বিয়াফ্রা প্রজাতন্ত্র
বিয়াফ্রা ( /biˈɑfɹə/), যা আনুষ্ঠানিকভাবে [৪] বিয়াফ্রা প্রজাতন্ত্র নামেও পরিচিত– পশ্চিম আফ্রিকার একটি আংশিক স্বীকৃত দেশ ছিল,[৫][৬] যা নাইজেরিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল এবং ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। [৭] এই দেশটি নাইজেরিয়ার প্রাক্তন পূর্ব অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল, যা প্রধানত ইগবো জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত। বিয়াফ্রা ১৯৬৭ সালের ৩০ মে ইগবো সামরিক অফিসার ও পূর্ব অঞ্চলের গভর্নর সি. ওদুমেগউ ওজুকউ'র নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ এর দিকে নাইজেরিয়া স্বাধীনতার হওয়ার পর ধারাবাহিক জাতিগত উত্তেজনা ও সামরিক অভ্যুত্থানের পর এটি ১৯৬৬ সালের দিকে চরম আকার ধারণ করে এবং এ সুযোগে ব্রিয়াফ্রা প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। [৮]
ব্রিয়াফ্রা প্রজাতন্ত্র Republic of Biafra | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৬৭–১৯৭০ | |||||||||
'নীতিবাক্য: "শান্তি, ঐক্য ও স্বাধীনতা" | |||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: "Land of the Rising Sun" | |||||||||
লাল রঙের বিয়াফ্রা প্রজাতন্ত্র, পশ্চিমে বেনিন প্রজাতন্ত্রের একটি রাজ্যের সীমানায় | |||||||||
১৯৬৭ সালের মে মাসে বিয়াফ্রা প্রজাতন্ত্র | |||||||||
অবস্থা | আংশিক স্বীকৃত রাষ্ট্র | ||||||||
রাজধানী | এনুগু (১৯৬৭) উমুয়াহিয়া (১৯৬৭-১৯৬৯) ওয়েরি (১৯৬৯-১৯৮০) আওকা (১৯৭০) | ||||||||
বৃহত্তম নগরী | ওনিত্শা | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | প্রধানতঃ ইগ্বো[১] ইংরেজি সংখ্যালঘু ভাষা ইবিবিও ইজাও এফিক এজাঘাম ওগনি | ||||||||
নৃগোষ্ঠী | ইগবো (৭০%)
[২] এফিক ইবিবিও ওগোনি ইজাও | ||||||||
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | বায়াফ্রান (বায়াফ্রীয়) | ||||||||
সরকার | প্রজাতন্ত্র | ||||||||
রাষ্ট্রপতি | |||||||||
• ১৯৬৭–১৯৭০ | সি. ওদুমেগউ ওজুকউ | ||||||||
• ১৯৭০–১৯৭০ | ফিলিপ এফিয়ং | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• স্বাধীনতা ঘোষণা করে | ৩০ মে ১৯৬৭ | ||||||||
• নাইজেরিয়ায় পুনরায় যোগদান করে | ১৫ জানুয়ারি ১৯৭০ | ||||||||
আয়তন | |||||||||
১৯৬৭ | ৭৭,৩০৬[৩] বর্গকিলোমিটার (২৯,৮৪৮ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯৬৭ | ১৩,৫০০,০০০[৩] | ||||||||
মুদ্রা | বায়াফ্রান পাউন্ড | ||||||||
| |||||||||
বর্তমানে যার অংশ | নাইজেরিয়া |
এরপর নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী বিয়াফ্রা অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে, যার ফলে নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বিয়াফ্রা আনুষ্ঠানিকভাবে আইভরি কোস্ট, গ্যাবন, হাইতি, তানজানিয়া এবং জাম্বিয়া দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল, যখন ফ্রান্সের কাছ থেকে ডি ফ্যাক্টো স্বীকৃতি ও উল্লেখযোগ্য সামরিক সমর্থন পায়। [৯] প্রায় তিন বছর যুদ্ধের পর, যখন প্রায় দুই মিলিয়ন বিয়াফ্রা বেসামরিক মানুষ মারা যায়–নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী বিয়াফ্রার রাজধানীতে প্রবেশ করার সাথেসাথে রাষ্ট্রপতি ওজুকু নির্বাসনে কোত দিভোয়ারে পালিয়ে যান। তারপর ফিলিপ এফিওং বিয়াফ্রার ২য় রাষ্ট্রপতি হন এবং তিনি নাইজেরিয়ার কাছে বায়াফ্রার বাহিনীর আত্মসমর্পণের তত্ত্বাবধান করেন।
গৃহযুদ্ধের পর ইগবো জাতীয়তাবাদ একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক এবং সামাজিক শক্তিতে পরিণত হয় এবং ১৯৯০ এর দশক থেকে এটি আরো ভয়ংকর জঙ্গিদল হয়ে ওঠে; বিয়াফ্রার পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানায়। [১০] বিভিন্ন বিয়াফ্রান বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আবির্ভূত হয়; যেমন: বিয়াফ্রা আদিবাসী জনগণ, বিয়াফ্রা জায়নিস্ট ফ্রন্ট।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Smith, Daniel Jordan (মার্চ ৩, ২০১১)। "Legacies of Biafra: Marriage, 'Home People' and Reproduction Among the Igbo of Nigeria"। Africa। 75 (1): 30–45। এসটুসিআইডি 144755434। ডিওআই:10.3366/afr.2005.75.1.30।
In 1967, following a succession of military coups and interethnic violence, the predominantly Igbo-speaking region of south-eastern Nigeria attempted to secede, declaring the independent state of Biafra
- ↑ Nwaka, Jacinta Chiamaka; Osuji, Obiomachukwu Winifred (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২)। "They do not belong: adoption and resilience of the Igbo traditional culture"। African Identities (ইংরেজি ভাষায়): 1–18। আইএসএসএন 1472-5843। ডিওআই:10.1080/14725843.2022.2126346।
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;land
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "The Republic of Biafra | AHA"। www.historians.org। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০২২।
- ↑ "Republic of Biafra (1967–1970) •" (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ Anglin, Douglas G. (১৯৭১)। "Zambia and the Recognition of Biafra": 102–136। আইএসএসএন 0856-0056। জেস্টোর 45341498।
- ↑ Daly, Samuel Fury Childs (২০২০)। A History of the Republic of Biafra: Law, Crime, and the Nigerian Civil War। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-108-84076-7। ডিওআই:10.1017/9781108887748।
- ↑ Lewis, Peter (২০০৭)। Oil, Politics, and Economic Change in Indonesia and Nigeria। University of Michigan Press। পৃষ্ঠা 78। আইএসবিএন 9780472024742।
- ↑ Ijalaye, David A. (জুলাই ১৯৭১)। "Was "Biafra" at Any Time A State in International Law?": 553–554। জেস্টোর 2198977। ডিওআই:10.1017/S0002930000147311। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২২।
- ↑ Nwangwu, Chikodiri; Onuoha, Freedom C (১১ ডিসেম্বর ২০২০)। "The political economy of Biafra separatism and post-war Igbo nationalism in Nigeria": 526–551। ডিওআই:10.1093/afraf/adaa025।