পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়( বিবাহের পূর্বে পূর্ণিমা গঙ্গোপাধ্যায়), ( ১৯১১ - ১৯৫১ [১] ) ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও একজন সমাজকর্মী। তিনি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের গণপরিষদের সদস্যা ছিলেন। [২] বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও কর্মী ভারতরত্ন অরুণা আসফ আলী ছিলেন তার জ্যেষ্ঠ ভগিনী।[৩]
পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | পূর্ণিমা গঙ্গোপাধ্যায় ১৯১১ |
মৃত্যু | ১৯৫১ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | ভারতের গণপরিষদ |
পেশা | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী ভারতের গণপরিষদের সদস্যা |
রাজনৈতিক দল | ভারতের জাতীয় কংগ্রেস |
পিতা-মাতা | উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (পিতা) অম্বালিকা দেবী (মাতা) |
আত্মীয় | অরুণা আসফ আলী (ভগিনী) ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (পিতৃব্য) ত্রৈলোক্যনাথ সান্যাল (মাতামহ) |
প্রারম্ভিক জীবন, পরিবার এবং কর্মজীবন
সম্পাদনাপূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের কালকা নামক শিবালিক পর্বতের পাদদেশের এক ছোট শহরের বাঙালি ব্রাহ্ম পরিবারের। তার পিতা উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন রেস্তোরাঁর মালিক। তবে পৈতৃক নিবাস ছিল পূর্ব বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের) বরিশাল জেলায়। মাতা অম্বালিকা দেবী ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের নেতা ও ব্রহ্মসঙ্গীত রচয়িতা ত্রৈলোক্যনাথ সান্যালের কন্যা। তাদের পাঁচ সন্তানের তিন পুত্র (উদিতেন্দু, অমরেন্দু ও প্রভাতেন্দু) , দুই কন্যা (অরুণা ও পূর্ণিমা)। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পূর্ণিমার এক কাকা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠা কন্যা মীরা দেবীর বিবাহ হয়, আরেক কাকা ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন শান্তিনিকেতনের ছাত্র, 'বম্বে টকিজে'র চলচ্চিত্র পরিচালক। পূর্ণিমার নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার ডাকনাম ছিল নোড়া। নেহরু পরিবারের সদস্যরা তার ডাকনামই ব্যবহার করতেন। পরে এলাহাবাদের সলিসিটর জেনারেল প্যারেলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক পুত্রের সঙ্গে পূর্ণিমার বিবাহ হয়। [৪] পূর্ণিমা এলাহাবাদে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক ছিলেন। তিনি ট্রেড ইউনিয়ন, কিষাণ সভা এবং বৃহত্তর গ্রামীণ সম্পৃক্ততার দিকে কাজ করার জন্য জড়িত ও সংগঠিত করার জন্য দায়িত্বে ছিলেন। তিনি লবণ সত্যাগ্রহ এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন। [৫]১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ও সুচেতা কৃপালনী সত্যাগ্রহ শুরু করলে কারারুদ্ধ হন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিলে পুনরায় গ্রেফতার হন। কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি বি.এ পরীক্ষা দেন। [৪] পরে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের গণপরিষদের সদস্য হন। [৬] এবং যে পনেরজন মহিলা সদস্য ছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম এবং সংবিধানের খসড়া রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদের অধিবেশনের শেষে তিনি ও তার জ্যেষ্ঠ ভগিনী অরুণা আসফ আলী প্রথম জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্য বিধাতা পরিবেশন করেন। এটি পরে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি লাভ করে। [৪]
মৃত্যু
সম্পাদনাঅসুস্থতার কারণে, তিনি স্বাধীনতার কয়েক বছর পরে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে নৈনিতালে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। [৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Jayaprakash Narayan (২০০৩)। Bimal Prasad, সম্পাদক। Selected Works। 4। Manohar। পৃষ্ঠা 135। আইএসবিএন 9788173043536।
- ↑ Kumar, Rajesh (জানুয়ারি ২০২২), "Equality for Women: The Constituent Assembly Debates and the Making of Equality Jurisprudence by and for Women", Social Change, SAGE: 1–19, ডিওআই:10.1177/00490857211040255,
The CA had 299 members: 15 women and 284 men. The names of the women members who were part of the CA were: Ammu Swaminathan, Begum Aizaz Rasul, Dakshayani Velayudhan, Durgabai Deshmukh, Hansa Jivraj Mehta, Kamla Chaudhry, Leela Roy, Malati Choudhury, Purnima Banerjee, Rajkumari Amrit Kaur, Renuka Ray, Sarojini Naidu, Sucheta Kriplani, Vijaya Lakshmi Pandit and Annie Mascarene. Nearly all of these women members were associated with the national movement, and their commitment to the cause of women since pre-Independence days was remarkable.
- ↑ Sonia Gandhi, সম্পাদক (২০০৫)। Two Alone, Two Together। Penguin। পৃষ্ঠা xxvi।
- ↑ ক খ গ "Purnima Banerji: The Backstage Feminist Of The Indian Constituent Assembly"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০৬।
- ↑ R. S. Tripathi, R. P. Tiwari (১৯৯৯)। Perspectives on Indian Women। APH Publishing। পৃষ্ঠা 142। আইএসবিএন 81-7648-025-8।
- ↑ Bhula, Pooja (২৪ জানুয়ারি ২০১৪)। "15 women involved in shaping the Indian Constitution"। Daily News and Analysis। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Jawaharlal Nehru (১৯৯৪)। "Letter to Vijaylakshmi Pandit dated 2 June 1951"। Sarvepalli Gopal। Selected Works। Navrang। আইএসবিএন 9780195634785।