আলিয়া-কওমি মাদ্রাসা সম্পর্ক
আলিয়া-কওমি মাদ্রাসা সম্পর্ক হলো ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান দুইটি ধারা আলিয়া মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসার মধ্যে সম্পর্কিত আলোচ্য বিষয়বস্তু।[১] দুইটি শিক্ষা ব্যবস্থাই যথাক্রমে ভারতের কলকাতা ও সাহারানপুর থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।[২] এ দুই প্রকারের মাদ্রাসার মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে।[৩] তবে এই দুই শিক্ষা ব্যবস্থার পূর্বে ভারতবর্ষে ইসলামি সাম্রাজ্যের সময় দারসে নিজামি ছিল উভয়ধারার মাদরাসার অভিন্ন পাঠ্যক্রম। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আল কুরআন, আল হাদিস, আল ফিকহ, আরবি সাহিত্য, মানতিক, হিকমত ও প্রাচীন দর্শন, সিহাহ সিত্তাহ কিতাব প্রভৃতি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করতো।[৪] রাজনৈতিক বিবেচনায় আলিয়া মাদ্রাসাসমূহে ছাত্র রাজনীতির উপস্থিতি রয়েছে, অপরদিকে কওমি মাদ্রাসাসমূহে ছাত্র রাজনীতি নেই।[৫] আলিয়া মাদ্রাসা সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয়, অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা জনসাধারণের দানের টাকায় পরিচালিত হয়।[৬]
১৯৫২ সালে আলিয়া ও কওমি ঘরানার আলেমদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিলো, এই বৈঠকে উভয় দল সম্মিলিতভাবে ২২ দফার একটি অভিন্ন রুপরেখা তৈরি করে। যার ভিত্তিতে ১৯৫৬ সালের ইসলামী সংবিধান সংবিধান রচিত হয়েছিলো।[৭][৮]
কওমি আলেম আ ফ ম খালিদ হোসেন এই দুই মাদ্রাসা সম্পর্কে বলেছে,
“ | ভারতীয় উপমহাদেশে সময়ের প্রয়োজনে এ দু’টি মাদরাসা শিক্ষাধারার উদ্ভব হয়েছে: একটি আলিয়া, অপরটি কওমি। আলিয়া পদ্ধতি চালু হয়েছে ১৭৮০ সালে আর কওমি শিক্ষাপদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে ১৮৬৬ সালে। দুইটার প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও এগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন ছিলো। | ” |
— আ ফ ম খালিদ হোসেন, https://www.dailynayadiganta.com/sub-editorial/484635 |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের বিপর্যয়ের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাতে নিয়ে নেয়। এরপর তারা মসজিদ, মাদরাসা ও খানকা ও ইসলামি প্রতিষ্ঠানের নামে সুলতানি ও মোগল আমলে বরাদ্দকৃত আর্থিক সম্পত্তি ও অনুদান ক্রমান্বয়ে বাজেয়াপ্ত করে ফেলে। ফলে বহু মাদরাসা ও মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
আলিয়া মাদ্রাসা
সম্পাদনাইসলামি শিক্ষা চালু রাখার জন্য মুসলিম শিক্ষাবিদরা তৎকালীন ভারতের প্রথম ইংরেজ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের কাছে একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। প্রথমে গভর্নর রাজি না হলেই কিছু ধর্মানুরাগী শিক্ষাবিদগণের চাপে তিনি রাজি হন। তবে এই প্রতিষ্ঠানে ইংরেজ শিক্ষক নিয়োগ, কুরআন, হাদিস ও ফিকহের সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মত কিছু শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়। ১৭৮০ সালে ওয়ারেন হেস্টিংসের নির্দেশে কলকাতার শিয়ালদাহের নিকটস্থ বউবাজার অঞ্চলে মোল্লা মাজদুদ্দিনকে হেড মাওলানা নিয়োগ দিয়ে ৪০ জন ছাত্র নিয়ে কলকাতা মাদ্রাসার সূত্রপাত হয় (এই আলিয়া মাদ্রাসাকে ২০০৮ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নিত করা হয়েছে)।[৯][১০] এই মাদ্রাসা থেকেই আলিয়া মাদ্রাসার উৎপত্তি।
কওমি মাদ্রাসা
সম্পাদনা১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের বিষয়ে ইংরেজ সরকার মুসলিমদের অভিযোগ করে, সাথে সাথে দিল্লিসহ সারা ভারতে প্রায় ৩৩ হাজার আলেম দণ্ডিত করে ও প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলায়। ভারতবর্ষের মুসলমানদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ও আর্থিক সম্পত্তি দখল করে নেয়, ইসলামি শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করে। এভাবে মুসলিমদের পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকে। তখন মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবিসহ কিছু আলেম বেসরকারি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, যাতে সরকার এইসকল মাদ্রাসার উপর হস্তক্ষেপ না করতে পারে। ১৮৬৬ সালে সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে কাসেম নানুতুবি ও সৈয়দ আবিদ হোসাইন দারুল উলুম দেওবন্দ নামে একটি কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত করে। তবে আকাবিরে সিত্তাহ নামে ছয়জন ব্যক্তি এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই ধরনের মাদ্রাসায় সরকার থেকে রাষ্ট্রীয় অনুদান, বেতনভাতা ও অবকাঠামোগত সুবিধা নেওয়া হয় না, বরং জনগণের দানের টাকায় এটি পরিচালিত হয়।[৪][১১] এই মাদ্রাসা থেকেই কওমি মাদ্রাসার উৎপত্তি।
পাঠ্যক্রম
সম্পাদনাকওমি মাদ্রাসা
সম্পাদনাকওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ১০ বছরের পড়ালেখায় ছয়টি ধাপ রয়েছে।[১২] তবে পূর্বে কওমি মাদ্রাসার কোন সরকারি স্বীকৃতি ছিলোনা, এসব মাদ্রাসা অনেক বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হলেও তৃতীয়াংশ মাদ্রাসা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। ২০১৭ সালে সরকার কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ নামে পৃথক বোর্ড গঠন করে দেয় শুধু দাওরায়ে হাদিসের জন্য।[১২] দাওরায়ে হাদিসে এসে সব বোর্ডের পরীক্ষার্থীগণই আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীনে পরীক্ষা দেন।
- প্রাক-প্রাথমিক স্তরকে মক্তব বলা হয়, এই স্তরে কুরআন পড়তে শেখানো হয়। পরবর্তীতে সাথে সাথে কুরআন মুখস্থ করানো হয়, এই ধরনের মাদ্রাসাকে হাফেজিয়া মাদ্রাসা বলা হয়।
- দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে ইবতেদায়ী, এখানে প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের আরবি, উর্দু ও ফার্সি ভাষা পড়তে ও লিখতে শেখানো হয়। এটিই মূলত কওমি মাদ্রাসার প্রথম স্তর। এখানে শিক্ষার্থীদের কিছু বাংলা, ইংরেজি ও গণিতও শেখানো হয়।
- তৃতীয় স্তরে রয়েছে মুতাওয়াসিত্তাহ পরীক্ষা। কওমি মাদ্রাসায় ১০ বছর পড়াশোনা পর মাধ্যমিক সমতুল্য এই পরীক্ষা দিতে হয়। এটাকে আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার সমতুল্য বলা যেতে পারে।
- মুতাওয়াসিত্তাহ পরীক্ষার পর দুই বছর শিক্ষার্থীদের কুরআন, হাদিস, ইসলামি আইন, ইসলামি দর্শন ও ইসলামের ইতিহাস পড়তে হয়। এটাকে আলিয়া মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার (উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা) সমতুল্য বলা যেতে পারে।
- এরপর দাওরায়ে হাদিস নামে দুই বছর মেয়াদি কোর্স রয়েছে। এই কোর্সে বুখারি শরীফ, মুসলিম শরীফসহ হাদিসের অন্যান্য বই পড়ানো হয়। এই পরীক্ষাকে আলিয়া মাদ্রাসার কামিল পরীক্ষার সাথে তুলনা করা যায়।
আলিয়া মাদ্রাসা
সম্পাদনাআলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় ইবতেদায়ী থেকে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত ১৬ বছরের পড়ালেখায় পাঁচটি ধাপ রয়েছে।[১২]
- ইতবেদায়ী স্তরে (প্রাথমিক শিক্ষা) কুরআন ও হাদিস শিক্ষা, আকাইদ ও ফিকহ শিক্ষা ও আরবি ভাষা শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়াও এই স্তরে বাংলা, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল ও সাধারণ বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদান করা হয়।
- দাখিল (মাধ্যমিক) স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য কুরআন অধ্যয়ন ও মুখস্থের পাশাপাশি কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা ও তাফসির পড়ানো হয়। হাদিসের বর্ণনা ও ব্যাখ্যা পড়ানো হয়। এগুলোর পাশাপাশি আরবি ভাষা, ইসলামি দর্শন, ইসলামি আইন পড়ানো হয়। এবং দাখিল স্তরের ক্লাস নাইনে বিজ্ঞান বা মানবিক বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ আছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পড়ে থাকে। এর বিপরীতে মানবিকের শিক্ষার্থীরা ইসলামের ইতিহাস, পৌরনীতি ও অর্থনীতি পড়ে থাকে।
- আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) স্তরের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বা কলা বিভাগকে বেছে নিতে হয়। উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুরআন ও হাদিস, ইসলামি আইন, শরিয়া আইন ও আরবি ভাষা পড়তে হয়। এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পড়তে হয়। আর মানবিকের শিক্ষার্থীদের উত্তরাধিকার আইন ও ইসলামের ইতিহাস ও বালাগাত-মানতিক পড়তে হয়।
- ফাজিল শ্রেণীতে (স্নাতক পর্যায়) শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের বিষয়গুলো আলাদা আলাদা করে শেখানো হয়।
- কামিল শ্রেণীতে (স্নাতকোত্তর পর্যায়) শিক্ষার্থীদের শুধু ধর্ম বিষয়ে পড়ানো হয়। এই পর্যায়ে এসে তাদের হাদিস, তাফসির (কোরআনের ব্যাখ্যা), ইসলামি আইন ও আরবি সাহিত্য বিশেষায়িতভাবে পড়ানো হয়।
পারস্পারিক সম্পর্ক
সম্পাদনাচরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম আলিয়া ও কওমি উভয় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন, এখন উভয় ধরনের মাদ্রাসাই পরিচালনা করছেন। ইসহাক বর্ধমানী উত্তর প্রদেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন, আবার কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসারও শিক্ষক ছিলেন। ঢাকা আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক আমিমুল ইহসানের কাওয়ায়েদুল ফিকহ বইটি দারুল উলুম দেওবন্দে ইফতা বিভাগে পড়ানো হয়।
কওমি মাদ্রাসায় পড়ে আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
- জাফর আহমদ উসমানী (দারুল উলুম দেওবন্দ) -- ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানা।
- খতিব উবায়দুল হক (দারুল উলুম দেওবন্দ) -- ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানা।
- মুহাম্মদ ফজলুল্লাহ (দারুল উলুম দেওবন্দ) -- চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক
- আব্দুল হালিম বুখারী (আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া) -- টাঙ্গাইল দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক
- আল্লামা নিয়াজ মাখদুম খোতানি (রঃ) (দারুল উলুম দেওবন্দ) প্রধান মহাদ্দিস, ছারছিনা দারুস সুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসায়। পিরোজপুর।
- আল্লামা আব্দুস সাত্তার বিহারী (রঃ)( উলুম দেওবন্দ) সেকেন্ড মহাদ্দিস, ছারছীনা দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদ্রাসা। পিরোজপুর।
আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ে কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
- হাবিবুল্লাহ কুরাইশি (মোহসিনীয়া মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম) -- চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক।
- মাওলানা আব্দুল হামিদ (মোহসিনীয়া মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম) -- চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহপ্রতিষ্ঠাতা।
- আব্দুল হালিম বুখারী (টাঙ্গাইল দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা) -- আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক।
- সৈয়দ রেজাউল করিম (সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা) -- চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মাদ্রাসাশিক্ষার ধারা ও উপধারা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ স্বপন ঢাকা, হারুন উর রশীদ। "'আলিয়ার সাথে কওমিকে গুলিয়ে ফেলা ভুল' – DW – 22.01.2021"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ "বাংলাদেশে কওমী ডিগ্রি নিয়ে ইসলামী দলগুলোতে মতপার্থক্য"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৪।
- ↑ ক খ হোসেন, আ ফ ম খালিদ (১ মার্চ ২০২০)। "আলিয়া ও কওমি মাদরাসা পারস্পরিক সম্পর্ক"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ Hasan, Rakib (২০১৯-১০-১০)। "বৈধতা নিয়ে বিতর্ক : মাদরাসায় ছাত্র-রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে কারা কী ভাবছেন?"। Fateh24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ আবুল বারাকাত, রওশন আরা, এম. তাহের উদ্দিন, ফরিদ এম জাহিদ, মুহাম্মাদ বদিউজ্জামান (মার্চ ২০১১)। বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার রাজনৈতিক অর্থনীতি: উৎস বিকাশ ও প্রভাব (পিডিএফ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: র্যামন পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ২৬৭–২৭৯।
- ↑ খালিদ হোসেন, আ ফ ম (৫ জুন ২০২২)। "আলেমদের ঐক্য সময়ের অপরিহার্য দাবি"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ গবেষক, আনিসুজ্জামান। "ফিরে এসো পলাতকা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ Rahman, Fazlur. Islam & Modernity. The University of Chicago Press. United States:1982 আইএসবিএন ০-২২৬-৭০২৮৪-৭, 73-74
- ↑ "Calcutta Madrasa, The ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে". Banglapedia.com. ২৪ অগাস্ট, ২০০৫
- ↑ প্রতিবেদক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী (২৮ অক্টোবর ২০১৬)। "কওমী মাদরাসার ইতিহাস ঐতিহ্য ও অবদান"। DailyInqilabOnline।
- ↑ ক খ গ শাওন, আসিফ ইসলাম; মামুন, সোহেল (১৯ জানুয়ারি ২০১৮)। "কী শিখছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা"। বাংলা ট্রিবিউন। ২২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২২।