চারঘাট উপজেলা
চারঘাট উপজেলা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। রাজশাহী শহর থেকে এর দুরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। এটি ১৯১৯ সালে থানা হিসেবে গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে এটিকে উপজেলায় রুপান্তর করা হয়।[২] একসময় কলকাতা বন্দর থেকে স্টিমার এই অঞ্চলের থানাঘাট, ঠাকুর বাড়ীর ঘাট, স্টিমার ঘাট ও বাবুলালের ঘাটে আসা যাওয়া করত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
চারঘাট | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে চারঘাট উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৬′৫৯″ উত্তর ৮৮°৪৬′২৯″ পূর্ব / ২৪.২৮৩০৬° উত্তর ৮৮.৭৭৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | রাজশাহী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৬৪.৫২ বর্গকিমি (৬৩.৫২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২)[১] | |
• মোট | ২,২৪,৮৩৩ |
সাক্ষরতার হার[১] | |
• মোট | ৭০.৯৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৬২৭০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৮১ ২৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাএই উপজেলার উত্তরে পবা উপজেলা ও পুঠিয়া উপজেলা ও দক্ষিণে বাঘা উপজেলা, পূর্বে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলা ও বাঘা উপজেলা, পশ্চিমে পবা উপজেলা ও ভারতর পশ্চিমবঙ্গ। এর পাশে দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাচারঘাট উপজেলা মোট ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যথা-
ইতিহাস
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। |
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী চারঘাট উপজেলা মোট জনসংখ্যা ২,২৪,৮৩৩ জন যেখানে রাজশাহী জেলায় জনসংখ্যা ২৩,৬১,৫৭২ জন। অর্থাৎ রাজশাহীর জেলার মোট জনসংখ্যার ৯.৫২ শতাংশ বসবাস করে চারঘাট উপজেলায়। এবং বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ০.১৩৬ শতাংশ বসবাস করে চারঘাট উপজেলায়।
চারঘাট উপজেলার মোট জনসংখ্যার ১,১২,৯৭০ জন নারী এবং ১,১১,৮৬৩ পুরুষ। অর্থাৎ ৫০.২৪ শতাংশ নারী এবং ৪৯.৭৬ শতাংশ পুরুষ।
চারঘাটে জনঘনত্ব ১,৩৬৬/বর্গকিলমিটার এবং ৩৫৩৯/বর্গমাইল। এখানে প্রতি ১ বর্গকিলমিটারে ১,৩৬৬ জন লোক বসবাস করে। যেখানে, ২০১১ সালে প্রতি ১ বর্গকিলমিটারে ১,১০০ জন লোক বসবাস করত।
শিক্ষা
সম্পাদনাবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী চারঘাট উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৭০.৯৯ শতাংশ ( ৭ বছরের উর্ধ্বে )। যেখানে রাজশাহী জেলায় সাক্ষরতার হার ৭২.০১ শতাংশ এবং বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ।
চারঘাটে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭২.৭৪ শতাংশ এবং মহিলার সাক্ষরতার হার ৬৯.২৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে চারঘাট উপজেলায় শাক্ষরতার হার ছিল প্রায় ৬৪ শতাংশ যেখানে বালাদেশের সাক্ষরতার হার ছিল ৫৮.৭৭ শতাংশ।
অর্থনীতি
সম্পাদনাএখানকার বেশিরভাগ লোকই চাষাবাদ এবং কৃষিনির্ভর ব্যবসার সাথে জড়িত। তবে কিছু এলাকার লোক ব্যাবসায়ী জেলে ও তাঁতী । উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য হচ্ছে আম ব্যবসা।এখানে সরকারী ভাবে নন্দাখামার এলাকায় গোপালপুর চিনিকলের জন্য কাঁচামাল হিসেবে আখ চাষ করা হয়। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন চাকরি করেন।
বর্তমানে চারঘাট উপজেলার কৃষকরা প্রায় বারো মাস বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করে থাকেন। এখানকার মানুষেরা আখ চাষাবাদের পাশাপাশি বেশিরভাগ ধান চাষাবাদ করে থাকেন। চারঘাট উপজেলা পান এর খড়ের জন্য বেশি বিখ্যাত। কারণ এই উপজেলায় সর্ব প্রথম পানের খড়ের উৎপাদন শুরু হয়।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- স্লুইস গেট
- ঝিকরা গ্রামের হাজার বছরের প্রাচীন তেঁতুল বৃক্ষ
- পদ্মা নদী
- বড়াল নদী
- রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ পার্ক ও পিকনিক স্পট
- টাইমপাস পার্ক
- বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী
- চারঘাট বয়স্ক বিনোদন কেন্দ্র
- মিয়াপুর হাফেজিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা
- চারঘাট উপজেলা মডেল মসজিদ
- শহীদ শিবলী স্বরনী
- বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ,পদ্মা বড়াল থিয়েটার
- বালু মহল
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- প্রভাষ লাহিড়ী – প্রাক্তন মন্ত্রী ও গণপরিষদ সদস্য
- মোহাম্মদ মকসেদ আলী- সাবেক সংসদ সদস্য।
- এ,বি,এম নওরোজ - ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
- নাজমুল হক সরকার – প্রাক্তন সংসদ সদস্য
- ডা. আলাউদ্দিন – প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য
- নুরুন্নবী চাঁদ – প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য
- মোহাম্মদ আজিজুর রহমান – প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য
- মোহাম্মদ রায়হানুল হক – প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য
- শাহরিয়ার আলম – রাজনীতিবিদ ও প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ডিসেম্বর ২০২৩)। "জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ন্যাশনাল রিপোর্ট (ভলিউম ১)"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
- ↑ "চারঘাট উপজেলা - Banglapedia"।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |