উমর (টিভি ধারাবাহিক)
ওমর (ইংরেজি: Omar); (আরবি: عُمَرْ) অথবা ফারুক ওমর (ফার্সি: عمر فاروق) হল একটি ঐতিহাসিক আরব টেলিভিশন ড্রামা সিরিজ যেটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন সিরিয়ান পরিচালক হাতিম আলী।
উমর | |
---|---|
ধরন | ইতিহাস, জীবনী, নাটক |
লেখক | ওয়ালিদ সাঈফ |
পরিচালক | হাতেম আলী |
অভিনয়ে | ঘাসান মাসুদ সামির ইসমাইল |
কণ্ঠ প্রদানকারী | আসাদ খালিফা |
সুরকার | ফাহির আতাকোগলু |
মূল দেশ | আরব বিশ্ব |
মূল ভাষা | আরবি |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | ৩০ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার, কাতার টিভি, নিসমা টিভি, |
নির্মাণের স্থান | সৌদি আরব, মরক্কো |
সম্পাদক | রউফ যাযা |
ব্যাপ্তিকাল | ৪৫ মিনিট |
নির্মাণব্যয় | ২০০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১ |
ছবির ফরম্যাট | এইচডিটিভি |
মূল মুক্তির তারিখ | ২০ জুলাই ২০১২ ১৮ আগস্ট ২০১২ | –
ক্রমধারা | |
পরবর্তী | আহমাদ ইবনে হাম্বল |
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট | |
নির্মাণ ওয়েবসাইট |
একত্রিশ পর্বের এই সিরিজটি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ফারুকের জীবনের আঠারো বছর থেকে শুরু করে মৃত্যুকালীন সময়ের মধ্যকার প্রবহমান প্রাসঙ্গিক ও পরিপার্শ্বীয় সমসাময়িক ঘটনাবলির উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়। পুরো আরব ও ইসলামিক বিশ্বজুড়ে এটি ব্যাপক বিতর্ক এবং আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। মরক্কোতে সিরিজটির সকল দৃশ্যের শ্যুটিং হয় এবং মারাক্কেশ, তাঞ্জিয়ার, এল-জাদিদা, কাসাব্লাংকা এবং মহাম্মাদিয়ায় এর প্রধান দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়। ২০১২ সালের ২০শে জুলাই থেকে অর্থাৎ রমজানের ত্রিশদিন ব্যাপী মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে এবং একইসঙ্গে তুরস্কের এটিভি ও ইন্দোনেশিয়ার এমএনসিটিভিতে প্রচারিত হয়। এছাড়াও ইউটিউবে এর পর্বগুলো টেলিভিশনে প্রচারের পরপরই ইংরেজি সাবটাইটেল সহ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, ২০ কোটি সৌদি রিয়াল ব্যয়ে নির্মিত এ টিভি ধারাবাহিকটি হল এপর্যন্ত নির্মিত আরবি ভাষার সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিভি ধারাবাহিক ও আরব বিশ্বে এযাবতকালে নির্মিত সবচেয়ে বড় মাপের টিভি নাট্যকর্ম।[১][২]
প্রাপ্তি
সম্পাদনাইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ: | নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ | |||
---|---|---|---|---|
সালমান আল আওদা | ইউসূফ আল-কারযাভি | সালিহ আল ফাউজান[৩] | সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি[৩] | |
আদিল আল কালবানি | মুহাম্মাদ আল দিদো | আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় | আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ।[৪] | |
আবদুল ওয়াহাব আল তুরাওয়ারী | আলী আল সাল্লাবী | মুহাম্মদ আল মুনাজ্জিদ | আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।[৫] | |
সালেহ আল মাঘামসি | মোহাম্মদ হাসান) | |||
মনজুর এলাহী[৬] |
সালিহ আল-মুনাজ্জিদ মক্কা টিভির একটি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে নাটকটি সম্পর্কে বলেন, "সিরিজের বিষয় হিসাবে, প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে, এবং আমি বলি: ওহে মুসলিম, ওহে মুসলিম, ওহে মুসলিম, আপনি কি এটা স্বীকার করেন, ওমর ইবন আল-খাত্তাবের চরিত্রটি একজন খ্রিস্টান, একজন ব্যক্তির দ্বারা অভিনীত হয়েছে। একজন খ্রিস্টান? ওমর ইবনে আল-খাত্তাব চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা একজন খ্রিস্টান, আমরা সিরিয়ায় তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তারা নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে, এটি একজন খ্রিস্টান। এবং যারা এই সিরিজে সিনিয়র সাহাবীদের ভূমিকার প্রতিনিধিত্ব করেছে সেখানে কিছু গুপ্ত (বাতেনি) নুসায়রি আছে। একজন বাতেনি নুসাইরি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সাহাবীর ভূমিকার প্রতিনিধিত্ব করেছে, তারপর একজন আতিকার (উমরের স্ত্রী) চরিত্রে অভিনয় করেছে। কে? একজন দাড়িওয়ালা (পুরুষের মতো) মহিলা। এই অশ্লীল মহিলার আবেগ এবং ভালবাসার অভিনয়ের অন্যান্য ভূমিকা রয়েছে। তিনি ওমর ইবনে আল-খাত্তাবের একজন স্ত্রী, মহান সাহাবী ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এবং এই অপরাধী যে এই ওমরের ভূমিকার প্রতিনিধিত্ব করে, খ্রিস্টান,, যে ওমরের চরিত্রে মিথ্যা অভিনয় করে, সেই মহিলার সাথে দাঁড়াবে তার স্ত্রী হিসাবে যে তার কাছে অপরিচিত (গায়রে মাহরাম)। সে তার সামনে কাঁদবে, কাঁদবে, দাবি করবে যে সে মানুষের সাথে অন্যায় করতে ভয় পায়। ঐ মহিলা অভিনেত্রী সব উপায়ে তাকে শান্ত করবে। একথা শুনবেন, মহিলাটি সাক্ষাতকারে বলেছেন, তিনি বিভিন্নভাবে তাকে শান্ত করবেন। এর মানে, আল্লাহর ওয়াস্তে, এই প্রহসনের মানে কি? এই হারামের মানে কি, ওমরের ভূমিকার প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে একজন খ্রিস্টান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। আমাদের ওমরের জীবনী জানার আর উপায় নেই যে একজন খ্রিস্টান আমাদের ওমরের ভূমিকা শেখাতে আসে। এক হাজার চারশত বছরে জাতি কীভাবে শিখেছে ওমরের জীবন এবং সাহাবাদের বয়সের পরিবর্তনের সময় থেকে। কী ছিল খুতবায়, কী ছিল পাঠে, কী ছিল বইয়ে, প্রজন্ম কী বই পড়ে। আমরা ওমরের জীবনী আর কোথাও থেকে শিখতে পারিনি, শুধুমাত্র একজন অশ্লীল, একজন প্রতারক এবং একজন কাফের দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা সোপ অপেরা থেকে ছাড়া। এটা কি হচ্ছে, (মুসলিম) দল? এটা কি হচ্ছে? সাবধান সাবধান। আল্লাহর কসম, (মুসলিম) জাতি (উম্মাহ)। কোথায় আমাদের ইতিহাসের ঈর্ষা? হিংসা কোথায়? ওমরের চরিত্র! কীভাবে তারা এটা পর্দায় নিয়ে আসবে। এবং কীভাবে তারা প্রতিনিধিত্ব করবে একটি ত্রিমাত্রিক বিষয়কে? নাটকটি সামরিক দৃশ্য দেখায় এবং শুধুমাত্র দর্শকদের চমকে দেয় এবং প্রযুক্তিগত দিক নির্দেশ করে। এর আসল ইস্যু হল, বিনোদনের ইস্যু আর উপভোগের ইস্যু, এসব আকর্ষণীয় রঙ দেখা, পরিচালনা ও সিনেমাটোগ্রাফি। আরে বন্ধুরা, এটি ওমরের ইতিহাস, ইসলামের তৃতীয় সেরা মানুষ। জাতি থেকে দুর্নীতির (ফিতনাহ) দরজা বন্ধ করে দেওয়া এই মহান ব্যক্তি ওমরকে (নাটকে) চরিত্রে আনা হবে, যিনি (নিজেই এসব) বিদাহ (নতুন উদ্ভাবন) প্রতিরোধ করেছিলেন। আল-দুররা (লাঠি) এর মালিক (উমর) যিনি এই মারামারিকে অস্বীকার করেন এমনকি হিজাব এবং এটির প্রতি তার অবস্থান এবং এর প্রতি তার অবস্থান ছিল কঠোর, এই কারণেই, আমাদের অবশ্যই একটি অবস্থান থাকতে হবে, ওহে মানুষ, এই বিষয়ে।"[৭]
অভিনয়ে
সম্পাদনাট্রিভিয়া
সম্পাদনাসিরিজটির ২ জন অভিনেতা, হাসান আল-জুন্দি ও মুনা ওয়াসেফ, উভয়েই আবু জাহল এবং হিন্দ বিন্ত উতবাহ চরিত্রে মোস্তফা আক্কাদের মুহাম্মদ, মেসেঞ্জার অফ গড চলচ্চিত্রের আরবী সংস্করণে অভিনয় করেছিলেন।
আবহ সঙ্গীত
সম্পাদনাধারাবাহিকটির আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেন তুর্কি মিউজিশিয়ান ফাহির আতাকোগলু, যিনি জনপ্রিয় তুর্কি ধারাবাহিক সুলতান সুলেমানের সঙ্গীতায়োজনের জন্য প্রসিদ্ধ। সিরিজের সর্বশেষ পর্বে ওমর এর ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর মৃত্যূর পূর্বমূহুর্ত দৃশ্যায়নে "সালামুন" শিরোনামে একটি নাশিদ আবহসঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে কন্ঠ দিয়েছেন কুয়েতের বিখ্যাত ক্বারী, তারাবীহ ইমাম ও নাশিদশিল্পী মিশারী রাশিদ আল-আফাসি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রচার
সম্পাদনাসিরিজটি সমসাময়িকভাবে এবং পরবর্তীতে ইরান, মিশর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া সহ বিভিন্ন দেশের টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়।
দেশ | টিভি চ্যানেল | সম্প্রচার শুরু |
---|---|---|
Arab League | এমবিসি১, কাতার টিভি | জুলাই ২০, ২০১২ |
Indonesia | এমএনসিটিভি | জুলাই ২০, ২০১২ |
Tunisia | নেসমা টিভি | জুলাই ২০, ২০১২ |
Turkey | এটিভি, ক্যানাল ৭ | জুলাই ২০, ২০১২; ৭ জুন ২০১৬ |
Iran | নূর টিভি | আগস্ট, ২০১৩ |
সমালোচনা
সম্পাদনাঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক সত্যতা ও দৃশ্যায়ন-সম্পর্কিত সমালোচনা
সম্পাদনাইসলামী আলেমগণ নবীগণ ও সাহাবাগণের চিত্রায়ন নিষিদ্ধ বলে দাবি করেন, কারণ তাদের মতে এ থেকে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, এছাড়া নাটকে নারী চরিত্রের অভিনয়কেও নিষিদ্ধ ও পর্দার খেলাফ বলে দাবি করেন। আর ইসলামী আলেমগণ অন্যান্য বিষয়ের মত নাট্যকর্মের ক্ষেত্রেও অনৈসলামিক বিষয়ে দৃঢ় বিধিনিষেধ আরোপ করে থাকেন, যেমন বাদ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, নেতিবাচক ও অনৈসলামিক বিষয় না দেখানো, সরাসরি ঐতিহাসিক ও বাস্তব চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব না করা তথা ইসলামী চরিত্রসমূহের অভিনয় না করা, কোন মিথ্যা বিষয় প্রদর্শন না করা, অপ্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু উপস্থাপন না করা, নারী চরিত্র অভিনয় না করা ইত্যাদি। সিরিজটি নিয়ে অধিক বিতর্কের প্রধান কারণ ছিল চার খলিফার প্রত্যক্ষ চরিত্রায়ন, যা পূর্বের কোন সিরিয়ালে করা হয় নি। মুহাম্মাদের সময়কালের দৃশ্যায়নে, তার স্ত্রীগণ ও সন্তানগণকে দেখানো হয় নি কিন্তু তার অনেক কর্ম বা কথা পরোক্ষভাবে তার নিকটস্থ সাহাবার কথা ও কাজের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, কারণ ইসলামী বিশ্বে নবী মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের চিত্রায়নে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ও তাদের সম্মানের খাতিরে তা নিষিদ্ধ এবং এই ফতোয়ার প্রভাবে তা যথাসম্ভব সীমিত এবং সমগ্র বিশ্বেই তা ব্যাপক অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও আবু বকরের মৃত্যুর পূর্বের একটি দৃশ্যে আয়েশা কে ছায়া আকারে তার পিতার সঙ্গে নিঃশব্দে আলাপরত অবস্থায় দেখানো হয়। এছাড়া সিরিজের বৈধতা অবৈধতার পাশাপাশি খলিফা ওমরের চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেতা সামের ইসমাইলের ধর্মমত কি তা জানতে সমসাময়িক আরব গণমাধ্যমে যথেষ্ট আলোচনা হয়, আলজেরিয়ার পত্রিকা আলশুরুক ও ইসলামী আলেম সালিহ আল মুনাজ্জিদ সহ সামাজিক গণমাধ্যমে বহু লোক তাকে দৃঢ়তার সাথে খ্রিস্টান দাবি করে খ্রিস্টান হিসেবে ইসলামের তৃতীয় প্রধান মুসলিম চরিত্রে তার অভিনয়ের মানসম্পন্নতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা ও বিরোধিতা করেন। তবে সামের ইসমাইল ও পরিচালক হাতেম আলী তাদের সকল সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন, বলেন যে, এটি তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, যা অভিনেতা হিসেবে তার পেশাগত অবস্থানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তবে পরিচালক হাতেম আলী পরে দাবি করেন, সে একজন সুন্নি মুসলিম। এছাড়া ইউটিউবে অবমুক্ত দৃশ্যধারণের ভিডিওতে দেখা যায়, পরিচালক হাতেম আলী ধূমপানরত অবস্থায় শিল্পীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। ওমরের ইসলাম গ্রহণের দুটি বর্ননা রয়েছে, সিরিজে ওমরের ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিক প্রচলিত বর্ননাটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ওমর তার ভগ্নী ও ভগ্নিপতিকে ইসলাম গ্রহণের কারণে মারতে এসে সেখানে কুরআন পড়ে ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু সালাফি আলেমগণ উক্ত বর্ননাকে তুলনামূলক কম নির্ভরযোগ্য বা ভুল এবং অপর বর্ননাটিকে তুলনামুলক অধিক নির্ভরযোগ্য বা সঠিক বলে বর্ননা করেন, যেখানে ওমর রাতে মক্কার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নবী মুহাম্মদকে নামাজরত অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে শুনে মুগ্ধ ও প্রভাবিত হয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে ইসলাম গ্রহণ করে। নাটকে গোড়ালির নিচে পুরুষ সাহাবীদের কাপড় পরিহিত দেখানো হয়, যা ইসলামে নিষিদ্ধ, উপরন্তু উক্ত আমলে আরবে পুরুষ ও নারীদের পাজামার প্রচলন অপ্রতুল ছিল, সেসময় নিম্নবাস হিসেবে লুঙ্গি বা ইযার প্রচলিত ছিল কিন্তু এখানে সকল সাহাবী চরিত্রকে পাজামা পরিহিত অবস্থায় দেখানো হয়েছে। ইয়ামামার যুদ্ধে খালিদ ও অন্যান্য সাহাবা, ইয়া মুহাম্মাদা বা হে মুহাম্মাদ/মুহাম্মাদের জন্য বলে তাকবীর দেয়, যার ঐতিহাসিক সত্যতা সালাফি আলেমদের নিকট বিতর্কিত, কারণ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে তাকবীর বলা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।[৮] ঐতিহাসিক সূত্রে বলা আছে উমাইয়া ইবনে খালাফকে বদরের যুদ্ধে দুজন আনসার সাহাবী বিলাল -র নির্দেশনা অনু্যায়ী হত্যা করেছিল, কিন্তু সিরিজে উমাইয়াকে বিলাল নিজ হাতে হত্যা করতে দেখানো হয়েছে। ঐতিহাসিক বর্ননায়, আবু জাহেলকে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ মাথা কেটে হত্যা করেন, কিন্তু ধারাবাহিকে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ কর্তৃক আবু জেহেলের বুকে ছুরি ঢুকিৈ হত্যা করা হয়। সিরাতের বর্ননানুসারে হিজরতের পুর্বে কুরাইশ গোত্র কর্তৃক নবী মুহাম্মদ কে হত্যার পরিকল্পনাটি ইবলিশ শয়তান কালো আলখাল্লা পরা মানুষের বেশে এসে কুরাইশ নেতাদের প্রদান করে, কিন্তু নাটকে দশম পর্বে আবু জেহেলকে উক্ত পরিকল্পনা প্রদান করতে দেখ যায়। এছাড়াও ধারাবাহিকের প্রথম পর্বগুলোতে ইসলাম আগমনের পূর্বে ও প্রাথমিক দিকে রায়হানা বিনতে জায়েদের সঙ্গে ওয়াহশি ইবনে হারবের প্রেমের সম্পর্ক দেখানো হয়, যার ঐতিহাসিক সত্যতা আছে কি না তা জানা যায় নি, এছাড়াও রায়হানা বিনতে জায়িদ পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং অনেক মুসলিম সিরাত লেখক তাঁকে ইসলামী নবী মুহাম্মাদের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বিতর্কের মুখে হযরত ওমর'কে নিয়ে তৈরি নাটক, ডয়চে ভেলে বাংলা
- ↑ "Ramadan tv - 30 days Omar"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-০২।
- ↑ ক খ "هل يُشعل مسلسل الفاروق عمر مزيدا من الفرقة بين المسلمين؟"। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "الأمير عبد العزيز بن فهد يؤكد أنه سيبذل كل الجهود لإيقاف بث مسلسل عمر ويطالب متابعيه على تويتر بالدعاء له."। ১৮ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ عمر: أول 'هزيمة' للأزهر على يد الدراما العربية.
- ↑ "খলিফাদের বা সাহাবাদের নিয়ে বানানো নাটক দেখা যাবে কি? - মনজুরে এলাহী (ভিডিও)"। ফেসবুক। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০।
- ↑ "الشيخ محمد صالح المنجد ومسلسل عمر"। Youtube (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ Al-Munajjid, Muhammad Salih (১০ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Does saying "Yaa Muhammad" or "Yaa Muhammadaah" constitute shirk? - Islam Question & Answer"। islamqa.info (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২০।