ফাঁসিদেওয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
ফাঁসিদেওয়া হল একটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক (সিডি ব্লক) যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমার একটি প্রশাসনিক একক।
ফাঁসিদেওয়া ব্লক | |
---|---|
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৩৫′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২৬.৫৮° উত্তর ৮৮.৩৬° পূর্ব | |
দেশ | India |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দার্জিলিং জেলা |
সরকার | |
• ধরন | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক |
আয়তন | |
• মোট | ৩১২.১৫ বর্গকিমি (১২০.৫২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ২,০৪,৫২২ |
• জনঘনত্ব | ৬৬০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মানক সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
লোকসভা constituency | দার্জিলিং |
ওয়েবসাইট | darjeeling |
ভৌগোলিক অবস্থা
সম্পাদনাফাঁসিদেওয়ার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ যথাক্রমে ২৬°৩৫′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২৬.৫৮° উত্তর ৮৮.৩৬° পূর্ব।[১] এটির সমদ্রতল থেকে গড় উচ্চতা ৯৮ মিটার (৩২২ ফু)।
ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লক হল পশ্চিম ডুয়ার্সের একটি অংশ, হিমালয়ের পাদদেশে বিস্তৃত একটি ভৌগোলিক অঞ্চল। এটি প্রায় একটি সমতল ভূমি যা উত্তর থেকে দক্ষিণে মৃদু ঢালযুক্ত, যার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৮০ মিটার থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। মহানন্দা নদী বাংলাদেশের সাথে ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকের পূর্ব সীমান্ত স্পর্শ করেছে, যদিও সব জায়গায় কাটাতার তেমন নেই। এই ব্লকের কিছুটা অংশ মহানন্দা তীর বরাবর বিস্তৃত। [২] [৩]
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের উত্তরে নকশালবাড়ি এবং মাটিগাড়া ব্লক, পূর্বে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লক ও বাংলাদেশের পঞ্চগড় সদর উপজেলা, দক্ষিণ দিকে অবস্থিত চোপড়া ব্লক এবং কিষাণগঞ্জ জেলার পুঠিয়া ব্লক এবং পশ্চিমে খড়িবাড়ি ব্লক। [৪] [৫] [৬][৭]
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ক্ষেত্রফল ৩১২.১৫ কিমি২ (১২০.৫২ মা২)। এই ব্লকে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৪৯টি গ্রাম সংসদ (গ্রাম পরিষদ), ১১৩টি মৌজা এবং ১০৩টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। এখানকার থানার নাম ফাঁসিদেওয়া থানা। [৮] [৯] এই ব্লকের সদর দফতর ফাঁসিদেওয়াতে। [১০] জেলা আদমশুমারি হ্যান্ডবুকে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মানচিত্র অনুসারে, ফাঁসিদেওয়া বন্দরগাছ মৌজায় দেখানো হয়েছে। [১১]
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল: বিধাননগর ১, বিধাননগর ২, চটহাট-বাঁশগাঁও, ঘোষপুকুর, হেতমুড়ি, জলাস-নিজামতারা এবং ফাঁসিদেওয়া৷ [১২]
জনগণ
সম্পাদনাজনসংখ্যা
সম্পাদনাভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মোট জনসংখ্যা ছিল ২,০৪,৫২২ জন, যার সবটাই গ্রামীণ জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যার ১,০৩,৭১৯ (৫১%) পুরুষ এবং ১,০০,৮০৩ (৪৯%) মহিলা ছিলেন। ০ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে ২৮,৩৪৫ জন শিশু ছিল। তফসিলি জাতি ৬০,৭০৪ (২৯.৬৮%) এবং তফসিলি উপজাতির ৬২,৫৯৫ (৩০,৬১%)। [১৩]
ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকের বড়ো গ্রামগুলি (৪০০০ জনসংখ্যার অধিক) হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান): পাথর হিরহিরার ছট (৪,০৩৯), লিউসিপুকুরি (৫,১৮৫), উত্তর বাঁশগাঁও কিসমত (৫,০৬৪), মধ্য বাঁশগাঁও (৯,১৩২), মধ্য বাঁশগাঁও (১৩,৫২৩), মান্দিলা ঝাড় (৬,৬৪২), বড়ো পাইকপাড়া আরাজি (৬,৮৯৯), লাহুগাঁও (১২,৭১০), বুধরুগাঁও (৬,৮৪১), পূর্ব মাদাতি (৬,৪২৪) এবং বাঁশগাঁও (৫,৯৫৮)। [১৩]
ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকের অন্যান্য গ্রামগুলি হলো (পাশে বন্ধনীতে ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান): হেতমুড়ি (২,১২৪) এবং বন্দর গাছ (৩,৮৯১)। [১৩]
স্বাক্ষরতা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে মোট শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১,১৩,৫৭২ (৬ বছরের বেশি জনসংখ্যার ৬৪.৪৬%) যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬৪.৮৯০ (৬ বছরের অধিক পুরুষ জনসংখ্যার ৭২.৬৩%) এবং মহিলা ৪৮,৬৮২ জন (৬ বছরের অধিক বয়সী মহিলা জনসংখ্যার ৫৬.০৬%)। লিঙ্গ বৈষম্য (নারী এবং পুরুষ সাক্ষরতার হারের মধ্যে পার্থক্য) ছিল ১৬.৫৭%। [১৩]
আরও দেখুন – সাক্ষরতার হার অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির তালিকা
দার্জিলিং জেলার ব্লকগুলিতে স্বাক্ষরতা (২০১১) |
---|
দার্জিলিং সদর মহকুমা |
দার্জিলিং পুলবাজার বিডিও – ৮০.৭৮% |
রংলি রংলিয়ট – ৮০.৫০% |
জোড়বাংলো সুকিয়াপোখরি – ৮২.৫৪% |
কালিম্পং মহকুমা |
কালিম্পং ১ – ৮১.৪৩% |
কালিম্পং ২ – 79.68% |
গরুবাথান – ৭৬.৮৮% |
কার্সিশাং মহকুমা |
কার্শিয়াং – ৮১.১৫% |
মিরিক মহকুমা |
মিরিক – ৮০.৮৪% |
শিলিগুড়ি মহকুমা |
মাটিগারা – ৭৪.৭৮% |
নকশালবাড়ি – ৭৫.৪৭% |
ফাঁসিদেওয়া – ৬৪.৪৬% |
খড়িবাড়ি – ৬৭.৩৭% |
উৎস: ২০১১ জনগণনা: ব্লক অনুযায়ী প্রাথমিক আদমশুমারির তথ্য |
ভাষা ও ধর্ম
সম্পাদনাডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক, দার্জিলিং, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ২০০১ অনুসারে, দার্জিলিং জেলার ৪৬% জনসংখ্যার মাতৃভাষা নেপালি/গোর্খালি) , তারপরে বাংলা ২৪%, হিন্দি ১০.৪%, সদন/সাদ্রি ( ৩.১%), কুরুখ/ওরাওঁ (২.১%), ভোজপুরি (১.১%), সাঁওতালি (১%), উর্দু (০.৯%), লেপচা (০.৯%), রাজবংশী (০.৬%), মুন্ডা (০.৪%), তিব্বতি (০.৪%), ভোটিয়া (০.৩%), মারোয়ারি (০.৩%), মৈথিলি (০.৩%) এবং অন্যান্য (৭.৬%)। নেপালি/গোর্খালি ভাষাভাষীদের অনুপাত ১৯৬১ সালে ৫৯.১% থেকে ২০০১ সালে ৪৬.১% এ নেমে এসেছে, যেখানে বাংলা ১৯৬১ সালের ১৮.৪% থেকে ২০০১ সালে ২৪% এবং হিন্দিভাষী বেড়েছে ১৯৬১ সালে ৭.৭% [১৪] ২০০১ সালে ১০.৪%।
২০০১ সালের আদমশুমারিতে, হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ১,২২,০৬৪ যা ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকের মোট জনসংখ্যার ৫৯.৬৮%। মুসলমানদের সংখ্যা ৪৮,২০২ যা মোট জনসংখ্যার ২৩.৫৭%। খ্রিস্টান সংখ্যা ৩৩.০৯৬ যা মোট জনসংখ্যার ১৬.১৮%। বৌদ্ধদের সংখ্যা ৪৭১ এবং জনসংখ্যার ০.২৩%। অন্যদের সংখ্যা ৬৮৯ এবং জনসংখ্যার ০.৩৪%। [১৫]
গ্রামীণ দারিদ্র্য
সম্পাদনা২০০৫ সালে গ্রামীণ পরিবারের সমীক্ষা অনুসারে, দার্জিলিং জেলার মোট পরিবারের ২৪.৪০% ছিল বিপিএল পরিবার। [১৬] বিশ্বব্যাংকের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগণা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জনসংখ্যার ৪-৯% ছিল দারিদ্র্যতার নীচের স্তরে, যা পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন, গড়ে মোট ২০% মানুষ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। [১৭]
অর্থনীতি
সম্পাদনাজীবিকা
সম্পাদনা২০১১ সালে ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে, মোট শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে, চাষীদের সংখ্যা ছিল ৮.৭৯২% এবং ১১.৪৮ %, কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা ১২.৮৬৫ এবং গঠিত ১৬.৮০%, গৃহস্থালীর শ্রমিকদের সংখ্যা ১,৫৭১জন বা ২.০৫% এবং অন্যান্য ৩৬% এবং ৩৬.৩৬% শ্রমিক। [১৮] মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৭৬,৫৬১ এবং মোট জনসংখ্যার ৩৭.৪৩% গঠন করে, এবং অ-শ্রমিকদের সংখ্যা ১,২৭, ৯৬১ এবং জনসংখ্যার ৬২.৫৭%। [১৯]
দ্রষ্টব্য: আদমশুমারির রেকর্ডে একজন ব্যক্তিকে একজন চাষী হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যদি ব্যক্তিটি স্ব/সরকার/প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জমি চাষ/তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত থাকে। যখন একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির জমিতে নগদ বা প্রকার বা ভাগে মজুরির জন্য কাজ করেন, তখন তাকে কৃষি শ্রমিক হিসাবে গণ্য করা হয়। গৃহস্থালী শিল্পকে পরিবার বা গ্রামের মধ্যে পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যের পরিচালিত একটি শিল্প হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় এবং যেটি কারখানা আইনের অধীনে কারখানা হিসাবে নিবন্ধনের জন্য যোগ্য নয়। অন্যান্য শ্রমিকরা হল চাষী, কৃষি শ্রমিক এবং গৃহকর্মী ছাড়া অন্য কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত ব্যক্তি। এতে রয়েছে কারখানা, খনি, বৃক্ষরোপণ, পরিবহন ও অফিসের কর্মী, ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্ত ব্যক্তি, শিক্ষক, বিনোদন শিল্পী ইত্যাদি। [২০]
ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক, দার্জিলিং, ২০১১ অনুযায়ী ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ১০৩টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। ১০০% গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে। ১০০% গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও সমস্ত গ্রামের টাইমগুলি সচল নয়। ২৬টি গ্রামে (২৫.২৪%) পোস্ট অফিস রয়েছে। ৯৭টি গ্রামে (৯৪.১৭%) টেলিফোন রয়েছে (ল্যান্ডলাইন, পাবলিক কল অফিস এবং মোবাইল ফোন সহ)। ৮৩টি গ্রামে (৮০.৫৮%) পাকা অ্যাপ্রোচ রাস্তা রয়েছে এবং ৩৯টি গ্রামে (৩৭.৮৬%) পরিবহন যোগাযোগ রয়েছে (বাস পরিষেবা, রেল লাইন)। ৩টি গ্রামে (২.৯১%) কৃষি ঋণ সমিতি রয়েছে এবং ১৫টি গ্রামে (১৪.৫৬%) ব্যাংক রয়েছে। [২১]
কৃষি
সম্পাদনা২০১২-১৩ সালে, ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে ১২টি সার ডিপো, ১২টি বীজের দোকান এবং ৩১টি ন্যায্যমূল্যের দোকান ছিল। [২২]
২০১৩-১৪ সালে, ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে ১.২৫৭ হেক্টর থেকে ৯,৯৪৯ টন আমন ধান, প্রধান শীতকালীন ফসল, ১,৭৫৯ হেক্টর থেকে ২,২১২ টন আউশ ধান (গ্রীষ্মকালীন ফসল), ১,০১৭ হেক্টর জমিতে ২,৩৪০ টন বোরো ধান (শরৎকালীন)। ৮৭১ হেক্টর থেকে ৭৭১ টন গম, ৯৩ হেক্টর থেকে ২১৪ টন ভুট্টা, ১,২১৮ হেক্টর থেকে ১৭,৭২২ টন পাট, ৮০১ হেক্টর থেকে ২৪,১৯৭ টন আলু এবং ৫ হেক্টর থেকে ৫২৩ টন চিনি। এখানে ডাল এবং তৈলবীজও উৎপাদন হয়েছিল। [২২]
দার্জিলিং চা "এর উল্লেখযোগ্য গন্ধ, স্বাদ এবং রঙের কারণে আইকনিক মর্যাদা পেয়েছে... ২০০৩ সালে ভৌগোলিক ইঙ্গিত (GI) ট্যাগ দিয়ে চিহ্নিত প্রথম ভারতীয় পণ্য... সংজ্ঞা অনুসারে, "দার্জিলিং চা" শুধুমাত্র সেই চাকে বোঝাতে পারে যা জেলার কয়েকটি নির্দিষ্ট পাহাড়ি এলাকার চা বাগানে চাষ, বৃদ্ধি , উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে।” পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও তরাই ও ডুয়ার্সয়ের সমতল এলাকায়ও চা চাষ হয়, তবে এ ধরনের বাগান জিআই ট্যাগের আওতায় পড়েনি। [২৩]
২০০৯-২০১০ পর্যন্ত, GI ট্যাগের আওতায় ৮৭টি চা বাগান ছিল, যেখানে ৫১,০৯১ জন লোক নিযুক্ত ছিল। চাষের অধীনে মোট জমি ছিল ১৭,৮২৮.৩৮ হেক্টর এবং মোট উৎপাদন ছিল ৭.৩৬ মিলিয়ন কেজি। অনেক বড় জনগোষ্ঠী পরোক্ষভাবে জেলার চা শিল্পের উপর নির্ভরশীল। সমতল এলাকা থেকে বার্ষিক গড় উৎপাদন ১০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যায়। [২৪] [২৩]
২০১৩ সালের হিসাবে, দার্জিলিং মহকুমায় ৪৬টি চা বাগান ছিল, কালিম্পং মহকুমায় ২৯টি চা বাগান ছিল এবং কার্শিয়াং মহকুমায় ৬টি চা বাগান ছিল। এগুলি পার্বত্য অঞ্চলের ৮১টি চা বাগান যুক্ত করেছে। দার্জিলিংয়ে ব্যানাকবার্ন টি এস্টেট এবং লিঙ্গিয়া টি এস্টেট ১৮৩৫ সালে প্রথম উদ্ভূত হয়েছিল। তরাই অঞ্চলের শিলিগুড়ি মহকুমায় ৪৫টি চা বাগান ছিল। [২৫]
ব্যাংকিং
সম্পাদনা২০১২-২০১৩ সালে, ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং ৩টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের অফিস ছিল। [২২]
পরিবহন
সম্পাদনাফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকের দুটি উৎপত্তি/টার্মিনেটিং বাস রুট রয়েছে। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন ৫ কিমি (৩.১ মা) ব্লক সদর থেকে। [২২]
রাজ্য সড়ক ১২ ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকের মধ্য দিয়ে গেছে। [২৬]
শিক্ষা
সম্পাদনা২০১২-২০১৩ সালে, ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে ১৭.৮৮৪ জন শিক্ষার্থী সহ ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২,৩৫০ জন শিক্ষার্থী সহ ৫টি মধ্য বিদ্যালয়, ২,৩৫৪ জন শিক্ষার্থী সহ ৬টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ২০,৯৮৭ জন শিক্ষার্থী সহ ১২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ৩১,৩৫৬ জন শিক্ষার্থী সহ বিশেষ ও সাধারণ শিক্ষার জন্য ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠান ছিল। [২২]
আরও দেখুন – ভারতে শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে, ১০৩টি জন অধ্যুষিত গ্রামের মধ্যে, ১৫টি গ্রামে কোনও স্কুল ছিল না, ৪২টি গ্রামে দুটি বা ততোধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল, ২৭টি গ্রামে কমপক্ষে ১টি প্রাথমিক এবং ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল এবং ১৫টি গ্রামে ছিল কমপক্ষে ১টি মাধ্যমিক এবং ১টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। [২৭]
২০১৩ সালে, ফাঁসিদেওয়া সিডি ব্লকে ১টি গ্রামীণ হাসপাতাল, ১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২টি ব্যক্তিগত নার্সিং হোম ছিল যেখানে মোট ৪০টি শয্যা এবং ১৪ জন ডাক্তার (ব্যক্তিগত সংস্থা বাদে) ছিল। এখানে ২২টি পরিবার কল্যাণ উপকেন্দ্র ছিল। ৩,২৬৪ রোগীকে ইনডোরে এবং ৯৬,৮৫০ জন রোগীকে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সিডি ব্লকের উপকেন্দ্রে আউটডোরে চিকিৎসা করা হয়েছিল।[২২]
ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালটিতে ৩০টি শয্যা রয়েছে যা ফাঁসিদেওয়া ব্লকের প্রধান সরকারি চিকিৎসালয়। বিধাননগরে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে (১০টি শয্যা বিশিষ্ট)। [২৮] [২৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Falling Rain Genomics, Inc - Phansidewa
- ↑ "District Census Handbook, Darjeeling, Series 20, Part XII A, 2011 Census of India" (পিডিএফ)। Page 13: Physiography। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook, Darjeeling, Series 20, Part XII A, 2011 Census of India" (পিডিএফ)। Pages 15-17: Drainage। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook, Darjeeling, Series 20, Part XII A, 2011 Census of India" (পিডিএফ)। Map of Darjeeling district on the fifth page। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Tehsil map of Jalpaiguri"। Maps of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ মো. আহসান হাবীব (২০১২)। "পঞ্চগড় সদর উপজেলা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Tehsil Map of Kishenganj"। Maps of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Statistical Handbook 2013 Darjeeling"। Tables 2.1, 2.2। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Provisional Population Totals, West Bengal, Table 4"। Census of India 2001, Darjeeling district (01)। Census Commissioner of India। ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook: Darjiling" (পিডিএফ)। Map of District Darjiling with CD block HQs and Police Stations (on the fifth page)। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook: Darjiling" (পিডিএফ)। Map of Phansidewa CD block on page 327)। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Egiye Bangla Darjeeling" (পিডিএফ)। Miscellaneous - District Detail। District administration। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ "CD block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"। 2011 census: West Bengal – District-wise CD blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook Darjeeling, Series 20, Part XXA, 2011 census" (পিডিএফ)। page 52: Mother tongue। Directorate of Census Operations West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "C1 Population by Religious Community"। West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "West Bengal Summary"। Rural Household Survey 2005। Department of Panchayat & Rural Development, Government of West Bengal। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "West Bengal: Poverty, Growth and Inequality" (পিডিএফ)। World Bank Group। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook Darjiling, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Table 33: Distribution of Workers by Sex in Four Categories of Economic Activity in Sub-district 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook Darjiling, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Table 30: Number and percentage of Main workers, Marginal workers and Non workers by Sex, in Sub-districts, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook Darjiling, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Census Concepts and Definitions, Page 31। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook, Darjiling, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Page 85, Table 36: Distribution of villages according to availability of different amenities, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "District Statistical Handbook 2013 Darjeeling"। Table No. 16.1, 18.1, 20.1, 21.2, 4.4, 3.1, 3.2, 3.3 – arranged as per use। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ "District Census Handbook, Darjiling, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Page 26: Tea industry of Darjeeling district। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Statistical Handbook 2013 Darjeeling"। Table No. 5.3 (f): Area, production and employment in the tea industry। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Synopsis on Survey of Tea Gardens" (পিডিএফ)। Regional Labour Offices under jurisdiction of Joint Labour Commissioner, North Bengal Zone। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ "List of State Highways in West Bengal"। West Bengal Traffic Police। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook, Darjiling, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Page 394, Appendix I A: Villages by number of Primary Schools and Appendix I B: Villages by Primary, Middle and Secondary Schools। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)। Health Statistics – Rural Hospitals। Government of West Bengal। ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)। Health Statistics – Primary Health Centres। Government of West Bengal। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিভ্রমণ থেকে ফাঁসিদেওয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।