপি। ৩। জনাব মো: আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি
উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা
সম্পাদনাবিবিধ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে রাণী নগর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |