মসজিদে নববী
মসজিদে নববী (আরবি: المسجد النبوي) হযরত মুহাম্মাদ (সঃ আঃ)কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদ যা বর্তমান সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত। গুরুত্বের দিক থেকে মসজিদুল হারামের পর মসজিদে নববীর স্থান। হযরত মুহাম্মাদ (সঃ আঃ) হিজরত করে মদিনায় আসার পর এই মসজিদ নির্মিত হয়।[২]
মসজিদে নববী | |
---|---|
ٱلْـمَـسْـجِـدُ ٱلـنَّـبَـويّ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
নেতৃত্ব | ইমাম(সমূহ):
|
অবস্থান | |
অবস্থান | মদিনা, হেজাজ, সৌদি আরব[১] |
প্রশাসন | সৌদি আরব সরকার |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ধ্রুপদি ও সাম্প্রতিক ইসলামি; উসমানীয়; মামলুক পুনরুত্থানকারী |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ৬২২ খ্রিষ্টাব্দ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৬,০০,০০০ (হজ্জের সময় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১০,০০,০০০ হয়) |
মিনার | ১০ |
মিনারের উচ্চতা | ১০৫ মিটার (৩৪৪ ফুট) |
হযরত মুহাম্মাদ (সঃ আঃ) এর বাসগৃহের পাশে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মসজিদের নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় মসজিদ সম্মিলনস্থল, আদালত ও মাদ্রাসা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পরবর্তীকালের মুসলিম শাসকরা মসজিদ সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করেছেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে আরব উপদ্বীপের মধ্যে এখানেই সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়।[৩] মসজিদ খাদেমুল হারামাইন শরিফাইনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। মসজিদ ঐতিহ্যগতভাবে মদিনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মসজিদে নববী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান বিধায় হজ্জের সময়ে আগত হাজিরা হজ্জের আগে বা পরে মদিনায় অবস্থান করেন।
উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে সম্প্রসারণের সময় হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ)এবং প্রথম দুই খুলাফায়ে রাশেদিন হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত উমর (রাঃ) এর সমাধি মসজিদের অংশ হয়।[৪] মসজিদের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত সবুজ গম্বুজ একটি স্থাপনা।[৫] এটি হযরত আয়িশা (রাঃ) এর বাড়ি ছিল।[৪] এখানে হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ) এবং তার পরবর্তী শাসক দুইজনের সমাধি রয়েছে। ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দে কবরের উপর একটি কাঠের গম্বুজ নির্মিত হয়। এটি পরবর্তীতে ১৫শ শতাব্দীতে কয়েকবার এবং ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে একবার পুনর্নির্মিত ও সৌন্দর্যবর্ধিত করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বর্তমান গম্বুজটি ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ কর্তৃক নির্মিত হয়।[৫] এবং ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম সবুজ রং করা হয় ফলে এর নাম সবুজ গম্বুজ হয়েছে।[৪]
ইতিহাস
সম্পাদনাহযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ)ও রাশিদুন খিলাফত
সম্পাদনাহিজরতের পর হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ) এই মসজিদ নির্মাণ করেন।[৬] তিনি একটি উটে চড়ে মসজিদের স্থানে আসেন। এই স্থানটি দুইজন বালকের মালিকানায় ছিল। তারা মসজিদের জন্য জায়গাটি বিনামূল্যে উপহার হিসেবে দিতে চাইলেও হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ)স্থানটি কিনে নেন। এরপর এখানে মসজিদ নির্মিত হয়। এর আকার ছিল৩০.৫ মিটার (১০০ ফুট) × ৩৫.৬২ মিটার (১১৬.৯ ফুট).[৭] খেজুর গাছের খুটি দিয়ে ছাদের কাঠামো ধরে রাখা হয়। ছাদে খেজুর পাতা ও কাদার আস্তরণ দেয়া হয়। এর উচ্চতা ছিল ৩.৬০ মিটার (১১.৮ ফুট). এর তিনটি দরজা ছিল দক্ষিণে বাব-আল-রহমত, পশ্চিমদিকে বাব-আল-জিবরিল (আঃ) এবং পূর্বদিকে বাব-আল-নিসা।[৭]
খায়বারের যুদ্ধের পর মসজিদ সম্প্রসারণ করা হয়।[৮] এটি প্রত্যেক দিকে ৪৭.৩২ মিটার (১৫৫.২ ফুট) বৃদ্ধি পায় এবং পশ্চিম দেয়ালের পাশে তিন সারি খুটি নির্মিত হয়।[৯] প্রথম রাশিদুন খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর শাসনামলে মসজিদের আকার অপরিবর্তিত ছিল।[৯] দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ) মসজিদের আশেপাশে হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ) এর স্ত্রীদের বাড়িগুলো ছাড়া বাকিগুলো ভেঙে সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করেন।[১০] নতুন অবস্থায় মসজিদের আকার দাঁড়ায় ৫৭.৪৯ মিটার (১৮৮.৬ ফুট) × ৬৬.১৪ মিটার (২১৭.০ ফুট)। দেয়াল নির্মাণে মাটির ইট ব্যবহার করা হয়। মেঝেতে পাথর বিছানোর পাশাপাশি ছাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করে ৫.৬ মিটার (১৮ ফুট) করা হয়। এছাড়াও হযরত উমর (রাঃ) আরো তিনটি দরজা সংযুক্ত করেন।
তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রাঃ) নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করেন। এই কাজে দশ মাস সময় লাগে। নতুন মসজিদের আকার দাঁড়ায় ৮১.৪০ মিটার (২৬৭.১ ফুট) × ৬২.৫৮ মিটার (২০৫.৩ ফুট)। দরজার সংখ্যা ও নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়।[১১] পাথরের দেয়াল নির্মিত হয় এবং খেজুর গাছের খুটির বদলে লোহা দ্বারা সংযুক্ত পাথরের খুটি যুক্ত করা হয়। ছাদ নির্মাণের জন্য সেগুন কাঠ ব্যবহার করা হয়।{{sfn|Ariffin|p=56}..}
উমাইয়া, আব্বাসীয় ও উসমানীয় যুগ
সম্পাদনা৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদ মসজিদ সম্প্রসারণ করেন। এই কাজে তিন বছর সময় লেগেছিল। মসজিদের জন্য কাঁচামাল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়।[১২] মসজিদের এলাকা হযরত উসমান (রা) সময়ের ৫০৯৪ বর্গ মিটার থেকে বৃদ্ধি করে ৮৬৭২ বর্গ মিটার করা হয়। মসজিদ ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ আঃ)এর স্ত্রীদের আবাসস্থলগুলো আলাদা করার জন্য দেয়াল নির্মিত হয়। মসজিদ ট্রাপোজয়েড আকারে নির্মিত হয় যার দৈর্ঘ্য ছিল ১০১.৭৬ মিটার (৩৩৩.৯ ফুট)। মসজিদের উত্তরের একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়। এছাড়াও এসময় চারটি মিনার নির্মিত হয়।[১৩]
আব্বাসীয় খলিফা আল মাহদি উত্তর দিকে মসজিদ ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) সম্প্রসারণ করেন। মসজিদের দেয়ালে তার নাম উৎকীর্ণ করা হয়। ইবনে কুতাইবার বিবরণ অনুযায়ী খলিফা আল মামুন এতে কাজ করেছেন। আল মুতাওয়াক্কিল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সমাধির বাইরে মার্বেল পাথর ব্যবহার করেন।[১৪] আল-আশরাফ কানসুহ আল-গাউরি ১৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তার সমাধির উপর পাথরের গম্বুজ নির্মাণ করেন।[১৫]
হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ) এর সমাধি মসজিদের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত।[৫] এটি গম্বুজের নিচে অবস্থিত যা ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের শাসনামলে নির্মিত হয়। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে গম্বুজে সবুজ রং করা হয় এবং এরপর থেকে এর নাম সবুজ গম্বুজ হয়।[৪]
সুলতান প্রথম আবদুল মজিদ ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ শুরু করেন। এতে মোট ১৩ বছর লেগেছিল।[১৬] মূল উপকরণ হিসেবে লাল পাথরের ইট ব্যবহার করা হয়। মেঝে ১২৯৩ বর্গ মিটার বৃদ্ধি করা হয়। দেয়ালে ক্যালিগ্রাফিক শৈলীতে কুরআনের আয়াত উৎকীর্ণ করা হয়। মসজিদের উত্তরে কুরআন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা নির্মিত হয়।[১৭]
সৌদি যুগ
সম্পাদনাআবদুল আজিজ ইবনে সৌদ মদিনা অধিকার করে নেয়ার পর অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য মদিনার বিভিন্ন সমাধিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়।[১৮] তবে সবুজ গম্বুজটিকে অক্ষত রাখা হয়।[১৯]
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর মসজিদে কয়েক দফা সংস্কার করা হয়। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে ইবনে সৌদ মসজিদের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে নামাজের স্থান বাড়ানোর জন্য স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার আদেশ দেন। এসময় কৌণিক আর্চযুক্ত কংক্রিটের স্তম্ভ স্থাপন করা হয়। বাব আল রহমাত গেটের উপর থাকা রাহমা মিনার ভেঙ্গে ফেলা হয়। পুরনো স্তম্ভগুলো কংক্রিট ও শীর্ষে তামা দ্বারা মজবুত করা হয়। সুলাইমানিয়া ও মাজিদিয়া মিনার দুটি মামলুক স্থাপত্যের আদলে প্রতিস্থাপন করা হয়। উত্তরপূর্বে দুটি, উত্তরপশ্চিমে দুটি, মাজিদিয়া মিনার বরাবর পেছনে একটি ও সুলায়মানিয়া মিনার বরাবর পেছনে একটি করে মোট ছয়টি অতিরিক্ত মিনার যুক্ত করা হয়। ঐতিহাসিক মূল্যের কুরআন ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ রাখার জন্য পশ্চিম দিকে একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়।[১৭][২০]
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ মসজিদের অংশ হিসেবে ৪০,৪৪০ বর্গ মিটার যুক্ত করেন।[২১] ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের শাসনামলে মসজিদ আরো সম্প্রসারিত হয়। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে এর নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার পর মসজিদের আয়তন দাঁড়ায় ১.৭ মিলিয়ন বর্গ ফুট।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্প্রসারণ কাজ ২০১২ এর সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয়। আরটি কর্তৃক পরিবেশিত সংবাদ অনুযায়ী এই সম্প্রসারণ সমাপ্ত হওয়ার পর এতে ১.৬ মিলিয়ন মুসল্লি ধারণ করা সম্ভব হবে।[২২] পরের বছরের মার্চে সৌদি গেজেট উল্লেখ করে যে সম্প্রসারণের জন্য যেসব স্থাপনা ধ্বংস করার দরকার ছিল তার ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ব দিকে দশটি হোটেলসহ কিছু বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।[২৩]
হারামাইনের বর্তমান সভাপতি শাইখ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এবং শাইখ মুহাম্মদ বিন নাসির আল-খুজাইম। এছাড়াও ইমাম ও খতিবদের মধ্যে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, শাইখ আলি আল হুজাইফা, শাইখ আবদুল বারি আস-সুবাইতি, শাইখ হুসাইন আল-শাইখ, শাইখ আবদুল মুহসিন আল-কাসিম, শাইখ সালাহ আল-বুদাইর, শাইখ আবদুল্লাহ আল-বুয়াইজান, শাইখ আহমাদ তালিব হামিদ প্রমুখ।
স্থাপত্য
সম্পাদনামসজিদ দুই স্তর বিশিষ্ট এবং আয়তাকার। উসমানিয় নামাজের স্থানটি দক্ষিণমুখী।[২৪] এতে সমতল ছাদ এবং বর্গাকার ভিত্তির উপর ২৭টি চলাচলসক্ষম গম্বুজ রয়েছে।[২৫] গম্বুজের নিচের খোলা স্থানে ভেতরের স্থান আলোকিত করে। গম্বুজ সরিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্রাঙ্গণে থাকা স্তম্ভের সাথে যুক্ত ছাতাগুলো খুলে দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়।[২৬] মসজিদের চারপাশের বাধানো স্থানেও নামাজ পড়া হয় যাতে ছাতাসদৃশ তাবু রয়েছে।[২৭] জার্মান স্থপতি মাহমুদ বোদো রাশ্চ ও তার প্রতিষ্ঠান এই গম্বুজ ও ছাতাগুলো নির্মাণ করে।[২৮]
মসজিদে নববীর মেহরাবসমূহ ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ। মেহরাব হলো মসজিদের একটি বিশেষ স্থাপনা, যা কিবলার দিক নির্দেশ করে এবং ইমামের নামাজ পড়ানোর জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মসজিদে নববীতে বিভিন্ন সময়ের মুসলিম শাসকরা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ করেছেন, যার ফলে এখানে বিভিন্ন মেহরাব নির্মিত হয়েছে। নিচে মসজিদে নববীর কিছু প্রধান মেহরাবের বিবরণ দেওয়া হলো:
মেহরাবে বাইতুল মাকদিস
খায়বার যুদ্ধের পর পর্যন্ত মসজিদে নববীতে মেহরাব-ই বাইতুল-মাকদিস নামে আরেকটি মেহরাব ছিল এবং সম্ভবত ৭ হিজরিতে বা যুদ্ধের পরে মসজিদের প্রথম সম্প্রসারণের পরে এটি অপসারণ করা হয়েছিল। ১৭ হিজরিতে উমরের দ্বিতীয় সম্প্রসারণ । এটি আধুনিক মুয়াজ্জিনের প্ল্যাটফর্মের কাছে মূল মসজিদের উত্তরের দেয়ালে অবস্থিত ছিল।
মেহরাবে নববী (মূল মেহরাব)
এটি নবী মুহাম্মদ (সঃ আঃ)-এর সময়ের মেহরাব। তবে তাঁর জীবদ্দশায় আলাদা মেহরাব নির্মিত হয়নি। তিনি কেবল মসজিদে নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন।
মেহরাবে উসমান
খলিফা উসমান ইবনে আফফান -এর সময় ৬৫১ হিজরীতে মসজিদের সম্প্রসারণ ও পুনঃনির্মাণকালে মেহরাবের একটি নির্দিষ্ট কাঠামো নির্মিত হয়। এটি মসজিদে নববীর প্রাচীন মেহরাবগুলোর মধ্যে অন্যতম।
মেহরাবে তাহাজ্জুদ
মেহরাবে তাহাজ্জুদ, এটি একটি স্মারক চিহ্ন ছিল যেখানে নবী মুহাম্মদ তাহাজ্জুদ সালাহ (নামাজ) দিতেন। স্থানটি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ এবং তার স্বামী আলীর বাড়ির উত্তর প্রাচীর বরাবর অবস্থিত ছিল। পরে অবস্থান চিহ্নিত/চিহ্নিত করার জন্য একটি কুলুঙ্গিতে (মিহরাব) নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এই মেহরাব আড়াল করে দেয়া হয়েছে।
মেহরাবে ফাতেমী
মেহরাব ফাতেমী এই মেহরাব, মেহরাব ই ফাতিমা নামে পরিচিত (কারণ এটি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ এর বাড়ির এলাকার ভিতরে), আধুনিক দিনের সমাধি ঘরের ভিতরে, যে অংশে ফাতিমা এবং আলী ইবনে আবি তালিবের বাড়ি ছিল । মেহরাবের পিছনের কাফনটি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদের অন্তর্গত বলে বিশ্বাস করা প্রাচীন শয্যাকে ঢেকে রাখে। বিছানার বাম দিকের ছোট পোর্টালটি মাকসুরার দিকে নিয়ে যায়, আজ যেখানে কবরগুলি অবস্থিত সেখানে দুর্গম।
মেহরাবে সুলায়মানী
মেহরাব ই সুলেইমানী , মেহরাব-ই হানাফী বা মেহরাব-ই ওমর ইবনে খাত্তাব নামেও পরিচিত, এটি সেই স্থানে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে সুলেমান দ্যা ম্যাগনিফিসিয়েন্টের শাসনামলে একটি পুরানো মেহরাব স্থাপন করা হয়েছিল।
মিম্বর
সম্পাদনানবী মুহাম্মদ (সঃআঃ) এর ব্যবহৃত আসল মিম্বর ছিল খেজুর কাঠের একটি ব্লক। এরপর তিনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন হয়েছিল একটি উঁচু মিম্বর, যার মাত্রা ছিল ৫০ সেমি × ১২৫ সেমি (২০ ইঞ্চি × ৪৯ ইঞ্চি)। ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে, এটিতে একটি তিনটি সিঁড়ি যুক্ত করা হয়েছিল। আবু বকর এবং উমর তৃতীয় ধাপটি মুহাম্মদের প্রতি সম্মানের চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করেননি, তবে উসমান এটির উপরে একটি ফ্যাব্রিক গম্বুজ স্থাপন করেছিলেন এবং বাকি সিঁড়ি আবলুস দিয়ে আবৃত ছিল । ১৫৯০ সালে এটি অটোমান সুলতান মুরাদ তৃতীয় দ্বারা একটি মার্বেল মিম্বার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল , ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টেও এটি মসজিদে ব্যবহৃত হয়েছিল।[৩০]
নবী মুহাম্মদের যুগে বা সৎপথে পরিচালিত খলিফাদের যুগে কোন মিনার ছিল না । মসজিদে নববীতে সর্বপ্রথম উমর বিন আব্দুল আজিজ এর সম্প্রসারণের সময় মসজিদটির প্রতিটি কোণায় ৪টি মিনার নির্মাণ করেন।[৩২] এই মিনারগুলি প্রায় ২৭.৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৪×৪ মিটার চওড়া ছিল।[৩৩] উসমানীয় সুলতান আব্দুল মাজিদের আমলে, মসজিদ আল-নববীতে পাঁচটি বিশিষ্ট মিনার যুক্ত করা হয়েছিল, যথা:
দক্ষিণ-পূর্ব মিনার: এই মিনার আর-রিসিয়াহ নামে পরিচিত , এটি সবুজ গম্বুজের পাশে অবস্থিত। দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
দক্ষিণ-পশ্চিম মিনার: এই মিনারটি বাব আস-সালাম দরজার উপর অবস্থিত তাই এটি আস-সালাম মিনার নামে পরিচিত। সৌদি সংস্করণের সময় এটিকে পুরাতন শৈলীতে রাখা হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব মিনার: এই মিনার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এই মিনার আস-সুলায়মানিয়াহ, সানজারিয়াহ এবং আজিজিয়াহ নামে পরিচিত। সৌদি সংস্কারের সময় এটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম মিনার: এই মিনার উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এই মিনার আশ-শুকাইলিয়াহ, আল-খাশবিয়াহ ও মাজিদিয়া নামে পরিচিত।সৌদি সংস্কারের সময় এটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
পশ্চিম মিনার: এই মিনার মসজিদে নববীর পশ্চিমে বাব আল রহমত দরজার উপর অবস্থিত ছিল। তাই এটি আল-রহমত নামে পরিচিত ছিল। মসজিদে নববী সৌদি সম্প্রসারণের সময় এই মিনার ভেঙ্গে ফেলা হয়।
সৌদি আরব কতৃক সংস্কার এবং সম্প্রসারণে, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম এবং বাব আল-রহমত মিনারগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং তাদের জায়গায় দুটি নতুন সূক্ষ্মভাবে নির্মিত মিনার স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়াও ১০৪ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ৬টি নতুন মিনার নির্মাণ করা হয়। তাতে মসজিদে নববীর মিনারের সংখ্যা হয় মোট ১০টি।
রওজা
সম্পাদনামসজিদের মধ্যে ছোট কিন্তু বিশেষ এলাকা রয়েছে যা আর-রওদাতুল রিয়াদুল জান্নাহ (জান্নাতের বাগান) বলে পরিচিত। এটি হযরত মুহাম্মাদ (সঃ আঃ) এর সমাধি থেকে তার মিম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত। আগত হজ্বযাত্রীরা ও দর্শনার্থিরা এখানে দোয়া ও নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। এখানে প্রবেশ সবসময় সম্ভব হয় না বিশেষত হজ্জের সময় মানুষ অনেক বেশি হওয়ার কারণে।
রওজাকে জান্নাতের অংশ হিসেবে দেখা হয়। সাহাবি আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে হযরত মুহাম্মদ (সঃ আঃ) তার ঘর থেকে মিম্বর পর্যন্ত স্থানকে জান্নাতের অংশ বলেছেন।[৩৪]
হুজরা কক্ষ
সম্পাদনামুহাম্মদ (সঃ আঃ) যখন মদিনায় মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করেন তখন তিনি বসবাসের জন্য মসজিদে নববীর পাশে স্ত্রীদের জন্য আলাদা আলাদা ঘর তৈরি করেছিলেন।
তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে আয়েশা বিনতে আবু বকরের ঘরে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে খলিফা আবু বকর ও উমরের মৃত্যুর পর তাদেরও এই কক্ষে দাফন করা হয়েছিল।[৩৫]
সবুজ গম্বুজ ও পঞ্চভুজ প্রাচীর
সম্পাদনাউমর ইবনে আব্দুল আজিজের শাসনামলে মসজিদে নববী সম্প্রসারণের জন্য নবীর কক্ষগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। কিন্তু আয়েশা বিনতে আবু বকরের কক্ষটিকে না ভেঙ্গে তিনি ঐ ঘরের চারপাশে পঞ্চভুজ প্রাচীর নির্মাণ করেন। কারণ কক্ষটিকে বর্গাকার প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত করলে লোকজন উপাসনার স্থান ভেবে উপাসনা করার আশংকা করেছিল। তাই উমর ইবনে আব্দুল আজিজ পঞ্চভুজ প্রাচীর তৈরি করেছিলেন।[৩৬]
৬৭৮ হিজরিতে, সুলতান কালাউন আল-সালিহি নবীর কক্ষের উপরে একটি গম্বুজ নির্মাণের নির্দেশ দেন। নবীর কক্ষের উপরে একটি বর্গাকার গম্বুজ তৈরি করা হয়েছিল, শীর্ষে অষ্টভুজাকার, স্তম্ভের উপরে কাঠ তৈরি করা হয়েছিল এবং এই গম্বুজের চারপাশে সীসার চাদর ছিল এটি একটি কাঠের বেড়া দ্বারা বেষ্টিত যা পুরানো বেড়া প্রতিস্থাপন করেছে। এই কাঠের প্যানেলগুলি ৭৬৫ হিজরিতে পুনর্নবীকরণ করা হয়েছিল।[৩৭] সুলতান কায়েতবে- এর শাসনামলে , যখন ৮৮৬ হিজরিতে মসজিদে নববীতে দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ডের সময় গম্বুজটি পুড়ে যাওয়ায় কাঠের পরিবর্তে ইট দিয়ে দ্বিতীয়বার নির্মাণ করা হয়। তিনি তখন মসজিদের ভেতরে আরো একটি গম্বুজ তৈরি করে নবীর কক্ষের ছাদ প্রতিস্থাপন করেন। [৩৮]
তারপর ১২৫৩ হিজরিতে , সুলতান মাহমুদ বাহিরের বড় গম্বুজটিকে সবুজ রঙ করার নির্দেশ দেন, এর আগে এটির রঙ ছিল নীল, তাই এটি "সাদা গম্বুজ", "নীল গম্বুজ" নামে পরিচিত হওয়ার পরে এটিকে "সবুজ গম্বুজ" বলা হয়। [৩৯]
সাবেক ও বর্তমান ইমাম মুয়াজ্জিনদের তালিকা
সম্পাদনা- শাইখ হুসাইন আব্দুল গণি বোখারী
- শাইখ হাসান আব্দুস সাত্তার আশুর বোখারী
- শাইখ আব্দুল আজিজ বোখারী (৬০ বছর ধরে)
- শাইখ মাহমুদ নুমান
- শাইখ আব্দুল মুত্তালিব নজদী
- শাইখ হুসাইন হামজা আফিফি
- শাইখ হুসাইন রজব
- শাইখ আব্দুল মালিক আল নুমান
- শাইখ কামিল নজদী
- শাইখ মোস্তফা উসমান নুমান
- শাইখ মাজিদ হামজা হাকিম
- শাইখ এসাম বোখারী (প্রধান মুয়াজ্জিন)
- শাইখ সৌদ বোখারী
- শাইখ আশরাফ আফিফি
- শাইখ আহমাদ আনসারী
- শাইখ আব্দুল রহমান খাশোগি (মুয়াজ্জিনদের শাইখ)
- শাইখ উমর নাবেল সানবুল
- শাইখ আয়াদ শুকরী
- শাইখ ফয়সাল নোমান
- শাইখ মাহদী বারী
- শাইখ মুহাম্মদ বিন মাজিদ হাকিম
- শাইখ আনাস শরীফ
- শাইখ উসামা আকদার
- শাইখ ড. উমর কামাল
- শাইখ আদিল কাতিব
- শাইখ আব্দুল মাজিদ শুরাইহী
- শাইখ হাসান খাশোগি
- শাইখ আব্দুল্লাহ হাত্তাব আল হুনাইনী
- শাইখ ড. সামি দেওলী
- শাইখ মুহাম্মদ মারোয়ান কাসাস
- শাইখ আহমেদ আফিফি
সাবেক ইমাম
সম্পাদনা- আব্দুল্লাহ জাহিম (ইমাম ও খতিব) [৪২]
- মুহাম্মদ আইয়ুব (ইমাম ও খতিব) [৪৩]
- আলী আল সুদাইস (ইমাম ও খতিব) [৪৪]
- সাদ আল ঘামদি (তারাহবীর অতিথি ইমাম)[৪৫]
- আব্দুল্লাহ আওয়াদ আল জুহানি (তারাহবীর অতিথি ইমাম) [৪৬]
- মাহের আল মুয়াই'কলি (তারাহবীর অতিথি ইমাম) [৪৭]
- আবদুর রহমান আস-সুদাইস (দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল সভাপতি ও ইমাম)
- আলী আবদুর রহমান আল হুজাইফী (প্রধান ইমাম ও খতিব)
- আব্দুল মহসিন আল-কাসিম (ইমাম ও খতিব)
- আব্দুল বারী আওয়ায আস সুবাইতী ( ইমাম ও খতিব)
- আহমাদ আল হুজাইফী (ইমাম ও খতিব)
- খালিদ আল মুহান্না (ইমাম ও খতিব)
- সালেহ আল বুদাইর (ইমাম ও খতিব)
- আহমেদ তালিব হামিদ (ইমাম ও খতিব)
- আব্দুল্লাহ বুয়াই'জান (ইমাম ও খতিব)
- হুসাইন আল শাইখ (ইমাম ও খতিব)
- আব্দুল্লাহ আল কুরাফী (ইমাম)
- মুহাম্মদ বারহাজী (ইমাম)
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
রাতের দৃশ্য
-
ভেতরের দৃশ্য
-
বাইরের দৃশ্য
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ গুগল মানচিত্র। "মসজিদে নববীর অবস্থান"। গুগল মানচিত্র। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ পরিষদ, সম্পাদনা (জুন ১৯৮২)। সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ ২য় খণ্ড। শেরেবাংলা নগর, ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ১৭৯। আইএসবিএন 954-06-022-7।
- ↑ "The History of Electrical lights in the Arabian Peninsula"। ১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ Ariffin, Syed Ahmad Iskandar Syed (২০০৫)। Architectural Conservation in Islam : Case Study of the Prophet's Mosque। Penerbit UTM। পৃষ্ঠা 88–89,109। আইএসবিএন 978-983-52-0373-2।
- ↑ ক খ গ Petersen, Andrew (২০০২-০৩-১১)। Dictionary of Islamic Architecture। Routledge। পৃষ্ঠা 183। আইএসবিএন 978-0-203-20387-3।
- ↑ "The Prophet's Mosque [Al-Masjid An-Nabawi]"। Islam Web। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৫।
- ↑ ক খ Ariffin, পৃ. 49।
- ↑ Ariffin, পৃ. 50।
- ↑ ক খ Ariffin, পৃ. 51।
- ↑ Atiqur Rahman। Umar Bin Khattab: The Man of Distinction। Adam Publishers। পৃষ্ঠা 53। আইএসবিএন 978-81-7435-329-0।
- ↑ Ariffin, পৃ. 55।
- ↑ NE McMillan। Fathers and Sons: The Rise and Fall of Political Dynasty in the Middle East। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-1-137-29789-1।
- ↑ Ariffin, পৃ. 62।
- ↑ Munt, পৃ. 118।
- ↑ Wahbi Hariri-Rifai, Mokhless Hariri-Rifai। The Heritage of the Kingdom of Saudi Arabia। GDG Exhibits Trust। পৃষ্ঠা 161। আইএসবিএন 978-0-9624483-0-0।
- ↑ Ariffin, পৃ. 64।
- ↑ ক খ Ariffin, পৃ. 65।
- ↑ Mark Weston (২০০৮)। Prophets and princes: Saudi Arabia from Muhammad to the present। John Wiley and Sons। পৃষ্ঠা 102–103। আইএসবিএন 978-0-470-18257-4।
- ↑ Doris Behrens-Abouseif; Stephen Vernoit (২০০৬)। Islamic art in the 19th century: tradition, innovation, and eclecticism। BRILL। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 978-90-04-14442-2।
- ↑ "New expansion of Prophet's Mosque ordered by king"। Arab News। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
- ↑ "Prophet's Mosque to accommodate two million worshippers after expansion"। Arab News। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
- ↑ "Saudi Arabia plans $6bln makeover for second holiest site in Islam"। RT। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
- ↑ "Prophet's Mosque to house 1.6m after expansion"। Saudi Gazette। ১৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
- ↑ "Holy places: The Prophet's Mosque, Medina"। Daily Monitor। ১৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
- ↑ Frei Otto, Bodo Rasch: Finding Form: Towards an Architecture of the Minimal, 1996, আইএসবিএন ৩-৯৩০৬৯৮-৬৬-৮
- ↑ "Archnet"। archnet.org। ১৭ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ MakMax (Taiyo Kogyo Group)। "Large scale umbrellas (250 units) completed, covering the pilgrims worldwide with membrane architecture : MakMax"। makmax.com। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Walker, Derek (১৯৯৮)। The Confidence to Build। p 69: Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 0-419-24060-8।
- ↑ "Mehrab Tahajjud (Masjid al-Nabawi) - Madain Project (en)"। madainproject.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১৪।
- ↑ "The Prophet's Mosque"। Last Prophet। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
- ↑ "Minarets of the Masjid al-Nabawi"। People of Madina (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১৫।
- ↑ দারুল-মুস্তফার ইতিহাসে খালাস আল-ওয়াফা, আল-সামহুদি, পৃ. ৬৩০, আল-মাকতাবাহ আল-ইলমিয়া
- ↑ নবীর শহরের খবর, ইবনে আল-নাজ্জার, পৃ. ১০৮
- ↑ Islam-QA: "Islamic Guidelines for Visitors to the Prophet's Mosque" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে Islam-QA website section 5- It is prescribed for the one who visits the Prophet's Mosque to pray two rakats in the Rawdah or whatever he wants of supplementary prayers, because it is proven that there is virtue in doing so. It was narrated from Abu Hurayrah that the Prophet said, "The area between my house and my mimbar is one of the gardens of Paradise, and my mimbar is on my cistern (hawd)." Narrated by al-Bukhari, 1196; Muslim, 1391.
- ↑ "البداية والنهاية/الجزء الخامس/صفة قبره عليه الصلاة والسلام - ويكي مصدر"। ar.wikisource.org (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১৫।
- ↑ দুই মসজিদের আয়না, ইব্রাহিম পাশা, ভলিউম ১, পৃষ্ঠা ৬৩৩
- ↑ দারক আল-সামহুদি, ভলিউম ২, পৃ. ৬০৯-৬০৮
- ↑ মদিনা, এর নগর উন্নয়ন এবং স্থাপত্য ঐতিহ্য, সালেহ লামেই মুস্তাফা, পৃষ্ঠা ৮৩, দার আল-নাহদা
- ↑ নুজহাত আল-নাজরিন, জাফর বিন ইসমাইল আল-বাজনজি, পৃ. ৭১-৭৭, আল-জামালিয়া প্রেস।
- ↑ "[ تـــأريــخ مــؤذنـي الـحـرمـيـن الــشـريـفـين ]"। منتديات مزامير آل داوُد (আরবি ভাষায়)। ২০১৩-০৩-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২১।
- ↑ ক খ "Masallacin Annabi SAW na Madina"। BBC News Hausa। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৫।
- ↑ "عبدالله بن محمد الزاحم"। مداد (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-৩০।
- ↑ Haramain, Inside the (২০১৬-০৪-১৬)। "Death of Sheikh Muhammad Ayub (Imam of Masjid Al Nabawi) - Inside the Haramain" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-৩০।
- ↑ "علي السديس"। مداد (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-৩০।
- ↑ "Saad ibn Said Al-Ghamdi - The Muslim 500"। themuslim500.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮।
- ↑ Haramain, Inside the (২০১৬-০২-২০)। "Sheikh Abdullah Awad Al Juhany Biography - Inside the Haramain" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-৩০।
- ↑ Haramain, Inside the (২০১৫-১১-০৭)। "Sheikh Maher Al Muaiqly - Inside the Haramain" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-৩০।
- ↑ "Four new imams appointed at the Two Holy Mosques"। Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
টীকা
সম্পাদনা- Ariffin, Syed Ahmad Iskandar Syed। Architectural Conservation in Islam : Case Study of the Prophet's Mosque। Penerbit UTM। আইএসবিএন 978-983-52-0373-2।
- Munt, Harry। The Holy City of Medina: Sacred Space in Early Islamic Arabia। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-107-04213-1।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Watch Live Al-Masjid an-Nabawi
- Panoramic and interactive view of Al-Masjid an-Nabawi
- Photo gallery of Al-Masjid an-Nabawi from the inside and the outside
- Detailed information on Masjid Al-Nabawi الْمَسْجِد النَّبَوي ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে