প্রবেশদ্বার:উপন্যাস
উপন্যাস প্রবেশদ্বারউপন্যাস বা নভেল গদ্যে লেখা দীর্ঘ বর্ণনাত্মক কথাসাহিত্য। কবিতা, নাটক, ছোটগল্পের ন্যায় উপন্যাস সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা। যিনি উপন্যাস রচনা করেন, তিনি জনসমক্ষে ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিতি পেয়ে থাকেন। উপন্যাস লেখার নির্দিষ্ট নিয়ম বা কাঠামো নেই। তবে সচরাচর এগুলো ছোটগল্প ও অনু-উপন্যাস বা নভেলের তুলনায় বৃহদাকার হয়ে থাকে। উপন্যাসের প্লট ও চরিত্রের বিস্তার লক্ষিত হয়। ইংরেজিতে ড্যানিয়েল ডিফো ও বাংলায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস ধারার প্রথম সার্থক রূপকার। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে উপন্যাস সর্বাধুনিক এবং নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় শাখা। অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডে প্রথম আধুনিক উপন্যাস রচিত হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশে এই ধারার বিচিত্র ও বহুমুখী বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। উপন্যাসে পরিবেশ (milieu) বর্ণনা, প্লট, চরিত্র, সংলাপ ইত্যাদি যখন মানুষের জীবনের কাহিনীকে সুন্দর ও স্বার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলে তার মধ্যে জীবনের কোনো অর্থ বা ভাষ্য প্রকাশ করা হয়। জীবনের এই রূপায়ণ উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকের কাছে বাস্তব বলে প্রতীয়মান হয়। নাটক, রাজাবলি (chronicle), কাব্য ইত্যাদি থেকে উপাদান গ্রহণ করে উপন্যাস রচনারও প্রথা রয়েছে। উপন্যাসের রূপ অত্যন্ত নমনীয় ও মিশ্র। তাই এর নানা রূপভেদ চোখে পড়ে।
নির্বাচিত উপন্যাস
ডেভিড কপারফিল্ড চার্লস ডিকেন্সের লেখা অষ্টম উপন্যাস। বইটির পুরো নাম দ্য পারসোনাল হিস্ট্রি, অ্যাডভেঞ্চার্স, এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড অবজার্ভেশন অফ ডেভিড কপারফিল্ড, দ্য ইয়াংগার অফ ব্লান্ডারস্টোন রুকারি (হুইচ হি নেভার মেন্ট টু পাবলিশ অন এনি অ্যাকাউন্ট)। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৫০ সালে। ডিকেন্সের অন্যান্য অনেক উপন্যাসের মতো এটিও বই আকারে প্রকাশের এক বছর আগে ধারাবাহিকভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসের অনেক ঘটনা ডিকেন্সের নিজের জীবন থেকে নেওয়া। তাই সম্ভবত এটিই তাঁর প্রধানতম আত্মজৈবনিক উপন্যাস।১৮৬৭ সালের সংস্করনের মুখবন্ধে ডিকেন্স লেখেন, "... অনেক স্নেহময় বাবা-মায়ের মতো, আমার হৃদয়ের গভীরেও একটি প্রিয় সন্তান রয়েছে, তার নাম ডেভিড কপারফিল্ড।"
নির্বাচিত জীবনী
হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।
আরো দেখুন
বিষয়শ্রেণীসমূহআপনি যা করতে পারেন
সংশ্লিষ্ট প্রবেশদ্বারসমূহউইকিমিডিয়াপ্রবেশদ্বার
|