ক্ষুধিত পাষাণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছোটগল্প

ক্ষুধিত পাষাণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ১৮৯৫ সালের বাংলা ভাষার ছোটগল্প। ঠাকুর সবরমতী নদীর নিকটে অবস্থিত গুজরাটের আহমেদাবাদের শাহীবাগের শাহজাহানের মোতি শাহী মহলে অবস্থানের পর এই গল্প রচনার অনুপ্রেরণা লাভ করেন। এখানে সেসময় তার বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[] এটি একজন মাশুল-আদায়কারীর গল্প, যিনি কর্মসূত্রে একটি ছোট শহরে যান এবং সেখানে একটি পুরাতন বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এলাকাবাসী তাকে জানায় বাড়িটিতে অতিপ্রাকৃত শক্তির অবস্থান রয়েছে।

"ক্ষুধিত পাষাণ"
লেখকরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেশভারত
ভাষাবাংলা
বর্গলোমহর্ষক কল্পকাহিনী
প্রকাশিত হয়১৮৯৫
মাধ্যমমুদ্রিত

পর্যালোচনা

সম্পাদনা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ ড. ফজলুল হক সৈকত লিখেন রবীন্দ্রনাথ তার রচনাশৈলীর মধ্য দিয়ে লৌকিকতা-অলৌকিকতা, রহস্যময়তা ও ঐশ্বরিক বিশ্বাসের সাথে সামাজিক বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তুলে ধরেছেন।[] দৈনিক সমকাল-এ ভীষ্মদেব চৌধুরী লিখেন এটি "প্রাকৃত-অতিক্রমী কোনো শিল্পকৃতি নয়, ঐতিহাসিক বাস্তবতার ওপর এক সৃজনক্ষম কবিতার বর্ণযোজনার অভিপ্রয়াস, এক পুনর্গঠিত ইতিহাসের নন্দনশোভা।"[]

উপযোগকরণ

সম্পাদনা

গল্পটি একাধিক চলচ্চিত্র ও মঞ্চনাটকের উপযোগী করা হয়, সেগুলো হল:

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. দত্ত, রমা; সিলি, ক্লিনটন (২০০৯)। Celebrating Tagore : a collection of essays। অ্যালায়েড পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ৩। আইএসবিএন 9788184244243ওসিএলসি 623263320 
  2. সৈকত, ফজলুল হক (২ মার্চ ২০১৩)। "রবীন্দ্রনাথের 'ক্ষুধিত পাষাণ': অলৌকিকতা ও ঐশ্বরিক বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২৪ 
  3. চৌধুরী, ভীষ্মদেব (৪ মে ২০২৩)। "ক্ষুধিত পাষাণ: ঐতিহ্যিক কাঠামোয় ইতিহাসের পুনর্গঠন"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২৪ 
  4. মারিয়া, শান্তা (৮ মে ২০১৪)। "অভিনয়ে রবিঠাকুর"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা