ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়টি পুরান ঢাকার সদরঘাট এ অবস্থিত। বাংলাদেশ তথা ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার প্রথম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। [১] বিদ্যালয়টি ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুলাই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল | |
---|---|
ঠিকানা | |
১, লয়াল স্ট্রিট , ১১০০ | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪২′২৮″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮″ পূর্ব / ২৩.৭০৭৭৩৫° উত্তর ৯০.৪১০৫৭৬° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | আল্লাহ্ আমাদের সহায় |
প্রতিষ্ঠাকাল | জুলাই ১৮৩৫ |
বিদ্যালয় জেলা | ঢাকা জেলা |
ইআইআইএন | ১০৮১২৪ |
শ্রেণি | ২য়-১০ম |
লিঙ্গ | বালক |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | আনু. ২৫০০ |
শিক্ষা ব্যবস্থা | জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড |
ক্যাম্পাস | পুরান ঢাকা |
রং | সাদা নীল |
মাস্কট | একটি খোলা বইয়ের মধ্যে একটি চোখ, যার মধ্যে জ্ঞানের একটি অনন্ত শিখা জ্বলছে |
অন্তর্ভুক্তি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
ইতিহাস
সম্পাদনাঢাকা কলেজের স্কুল ভারতবর্ষের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবদীপ্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সূচনালগ্ন থেকে বহু দেশবরেণ্য ও বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিদের বিদ্যাপীঠ হিসেবে অত্র বিদ্যালয়টি সমহিমায় সমুজ্জ্বল।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৩৫ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ১৮৩৬ সালে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং পাটনা কলেজিয়েট স্কুলের গোড়াপত্তন করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে ঢাকা জেলার কালেক্টর মিঃ স্কিনার স্কুল গভনিং বডির সভাপতি ও জেলা সার্জন ডাঃ জেমস টেইলর স্কুল সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মিঃ রিজ নামক একজন দক্ষ ইংরেজ শিক্ষককে স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা
প্রথমে এর নাম দেয়া হয়েছিল ঢাকা ইংলিশ সেমিনারী। ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দে এ সেমিনারী থেকে ঢাকা কলেজ-এর জন্ম হয়। তখন স্কুল শাখাটির নাম রাখা হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল এবং কলেজের অধ্যক্ষের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি ১৯০৮ সালের জুন পর্যন্ত পরিচালিত হয়। ১৯০৮ সনের জুলাই মাসে এই বিদ্যালয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শকের তত্ত্বাবধানে নেয়া হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়টি জিলা স্কুলের মর্যাদা পেয়ে আসছে। কিন্তু বিদ্যালয়টির নাম "ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল" রয়ে যায়।
১৮৭২ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয়দের দ্বারাই এই স্কুলটি পরিচালিত হয়। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম প্রধান শিক্ষকের পদ অর্জনের গৌরব লাভ করেন বাবু কৈলাস চন্দ্র ঘোষ। পরে বাবু রায়সাহেব রত্ন মণি গুপ্তের (১৮৮৮-১৮৯৬) পরিচালনাধীনে এ বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ পরপর আট বছর বাংলা, বিহার ও আসাম প্রদেশের মধ্যে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম স্থান অধিকার করার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
সাবেক ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন
সম্পাদনা- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী
- মেঘনাদ সাহা, পদার্থবিজ্ঞানে থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা।
- দীনেশ গুপ্ত, বিপ্লবী
- জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, সাবেক সভাপতি(বাংলা একাডেমী)
- সৈয়দ শামসুল হক, সব্যসাচী লেখক
- শিবলী সাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক
- মতিউর রহমান (বীর শ্রেষ্ঠ), বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যাংলার
- মুনীর চৌধুরী, ভাষাবিদ, ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- আলমগীর কবির,
- রামপ্রসাদ চন্দ,
- নাজির আহাম্মেদ,
- কাজী আব্দুল ওয়াদুদ,
- খাজা আব্দুল গনি, ঢাকার জমিদার।
- ব্রজসুন্দর মিত্র
- খান আতাউর রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক
- সতীশ চন্দ্র রায়
- বুদ্ধদেব বসু, সাহিত্যিক
- আব্দুল হালিম
- মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশের বিচারপতি)
- শাহ মোয়াজ্জেম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
- সাঈদ আহমদ, বাংলাদেশী নাট্যব্যক্তিত্ব।
- বুলবুল আহমেদ, অভিনেতা।
- মুস্তফা মনোয়ার,চিত্রশিল্পী
- রমেশচন্দ্র মজুমদার, সাবেক উপাচার্য (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
- শহীদুল জহির (১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ - ২৩ মার্চ ২০০৮) - বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং সরকারি আমলা।
ছাত্র সংগঠন সমূহ
সম্পাদনা- এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন
- বিতর্ক ক্লাব
- স্কাউটস
- সাহিত্য সংসদ
- বিজ্ঞান ক্লাব
- দাবা ক্লাব
- ইতিহাস ক্লাব
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বি এন সি সি)
- জীববৈচিত্র্য অনুসন্ধানকারী ক্লাব
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "List of Secondary Schools" (XLS)। Ministry of Education। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাবিদ্যার বাতিঘর ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল দৈনিক ইত্তেফাক, ১৯ মে ২০১৮।