পিরুজ নাহাওয়ান্দি
পিরুজ নাহাওয়ান্দি অথবা পিরুজ নাহাভান্দি (ফার্সি: پیروز نهاوندی, পিরুজ নাহাভান্দি আর ফার্সি: فیروز نهاوندی ফিরুজ নাহাভান্দি), এছাড়া আরবি নামে পরিচিত আবু লুলু[১] (আরবি: أَبُو لُؤْلُؤَة) একজন পারস্যিক সাসানিয় সৈন্য যে সাসানিয় সেনাবাহিনীর রুস্তম ফারোখজাদের অধিনে কাজ করত,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] কিন্তু ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে আল-কাদায়শিয়া যুদ্ধে (অথবা নাহাভান্দ যুদ্ধ) ধরা পড়ে, যখন সাসনিয়রা ইউফ্রেটিস নদীর পশ্চিম তীরে উমর ইবনে খত্তাবের মুসলিম বাহিনীর নিকট পরাজিত হয়। তাকে আরবে আনার পর হিজরি ২৩ সালে (৬৪৪-৬৪৫ খ্রীস্টাব্দ) উমরকে হত্যা করে। এছাড়াও সে একজন দক্ষ কামার ও কাঠমিস্ত্রী ছিল। তার নাম নির্দেশ করে সে ইরানের একটি প্রাচীন শহর নাহাভান্দ থেকে এসেছে। উমরকে আক্রমণের পর সে আত্মহত্যা করে, যদিও উমর আক্রমণের পর চার দিন বেঁচে ছিলেন।
পিরুজ নাহাওয়ান্দি | |
---|---|
অন্যান্য নাম | আবু লুলু |
মদিনায় স্থানান্তর
সম্পাদনাবন্দী হওয়ার পর পিরুজকে দাস হিসেবে মুগিরা ইবনে শু'বাকে দেওয়া হয়।[২] সেনাবাহিনীতে থাকার ফলে পিরুজ একজন দক্ষ কামার ও কাঠমিস্ত্রী ছিল। অন্য একটি তথ্যানুযায়ী সে উলম্ব অক্ষের বায়ুকল তৈরীতে দক্ষ ছিল।[৩] তার মনিব ইসলামের রাজধানী মদিনায় তাকে তার নিজ গৃহে থাকার অনুমতি দিয়েছিল (যদিও ইবনে সা'দের ভাষ্য অনুযায়ী, মূগিরা ইবনে শু'বা ছিলেন বসরার শাসক, যিনি উমরকে কূফায় একটি পত্র লিখেছিলেন, তারপর উমর পিরুজকে মদিনায় পাঠানোর জন্য মূগিরাকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছিলেন, যদিও বন্দীদের তখন মদিনায় বসবাসের অনুমতি ছিল না।[৪]