ব্যবহারকারী:SalamAlayka/খেলাঘর
এই ব্যবহারকারী পাতা অথবা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই ব্যবহারকারী পাতা অথবা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ১৮ মাস আগে SalamAlayka (আলাপ | অবদান) এই পাতাটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
আব্দুল মোয়েজ্জ মুফতী সাহেব হুজূর | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ৩ মার্চ ১৯১৯ বটতলী, নোয়াখালী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি |
মৃত্যু | ২৬ আগস্ট ১৯৮৪ | (বয়স ৬৫)
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
যেখানের শিক্ষার্থী | জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দিন ডাভেল দারুল উলুম দেওবন্দ জামিয়া ইসলামিয়া আশরাফুল মাদারিস বটতলী |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | শিব্বীর আহমদ ওছমানী হোসেন আহমদ মদনী শফি ওছমানী ইদ্রীস কান্ধলবী |
খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৪ – ১৯৮৪ | |
পূর্বসূরী | আমীমুল এহসান বরকতী |
উত্তরসূরী | উবায়দুল হক জালালাবাদী |
মুফতী, জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ |
আব্দুল মোয়েজ্জ (৩ মার্চ ১৯১৯ – ২৬ আগস্ট ১৯৮৪), যিনি মুফতী সাহেব হুজূর নামেও পরিচিত ছিলেন, ছিলেন একজন বাংলাদেশি আলেমে দ্বীন ও ফকীহ, যিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের চতুর্থ খতিব ছিলেন।
জন্ম ও বংশ
সম্পাদনাআব্দুল মোয়েজ্জ সাহেব ১৯১৯ খ্রীষ্টাব্দের ৩ মার্চ তারীখে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অবিভক্ত নোয়াখালী জেলার লক্ষ্মীপুর মহকুমার বটতলী গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী মুসলিম আখন্দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মাওলানা আব্দুল আজীজ জনাবওয়ালা ছিলেন একজন জবরদস্ত আলেমে দ্বীন এবং হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবীর অন্যতম খলিফা। তাঁর আম্মা মাসূমা খাঁতূন ছিলেন একজন গৃহিণী। তাঁর নসবনামা হচ্ছেঃ আব্দুল মোয়েজ্জ ইবনে আব্দুল আজীজ জনাবওয়ালা ইবনে মিঞাজী আব্দুল মজীদ আখন্দ ইবনে আহমদ আলী আখন্দ ইবনে মুহম্মদ শায়ের আখন্দ ইবনে মুহম্মদ আনোয়ার আখন্দ ইবনে মুহম্মদ সৈয়দ আখন্দ।[১]
তালিম
সম্পাদনাআব্দুল মোয়েজ্জ সাহেব পড়ালেখা শুরু করেন নিজ পারিবারিক বটতলী মাদ্রাসায় যেখানে ফেকহ, মন্তেক, আরবী-ফারসী ব্যাকরণ ও সাহিত্যের তালিম লাভ করেন।[২] সেখানে বহু সাল ইসলামী তালিম অর্জন করে উচ্চ ফনূনাত ও উলূম-ই-হাদীছ অর্জন করার জন্য হিন্দুস্থানে চলে যান এবং ঐতিহ্যবাহী দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন। দেওবন্দে তাঁর হাদীছ ওস্তাদদের মধ্যে রয়েছেন মাওলানা শিব্বীর আহমদ ওছমানী, মাওলানাহোসেন আহমদ মদনী, মুফতী শফি ওছমানী এবং মাওলানা ইদ্রীস কান্ধলবী।[৩] বিশেষ করে শিব্বীর আহমদ ওছমানীর মতাদর্শ তাঁকে প্রভাবিত করে। ওছমানী সাহেব যখন দেওবন্দ ছেড়ে ডাভেলে চলে যান তখন আব্দুল মোয়েজ্জ সাহেবও তাঁর সঙ্গে জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দিন ডাভেলে গিয়ে অতিরিক্ত হাদীছ অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন।
চাকরী
সম্পাদনাবাংলায় ফিরে এসে আব্দুল মোয়েজ্জ সাহেব তাঁর খান্দানী বটতলী মাদ্রাসায় ওস্তাদগিরি শুরু করেন। তারপর তিনি বাকেরগঞ্জ জেলার চারাখালী গ্রামের জামেয়া আজীজিয়া মাদ্রাসায় চলে যান যার প্রতিষ্ঠাতা তাঁর বাবা আব্দুল আজীজ জনাবওয়ালার একজন শাগরেদ ছিলেন। সেখানে কিছু সময় শিক্ষাদানে মশগুল হয়ে ওস্তাদ হিসাবে চলে যান রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বড় কাটরা মহল্লার সুনামধন্য জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তারপর তিনি লালবাগ কেল্লার তখন নবনির্মিত জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়ায় মোহাদ্দেছ, প্রধান শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রধান মুফতী নিযুক্ত হন।[৩][১] ১৯৭৪ খ্রীষ্টাব্দে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব আমীমুল এহসান বরকতীর ইন্তেকালের পরে, এই জাতীয় পদটি আব্দুল মোয়েজ্জ সাহেবকে দেওয়া হয় এবং তিনি এই দায়িত্ব মৃত্যু পর্যন্ত পালন করেন।
আব্দুল মোয়েজ্জ সাহেব দ্বিজাতি তত্ত্বের তিনি মোট ১৯ বার হজ পালন করেছিলেন এবং তার মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবের সাথে একবার হজ্জ করেছিলেন।[২]
ব্যাক্তিগত জিন্দেগী
সম্পাদনাআব্দুল মোয়েজ্জ সাহেব যখন বাংলায় ফিরে এসেন ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে, বটতলীর নিকট মান্দারী গ্রামের মাষ্টার বশীরুল্লাহ সাহেবের মেয়ে বেগম সাজেদাকে বিয়ে করেন। এই পবিত্র বন্ধন থেকে উনার পাঁচজন সাহেবজাদা এবং চারজন সাহেবজাদী।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ হিফজুর রহমান কুমিল্লায়ী (২০১৮)। "الشيخ الفاضل الحاج مولانا المفتي عبد المعزّ بن مولانا عبد العزيز النواخالوي" [শায়খে ফাজেল আলহাজ মাওলানা মুফতী আব্দুল মোয়েজ্জ ইবনে মাওলানা আব্দুল আজীজ নোয়াখালবী]। كتاب البدور المضية في تراجم الحنفية (আরবি ভাষায়)। দারুস সালেহ।
- ↑ ক খ গ "মুফতী আব্দুল মুঈজ : জাতীয় মসজিদে জাতির মুরুব্বী"। Fateh 24।
- ↑ ক খ নূর মুহম্মদ আজমী। "২.২ বঙ্গে এলমে হাদীছ"। হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস। এমদাদিয়া কুতুবখানা।